নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

যাহা বলিব সত্য বলিব

আল্লাহ মহান, যাহা বলিব সত্য বলিব।

তালপাতারসেপাই

লিন্ক সহ পোষ্টের বাহবা/দায়, মূল লেখকের।

তালপাতারসেপাই › বিস্তারিত পোস্টঃ

ধর্মরাষ্ট্র ও জামায়াতের রাজনীতি

১৩ ই মার্চ, ২০১৬ ভোর ৬:২২

বছর ছয়েক আগে ২০০৫ সালের ২৩ আগস্ট রাতে বিবিসির হার্ডটকে উপস্থিত ছিলেন জামায়াতে ইসলাম, পাকিস্তানের নায়েবে আমির কাজী হুসেইন আহমেদ। বহুল পরিচিত জিন্নাহ টুপি মাথায় দেয়া কাজী সাহেবকে মাঝেমধ্যেই বাংলাদেশের কারাবন্দি মতিউর রহমান নিজামী বলে ভুল হচ্ছিল আমার। বিবিসির সাংবাদিক ইসলামাবাদে হুসেইন আহমেদের সঙ্গে কথা বলেন। পুরো সাক্ষাৎকারটিতে কাজী হুসেইন আহমেদ স্বীকার করেন যে, নিহত ওসামা বিন লাদেন তার অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিলেন এবং ভারতে জঙ্গি পাঠানো এবং কাশ্মিরের জঙ্গি সংগঠন হিলফুল মুজাহেদীদের প্রতি তাদের সমর্থন ছিল। তিনি আরো স্বীকার করেন যে, জামায়াত আত্মঘাতী বোমা হামলা সমর্থন করে এবং জামাতের ওয়েব সাইটে প্রকাশ্যে জিহাদ করার বা আত্মাহুতি দেয়ার আহ্বান রয়েছে। সাক্ষাৎকারে যে ভয়ঙ্কর তথ্যটি বেরিয়ে আসে, তা হচ্ছে, প্রায় অর্ধশতক পরে পাকিস্তানের তখনকার নির্বাচনে দেশটির উত্তর-পশ্চিম সীমান্ত প্রদেশের রাজ্য সরকার দখল করেছিল জামায়াত। এরপর তারা সেখানে নারীদের ঘরে বসিয়ে দেয়। তাদের কেবল যে বোরকার আড়ালে বন্দি করা হয় তা-ই নয় সেখানে নারীদের মৌলিক অধিকার হরণ করা হয় এবং সব সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ করে পুরো এলাকাটিকে তালেবানি রাজ্যে পরিণত করা হয়। ওই রাজ্যে তারা তালেবানি শিক্ষাও চালু করতে চাচ্ছিল। বিবিসির সংবাদদাতা এই প্রচেষ্টাকে জঙ্গিবাদের আরো উত্থানের পথ উন্মুক্ত করা হবে বলে আশঙ্কা করেন।
ওই সাক্ষাৎকারে হুসেইন আহমেদ শিক্ষাব্যবস্থা সম্পর্কে যা বলেছেন, সেটি আবার আমাদের দেশের জামায়াত বলে না। হুসেইন আহমেদের মতে, মাদ্রাসা এবং স্কুল বলতে আলাদা কিছু থাকা উচিত নয়। সব শিক্ষাই এক হওয়া উচিত। তিনি মনে করেন, স্কুল পর্যন্ত সবারই ভাষা, অঙ্ক, বিজ্ঞান, ভূগোল, ইতিহাস ইত্যাদি সব বিষয়ই পড়বে এবং স্কুলের পরে কেউ ইচ্ছে করলে ধর্মীয় বিষয় নিয়ে উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করবে। কাজী সাহেব যদি স্কুলকে মাদ্রাসায় পরিণত না করে স্কুলের শিক্ষাকে সাধারণ শিক্ষা হিসেবে গ্রহণ করেন এবং মাদ্রাসাগুলোকে স্কুলের শিক্ষাই দিতে চান তবে তার প্রস্তাব পারভেজ মোশাররফ সমর্থন করতেন। কিন্তু তিনি যদি স্কুলগুলোকে মাদ্রাসায় পরিণত করতে চাইতেন তবে পাকিস্তানের জনগণও তা সমর্থন করবে না। আমরাও মনে করি যে, দেশে মাদ্রাসা শিক্ষা বলতে আলাদা কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থাকার কোনো যৌক্তিক কারণ নেই। আমাদের ছেলেমেয়েরা শত শত বছর ধরে শৈশবে মক্তবে গিয়ে যেভাবে ধর্মশিক্ষা গ্রহণ করে (কায়দা-ছিফারা ইত্যাদি পড়ে) সেভাবেই তারা ধর্মশিক্ষা গ্রহণ করতে থাকবে। অভিভাবকরা তাদের নিজেদের দায়িত্বেই এই কাজটি করবেন। মসজিদের ইমাম-মুয়াজ্জিনরা এইসব মক্তব পরিচালনা করবেন। প্রতি গ্রামে দু-চারটি করে এমন প্রতিষ্ঠান