নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
লিন্ক সহ পোষ্টের বাহবা/দায়, মূল লেখকের।
ইরাক ও সিরিয়ার ভূ-খণ্ড দখল করে ইসলামিক স্টেটের (আইএস) স্ব-ঘোষিত ‘খিলাফাত’ ক্রমান্বয়ে দূর্বলতর হচ্ছে। দুই বছর আগে ইরাক ও সিরিয়া মিলে আইএসের দখলকৃত ভূ-খণ্ডের পরিমাণ ছিল গ্রেট ব্রিটেনের সমান। যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার যৌথ আক্রমণে সে ‘খিলাফাত’ ২২ শতাংশ হ্রাস পেয়ে এখন অনেকটাই সংকুচিত।
ইরাক ও সিরিয়ায় আইএস ছত্রভঙ্গের ফলে বিশ্ব জুড়ে আইএসের ‘স্পিলওভার ইফেক্টে’র সম্ভাবনা বেড়ে গেছে। ইতোমধ্যে ইরাক ও সিরিয়ার নিকটতম প্রতিবেশী বেশিরভাগ রাষ্ট্র আইএসের সম্প্রসারিত চারণভূমির আওতায়ভূক্ত হয়েছে। মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে বিস্তৃতির পাশাপাশি আইএস এখন উত্তর আফ্রিকার মিশর, লিবিয়া, জর্ডান, আলজেরিয়াতে ছড়িয়ে পড়েছে।
আইএসের বর্তমান সম্প্রসারণ নীতিতে মধ্যপ্রাচ্য ও উত্তর আফ্রিকার বাইরে সর্বোত্তম পোষকদেহ দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার ইন্দোনেশিয়া পৃথিবীর বৃহত্তম মুসলিম রাষ্ট্র ও মায়ানমারের রাখাইন প্রদেশে বিপুল সংখ্যক নির্যাতিত মুসলমান রয়েছে। দক্ষিণ এশিয়ার পাকিস্তান, আফগানিস্তান ও বাংলাদেশ মুসলিম সংখ্যাগিরষ্ঠ রাষ্ট্র, ভারত মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ না হলেও সেখানে মুসলমানদের সংখ্যা বাংলাদেশের চেয়ে বেশী।
মুসলিম প্রধান রাষ্ট্র হলেও ইন্দোনেশিয়ায় সকল ধর্মেরই (ইসলাম, হিন্দুধর্ম, বৌদ্ধধর্ম, প্রোটেস্ট্যানিজম, ক্যাথলিসিজম ও কনফুসিয়ান ধর্ম) রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি রয়েছে। ওদের সংবিধানে বলা হয়েছে, “ধর্ম নির্ধারণ ও পালনের ক্ষেত্রে প্রতিটি ব্যক্তি স্বাধীন”। কোনো রাষ্ট্র যদি বিশেষ কোনো ধর্মের পৃষ্ঠপোষকতা না করে তবে সে রাষ্ট্র যেমন ধর্মনিরপেক্ষ তেমনিভাবে কোনো রাষ্ট্র যদি তার সকল ধর্মকে সমানভাবে স্বীকৃতি দেয় তবে সে রাষ্ট্রও একটি ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র। এমন একটি রাষ্ট্রকে আইএস পোষকদেহ হিসেবে সহসা বিবেচনা করবে না। মিয়ানমারের নির্যাতিত মুসলিমদের মধ্যে আইএসের ঘাঁটি তৈরি করতে চাওয়া যুক্তিসঙ্গত হলেও মায়ানমার সরকারের কঠোর মনোভাবের কারণে সেখানে ধর্মভিত্তিক সংগঠন তৈরির সম্ভাবনা প্রায় শুন্যের কোঠায়।
বাকী থাকে দক্ষিণ এশিয়ার পাকিস্তান, আফগানিস্তান, বাংলাদেশ ও ভারত। পাকিস্তান ও আফগানিস্তান ইসলামী জঙ্গীদের স্বর্গভূমি। আল-কায়দা, তালেবান, লস্কর-ই-তৈয়েবা, হরকাতুল মুজাহিদিন, আইএস কি নেই সেখানে! পাকিস্তান বা আফগানিস্তানে আইএসের মতো কোনো একটি সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর আধিপত্য কায়েম ‘মুশকিল হি নেহি, না মুনকিন হ্যায়’। ওরা এখন জঙ্গীবাদ আমদানি নয়, রপ্তানি করে। ভারতের হিন্দু সংখ্যাগরিষ্ঠতা আইএসের সম্প্রসারণনীতি অন্যতম বাধা। সর্বোপরি, ভারতীয়দের জাতীয়তাবোধ ধর্মের অনেক উপরে। ধর্মে শতধা বিভক্ত ভারত জাতীয়তাবোধে বরাবরই একাট্টা।
বাংলাদেশে আইএসের অস্তিত্ত্ব বলতে যা বোঝাতে পারে তা হলো-
এক.
