নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

যাহা বলিব সত্য বলিব

আল্লাহ মহান, যাহা বলিব সত্য বলিব।

তালপাতারসেপাই

লিন্ক সহ পোষ্টের বাহবা/দায়, মূল লেখকের।

তালপাতারসেপাই › বিস্তারিত পোস্টঃ

জয়ঃ ‘দ্য আর্কিটেক্ট অব ডিজিটাল বাংলাদেশ’

২০ শে অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ৭:৫১


জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর দৌহিত্র ও প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় বলেছেন, বিশ্বের একমাত্র দেশ বাংলাদেশকে স্বল্প সময়ে নিজস্ব অর্থায়ন ও পরিকল্পনায় ডিজিটালাইজড করা সম্ভব হয়েছে। পৃথিবীতে আর কোনো দেশ নেই, এতো অল্প সময়ের মধ্যে একটি দরিদ্র দেশ নিজস্ব অর্থায়নে এভাবে ডিজিটালাইজড হয়েছে। একমাত্র বাংলাদেশ পেরেছে। তথ্যপ্রযুক্তি খাতে (আইসিটি) বাংলাদেশ এখন সারাবিশ্বের সামনে একটি উদাহরণ। আমরা বিশেষজ্ঞ (এক্সপার্ট) হিসেবে দাঁড়িয়েছি। অন্যান্য দরিদ্র দেশ কীভাবে ডিজিটাইজেশন করতে পারে সে ব্যাপারে জাতিসংঘ এখন আমাদের কাছ থেকে এক্সপার্টিজ চায়।

গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক হোটেল সোনারগাঁওয়ের বলরুমে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের পক্ষে আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন। তথ্য প্রযুক্তি খাতে অসামান্য উন্নতির জন্য বাংলাদেশ সম্প্রতি জাতিসংঘ থেকে ‘আইসিটি ফর ডেভেলপমেন্ট অ্যাওয়ার্ড ২০১৬’ পুরস্কার অর্জন করেন। এই পুরস্কার অর্জনের জন্য প্রধানমন্ত্রীপুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়কে সংবর্ধনা দিতেই জমকালো অনুষ্ঠানটির আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠান থেকে সজীব ওয়াজেদ জয়কে ‘দ্য আর্কিটেক্ট অব ডিজিটাল বাংলাদেশ’ উপাধি দিয়েছে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগ। অনুষ্ঠান থেকে এ উপাধি ঘোষণা করেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।

সজীব ওয়াজেদ জয় বলেন, দেশের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির উন্নয়ন হয়েছে। আর সেই উন্নয়নের সুফল দেশের ষোল কোটি মানুষ ভোগ করছেন। তথ্য প্রযুক্তি উন্নয়নে এ দেশের মানুষের ভূমিকা আছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমাদের নিজেদের মেধা আছে, আমরা নিজেরাই করবো। কারো মুখাপেক্ষী হব না। জয় বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশের পরিকল্পনা থেকে আরম্ভ করে বাস্তবায়ন সম্পূর্ণভাবে আমরা নিজেরা করেছি। নিজেদের অর্থে, নিজেদের পরিকল্পনায় করেছি। কিছু কিছু বড় প্রজেক্টে আমরা বাইরের প্রযুক্তির সাহায্য নিয়েছি। কিন্তু বেশিরভাগ কাজ করেছে বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠানগুলো। তিনি বলেন, আজকে বাংলাদেশের সফলতা দেখে, অন্যান্য দেশ আমাদের কাছে আসছে। বলছে, তোমরা আমাদের শিখিয়ে দাও—কীভাবে আমরা আমাদের দেশকে ডিজিটালাইজ করবো। আর সেটা আমরা করছি।