থাকবে। সরকার এইসব প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা ও শিক্ষকদের বেতন বহন করবে। সরকার এইসব প্রতিষ্ঠানে শিক্ষা উপকরণও দেবে। স্কুলগুলো সকাল আট-নয়-দশটায় শুরু হলে স্কুলে যাওয়ার আগেই ভোরে ছয়-সাতটায় ঘণ্টাখানেকের জন্য শিশুরা মক্তবের এই শিক্ষাগ্রহণ করবে। তারা নামাজ-রোজা ইত্যাদি বিষয় এবং তার অনুশীলন ধর্মীয় মর্যাদাতেই করবে। কিন্তু তারা মাদ্রাসা শিক্ষার মতো আরবি মুখস্থ করতে করতে অনুৎপাদনশীল মানুষে পরিণত হবে না। আমাদের দেশে মাদ্রাসা মানেই যে বিনামূল্যের এতিমদের শিক্ষা এবং কেবলমাত্র বেহেশতে যাওয়ার পথ। সেটি থেকে বেরিয়ে এসে বাস্তবভিত্তিক শিক্ষা গ্রহণ করতে হবে। আর যদি কেউ ধর্মীয় বিষয়ে অধিকতর পাণ্ডিত্য অর্জন করতে চায় তবে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে অনার্স পড়বে- যা বিশেষায়িত শিক্ষা হিসেবে গণ্য হবে। দুর্ভাগ্যজনকভাবে বাংলাদেশের জামায়াতসহ ইসলামি দলগুলো এই ধারণার সঙ্গে একমত নন। এর প্রধানতম কারণ হচ্ছে যে, এর ফলে শিশু-কিশোর-তরুণদের ওপর মোল্লাতন্ত্রের কোনো নিয়ন্ত্রণ থাকবে না। এখন মাদ্রাসাগুলো যে তালেবান তৈরির কারখানা হয়ে আছে সেটিও নষ্ট হয়ে যাবে। এই কারণেই একই দলের লোক হয়েও মতিউর রহমান নিজামী কাজী হুসেইন আহমেদের মতো আধুনিক শিক্ষার সমর্থক নন। তবে কাজী সাহেব যে আধুনিক শিক্ষার সমর্থক খুব শখ করে হয়েছেন তা বলা যাবে না। লন্ডনে বোমা হামলার পর পশ্চিমারা পাকিস্তানের মাদ্রাসা শিক্ষার ওপর নজর দেয়। ফলে পাকিস্তানের সাবেক প্রেসিডেন্ট মাদ্রাসা শিক্ষার একটি আমূল পরিবর্তন আনতে চেয়েছিলেন। হুসেইন আহমেদ সাহেব মাদ্রাসা শিক্ষার আধুনিকতাকে সমর্থন করে পশ্চিমা জনরোষ থেকে বাঁচতে চান। তিনি যে আসলে মাদ্রাসা শিক্ষার আধুনিকতা চান না তার আসল প্রমাণ হচ্ছে তিনি উত্তর-পশ্চিম সীমান্ত প্রদেশের শিক্ষা ব্যবস্থাকে ইসলামিকরণের জন্য তার দলের পক্ষ থেকে অব্যাহতভাবে চাপ প্রদান করেন।
জামায়াতের ইতিহাসে পাকিস্তানের একটি রাজ্য দখল করা ছাড়াও বাংলাদেশের সরকারের অংশীদার হতে পারা তাদের দু’টি বিশাল সাফল্য। বাংলাদেশে ২০০৫-২০০৬ সময়কালে ৫০ বছর ধরে বাংলাদেশপন্থী (যাদের আমরা মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তি বলি) রাজনৈতিক শক্তিকে নিশ্চিহ্ন করার জন্য তৎকালীন সরকার ও সরকারি দলকে অত্যন্ত সফলভাবে ব্যবহার করার জন্যও তারা কৃতিত্বের দাবি করতে পারে। দেশটিকে একটি ধর্মরাষ্ট্রে পরিণত করার জন্য জামায়াতবিরোধী ধর্মীয় গোষ্ঠীগুলোকেও জামায়াত অত্যন্ত সতর্কতায় তাদের সঙ্গে রাখতে পেরেছে। এর আগে মোল্লারাই জামায়াতের বিরোধিতা করত। জামায়াতের ওহাবি ভাবধারার ধর্মচিন্তা এ দেশের ধর্মপ্রাণ মানুষ মানে না। বিশ্ব তবলিগ আন্দোলনও জামায়াতের বিরোধিতা করে। কিন্তু ২০০১-এর নির্বাচনে জামায়াতসহ সব ধর্মভিত্তিক সংগঠনগুলো আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় যাওয়া থেকে বাধা দেয়ার জন্য একযোগে চারদলীয় জোটকে সমর্থন করে। ফলে আমার কাছে মনে হচ্ছে, বাংলাদেশের জামায়াত চতুরতায় হুসেইন আহমেদের পাকিস্তানি জামায়াতের চেয়ে শ্রেষ্ঠ। পাক-জামায়াত আমেরিকা, ব্রিটেন ও পশ্চিমা দুনিয়ার কট্টর সমালোচক এবং লাদেনের সহযোগী হওয়া সত্ত্বেও আফগানিস্তান নিয়ে বাংলাদেশের জামায়াত একটি কথাও বলেনি। ইরাক নিয়ে তারা কোনো মন্তব্য করেনি। গুয়েন্তানামায় মার্কিনিদের হাতে পবিত্র কুরআনের অবমাননা হওয়া সত্ত্বেও তারা টুঁ শব্দটি করেনি। বরং জনৈক জামায়াত নেতা ওয়াশিংটন সফর করে আমেরিকাকে বোঝাতে চেষ্টা করেছে যে, তারা ‘আমেরিকাকে প্রাণ দিয়ে ভালোবাসে।’