বাংলাদেশে আইএসের সক্রিয় সদস্যদের অনুপ্রবেশ ও স্থানীয় জঙ্গি গোষ্ঠীদের সাথে নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ। সিরিয়া বা ইরাকে আইএসের সহিংতা, মিশর বা প্যারিসে হত্যাযজ্ঞের ভয়াবহতা পর্যালোচনা করলে আমরা আইএসের আক্রমণের ক্ষমতা, তীব্রতা, প্রচণ্ডতা সম্পর্কে যে ধারণা পাই তার সাথে বাংলাদেশে ঘটে যাওয়া ‘টার্গেট কিলিং’য়ের যথেষ্ট বৈসাদৃশ্য রয়েছে। এ ধরণের হত্যায় আইএসের সক্রিয় অংশগ্রহণ রয়েছে এমন ধারণা করা অনেকটাই অযৌক্তিক।
দুই.
সমমনা কোনো বাংলাদেশী উগ্র ধর্মীয় জঙ্গি গোষ্ঠীকে আইএস স্থানীয় প্রতিনিধি হিসেবে স্বীকৃতি ও সহযোগিতা প্রদান করতে পারে। স্বীকৃতিদান গুরুত্বপূর্ণ কোনো বিষয় নয়। কালকে আইএস ‘ওলামা লীগ’কে স্বীকৃতি প্রদান করলে কি ‘ওলামা লীগ’ তাদের স্থানীয় প্রতিনিধি হয়ে যাবে? আইএসের সহযোগিতা হতে পারে আর্থিক, সামরিক বা প্রশিক্ষণভিত্তিক। বাংলাদেশের জঙ্গি হত্যাকাণ্ডগুলোতে চাপাতির ব্যাপক ব্যবহার এদেশে আইএসের অস্তিত্ত্বকে বারংবার প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। যে আইএস যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্সের কঠোর নিরাপত্তাবলয় ভেঙে আধুনিক মারণাস্ত্র ব্যবহার করে বর্বরোচিত হত্যাকাণ্ড চালানোর ক্ষমতা রাখে, যে আইএসের কাছে রাশিয়ার অত্যাধুনিক বিমান ভূপাতিত করার অস্ত্র থাকে সেই আইএস তাদের বাংলাদেশী দোসরদের হাতে কেবল এক চাপাতি তুলে দিল! নাহ, কোনোভাবে আইএসের এ দীনতাকে মেনে নেয়া যায় না।
তিন.
