নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
লিন্ক সহ পোষ্টের বাহবা/দায়, মূল লেখকের।
তাসনিম খলিল এক-এগারোর সময় ডেইলি স্টারের সম্পাদনা সহকারী হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তিনি বলেছেন,
এক-এগারোর সময় ডেইলি স্টার সম্পাদক মাহফুজ আনামের সঙ্গে ডিজিএফআইয়ের (সেনা গোয়েন্দা সংস্থা) বিশেষ “আন্ডারস্ট্যান্ডিং” ছিল।
সে কারণেই সংস্থাটির পছন্দ হয়নি বলে ডেইলি স্টারের “ফোরাম” নামের ম্যাগাজিনের একটি সংখ্যা তখন বাজার থেকে প্রত্যাহারও করা হয়েছিল। ওই সংখ্যায় তারেক রহমান, ডিজিএফআই এবং জঙ্গি মদদের ওপর একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদন ছিল। ডেইলি স্টারের ফোরাম ম্যাগাজিনে “তারেক রহমান, ডিজিএফআই এবং জঙ্গি মদদের” বিষয় নিয়ে প্রতিবেদনটি তিনিই করেছিলেন। তিনি এক পর্যায়ে ডিজিএফআইয়ের হাতে আটক হয়ে নির্যাতনের শিকার হন। তাসনিম ছাড়া পাওয়ার পর বাংলাদেশ ছেড়ে দেশের বাইরে চলে যান। এখন তিনি সুইডেন থেকে প্রকাশিত ‘ইন্ডিপেন্ডেন্ট ওয়ার্ল্ড রিপোর্ট’ পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক।
তিনি আরো বলেন, পিন্টুর কলামটি কিন্তু কিছু নতুন কৌতুহলী প্রশ্নের জন্ম দেয়।
পিন্টুর দাবি বা ভাষ্যমতে আমার (কন্ট্রিবিউটার ছেলেটার) আটক ও নির্যাতনের ঘটনার পরই মাহফুজ আনাম বিচলিত হয়ে ডিজিএফআইয়ের সরবরাহকৃত বানোয়াট খবরগুলো ছাপার অনুমতি দেন। এখানে প্রশ্ন থাকে ২০০৭ সালের জানুয়ারি মাস থেকে মে মাসে আমাকে আটকের আগে থেকেই বিভিন্ন রাজনীতিবিদ এবং ব্যবসায়ীদের চরিত্র হননকারী যে খবরগুলো ডেইলি স্টারে ছাপা হয়েছিল, সেগুলো কাদের অনুমতি বা প্ররোচনায় প্রকাশিত হয়েছিল? এ প্রশ্নের জবাব সম্ভবত মাহফুজ আনামই ভালো দিতে পারবেন।
এক-এগারো পরবর্তী সময়ে ডিজিএফআই কর্তৃক সরবরাহকৃত বানোয়াট খবর ছাপানোর ব্যাপারটি কিন্তু নতুন কিছু ছিল না। বিশ্বের অনেক জাতীয় নিরাপত্তাবাদী রাষ্ট্রের মতো বাংলাদেশেও বিভিন্ন সংবাদপত্রে গোয়েন্দা সংস্থাগুলির বশংবদ বা পালিত কিছু সাংবাদিক থাকেন। এরাই গোয়েন্দা সংস্থাগুলির ফরমায়েশি খবরের কনডুইট হিসেবে কাজ করেন। তারা বিভিন্ন সুযোগসুবিধার বিনিময়ে (আর্থিক সুবিধা, ‘স্কুপ’ এর লোভ) গোয়েন্দা সংস্থাগুলির ফরমায়েশ মতো খবর তৈরি করেন এবং প্রকাশ করেন। এটি তারা এক-এগারোর আগেও করেছেন, এক-এগারো পরবর্তী সেনা শাসনকালেও করেছেন, এখনও করছেন। ডেইলি স্টারে সেই সময়টিতে ডিজিএফআইয়ের কনডুইট বা প্ল্যান্ট কে বা কারা ছিলেন এটি অবশ্য জায়েদুল ইসলাম পিন্টু নাম-পদবীসহ বলতে পারবেন।
©somewhere in net ltd.
১| ২৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৮:৪৯
এইচ.এম উবায়দুল্লাহ বলেছেন: বাহ্