তবে ১৭ আগস্টে বোমা হামলার পর সম্ভবত তাদের কথা এখন আর পশ্চিমারা বিশ্বাস করতে পারছে না। সেজন্য জামায়াতের বক্তব্যে কিছুটা পরিবর্তন হয়েছে। পাক-জামায়াতের মতোই তারা ইসরায়েলি গোয়েন্দা সংস্থা মোশাদ এবং ভারতকে সরাসরি আক্রমণ করেছে। পাকিস্তানে জামায়াত যথেষ্ট শক্তিশালী। কিছুটা জনসমর্থনও তাদের আছে। কারণ ভারত থেকে পাকিস্তানে যাওয়া মুসলমান মোহাজের, অনুন্নত ধর্মান্ধ উপজাতীয় এবং অশিক্ষিত-অল্পশিক্ষিত-অর্ধশিক্ষিত পাকিস্তানিদের মধ্যে ধর্মরাষ্ট্র ও ভারত বিরোধিতার প্রভাব অনেক। বিবিসির মতে, পাকিস্তানের অর্ধেক মানুষ ওসামা বিন লাদেনকে সমর্থন করে। সম্ভবত এই কারণেই ওসামা বিন লাদেনকে আমেরিকানরা ধরতে পারছিল না। পাকিস্তানের ভেতরে ওসামাকে হত্যা করে আমেরিকা সেই সত্যটি প্রমাণ করেছে।
সেই তুলনায় বাংলাদেশের জনগণের মধ্যে মৌলবাদ তথা ধর্মরাষ্ট্র তেমন প্রবল নয়। তবে ভারত খুব কাছের ও প্রভাবশালী প্রতিবেশী হওয়ায় ভারত বিরোধিতার জুজুটি পাকিস্তান আমল থেকেই এদেশে কার্যকর ও অব্যাহতভাবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। তারা অত্যন্ত চতুরতার সঙ্গেই পা ফেলে। বাংলাদেশকে আফগানিস্তান বা তালেবান রাষ্ট্র বানানোর পরিকল্পনা তাদের আজকের নয়। একাত্তর পূর্ববর্তী জামায়াত পুরো পাকিস্তানকেই ধর্মরাষ্ট্র বানাতে চেয়েছিল। কিন্তু একাত্তরে বাংলাদেশের অভ্যুদয় তাদের সেই পরিকল্পনায় বারদ সাধে। এখন তারা একটি নয়, এই উপমহাদেশে কমপক্ষে দু’টি ধর্মরাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে চায়। শুধু তাই নয়, তারা মায়ানমার-থাইল্যান্ড-মালয়েশিয়া-ইন্দোনেশিয়া ও ভারতসহ এশীয় দেশগুলোর মুসলিম জঙ্গি সংগঠনগুলোর পৃষ্ঠপোষকতাও করে। মধ্যপ্রাচ্য, ইউরোপ এবং আমেরিকার সন্ত্রাসী কার্যকলাপের সঙ্গেও তাদের সখ্য ও সম্পৃক্ততা আছে। ২০০৩ সালে পাকিস্তানের রাওয়ালপিন্ডিতে জামায়াত নেতার বাড়ি থেকে ওসামা বিন লাদেনের দুই সহযোগী গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর জাতিসংঘ ১২৬ নং কমিটি গঠন করে। হতে পারে জামায়াতের জন্য এটি সম্ভবত একটি বড় ধরনের আঘাত। হতে পারে, এটি জামায়াতের জন্য একটি বড়রকমের সেটব্যাক। সম্ভবত বাংলাদেশের জামায়াত এই বিষয়ে অত্যন্ত সচেতন। ফলে তারা হুসেইন আহমেদের সঙ্গে একসঙ্গে প্রকাশ্যে ইঙ্গ-মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের বিরোধিতা করেনি।