উগ্রপন্থী প্রবাসী বাংলাদেশীদেরকে আইএস প্রশিক্ষণ ও আর্থিক সুবিধা প্রদান করতে পারে। এ সকল প্রবাসীরা দেশে ফিরে স্থানীয় উগ্র সংগঠনগুলোর সাথে আইএসের সংযোগ সাধন করতে পারে। বাংলাদেশে জঙ্গি হামলার পরিকল্পনার অভিযোগে সিঙ্গাপুরে আল-কায়েদা ও আইএসের ২৭ বাংলাদেশী সদস্যকে আটক করা হয়েছে। দেশটার নাম সিঙ্গাপুর না হয়ে ইরাক, সিরিয়া, লিবিয়া বা লেবানন হলে এই সাতাশ জনকে আল-কায়েদা বা আইএসের সদস্য হিসেবে মেনে নিতে সহজ হতো। সিঙ্গাপুর নিয়ে আইএসের কোনো মাথাব্যাথা নেই, নিরাপত্তার বলয়ে ঘেরা ক্ষুদ্র এই দ্বীপ রাষ্ট্রে আইএসের সক্রিয় কার্যক্রম থাকার প্রশ্নই ওঠে না। ঘটনাদৃষ্টে মনে হয়, এরা বাংলাদেশের জঙ্গিবাদী কোনো দলের সদস্য, যারা অবস্থা বেগতিক দেখে বিভিন্ন সময়ে সিঙ্গাপুরে আশ্রয় নিয়েছিল। তারা ক্রমান্বয়ে একজোট হয়ে দেশে ফিরে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করতে চেয়েছিল। এরা আইএসের নয়, আমাদেরই ‘সূর্য’ সন্তান। বিলেতফেরত এ ধরণের উগ্রপন্থী প্রবাসীদের মাধ্যমে দেশে আইএসের ভাবাদর্শের বিস্তার লাভের আশঙ্কা একটি স্বাভাবিক অনুমান।
চার.
বাংলাদেশী বিভিন্ন জঙ্গি সংগঠন স্বপ্রণোদিত হয়ে আইএস বা আল-কায়দার মতো আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসীদের পরিচয় ব্যবহার করতে পারে। আইএসের সাথে তাদের প্রত্যক্ষ কোনো সংযোগ না থাকলেও কৌশলগত কারণে আইএসও এ দাবীকে স্বীকার করতে পারে। বর্তমান পত্রপত্রিকায় যে কয়েকটি জঙ্গি সংগঠন হিসেবে যে কয়টি নাম সচরাচর দেখা যায় তা হলো- হিফাজত-এ-ইসলাম, হরকাতুল জিহাদ আল ইসলামী বাংলাদেশ (হুজি), হিযবুত তাহরীর, আনসারুল্লা বাংলা টিম, জামায়াতুল মুজাহিদিন বাংলাদেশ (জেএমবি), জাগ্রত মুসলিম জনতা বাংলাদেশ (জেএমজেবি), শাহাদাৎ-ই আল-হিকমা, হিজবুত তাওহীদ, কালেমা-ই জামাত, হিযবুল মাহাদী, জামায়েতুল মুসলেমিন ও ইসলামী দাওয়াতী কাফেলা। ইতোমধ্যে আনসারুল্লা বাংলা টিমের সাথে আল-কায়দার নাম জড়িয়েছে, বাংলাদেশে আইএসের কার্যক্রম পরিচালনা করছে বা করবে এমন দু’চার জনের নামও শোনা গেছে। প্রসঙ্গত, উপরিল্লিখিত কোনো সংগঠনই পৃথক কোনো দল নয়, এরা একটি চিহ্নিত দলের গুটিকতক ভগ্নাংশ মাত্র। প্রয়োজনে এরা নতুন নতুন নামে, নতুন নতুন রূপে আবির্ভূত হচ্ছে। এরা আল-কায়দা, আইএসের নাম ব্যবহার করলে একদিকে যেমন জাতে উঠবে, অন্যদিকে তাদের মাতৃসম কাণ্ডটি থাকবে সুরক্ষিত, নিষ্কলঙ্ক। সর্বোপরি, নির্বাচনের সময় নিজেদের পাল্লাটা তো ভারী রাখতে হবে।
পাঁচ.
