নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
লিন্ক সহ পোষ্টের বাহবা/দায়, মূল লেখকের।
৭ এপ্রিল (২০১৬) সোহাগী জাহান তনুর খুনি শনাক্ত করে গ্রেপ্তার দাবিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কার্যালয় ঘেরাও কর্মসূচি থেকে ২৫ এপ্রিল সারাদেশে অর্ধদিবস হরতালের ঘোষণা দিয়েছে বাম ছাত্র সংগঠনগুলো। কুমিল্লা সেনানিবাসের প্রাচীরহীন সীমানার মধ্যে নাট্যকর্মী ও ভিক্টোরিয়া কলেজের ওই ছাত্রী নিহতের ১৭ দিনেও কোনো খুনি শনাক্ত না হওয়া এবং ময়নাতদন্তে ধর্ষণের আলামত না পাওয়ায় এর সুষ্ঠু তদন্ত নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছে বাম ছাত্র সংগঠনগুলো। ইতোমধ্যে বিভিন্ন গণমাধ্যমে দেশের বিশিষ্টজনরা বলেছেন, সুরক্ষিত জায়গায় তনুকে হত্যা করা হয়েছে। আমাদের প্রশ্ন, তারা কি স্থানটি সরেজমিনে দেখেছেন?
কুমিল্লা ক্যান্টনমেন্টের পুরো এলাকা দেয়াল দিয়ে ঘেরা নয়। উপরন্তু যে জায়গায় তনুর মৃতদেহ পাওয়া গেছে, সেটি পার্শ্ববর্তী গ্রামের কাছে। ধানক্ষেতের আল দিয়ে জঙ্গলময় উক্ত স্থানে সহজেই প্রবেশ করা যায়। তাছাড়া কিছুদিন আগে ওই এলাকা দিয়ে সেনানিবাসের প্রাচীর স্থাপনের সময় গ্রামবাসীদের বাধার মুখে কাজটি অসম্পূর্ণ রয়ে যায়। এ জন্য সুরক্ষিত জায়গায় হত্যাকাণ্ডটি ঘটেছে বলা হলেও তা যথার্থ নয়।
অন্যদিকে ফেসবুক এবং অনলাইন মিডিয়াতে ছড়িয়ে পড়া রক্তাক্ত নারীর ছবিটি ২০১৩ সালে বিদেশি পত্রিকায় প্রকাশিত ভিয়েতনামের একজন নারীর ছবি। অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ বিক্রির জন্য নারীটিকে খুন করা হয়েছিল। সেই ছবিকে তনুর বলে প্রচার করা হয়েছে কেন, কোন মোটিফে তনুকে রক্তাক্ত দেখানো হয়েছে, তা পরিষ্কার করা দরকার। তনুর প্রকৃত ছবি কেন মিডিয়াতে প্রচার করা হয়নি, সেটিও রহস্যজনক। তাছাড়া তনুর ধর্ষণ বিষয়ে উপাখ্যান কে প্রথম প্রচার করেছে? যে ব্যক্তি বলেছে তনু ধর্ষিতা, সে কি তার মরদেহ দেখেছে? এমনকি কুমিল্লার ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তা জনৈক সাংবাদিককে বলেছেন, তাদের মনে হয়েছে তনু ধর্ষণের শিকার। কিন্তু তিনিও ভাল করে মরদেহ দেখেননি। পরে অবশ্য লাশ তুলে ময়নাতদন্তে দেখা গেছে, তনু ধর্ষণের শিকার হয়নি।
তনু হত্যাকাণ্ডে ‘সুরক্ষিত’ বিষয়টি আসলে অমূলক। যারা বলছেন তারা জানেন না জায়গাটি অরক্ষিত। এ জন্য ঘটনাটিকে যারা ‘বিশেষ’ বলে চিৎকার করছেন, আসলে তারা কি বোঝাতে চাইছেন? বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি লাশ পড়লে কি সেই প্রতিষ্ঠানের সকল শিক্ষক-শিক্ষার্থী দায়ী হয়ে পড়েন? কিংবা পুলিশের একজন সদস্যের অপরাধের দায় কি গোটা পুলিশ সংস্থার কাঁধে বর্তায়? এজন্য সুরক্ষিত তত্ত্বের কথা খাটে না তনুর মৃত্যুর ঘটনাকে বিশ্লেষণ করতে গিয়ে।
