নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

যাহা বলিব সত্য বলিব

আল্লাহ মহান, যাহা বলিব সত্য বলিব।

তালপাতারসেপাই

লিন্ক সহ পোষ্টের বাহবা/দায়, মূল লেখকের।

তালপাতারসেপাই › বিস্তারিত পোস্টঃ

রাজধানীর সীমান্তে জঙ্গিদের কৌশলী অবস্থান

২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৮:৫১

রাজধানীর সীমান্তবর্তী নিরিবিলি এলাকায় আস্তানা গাড়ছে নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠনগুলো। নি¤œবিত্তের বসবাস ও বাসা ভাড়া কম এরকম এলাকা জঙ্গিরা অবস্থানের জন্য বেছে নিচ্ছে। বেশ কিছু কৌশলগত কারণে তারা এ ধরনের এলাকাগুলোর প্রতি আগ্রহী হচ্ছে। সাম্প্রতিক বেশ কিছু জঙ্গি আস্তানায় অভিযানের পর উঠে আসে এ চিত্র।
গোয়েন্দা সূত্রে জানা যায়, লোকচক্ষুর আড়ালে থাকতে, প্রতিবেশীদের অসচেতনতার সুযোগ নিতে কিংবা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অভিযানে সহজে গা-ঢাকা দেয়ার সুবিধার জন্যই তারা এমন স্থানগুলোর প্রতি আগ্রহী হচ্ছে। ইতিপূর্বে যেসব এলাকায় জঙ্গি আস্তানার প্রমাণ পাওয়া গেছে সেগুলোর মধ্যে মিরপুর, পল্লবী, মোহাম্মদপুর, আশকোনা, কামরাঙ্গীরচর, যাত্রাবাড়ী ও বাড্ডা এলাকার নি¤œাঞ্চল অন্যতম। এসব এলাকায় নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন আনসারুল্লাহ বাংলা টিম (এবিটি), জামা’আতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশ (জেএমবি) ও হরকাতুল জিহাদসহ (হুজি) সংগঠনগুলোর আস্তানা থাকার প্রমাণ পেয়েছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। ডিবি ও র‌্যাব এসব এলাকায় বেশ কয়েকবার অভিযান চালিয়ে বেশ কয়েক জঙ্গি সদস্যকে গ্রেফতার করেছে। এসব আস্তানা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে হ্যান্ড গ্রেনেড, বোমা, বিস্ফোরক ও জঙ্গিদের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার কিছু মানচিত্র ও ডায়েরি। এর আগে ২০০৪ ও ২০০৫ সালে দেশব্যাপী জেএমবির জঙ্গি কার্যক্রমের সময়ও রাজধানীর চারদিকের নি¤œাঞ্চলে জঙ্গিদের আস্তানার সন্ধান মিলেছিল।
শনিবার রাত থেকে রোববার বিকেল পর্যন্ত রাজধানীর সাঁতারকূল ও মোহাম্মদপুরে ডিএমপির কাউন্টার টেররিজম ইউনিট অভিযান চালিয়ে হ্যান্ড গ্রেনেড ও বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক উদ্ধার করে। এই অভিযানে কামাল ওরফে শাহীন (২৬) ও শাহ আলম ওরফে সালাউদ্দিন (৩০) নামে দুই এবিটি সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়। ডিবির জিজ্ঞাসাবাদে কামাল জানায়, বাড্ডায় তাদের হেড অফিস এবং অপর জঙ্গি শাহ আলম ওরফে সালাউদ্দিন মোহাম্মদপুরের নবোদয় হাউজিংয়ের একটি বাড়িতে থাকেন, যেখানে তাদের বোমা তৈরির কারখানা। বাসাটি দুই মাস আগে ভাড়া নিয়েছিল। এর আগে গত বছরের ২৫ ডিসেম্বর মিরপুরের ১ নম্বর সেকশনের এ ব্লকের ৯ নম্বর রোডের ৩ নম্বর বাড়িতে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ অভিযান চালিয়ে ১৬টি হ্যান্ড গ্রেনেড উদ্ধার করে। ওই বাসা থেকে গ্রেফতার করা হয় জেএমবির তিন সদস্যকে। আটকরা জিজ্ঞাসাবাদে জানায়, তাদের কার্যক্রম চালাতে অনেকটা নিরিবিলি এলাকা পছন্দ। নিরিবিলি এলাকায় বাসা ভাড়া নিলে কেউ সন্দেহ করবে না। বাসা ভাড়া নেয়ার ৪-৫ মাস পর বাসা আবার পরিবর্তন করে আস্তানা গড়ে তোলা হয়।