বিশ্বের বিভিন্ন স্থানের স্থানীয় সন্ত্রাসীমূলক কর্মকাণ্ডকে নিজেদের বলে দাবী করে আইএস তাদের আন্তর্জাতিক প্রচারণা চালায়। এ ধরণের প্রচারণা জণসাধারণের মনে আইএসের শক্তি সম্পর্কে এক ধরণের মিথ তৈরিতে সহায়তা করে। গত ১৮ মাসে বাংলাদেশে জঙ্গিদের হাতে নিহত ৪৭ জনের মধ্যে ২৮ জনের মৃত্যুর দায় স্বীকার করেছে আইএস এবং ৮ জন হত্যার দায় নিয়েছে আনসার আল ইসলাম। যে দায় নিলে ক্ষতির কোনো আশঙ্কা নেই সে দায় নিতে বাধা কোথায়? যুক্তরাষ্ট্রের ওরল্যান্ডে হত্যাকাণ্ডের ক্রেডিটটা আরেকটু হলেই আইএস নিয়ে নিতো, ভাগ্যিস মতিনের স্ত্রী এটাকে স্বামীর জন্য বরাদ্দ রেখেছিলো।
ভৌগোলিকভাবে দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সংযোগস্থলে অবস্থিত বাংলাদেশ পৃথিবীর চতুর্থ বৃহত্তম মুসলিম ও সপ্তম জনবহুল রাষ্ট্র। আইএস বা আল-কায়দার মতো কোনো আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী সংগঠন এখানে ঘাঁটি গড়ে তুলতে পারলে একদিকে তারা অতি অল্প পরিসরে বিপুল সংখ্যক মুসলিম জনগোষ্ঠীকে ধর্মীয় বিষাক্ত ভাবাদর্শে দ্রুত উদ্বুদ্ধ করার সুযোগ পাবে, অন্যদিকে বাংলাদেশ থেকে ভারত ও মিয়ানমারের মুসলমানদেরকে একই ভাবাদর্শে সংক্রামিত করা সহজতর হবে।
ভুলে গেলে চলবে না, আমরা চাঁদে মানুষের মুখ দেখতে পাই। আমাদের “শস্যের চেয়ে টুপি বেশী”। এখানে লজিকের চেয়ে ম্যাজিকের ক্ষমতা বেশী বলে বিজ্ঞানীর চেয়ে ‘বাবা’ বেশী; ওষুধের চেয়ে ‘ফুঁ’ এ আস্থা বেশী বলে ডাক্তারের চেয়ে ‘স্বপ্নে পাওয়া’ কবিরাজ বেশী। এখানে যুক্তির তিক্ষ্ণতার চেয়ে চাপাতির ক্ষিপ্রতা বেশী বলে ধার্মিকেরা ধর্মে সোচ্চার, ধর্মান্ধে নির্বিকার। লাদেন যখন টুইন টাওয়ার হামলা করেছিল, তখন আমাদের গ্রামের ছোট ছেলেমেয়েরা একটা স্লোগান দিতো, ‘আমরা সবাই লাদেন হবো, টুইন টাওয়ার গুঁড়িয়ে দেব’। তখন বুঝতে পারিনি, এখন বুঝি, এটা কোনো সাধারণ স্লোগান নয়, এ আমাদের ধর্মান্ধতার প্রতিধ্বনি।
বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত রাষ্ট্রের চেয়ে ধর্ম অনেক বেশী শক্তিশালী। আন্দোলনের মুখে ধর্মভিত্তিক শিক্ষা পদ্ধতির সংস্কার সম্ভব হয়নি, রাষ্ট্রধর্ম পরিবর্তনে পিছুটান দিতে হয়েছে, ধর্মনিরপেক্ষতা খাতা-কলমে প্রতিষ্ঠা পায়নি, ধর্মীয় বাক-স্বাধীনতা নাস্তিকতার গ্যাঁড়াকলে ফেঁসে গেছে। আইএসের মতো যেকোনো আন্তর্জাতিক ধর্মীয় সন্ত্রাসী সংগঠনের বিস্তারে এর চেয়ে উত্তম কোনো চারণভূমির সন্ধান সত্যিই কি দুর্লভ নয়?