স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠেছে, তনু হত্যার ঘটনাটি এত গুরুত্ব পাচ্ছে কেন? নিকট অতীতে দেশের রাজনৈতিক সহিংসতায় মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা, ব্লগারদের হত্যা কিংবা বিদেশিদের হত্যাসহ অন্যান্য হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে তনু হত্যার পার্থক্য কোথায়? উত্তর হলো, ‘ক্যান্টনমেন্ট’। ক্যান্টনমেন্টের সীমানায় প্রাচীরহীন এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে বলেই তনুহত্যার প্রতিবাদে সোচ্চার বামপন্থী সংগঠনগুলো ছাড়াও সুশীল সমাজ। অনেকে হয়ত ঘটনার আদ্যোপ্রান্ত না বুঝেই শামিল হচ্ছে প্রতিবাদের কাতারে। আবেগ, অনুভূতি কিংবা দুর্বলতা, যাই বলি না কেন, বিষয় একটিই, তা হলো ক্যান্টনমেন্ট তথা সেনাবাহিনী। কিন্তু আমরা কেউ বলছি না কেবল ক্যান্টনমেন্ট কেন, বাংলাদেশ তথা বিশ্বের কোনো স্থানে এমন নৃশংস এবং বর্বর হত্যাকাণ্ড কাম্য নয়। কোনো হত্যাকাণ্ডই মেনে নেওয়া যায় না। ক্যান্টনমেন্ট এলাকায় কোনো ঘটনা ঘটলে এটা প্রমাণ করে না যে, এতে সেনাসদস্যরাই সম্পৃক্ত। কারণ ক্যান্টনমেন্ট এলাকায় শুধু সামরিক বাহিনীর লোকজন নয়, অনেক বেসামরিক লোকজনও থাকে। আর ঘটনার সঙ্গে সেনাসদস্যরা জড়িত তারও কোনো প্রমাণ নেই। তারপরও দেশের কিছু সুযোগসন্ধানী গোষ্ঠী তনুহত্যায় সেনাবাহিনীর দিকে তীর ছুড়ে মারছে।
তাদের বক্তব্য এমন যে, ক্যান্টনমেন্টের মতো সংরক্ষিত এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে, কাজেই ঘটনার সাথে সেনাসদস্যরা জড়িত। এর আগেও আমরা দেখেছি কোনো ঘটনা ঘটলে সেনাবাহিনীকে নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়। কাজেই আমাদের অহংকার এই সেনাবাহিনীকে ঘায়েল করার অপচেষ্টা বরাবরই লক্ষ করা গেছে। তনু হত্যার সুষ্ঠু বিচার এবং দোষীদের শাস্তি হোক তা আমরা সবাই চাই। কারণ এই হত্যার বিচার না হলে অপরাধীরা ছাড় পেয়ে যাবে এবং মানুষ দেশের বিচার ব্যবস্থার ওপর আস্থা হারাবে। তারপর ভাবতে হবে ক্যান্টনমেন্টে আমাদের মতো রক্তে-মাংসে গড়া মানুষই থাকে। সেখানে ফেরেশতা থাকে এমন ভাবারও কোনো কারণ নেই। আমরা কেবল তনুহত্যার প্রতিবাদ করেই চলছি, কিন্তু অনুধাবন করার চেষ্টা করছি না সমাজে এসব অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা কেন ঘটছে? প্রতিবাদের ফলস্বরূপ অপরাধীদের শাস্তি হচ্ছে, কিন্তু তারপরও থেমে নেই এইসব জঘন্য ঘটনা। মৃত্যুদণ্ড দিলেই যদি সমাজের নানা অনাচার, খুন, ধর্ষণ, রাহাজানি দূর হতো তাহলে শাইখ আব্দুর রহমান কিংবা এরশাদ শিকদারের ফাঁসির পর সমাজে আর কোনো হত্যাকাণ্ড ঘটত না।
দেশে যখন ধর্মীয় মৌলবাদীরা ব্লগার হত্যাযজ্ঞ চালায় কিংবা বিএনপি-জামায়াত যখন পেট্রোল বোমায় মানুষকে পুড়িয়ে মারে, তখন আমাদের প্রতিবাদ বেশি বেগবান হয় না। কয়েকদিন নামমাত্র মানববন্ধন করে ক্লান্ত হয়ে পড়ে দেশের বামপন্থী এবং সুশীল সমাজ। সন্ত্রাসী হামলায় যখন মানুষের প্রাণহানি হয়, তখনও নীরব ভূমিকা পালন করে কিছু মহল।
