নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

যাহা বলিব সত্য বলিব

আল্লাহ মহান, যাহা বলিব সত্য বলিব।

তালপাতারসেপাই

লিন্ক সহ পোষ্টের বাহবা/দায়, মূল লেখকের।

তালপাতারসেপাই › বিস্তারিত পোস্টঃ

অছাত্ররা এবারও ছাত্রদলের কমিটিতে

০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১০:০০


জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের ২০১ সদস্যের কেন্দ্রীয় কমিটিতে ৭৩৬ জনকে স্থান দেওয়া হয়েছে। দলের ভেতরে কেউ এ সিদ্ধান্তকে ছাত্রদলের সাংগঠনিক নেত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার 'নতুন চমক', কেউ 'নজিরবিহীন' বলে আখ্যা দিয়েছেন। গঠনতন্ত্রের তোয়াক্কা না করে পূর্ণাঙ্গ এই কমিটিতে কাউকেই বাদ দেওয়া হয়নি। এমনকি কারাগারে থাকা নেতাদের কেউ বাদ পড়ে থাকলে তাদের অন্তর্ভুক্ত করে এই কমিটির আকার আরও বড় হতে পারে বলে জানিয়েছেন দায়িত্বপ্রাপ্তরা। বিশাল আকারের এই কমিটি নিয়ে এরই মধ্যে বেশ চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। ছাত্রদলের এবারের কমিটিতে অছাত্র ও বিবাহিতরাও জায়গা পেয়েছেন। এমন কমিটিতে ক্ষুব্ধ অনেক তৃণমূল নেতাকর্মী। তাদের অনেকেই পদত্যাগ করতে পারেন।

কেন্দ্রীয় কমিটির সঙ্গে শনিবার রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাবির হলগুলো, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা মহানগর উত্তর, দক্ষিণ, পূর্ব, পশ্চিম, ঢাকা কলেজ, তিতুমীর কলেজ, তেজগাঁও কলেজ, সরকারি কবি নজরুল কলেজ, সরকারি বাঙলা কলেজ, শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ও ঢাকা জেলার কমিটি ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় ছাত্রদল। ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি রাজীব আহসান ও সাধারণ সম্পাদক মো. আকরামুল হাসান এই কমিটিগুলো অনুমোদন করেন। এর মধ্যে ঢাকা কলেজ, তিতুমীর কলেজ, তেজগাঁও কলেজ, সরকারি কবি নজরুল কলেজ, সরকারি বাঙলা কলেজকে কেন্দ্রীয় সংসদের অধীনে নেওয়া হয়েছে।

এর আগে ২০১৪ সালের ১৫ অক্টোবর রাজীব আহসানকে সভাপতি ও আকরামুল হাসানকে সাধারণ সম্পাদক করে ১৫১ সদস্যের আংশিক কমিটি দিয়েছিলেন খালেদা জিয়া। সে সময় কমিটি পূর্ণাঙ্গ করে ২০১ সদস্যের কমিটি দেওয়ার কথা থাকলেও প্রায় ১৫ মাস পর ৭৩৬ সদস্যের কমিটি দেওয়া হলো। সূত্র জানায়, অতীতে ছাত্রদলের কমিটি গঠনের পর বিদ্রোহ ও সংঘর্ষের ঘটনা মাথায় রেখে ছাত্রদলের এই বিশাল কমিটি গঠন করা হয়েছে। সবাইকে সন্তুষ্ট করা হয়েছে। চলতি বছরের ১৯ মার্চ বিএনপির জাতীয় কাউন্সিলের আগে যাতে ছাত্রদলে বিদ্রোহ দেখা না দেয়, সে চিন্তা মাথায় রেখেই এমন কমিটি।

কেন্দ্রসহ বিভিন্ন ইউনিটের কমিটি পর্যালোচনা করে দেখা যায়, কমিটিতে স্থান পেয়েছেন বয়স্ক, অছাত্র, বিবাহিত, ব্যবসায়ী, সন্ত্রাসীসহ বিতর্কিত অনেক নেতা ও সক্রিয় কর্মী। এমনকি বিগত বছরগুলোতে বিএনপির সরকারবিরোধী আন্দোলনের সময় নিষ্ক্রিয়রা পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে স্থান করে নিয়ে চমক দেখিয়েছেন। এ জন্য এ্যানী-টুকু সিন্ডিকেটকে দায়ী করছেন কর্মীরা।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক নেতা জানান, ছাত্রদলের যে খসড়া কমিটি করা ছিল, তা পরিবর্তন করা হয়েছে। এটা নিয়ে পার্টির সাধারণ সম্পাদক আকরামুল হাসান বেশ নাখোশ। হলের আহ্বায়ক কমিটিগুলোতে জ্যেষ্ঠতা অনুসরণ করা হয়নি। একেক হলে একেক সেশন থেকে আহ্বায়ক ও যুগ্ম আহ্বায়ক করা হয়েছে। এতে ক্ষুব্ধ তৃণমূলের নেতারা। তারা অনেকেই গণপদত্যাগ করতে পারেন।