জঙ্গি সংগঠনগুলোতে নেতৃত্বের চেয়ে মতাদর্শ, ভাবাদর্শ অনেক বেশি শক্তিশালী। ওসামা বিন-লাদেনের মৃত্যুতে আল-কায়দা শেষ হয়ে যায়নি, ‘বাংলা ভাই’য়ের ফাঁসিতে জেএমবিও নিশ্চিহ্ন হয়নি। এ ধরণের আদর্শ মন্ত্রপুত বীজের মতো, আমাদের ধর্মান্ধতায় ওরা বারংবার পুনরুজ্জীবিত হবে। আল-কায়দা, আইএসের অস্তিত্ত্ব থাক বা না থাক বাংলাদেশে এদের মতাদর্শ, ভাবাদর্শ মহামারীর মতো ছড়িয়ে পড়েছে।
যুদ্ধটা এখন আর জঙ্গিদের বিরুদ্ধে নয়, জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে। আটক করে, বিচার করে, শাস্তি দিয়ে হয়তো জঙ্গিকে রুখে দেয়া সম্ভব, চিরতরে জঙ্গিবাদ দমন করা যায় না- ‘শহীদের জন্য খোলা জান্নাতের দরজা’ বন্ধ করা এতটা সহজ নয়। গণগ্রেপ্তারহিতে বিপরীত হতে পারে, পাশাপাশি কোনো বিকল্পও প্রয়োজন।
সূত্র
২| ২৩ শে জুন, ২০১৬ ভোর ৪:১০
ফাহিমোসিস ফয়সালোসিস বলেছেন: বিশ্লেষণটা খুবই মানসম্মত ।
আর সামাজিক কারণের তথা ভাবাদর্শের পাশাপাশি বাংলাদেশের ভৌগৌলিক এবং বর্তমান অর্থনৈতিক অবস্থা ও বাংলাদেশকে জঙ্গীবাদ বিস্তারের উর্বর চারণভূমিতে পরিণত করেছে ।।।
আর জঙ্গী নয় , জঙ্গীবাদেই সমস্যার মূল এ কথাটা খুব গুরুত্বপূর্ণ এবং সারা বিশ্বেই নীতিনির্ধারকদের এটা বুঝতে পারা দরকার ।
৩| ২৩ শে জুন, ২০১৬ সকাল ১০:১৭
কল্লোল পথিক বলেছেন:
আমি ঠিক বুঝতে পারলাম না।
আইএস নিয়ে আপনার লেখাটিতে বেগম খালেদা জিয়া এবং তারেক রহমানের ছবি প্রকাশের কারন কি?
৪| ২৩ শে জুন, ২০১৬ সকাল ১০:৪৪
বাংলার জামিনদার বলেছেন: সঠিক বিশ্লেষন, ছবিটাও ঠিক আছে। যদিও অনেকেই কম্প্লেইন মারতাছে।
৫| ২৩ শে জুন, ২০১৬ দুপুর ১২:১৮
সামুরাই_কাতানা বলেছেন: তাদের ছবি না দিয়ে আপনার ছবিটা দিলে আরও ভাল হতো।
৬| ২৩ শে জুন, ২০১৬ দুপুর ১২:২৮
লা-তাহ্যান বলেছেন:
১ঘন্টা ৪০ মিনিটে ১১৮৪ বার পঠিত। আমার মন্তব্যটি কেন মুছে দিলেন ভাই?
৭| ২৩ শে জুন, ২০১৬ দুপুর ১:০৮
লা-তাহ্যান বলেছেন: চাই যে বিষয়টার একটা যথাযথ উত্তর আসুক।view this link
৮| ২৩ শে জুন, ২০১৬ বিকাল ৪:৫৬
শেয়াল বলেছেন: প্রথম এক ঘন্টায় হাজারের অধিক পঠিত (! ক্যাম্নে কী ??
আর পরে ১২ ঘন্টায় মাত্র ৪০০ ?
ক্যামতে ম্যান ক্যামতে ? ট্রিক্সটা আমারে একটু শিকাইবেন ?
৯| ২৩ শে জুন, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৩৯
উম্মু আবদুল্লাহ বলেছেন: আওয়ামী লীগই অতীতে বিভিন্ন সময় দাবী করেছে যে বাংলাদেশ জংগীতে পরিপূর্ন। এখন হঠাৎ করে কেন আইএসের অস্তিত্ব অস্বীকারে উঠে পড়ে লেগেছে কে জানে?
