নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

যাহা বলিব সত্য বলিব

আল্লাহ মহান, যাহা বলিব সত্য বলিব।

তালপাতারসেপাই

লিন্ক সহ পোষ্টের বাহবা/দায়, মূল লেখকের।

তালপাতারসেপাই › বিস্তারিত পোস্টঃ

‘জঙ্গি হোতা’ মেজর জিয়া সম্পর্কে জেনে নিন বিস্তারিত

০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ ভোর ৬:১০


আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের (এবিটি) আধ্যাত্মিক নেতা জসীমুদ্দিন রাহমানীকে গ্রেফতারের পর এবিটির শীর্ষ সংগঠক, সেনাবাহিনী থেকে চাকরিচ্যুত মেজর জিয়াউল হকের নাম জানতে পারেন গোয়েন্দারা। দেশে ব্লগার, প্রকাশক, মুক্তমনা লেখকসহ অন্তত নয়জনকে টার্গেট করে হত্যার নেপথ্যে ছিলেন মেজর জিয়া। আরও কয়েকজনকে হত্যাচেষ্টা পরিকল্পনার সঙ্গেও তিনি যুক্ত ছিলেন।-সমকাল।
গোয়েন্দাদের ধারণা, আশপাশের দেশের কয়েকটি গোয়েন্দা সংস্থার সঙ্গেও তার যোগাযোগ রয়েছে। দেশকে অস্থিতিশীল করার পাশাপাশি সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে গুপ্তহত্যাসহ নানা পরিকল্পনার নেপথ্যে রয়েছেন তিনি। গত তিন বছরে তার তত্ত্বাবধানে এবিটির অন্তত আটটি স্লিপার সেল তৈরি হয়েছে। প্রতিটি সেলের সদস্য সংখ্যা চার থেকে পাঁচজন। সেই হিসাবে অন্তত ৩০ জন দুর্ধর্ষ ‘স্লিপার কিলার’ জঙ্গি তৈরি করেছেন মেজর জিয়া। তারাই ব্লগার, প্রকাশক, মুক্তমনা ও ভিন্ন মতাবলম্বীদের হত্যা করেছে।
২০১১ সালের ডিসেম্বরে ব্যর্থ সেনা অভ্যুত্থান চেষ্টার পরিকল্পনাকারীদের মধ্যে অন্যতম এই মেজর জিয়া। গোয়েন্দা সূত্র বলছে, গত পাঁচ বছর পলাতক থেকে তিনি দেশে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ বিস্তারে অন্যতম পরিকল্পনাকারী হিসেবে কাজ করছেন।
রাজধানী ও এর আশপাশে টার্গেট কিলিংয়ে জড়িত কয়েকজন জঙ্গিকে গ্রেফতারের পর মেজর জিয়ার নাম জানা যায়। তা ছাড়া এসব জঙ্গির মোবাইল ফোনের কল রেকর্ড পর্যালোচনা, ই-মেইল অ্যাকাউন্ট, ফেসবুক ও টুইটার অ্যাকাউন্ট ঘেঁটেও অনেক তথ্য-প্রমাণ পাওয়া গেছে। নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন জামা’আতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশের (জেএমবি) একাংশের সঙ্গেও মেজর জিয়ার যোগাযোগ রয়েছে।
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) সূত্র জানায়, এবিটির কার্যক্রম ঢাকা ও চট্টগ্রামেই বেশি। স্লিপার সেল তৈরির ধারণাটি মেজর জিয়ার মস্তিষ্কপ্রসূত। তিনি নিজেই এই অভিযানগুলো সমন্বয় করেন। স্লিপার সেলের সদস্যরা তাকে ইশতিয়াক নামে চেনে। স্লিপার সেলের সদস্যদের ঢাকা ও এর আশপাশের নির্জন এলাকায় বাসা ভাড়া নিয়ে প্রশিক্ষণ দিতেন জিয়া।
গতকাল মঙ্গলবার পুলিশ সদর দপ্তরে এক সংবাদ সম্মেলনে পুলিশের মহাপরিদর্শক এ কে এম শহীদুল হক বলেন, টার্গেট কিলিংয়ের সঙ্গে জড়িত একটি গ্রুপ হচ্ছে এবিটি। তদন্ত থেকে ধারণা পাওয়া গেছে যে, এই গ্রুপের নেতৃত্ব দিচ্ছেন চাকরিচ্যুত মেজর জিয়া।
৯টি হত্যার ‘মাস্টারমাইন্ড’ জিয়া : ২০১৩-২০১৫ সালের মধ্যে পাঁচজন ব্লগার, একজন প্রকাশক ও সমকামীদের অধিকার নিয়ে কাজ করতেন এমন দু’জনকে হত্যা করেছে এবিটি। এই সময়ে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষার্থী হত্যার পেছনেও এবিটি জড়িত।