এ সংকট নিরসনে এরই মধ্যে বিএনপিতে থাকা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতিসহ সিনিয়র নেতারা দফায় দফায় বৈঠক করছেন।

কমিটির ব্যাপারে জানতে চাইলে ছাত্রদলের দপ্তর সম্পাদক আবদুস সাত্তার পাটোয়ারী সমকালকে বলেন, বিদ্যমান পরিস্থিতির বিষয়টি মাথায় রেখে ৭৩৬ সদস্যের এ কমিটি দেওয়া হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে যারা রাজনীতি করার চেষ্টা করেছে, সবাইকেই কমিটিতে রাখা হয়েছে। তবে ঢাউস আকারের এ কমিটির সমালোচনা শুরু হয়েছে বিএনপির ভেতর থেকেই। গতকাল দিনভর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে যখন ছাত্রদলের আনন্দ মিছিল চলছিল, তখন কার্যালয়ে থাকা বিএনপির অনেক নেতাকর্মীকে বলতে শোনা যায়, 'ছাত্রদলে এখন কর্মী নেই, সবাই নেতা।'

ছাত্রদলের পূর্ণাঙ্গ কেন্দ্রীয় কমিটিতে দেখা যায়, কেন্দ্রীয় নেতাদের কেউই নিয়মিত ছাত্র নন। বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়াশোনা শেষ করেছেন ১০/১২ বছর আগে। তবে কিছু কিছু নেতা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে নামেমাত্র ভর্তি হয়ে আছেন। অন্তত শ'খানেক নেতা আছেন, যারা বিবাহিত। তাদের অনেকেরই আবার স্কুলে অধ্যয়নরত সন্তান আছে। মাদক ব্যবসা, চাঁদাবাজি, অপহরণ, অগি্নসংযোগ, পেট্রোল বোমা হামলাসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক মামলার আসামি আছেন শতাধিক। আবার একই ব্যক্তির বিরুদ্ধে ১০টির ওপর মামলা চলছে।

ছাত্রদল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি আল মেহেদী তালুকদার বিবাহিত। তার সন্তানও আছে। অন্যদিকে, সাধারণ সম্পাদক আবুল বাশার সিদ্দিকী ইয়াবা মামলার আসামি। দুই বিতর্কিত ব্যক্তি ঢাবির শীর্ষ দুই পদ পাওয়ায় কমিটির পদপ্রাপ্ত অনেক নেতা ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন।

সূত্র জানায়, ছাত্রদলের ঢাবি ও হল কমিটিগুলোতে সব গ্রুপ থেকেই মূল্যায়ন করা হয়েছে, যাতে বিশেষ কোনো গ্রুপই শক্তিশালী না হয়। তবে সাবেক ঢাবি ছাত্রদল সভাপতি হিরু ও সাধারণ সম্পাদক মাসুদের অনুসারীদের অভিযোগ, রাজনৈতিকভাবে হিরু-মাসুদ গ্রুপকে দুর্বল করার চেষ্টা হয়েছে ঢাবি কমিটিতে।

এদিকে, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের কমিটিতে ১৯ সদস্যের কমিটি গঠন করা হলেও সেখানে বাদ পড়েছেন ত্যাগী কিছু নেতা। এর মধ্যে সালাম-বরকত হলের যুগ্ম আহ্বায়ক মামুন কায়সার আফফান অন্যতম। তার বিরুদ্ধে ছয়টি মামলা আছে। কমিটিতে তার মূল্যায়ন না হওয়ায় ক্যাম্পাসটির অনেক সাধারণ ও সক্রিয় কর্মী হতবাক হয়েছেন।

ঢাবিতে ছাত্রলীগের প্রহরা: ছাত্রদলের নতুন কমিটি ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কমিটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে যাতে প্রবেশ করতে না পারে, সে জন্য গতকাল দিনভর ছাত্রলীগ কর্মীরা ক্যাম্পাসে অবস্থান করে। ক্যাম্পাসের প্রবেশমুখগুলোতে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা ভাগ হয়ে অবস্থান নেয়।
সুত্রঃ

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১০:০৪

চাঁদগাজী বলেছেন:


মারাঠা আর বর্গীরা পিএইচডি হতে হবে?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.