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারকে উৎখাত করতে প্রশিক্ষণ নিচ্ছিল নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন জেএমবির সদস্যরা। এ জন্য রাজধানীর দক্ষিণ ও উত্তরের নি¤œাঞ্চল যথাক্রমে যাত্রাবাড়ী ও মিরপুরে দুটি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র খোলা হয়েছিল। আর ভারতে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টির জন্য পশ্চিমবঙ্গেও খোলা হয়েছিল প্রশিক্ষণ কেন্দ্র। কিন্তু এসব জঙ্গি গ্রেফতার হওয়ার কারণে তাদের উদ্দেশ্য সফল হতে পারেনি। ভারতের জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থা (এনআইএ) খাগড়াগড়ে বিস্ফোরণের মামলায় আদালতে দাখিল করা সম্পূরক চার্জশিটে এসব বিষয় উল্লেখ করেছে।
র‌্যাবের গোয়েন্দা শাখা ও ডিএমপির কাউন্টার টেররিজম ইউনিট সূত্রে জানা গেছে, রাজধানীর মোহাম্মদপুরের বেড়িবাঁধ সংলগ্ন এলাকা, মিরপুরের নি¤œাঞ্চল, পল্লবী, মিরপুরের শাহআলী, গড়ান চটবাড়ি, মাজাররোড, তুরাগ, আশকোনা, উত্তরখান, দক্ষিণখান, সাঁতারকূল, বাড্ডা, খিলগাঁওয়ের নন্দীপাড়া, যাত্রাবাড়ী, দনিয়া, সারুলিয়া, রায়েরবাগ, মীর হাজীরবাগ, লালবাগের বেড়িবাঁধ সংলগ্ন এলাকা, কামরাঙ্গীরচর, রায়েরবাজারসহ অন্তত অর্ধশত এলাকায় নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠনের আস্তানা থাকতে পারে। এর মধ্যে মিরপুর, বাড্ডা, মোহাম্মদপুর ও আশকোনা এলাকার জঙ্গিদের আস্তানাগুলো শনাক্ত করে অভিযান চালিয়েছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি), কাউন্টার টেররিজম ইউনিট ও র‌্যাব।
ডিএমপির কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের প্রধান অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মনিরুল ইসলাম বলেন, অপেক্ষাকৃত নিরিবিলি এলাকায় জঙ্গি সংগঠনগুলো বাসা ভাড়া নিয়ে অবস্থান করে। বাসা ভাড়া কম এবং নি¤œবিত্তের মানুষের বসবাস করা এলাকাগুলোই তারা বেছে নেয়।
র‌্যাবের গোয়েন্দা শাখার পরিচালক লে. কর্নেল আবুল কালাম আজাদ বলেন, লোকচক্ষুর আড়ালে জঙ্গিরা তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। আশপাশের বাসিন্দারা যেন সন্দেহ করতে না পারে, এমন জায়গা তারা বেছে নেয়। তবে জঙ্গি কার্যক্রমের জন্য রাজধানীর চারদিকে অবস্থান করতে হবে এমন বিষয়টি ঠিক নয়। এর জন্য যেখানে নিরিবিলি এবং নিরাপদ সেখানে জঙ্গিরা অবস্থান করে। জঙ্গিদের শীর্ষ নেতারা কারাগারে বন্দি রয়েছে। কারাগারের বাইরে অবস্থানরত সদস্যরাই নিজেদের জানান দেয়ার জন্য এ ধরনের জঙ্গি কার্যক্রম চালাচ্ছে। তবে আগের মতো জঙ্গিদের শক্তিশালী কার্যক্রম নেই।
সুত্র

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.