নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

যাহা বলিব সত্য বলিব

আল্লাহ মহান, যাহা বলিব সত্য বলিব।

তালপাতারসেপাই

লিন্ক সহ পোষ্টের বাহবা/দায়, মূল লেখকের।

তালপাতারসেপাই › বিস্তারিত পোস্টঃ

ধর্মীয় উগ্রবাদে প্ররোচনায় তিনজন

২৮ শে জুন, ২০১৬ রাত ২:৩৭


ফেসবুক, ইউটিউবসহ ইন্টারনেটের বিভিন্ন পাতা ব্যবহার করে ধর্মীয় উগ্রবাদ ছড়ানোর অভিযোগে বাংলাদেশের একজন জঙ্গি নেতাসহ তিনজনের কিছু ‘জিহাদি ভিডিও’ সরিয়ে নেওয়ার জন্য ফেসবুক কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করেছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা (বিটিআরসি)। একই সঙ্গে ইউটিউব থেকে ওই তিনজনের উগ্রবাদী ভিডিও সরানোর চেষ্টা চলছে।

অভিযুক্ত ওই তিনজন হচ্ছেন—কারাবন্দি অভিযুক্ত জঙ্গি নেতা জসিমউদ্দীন রাহমানী এবং আবদুর রহমান বিন ইউসুফ ও তারিক মনোয়ার।

এ বিষয়ে বিটিআরসির চেয়ারম্যান ড. শাহ্জাহান মাহমুদ গতকাল রবিবার রাতে কালের কণ্ঠকে বলেন, সম্প্রতি জঙ্গিবাদের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেপ্তার কয়েকজন তরুণ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছেন, তাঁরা ফেসবুক ও ইউটিউবের মাধ্যমে জসিমউদ্দীন রাহমানীর ভিডিও-বক্তব্যে উগ্রবাদে অনুপ্রাণিত হয়েছেন। এ তথ্য জানার পরই বিটিআরসিকে রাহমানীর ভিডিও ইন্টারনেট থেকে সরিয়ে ফেলার ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

বিটিআরসির চেয়ারম্যান জানান, রাহমানী ছাড়াও আবদুর রহমান বিন ইউসুফ ও তারিক মনোয়ারের বক্তব্যসংবলিত ভিডিও ইন্টারনেট থেকে সরানোর জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় অনুরোধ করেছে। তিনি বলেন, ‘আমরা বিষয়টি কয়েক দিন আগেই ফেসবুক কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে এ বিষয়ে সহযোগিতা চেয়েছি। এর আগেও আমরা যখন ফেসবুকের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি, তারা ইতিবাচক সাড়া দিয়েছে। আর ইউটিউব থেকে কিভাবে এসব ভিডিও সরিয়ে ফেলা যায় তার চেষ্টা চলছে।’

ড. শাহ্জাহান মাহমুদ বলেন, ‘আমাদের এ উদ্যোগে বিভ্রান্তি ছড়ানোর চেষ্টা হতে পারে। অপপ্রচার হতে পারে যে আমরা কারো ধর্মীয় বক্তব্য সরিয়ে ফেলতে চাচ্ছি। কিন্তু আমরা অবশ্যই ধর্মের বিপক্ষে নই। ধর্মকে ব্যবহার করে যারা উগ্রবাদ ছড়াচ্ছে তাদের বিরুদ্ধেই এ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’ তিনি জানান, অভিযুক্ত ওই তিনজনের সব ভিডিও নয়, শুধু সুনির্দিষ্ট যেসব বক্তব্য সম্পর্কে অভিযোগ এসেছে, সেগুলো সরিয়ে নেওয়ার ব্যবস্থা হচ্ছে।

এদিকে গতকাল রাতেও ইন্টারনেট ঘেঁটে দেখা গেছে, ফেসবুক ও ইউটিউবে জসিমউদ্দীন রাহমানীর শত শত ভিডিও রয়েছে। ইউটিউবে একটি ভিডিওর শিরোনাম ‘দি খুতবা ফর হুইচ জসিমউদ্দীন রাহমানী ওয়াজ অ্যারেস্ট’। আরেকটি ভিডিওতে আরাকান, মিয়ানমারে মুসলিম যুবকদের প্রতি জিহাদের আহ্বান জানানো হয়েছে। ফেসবুকে রাহমানীর কতগুলো ফ্যানপেজও রয়েছে।

আব্দুর রহমান বিন ইউসুফের একটি ভিডিওতে দেখা যায়, তিনি মাদারটেক আ. আজিজ স্কুল অ্যান্ড কলেজ মাঠে ২০১৩ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি বক্তব্য দিচ্ছেন। রাজ্জাক বিন ইউসুফ সম্পর্কে জানা যাচ্ছে তিনি চট্টগ্রামভিত্তিক একজন ইসলামপন্থী নেতা, বেশির ভাগ সময়েই তিনি দুবাইতে অবস্থান করেন বলেও দু-একটি সূত্র জানিয়েছে। তবে এ তথ্য যাচাই করা সম্ভব হয়নি। আর মনোয়ার সম্পর্কে তেমন কিছু জানা যায়নি। এসব ব্যক্তির ভিডিও ইন্টারনেট ছাড়াও সিডি আকারে বাজারে রয়েছে।
সুত্র

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৮ শে জুন, ২০১৬ রাত ৩:৪৭

মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: সঠিক পদক্ষেপ। এই তিন জনকেই জেলে পুরা উচিৎ।

২| ২৮ শে জুন, ২০১৬ সকাল ১০:১৩

মনিরুজজামান মনির বলেছেন: উনার কাহারা আমি মনে হয় আজি প্রথম দেখলাম । আমি অবশ্য বেশি একটা ব্লগ ফ্লগে ঢুকি না।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.