অন্যদিকে জামায়াত যে অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে তাদের পথে পা ফেলছে তা ২০০৫ সালে ১৪ আগস্টে জনকণ্ঠে প্রকাশিত আব্দুল গাফ্ফার চৌধুরীর লেখায় প্রকাশিত হয়েছে। বাংলাদেশের জামায়াতীরা এখন লন্ডনের পূর্ব লন্ডন এলাকাটি প্রায় দখল করে ফেলেছে। বাংলাদেশেও ব্যাংক, হাসপাতাল, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, এনজিও, মিডিয়া ইত্যাদি সমন্বিত কার্যক্রমের সাহায্যে জামায়াত বাংলাদেশকে একটি ধর্মরাষ্ট্র বানানোর সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করে রেখেছে। মাদ্রাসার শিশু থেকে বিশ্ববিদ্যালয়, বস্তি থেকে গুলশান-বারিধারা, কেরানি থেকে সচিব, ফেরিওয়ালা থেকে ডিপার্টমেন্টাল স্টোর; সবকিছুতেই জামায়াত পরিকল্পিতভাবে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ করছে। বাংলাদেশের আর কোনো রাজনৈতিক সংগঠন এই সুপরিকল্পিত পথে পা বাড়ায়নি।
একাত্তরে স্রাতের বিপরীতে থেকে সম্পূর্ণভাবে পরাস্ত হয়ে মাত্র ৩৪ বছরে জামায়াত যে বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় বসেছে সেটি তাদের এইসব পরিকল্পিত কর্মকাণ্ডেরই ফসল। পক্ষান্তরে জামায়াতীদের যাদের মোকাবেলা করার কথা, তাদের কেউ কেউ ১৯৭৫-এর পর জামায়াতের সহযোগী হয়েছে। স্বৈরশাসকের বিরুদ্ধে আন্দোলনের নামে জামায়াত বাংলাদেশপন্থী ধর্মনিরপেক্ষ গণতান্ত্রিক শক্তির পাশে এসেও দাঁড়াতে পেরেছিল। এরপর তারা দেশের আওয়ামীবিরোধী শক্তির সঙ্গে হাত মিলিয়ে ক্ষমতায় যায়। বাংলাদেশের পতাকাবাহী গাড়িতে চড়ে তারাই এখন দেশের সমাজকল্যাণ আর শ্রম বিষয়ে সর্বোচ্চ সিদ্ধান্ত দেয়ার ক্ষমতা হাতে পায়। তাদের দুর্ভাগ্য তারা ওহাবি মতবাদের অনুসারী। আমাদের দেশের সাধারণ মানুষ ইসলামের মূূূূল বৈশিষ্ট্যে বিশ্বাস করে, কিন্তু ওহাবি মতবাদকে গ্রহণ করে না। সেজন্যই প্রায় শতবর্ষেও জামায়াতীরা জনপ্রিয়তা অর্জন করতে পারেনি। তারাও জানে, বিশ্বের কোনো দেশেই ভোটের মাধ্যমে রাষ্ট্র ক্ষমতা দখল করা তাদের পক্ষে সম্ভব হবে না। ফলে অগণতান্ত্রিক পথ তাদের বেছে নিতেই হচ্ছে।
আসলে জামায়াত একটি রাজনৈতিক সংগঠন নয়- তারা ওহাবি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার একটি পরিবার। জামায়াত এই পরিবারের প্রকাশ্য সংগঠন- এমন আরো ডজন ডজন প্রতিষ্ঠান আছে যেগুলো তাদের গোপন সশস্ত্র সংগঠন। ফলে এদেশে ওহাবি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জামায়াতী স্বপ্নকে প্রতিহত করতে হলে কেবলমাত্র জামায়াতের কথা ভাবলেই হবে না- তাদের শিকড় থেকে ডালপালা পর্যন্ত উপড়ে ফেলতে হবে। কিন্তু সেই কাজটি আমরা সঠিকভাবে করছি না। বিএনপির ছত্রছায়াতেই কেবল নয়, বিপুল আর্থিক ক্ষমতা নিয়ে ২০১৬ সালেও তারা ক্রমশ শক্তিশালী হয়েছে। আমাদের জন্য দুঃসংবাদ হচ্ছে যে, যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের চাপে থাকার পরও জামায়াত দুর্বল হচ্ছে না।
আমার নিজের বিশ্বাস এর অন্যতম একটি কারণ হচ্ছে আমরা যারা বাংলা ভাষা, সাহিত্য ও সংস্কৃতি নির্ভর বাংলাদেশটা গড়ে তুলেছি তারা সাংস্কৃতিক আন্দোলনটা করিনি। যতক্ষণ অবধি আমরা আমাদের জাতীয় সংস্কৃতিকে দেশের সব মানুষের আত্মা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে না পারি তবে জামায়াতের সঙ্গে পেরে উঠব না। আজকের ডিজিটাল যুগে এই লড়াইটা সবার আগে ডিজিটাল পদ্ধতির হওয়া উচিত। আমরা সেটিও খুব ভালোভাবে করছি না। আশাবাদটা এখানেই যে, আমাদের নতুন প্রজন্ম ইতিহাসের সত্যকে আবিষ্কারের দিকে দিনে দিনে অনেক বেশি মনোযোগী হচ্ছে। এজন্যই ওদের হাতে জামায়াত পরাজিত হবে।সূত্র