যখন যুদ্ধাপরাধীদের বিচার দমাতে অপশক্তি মাথা চাড়া দিয়ে ওঠে তখনও প্রতিবাদ তেমন দৃঢ় হয় না। কিন্তু তনুহত্যায় সেনাবাহিনীর গন্ধ পাওয়া যায়, তাই বুঝি এতো প্রতিবাদ, হরতালও আহ্বান করা করা হয়। এর মানে কি এই নয় যে, আমরা মৌলবাদী, সন্ত্রাসী এবং অন্য অপশক্তিকে ছাড় দিতে পিছপা হলেও সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে কঠোর। এক্ষেত্রে প্রতিবাদের ভাষা তীব্র, দৃঢ় থেকে দৃঢ়তর। তবে কেন আমাদের এই মনোভাব? সেনাবাহিনী তো দেশের সার্বভৌমত্ব এবং জাতির নিরাপত্তায় নিয়োজিত। তাদের কোনো দুর্বলতা পেলে আমরা এতো উঠে পড়ে লাগি কেন? আর এতো মরিয়াই বা কেন হই। তবে কি আমরা ধর্মীয় মৌলবাদীদের প্রতি সদয় এবং সেনাবাহিনীর প্রতি নির্দয়? কোনো সুষ্ঠু তদন্ত ছাড়াই তনুহত্যাকারীদের বিচারের দাবিতে আজ ইমরান এইচ সরকাররা সরব। তবে একথা ঠিক, খুনিদের গ্রেফতার করে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করানোর দায়িত্ব বর্তমান সরকারের। কিন্তু তার জন্য সময় দরকার।
প্রথম থেকেই ইমরান এইচ সরকার এই হত্যাকাণ্ডকে নিয়ে মাঠ গরম করার চেষ্টা করছেন। যেখানে গায়িকা কৃষ্ণকলির স্বামীকে গৃহকর্মী হত্যার দায় থেকে মুক্তি দেওয়ার চেষ্টা করা হয়, সেখানে তনুহত্যার বিষয়টি না জেনে এত তৎপরতা দেখানোর কারণ কি? সাধারণ মানুষকে মিথ্যা তথ্য দিয়ে বিভ্রান্ত করা নয় কি?
অবশ্য সেনাবাহিনীকে অযথা বিতর্কিত করার প্রয়াস সফল হবে না। তাছাড়া সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে তনুহত্যার বিষয়ে তাদের অবস্থান পরিষ্কার করা হয়েছে। সেনাবাহিনী, র্যাব, পুলিশবাহিনীসহ সকল আইন-শৃঙ্খলা সংস্থা এই হত্যার তদন্তে নিয়োজিত। অন্যদিকে নারী সংগঠনগুলোও উচ্চকণ্ঠ। এই হত্যাকাণ্ডের রহস্য উন্মোচন করা এখন সেনাবাহিনীর জন্য জরুরি হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাদের ভাবমূর্তি দেশের ভাবমূর্তির সঙ্গে জড়িত। এজন্য উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়ে কোনো বক্তব্য দিয়ে সেনাবাহিনীকে বিতর্কিত করার চেষ্টা হবে দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের শামিল।
সুত্র
২| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ৮:৪৯
শূণ্য পুরাণ বলেছেন: they want to establish a neighbor country's predetermined policy.
৩| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ৯:৩৬
নকীব কম্পিউটার বলেছেন: আসল ঘটনা কি? জাতি কি কোন দিন জানতে পারবে?
১০ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১২:১৪
তালপাতারসেপাই বলেছেন: জানতে পারবে
৪| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ১০:২৪
এম.এইচ জনী বলেছেন: ভালোই বলেছেন ! আমি জানি না, আপনি নিজে কোন সেনা সদস্য কিনা, বা এদের কোন আত্নীয় কিনা । বাংলার সেনাদের নিয়ে অনেক গুণকিত্তণই করলেন । কিন্তু যদি প্রশ্ন করা হয়, যে দেশের সেনারা নিজেদের জন্যে সংরক্ষিত যে এরিয়া সেটারই নিরাপত্তা দিতে পারছে না, এরা গোটা দেশটাকে কি করে নিরাপত্তা দেবে? একটা দেশের স্তম্ভ ওরা, ওদের উপর ভরসা করে একটা দেশ সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়ার প্রয়াস পায় । এখন ওদেরই যদি খুটি নড়বড়ে হয়, তো সাধারন মানুষ কোথায় যাবে?
দিনের পর দিন বিএসএফের হাতে নিরিহ বাংলাদেশী প্রান হারাচ্ছে । আমাদের বীর বিজিবি!!!! তাকিয়ে দেখে !