সজীব ওয়াজেদ জয় বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় না থাকলে ডিজিটাল বাংলাদেশ বলে কিছুই হতো না। কারণ আমাদের আওয়ামী লীগ হচ্ছে একটা পরিবার। আপনারা জানেন আজকে আমার ছোট মামার জন্মদিন। আমার মামা বেঁচে থাকলে তিনিও আওয়ামী লীগ পরিবারের একজন সদস্য হতেন। আমরা নিজেদের এক মনে করি। আমরা একজন আরেকজনকে সহযোগিতা করার জন্য সব সময় প্রস্তুত থাকি। একসঙ্গে কাজ করার জন্য সব সময় প্রস্তুত থাকি। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের এই একটাই চিন্তা, এই দেশের মানুষকে এগিয়ে নেওয়া। শুধুমাত্র দেশের প্রতি ভালবাসার কারণে এই পরিশ্রম আওয়ামী লীগ করতে পারে। সজীব ওয়াজেদ জয় বলেন, আওয়ামী লীগ দেশ স্বাধীন করেছে, বারবার দেশের গণতন্ত্র রক্ষা করেছে এবং আওয়ামী লীগই দেশকে উন্ন্ত করেছে, এগিয়ে নিয়ে গেছে। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের নির্বাচনী ইশতেহারে ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ ভিশন’টি যখন অন্তর্ভুক্ত করা হয় তখন নানা রকমের বাঁধা এসেছিল। অল্প সময়ের মধ্যে আইসিটি সেক্টরে বাংলাদেশের বর্তমান অর্জনের জন্য দেশবাসীকে ধন্যবাদ জানিয়ে জয় বলেন, আজকের এই সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যে স্নেহ ও শুভেচ্ছা আমি পেয়েছি, তার প্রতিদান কীভাবে ভাষায় প্রকাশ করবো তা আমার জানা নেই। আমি সকলের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। আমি একইসঙ্গে আনন্দিত এবং গর্বিত। এই পুরস্কার আমার একার নয়, এই পুরস্কার বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকারের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীর। তিনি বলেন, আমি কেবল পরামর্শ দিয়েছি, পরিকল্পনা করেছি আর ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়ন করেছেন আপনারা সকলে।

অনুষ্ঠানে জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টার এ পুরস্কার আমাদের অনুপ্রেরণা যোগায়। এ স্বীকৃতি ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে এক অন্যন্য মাইলফলক’। সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে শুরুতে সজীব ওয়াজেদ জয়কে ফুলেল শুভেচ্ছায় বরণ করে নেয় দু’জন শিশু, যাদের হাত অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে কৃত্রিমভাবে প্রতিস্থাপন করা হয়েছে। এরপর মূল মঞ্চে এবং অনুষ্ঠানস্থলের সকলে একসঙ্গে জাতীয় সংগীত গাওয়ার মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের কার্যক্রম শুরু হয়। পরবর্তীতে বঙ্গবন্ধুর কনিষ্ঠ পুত্র শেখ রাসেলের জন্মদিন উপলক্ষে রাসেলের ওপর নির্মিত ‘মায়ের কাছে যাবো’ শীর্ষক একটি তথ্যচিত্র দেখানো হয়। সজীব ওয়াজেদ জয়ের পুরস্কারপ্রাপ্তিতে সমাজের বিভিন্ন মানুষের শুভেচ্ছাবার্তা সংবলিত একাধিক তথ্যচিত্র দেখানো হয় অনুষ্ঠানে। এসময় তিনি একটি ছোট্ট প্রেজেন্টেশনও উপস্থাপন করেন। ডা. নূজহাত চৌধুরী এ সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের মানপত্র পাঠ করেন।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, ডাক ও টেলিযোগাযোগ তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ইমরান আহমেদসহ সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
সূত্র

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ২০ শে অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ১০:০৯

চাঁদগাজী বলেছেন:



জলবায়ুর জন্য ২ বিলিয়ন ডলার আসবে, উহাকে লুকানোর আর্কিটেক্ট দরকার এখন।

২| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৬ বিকাল ৫:২৮

কালীদাস বলেছেন: ছবির মাঝখানের লাল পান্জাবি পড়া ইডিয়টটার কারণে সাধারণ মানুষের বাংলা টাইপ করা শিখতে সময় লেগেছে ১০ বছর বেশি। আর ডানদিকের কর্ণারের..... থাক অফ গেলাম। হাজার হোক, বাংলাদেশ। সত্যি বললে আবার কি বিপদে পড়তে হয় কে জানে।

৩| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ৮:৪২

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ডিজিটাল বাংলাদেশের গুরুত্ব অনেক । এর আরো উত্তরোত্তর বিকাশের জন্য সকলের সন্মিলিত ঐকান্তিক প্রয়াস আবশ্যক। প্রথম দফাতেই যদি ফাইবার অপটিকে যুক্ত হতো দেশ, তাহলে এর গতি আরো বেগবান হতো বলে অনেকেই করেন মত প্রকাশ ।
ধন্যবাদ এ বিষয়ে কিছু তথ্য ও এ বিষয়ের উপর অপরাপর কিছু পাঠকের মতামত জানার অবকাশ তৈরী করে দেয়ার জন্য ।
শুভেচ্ছা রইল

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.