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৩ ই মার্চ, ২০১৬ ভোর ৬:৩৫

সাঈদ জামিল বলেছেন: একটা পত্রিকা ভুল তথ্যও দিতে পারে। তাই আপনি প্রমাণসূত্র দিন। আর আপনারটা কোন প্রমাণ বহন করেনা। শুধু কপি মাত্র।।

২| ১৩ ই মার্চ, ২০১৬ ভোর ৬:৫৩

কাদা মাটি জল বলেছেন: ল্যাঞ্জা ওয়ালা একজন জামাতী ছাগু এসে ঠিকই ল্যাদায় গেলো। একটা ছাগুর পুট*তে আগুন লাগলেও পোস্ট সফল :D
আর বেশী দিন ল্যাদাইতে পারবেনা, এটাই শান্তি।

৩| ১৩ ই মার্চ, ২০১৬ সকাল ৮:৩০

সাঈদ জামিল বলেছেন: তোরে কে বলছে আমি জামাতি। রাজনীতির ক" ও বুঝিনা। তে কয় জামাতি। কপিবাজ কোতাকার। আমি বলতে চাইছি, পোস্টটাতে তোর লেখা কিচ্ছু নাই। কোন তথ্য সূত্র নাই। শুধুই অনুলিপি। আসলে, ছাগুরা একটু বেশি বুঝে।।

৪| ১৩ ই মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১:৫৬

অস্তিত্বহীন বলেছেন: Ei picture tao die dhonno mortem.

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.