নায়েক রাজ্জাককে বন্দী করে নির্যাতন চালানো হলো দিনের পর দিন! কী করতে পারলো আমাদের ছেলেরা?!!!
বাঙালিকে বাঘের সাথে তুলনা করা হতো, এখনো হয় !! সে বাঘ আজ দাঁত-নখ বিহীন বেড়ালে পরিনত হয়েছে ।
কথাগুলো আপনার কাছে তিক্ত লাগতে পারে, তাও কিছু করার নেই । আমি রাষ্টদ্রোহী নই, দেশকে আমি মায়ের মতোই ভালোবাসি । কথাগুলো ভেতরে জমা ক্ষোভ বৈ আর কিছুই না ।
১০ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১২:১৬
তালপাতারসেপাই বলেছেন: না, আমি নিজে কোন সেনা সদস্য কনা, বা এদের কোন আত্নীয় না
৫| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১২:১৭
এম এস আরেফীন ভুঁইয়া বলেছেন: আমি সত্য ঘটনা জানতে চাই। আসলে কি হয়েছে?
১০ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১২:১৬
তালপাতারসেপাই বলেছেন: আমি সত্য ঘটনা জানতে চাই।
৬| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৮:৩৬
প্রবঞ্চিত যুবক বলেছেন: কেউ যদি বলে ধর, আমরা আম পাবলিক সাথে সাথেই দৌড় দেই। খেয়াল করি না, কি বা কাকে এবং কিসের জন্য ধরতে বলছে আর কে বলছে। আর বাংলাদেশ ইস্যুর দেশ, এখানে কিছু নিয়ে আন্দোলন করার মত ঘটনা অহরহ হয়। তনু হত্যার আগে ইস্যু ছিল রিজার্ভ চুরি, এরপর তনু হত্যা, এখন চলছে ব্লগার হত্যা। এটা নিয়েও বেশিদিন চলবে না। আমাদের আগ্রহ বিচার চাওয়া নয়, আমরা আমাদেরকে প্রচার করার জন্য ইস্যুতে জড়ায়। অন্তত কিছু উগ্রবাদী দের চিন্তাভাবনা ও কাজকর্ম এরকম। তবে, শুধু তনু হত্যা নয়, যেকোন কিছুর জন্য সরকারের বিশেষভাবে তৎপর হওয়া উচিৎ।
৭| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৯:৫৫
জহিরুল ইসলাম সেতু বলেছেন: তনু ধর্ষিতা হয়নি, এই তো বলতে চাইছেন।
তনু কি খুন হয়নি? খুনির বিচার কি কেউ চাইতে পারবে না? দেশের নিরাপত্তা দিবে যে সেনাবাহিনী, তারা তো সেনানিবাসের নিরাপত্তাই বজায় রাখতে পারছে না। কি, দ্বিমত? যুক্তি দিন।
আপনি বলছেন, তনু হত্যাকাণ্ডে ‘সুরক্ষিত’ বিষয়টি আসলে অমূলক।
সেনানিবাস কি অরক্ষিত!!!
আপনি সেনাবাহিনীকে এতো করে দেখেছেন কেন? সেনাবাহিনীকে তো কেউ কিছু বলছে না। সকলেই অপরাধীর বিচার চাইছে, তা সেনাবাহিনীর কেউ হোক বা অন্য কেউই হোক।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে সেনানিবাসের তুলনা করেছেন? দুটোর প্রেক্ষাপট সম্পর্কে আপনার স্বচ্ছ ধারনা কতটুকু?
প্রশ্ন করেছেন, তনু হত্যার ঘটনাটি এত গুরুত্ব পাচ্ছে কেন?
তনু যদি আপনার বোন বা মেয়ে হতো, পারতেন এধরণের প্রশ্ন করে অপরাধের সাফাই গাইতে !
এধরণের হত্যাকাণ্ডের বিচার না হলে অপরাধ ক্রমশ বিস্তৃতি লাভ করবে।
বলেছেন,যখন যুদ্ধাপরাধীদের বিচার দমাতে অপশক্তি মাথা চাড়া দিয়ে ওঠে তখনও প্রতিবাদ তেমন দৃঢ় হয় না।
আপনি যদি স্মৃতিভ্রষ্ট না হয়ে থাকেন, যদি সমসাময়িক রাজনীতি সম্পর্কে ধারনা থেকে থাকে, তবে বলি, কাদের মোল্লা ফাঁক গলে বেরিয়ে যাবার পথ করে নিয়েছিলেন। এই জনতার মঞ্চের তীব্র আন্দোলনেই তা প্রতিহত করা হয়েছে।
মৃত্যুদণ্ড দিয়ে অপরাধ নির্মূল করা যায় না, এটা সম্ভবও নয়। অপরাধ নিয়ন্ত্রণ সম্ভব।
আপনি কে, তা আমি জানি না। বুদ্ধির দৌড় হাঁটুতে বা মাথায় যেখানেই থাকুক। শ্রদ্ধা রেখেই অনুরোধ করছি, অপরাধকে অপরাধ হিসেবেই দেখুন। সুবিচার কামনা করুন। শান্তির জন্যই তো সকলের চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে। নয় কি?