বিদেশের জংগি কার্যক্রমের সাথে বাংলাদেশের ঠিক তুলনা হয় না। বিদেশের সন্ত্রাসী ঘটনাগুলোতে বেশী হতাহত হয়েছে এটা সত্য, তবে বাংলাদেশের মত এরকম লাগাতার হত্যাকান্ড হচ্ছে না। পশ্চিমা দেশগুলোর নাগরিকরা দেখছে রাষ্ট্র সাথে সাথেই খুনীকে সনাক্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থ নিচ্ছে। কিন্তু বাংলাদেশে সেরকমটি নয়, বাংলাদেশ যেন জংগিবাদের অভয়ারন্যে পরিনত হয়েছে। বাংলাদেশে খুনের সংখ্যা তুলনামূলক ভাবে কম, তবে ধারাবাহিকভাবে হওয়ায় তা আতংক তৈরী করেছে। বিশেষত শিয়া সম্প্রদায়, খ্রীষ্টান যাজক সহ সংখ্যালঘুদের আক্রমন করা হয়েছে শুধু তাদের ধর্মীয় পরিচয়ের কারনে।
সাম্প্রতিক সময়ের এই তীব্র জংগিবাদের উথ্থানের পেছনের মূল কারন সরকারের কঠোরভাবে বিরোধী দল দমন এবং প্রকারান্তরে একদলীয় ব্যবস্থার প্রবর্তন। যার সূচনা ৫ই জানুয়ারীর নির্বাচন দিয়ে। এ কথা মোটামুটি প্রতিষ্ঠিত সত্য যে দমন নিপীড়নের ফলেই হয় উগ্রবাদের সৃষ্টি। আজকের আই এসের মূলে রয়েছে বাশার আল আসাদের গনহত্যা। আজকের হামাস, ব্রদারহুড কিংবা তালিবান, অতীতের পল পট - সব কিছুর সৃষ্টির পেছনে রয়েছে রাষ্ট্রের দমন নীতি। একটি অবাধ নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে গনতন্ত্রের দিকে পুনরায় যাত্রা না করলে এই জংগিবাদ বাড়তেই থাকবে। একমাত্র নির্বাচিত সরকারের পক্ষেই জংগিবাদ নিয়ন্ত্রনে রাখা সম্ভব। না হলে ১৬ কোটি মানুষকে জেলে ভরলেও জংগিবাদ দমন হবে না।
১০| ২৩ শে জুন, ২০১৬ রাত ৮:৫৩
বেরসিক কথক বলেছেন: বেগম জিয়া এবং তারেক রহমানের ছবি না দিয়ে আপনার ছবিটা দিলে আরও ভাল হত।
১১| ২৪ শে জুন, ২০১৬ রাত ২:১৮
কালনী নদী বলেছেন: পন্ডিমশাই, ঠিকইতো! ব্যাপারটা আমিও খেয়া করেছি।
১২| ২৪ শে জুন, ২০১৬ রাত ২:১৯
কালনী নদী বলেছেন: দুঃখিত, খেয়াল****
খেক , খেক , খেক শেয়াল।
১৩| ২৪ শে জুন, ২০১৬ দুপুর ১২:০৫
প্রবালরক বলেছেন: জঙ্গী নিয়ে এত হই-ছই শুরু হবার আগেও এদেশে খুন-সন্ত্রাস ছিল। এদেশে এখন যেন কোন গুন্ডা-বদমাশ নেই। যে কোন হত্যাকান্ডকে জঙ্গিদের ঘাড়ে চাপানোর ফুলিশ ও মিডিয়ার উৎসাহী প্রচারনা আরো বেশী খুন-হত্যাকে উৎসাহ দিচ্ছে।
ছবিগুলির সংযুক্তি সেরকম আরেকটা ফুলিশ কাজ।
মডারেটর.... ঘুমায় ?
©somewhere in net ltd.
১| ২৩ শে জুন, ২০১৬ রাত ৩:৪১
বাধাঁহীন পথিক বলেছেন: আমি ঠিক বুজতে পারলাম না।আইএস নিয়ে আপনার লেখাটিতে বেগম খালেদা জিয়া এবং তারেক রহমানের ছবি প্রকাশের কারন কি? একটা কথা বলতে চাই এই রকম ছবি প্রকাশ না করে।আশুন আমরা এক হয়ে আমাদের স্বাধীন বাংলাদেশের গঠনতন্ত্র এবং সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য লড়াই করি।সঠিক অনুসন্ধানের মাধ্যমে এদের লিড দাতাদের খুজে বের করি।এবং ওদের সমূলে উপরে ফেলি এই সোনার বাংলাদেশ থেকে।