এসব ঘটনার তদন্ত করে মূল পরিকল্পনাকারী হিসেবে জিয়ার নাম উঠে এসেছে। চলতি বছরের ২৫ এপ্রিল কলাবাগানের একটি বাসায় জুলহাজ মান্নান ও মাহবুব তনয় নামে দু’জনকে হত্যা করে এবিটির স্লিপার সেলের সদস্যরা। তারা দু’জনই সমকামীদের অধিকার নিয়ে কাজ করতেন।
এর আগে চলতি বছরের ৫ এপ্রিল রাজধানীর সূত্রাপুরে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নাজিমুদ্দিন সামাদকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। ২০১৫ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসির অদূরে বিজ্ঞানমনস্ক লেখক ও ব্লগার ড. অভিজিৎ রায়, তেজগাঁওয়ে ব্লগার ওয়াশিকুর রহমান বাবু, সিলেটের সুবিদবাজার এলাকায় ব্লগার অনন্ত বিজয় দাশ, রাজধানীর গোড়ানে ব্লগার নীলাদ্র্রি চ্যাটার্জি ওরফে নিলয়কে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। ওই বছরের শেষ দিকে আজিজ সুপার মার্কেটে নিজ কার্যালয়ে হত্যা করা হয় জাগৃতি প্রকাশনীর কর্ণধার ফয়সল আরেফিন দীপনকে। এর আগে ২০১৩ সালে রাজধানীর পল্লবীতে খুন হন ব্লগার আহমেদ রাজীব হায়দার।
কে এই মেজর জিয়া: জিয়ার পুরো নাম সৈয়দ মোহাম্মদ জিয়াউল হক। তার বাবার নাম সৈয়দ মোহাম্মদ জিল্লুল হক। তার গ্রামের বাড়ি মৌলভীবাজারের মোস্তফাপুরে। সর্বশেষ তিনি মিরপুর সেনানিবাসে থাকতেন।
২০১২ সালের ১৯ জানুয়ারি সেনা সদর দপ্তরের পক্ষ থেকে এক সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ২০১১ সালের ডিসেম্বরে সেনাবাহিনীর সাবেক ও তৎকালীন কিছু সদস্য দেশের গণতান্ত্রিক সরকারকে উৎখাত এবং সেনাবাহিনীতে অভ্যুথানের চেষ্টা করে।অভ্যুথানের পরিকল্পনাকারীদের মধ্যে মেজর জিয়া অন্যতম বলে জানা যায়। মেজর জিয়া জঙ্গি সংগঠন হিযবুত তাহ্রীরের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন বলেও সেনা সদর দপ্তর জানিয়েছিল। এই অভ্যুথানচেষ্টার পেছনে ইশরাক আহমেদ নামে তার এক প্রবাসী বন্ধু যুক্ত ছিলেন।
গোয়েন্দারা বলছেন, অভ্যুথানচেষ্টার সঙ্গে যুক্তরা হিযবুত তাহ্রীরকে সংগঠিত করার চেষ্টা করছিল। পরে মেজর জিয়া এবিটির সঙ্গে যুক্ত হয়ে একের পর এক টার্গেট কিলিং মিশন বাস্তবায়ন করেন। গত বছরের ৯ জানুয়ারি পাকিস্তানের করাচিতে সে দেশের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে এজাজ ওরফে সাজ্জাদসহ আল কায়দার চার জঙ্গি নিহত হয়। ওই সময় বিভিন্ন গণমাধ্যমে বলা হয়, এজাজ আল কায়দার কমান্ডার এবং এবিটির অন্যতম শীর্ষ নেতা ছিলেন। তার মৃত্যুর পর এবিটির নেতৃত্বে পরিবর্তন আসে। জসীমুদ্দিন রাহমানী জেলে থাকায় সে সময় তার স্থলে তাত্তি্বক নেতা হন পুরান ঢাকার ফরিদাবাদের এক মাদ্রাসা শিক্ষক। আর সামরিক শাখার একক নেতৃত্বে আসেন মেজর জিয়া।
গ্রেফতার হওয়ার পর জসীমুদ্দিন রাহমানী জিজ্ঞাসাবাদে বলেছেন, তিনি ঢাকা ও চট্টগ্রামে একাধিকবার জিয়ার সঙ্গে দেখা করেছেন। সংগঠনে জিয়ার একচ্ছত্র আধিপত্য বিস্তারের পর এবিটি ‘আনসার আল ইসলাম’ নাম ধারণ করে।
সূত্র

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ৭:৩২

চাঁদগাজী বলেছেন:



১৭ কোটীর মাঝে ১৭০০ জংগী থাকা অসম্ভব নয়; তবে, এটা নিয়ে চীৎকার করে, সবকিছুর কাজকর্ম বন্ধ করে, শুধু বিল তুলে নিলে টাকশালও খালি হয়ে যাবে।

২| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ৯:০৫

রাশেদ বিন জাফর বলেছেন: ধন্যবাদ

৩| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১:৪৯

তাজবীর আহােমদ খান বলেছেন: হুম,তথ্যবহুল

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.