১০ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১২:২১
তালপাতারসেপাই বলেছেন: তনু খুন হয়নি বলছেন কেন? খুনির বিচার কি কেউ চাইতে পারবে না? বলছেন কেন?
অবশ্যই চাইবে আমিও চাই, সে সেনা বা আর যেই হোক। আমি মিথ্যা ইস্যু বিরোধী।
৮| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১০:০৫
জহিরুল ইসলাম সেতু বলেছেন: দুঃখিত, আমার মন্তব্যের "জনতার মঞ্চের" স্থানে "গণজাগরণ মঞ্চের" পড়বেন। আরেকটা কথা, অন্ধ হলেই প্রলয় বন্ধ হয় না।
৯| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১০:১৭
তট রেখা বলেছেন: অধিকাংশ খেলাই পর্দার আড়ালে হয়, গোল টা শুধু প্রকাশ্যে দেখা যায়, এমন কি খেলোয়াড় কেও দেখা যায় না। যাদের দেখেন তারা তো চিয়ার লীডার।
১০| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১২:৪৬
রাফা বলেছেন: তালপাতার সেপাই ব্লগ লিখেই পগারপাড় হয়ে যায়-এখানে মন্তব্য করে আসলে কোন লাভ নেই।কারন প্রশ্নের উত্তর দিতে পারবেননা বলে এই পর্বটা এড়িয়ে থাকেন তথাকথিত এই ব্লগার।
সেনাবাহিনির বিরুদ্ধে কেউ বলছেনা ,বলছে অপরাধির বিরুদ্ধে।হতে পারে সে একজন সেনাবাহিনিরই সদস্য।কিন্তু অপরাধি অপরাধিই এই সহজ কথাটা প্যাচানোর অর্থই হইতেছে সেনাবাহিনির দোহাই দিয়ে অপরাধিকে রক্ষা করা।এবং এটা কোন বিবেক সম্পন্ন মানুষ করতে পারেনা।আসলে এরকম মানুষের সংখ্যা আমাদের সমাজে প্রচুর।চাটুকার বলে এদেরকে -স্বয়ং বঙ্গবন্ধু জিবন হারিয়েছেন এই চাটুকারদের জন্যই।সত্য প্রকাশে সব সময় অপারগ এরা।
এই মন্তব্যটা শুধুই যারা মন্তব্য করছেন তাদেরকে বলার জন্যই করলাম এখানে,ধন্যবাদ।
১১| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১:২৮
হোসেন মালিক বলেছেন: যাক বাবা তনুকে ধর্ষণ করা হয় নি, শুধু হত্যা করা হয়েছে। অতএব সরকারের কোন দায়িত্ব নেই, এটা পুরোটাই বিএনপি জামায়াতের ষড়যন্ত্র।
১২| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১:৩৭
জহির রাসেল বলেছেন: আসলে নামধারী নারীবাদিরা বা ইমরান এইডস সরকাররা দেশকে অস্থিতিশীল মূলক কোন কর্মকান্ড ছাড়া ভালো কিছু করতে পারেনায়, সে বললো কুমিল্লা অবরোধ হইছে পুরো দেশ হবে, ইত্যাদি,
এসব অবরোধ করা বা জ্বালাও পোড়াও করে কি আদৌ একটি অনির্বাচিত বা বিশৃঙ্খল সরকারের কাছ থেকে এধরনের বিচারের আশা করা যায়?
আমরা চাই এসব ধর্ষন, হত্যার স্থায়ী সমাধান।
১৩| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ২:৩৯
মহা সমন্বয় বলেছেন: কিছু ব্যাপার আমার কাছে ভাল লাগে না।
©somewhere in net ltd.
১| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ৮:২২
অলওয়েজ ড্রিম বলেছেন: ঘটনার অন্তরালে কী আছে তা নিয়ে বিকল্প সব কিছুই ভাবতে হবে।