নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

যাহা বলিব সত্য বলিব

আল্লাহ মহান, যাহা বলিব সত্য বলিব।

তালপাতারসেপাই

লিন্ক সহ পোষ্টের বাহবা/দায়, মূল লেখকের।

তালপাতারসেপাই › বিস্তারিত পোস্টঃ

দৃঢ় রাজনৈতিক সংকল্প জঙ্গিবাদ দমনের চাবিকাঠি

০১ লা নভেম্বর, ২০১৬ ভোর ৬:১৭


উ ন্নয়নের সিঁড়ি বেয়ে বাংলাদেশের তরতর করে এগিয়ে চলাটা বিশ্বের কাছে বিস্ময় হয়ে দাঁড়িয়েছে। ইতোমধ্যে নিম্নমধ্যম আয়ের সীমা ছাড়িয়ে ২০২১ সালে মধ্যমআয় এবং ২০৪১ সালে উন্নত দেশে পরিণত হবার আকাঙ্ক্ষা স্বপ্ন বিলাস বলে যারা মনে করছিল তারাও এখন নিঃসংকোচে মেনে নিয়েছে বাস্তবতা। ২০১৫-১৬ অর্থ বছরে দেশজ আয়ের প্রবৃদ্ধি শতকরা ৭.১১ ভাগ অর্জন, সার্থকতার ঘণ্টাকে তীব্র করেছে। শান্তি ও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা উন্নয়নের পূর্বশর্ত সেখানে দ্বিমত করার সুযোগ নেই। রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশ রক্ষার উপায় নিয়ে মতভেদ নিরন্তর। গণতান্ত্রিক দেশে রাজনৈতিক লক্ষ্য অর্জনের উপায় হিসেবে সহিংসতার চর্চা দেশকে সবচেয়ে বেশি অনিরাপদ করে তোলে যা বাংলাদেশ প্রত্যক্ষ করেছে অনেকবার। রাজনৈতিক ব্যঞ্জনে সহিংসতার সংমিশ্রণ দেশের অগ্রগতিকে পেছন থেকে টেনে ধরলেও থামাতে পারেনি। ভুল রাজনীতির মারপ্যাঁচে আটকা পড়ে বিএনপি-জামায়াত জোটকে বেশ খাবি খেতে দেখা যাচ্ছে।

মউদুদিবাদকে অনুসরণ করে ইসলামের খণ্ডিত ও বিকৃত ব্যাখ্যাকে উপলক্ষ করে জিহাদের নামে নিরীহ মানুষ খুনের জঙ্গিবাদী মতাদর্শকে ভিত্তি করে গণতান্ত্রিক রাজনীতির বিকল্প হাতিয়ার হিসেবে নব্বইয়ের দশকে জঙ্গিবাদের জন্ম হয়। হুজি থেকে জেএমবি’র উত্থান পতনের মাঝে হামলার লক্ষ্যবস্তু হয়ে জীবন দিতে হয়েছে অনেক নিরীহ সাধারণ মানুষকে। রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ না হয়েও সহিংস রাজনীতির বলি হতে হচ্ছে নিরীহ মানুষদের। যুদ্ধাপরাধের বিচার ঠেকাতে জামায়াতের সহিংস কৌশলের অযুহাত হিসেবে জঙ্গিবাদ নতুন নতুন অবয়ব ও চরিত্র নিয়ে বারবার আঘাত হেনেছে। ফলে জঙ্গিবাদ জননিরাপত্তার সবচেয়ে বড় হুমকিতে পরিণত হয়েছে বিশ্ব জুড়ে।

গত বছরের নভেম্বরে ইতালীয় নাগরিক তাবেলা সিজারকে হত্যার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে ইসলামের নামে জিহাদ শুরু করে। ইরাক-সিরিয়া ভিত্তিক জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেটের তকমা লাগিয়ে নিরস্ত্র ও নিরীহ মানুষ খুনের নতুন ধারা শুরু হয়। তারপর চলতে থাকে একের পর এক চাপাতি দিয়ে খুনের রাজনৈতিক উত্সব। রংপুরের প্রত্যন্ত অঞ্চলে জাপানি নাগরিক হোসিও কুনিকে খুন করা হলে ইতালি ও জাপানিদের আক্রমণের পেছনের কারণ সুস্পষ্ট হয়ে ওঠেনি। একের পর এক বলি হতে থাকে অরক্ষিত নিরীহ মানুষ। নাস্তিক ও মুরতাদ হত্যার নামে নিধন শুরু হয় ব্লগার, সাধক, সেবায়েত, পূজারি, যাজক, সঙ্গীতপ্রেমী, পীর মাশায়েক, সমকামী প্রচারক। জঙ্গি সংগঠনের গোপন কাঠামো, সুচারু পরিকল্পনা ও অদৃশ্য মদদ সব মিলিয়ে নেটওয়ার্ক ধরা ছোঁয়ার বাইরে থাকতে সমর্থ হয়। জঙ্গিদের আপাত দৃষ্টির সফল হামলা ও অভেদ্য কৌশল তাদেরকে বেপরোয়া করে তোলে এবং বড় হামলার জন্য উত্সাহী করে তোলে। গুলশানের হলি আর্টিজান রেস্তোরাঁর নৃশংস হামলা করে মানুষকে কাঁপিয়ে দেয়। বাংলাদেশ একটি অনিরাপদ গন্তব্যে পরিণত হয়। ঘৃণিত হামলাকে নিন্দা করার বদলে ‘দুঃশাসনের বহিঃপ্রকাশ’ রাজনৈতিক প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করা হলে জঙ্গিবাদ নিরুত্সাহিত হবে বলে মনে করার কোনো কারণ নেই। এখানেও ভিক্টিম হয় ইতালীয় ও জাপানিরা। জাপান বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় দাতা দেশ এবং ইতালীয়রা তৈরি পোশাকের অন্যতম ক্রেতা। উন্নয়নের পেছনের ক্রীড়নকদের তাড়াতে পারলে উন্নয়নের গতিকে রোখা যাবে সহজেই। নিরাপত্তার অভাব, গণতন্ত্রের ঘাটতি ও সুশাসনের অনুপস্থিতিকে পুঁজি করে বিশ্ব থেকে সহজেই বাংলাদেশকে বিচ্ছিন্ন করা যাবে। দারিদ্র্যমুক্ত ও উন্নত বাংলাদেশ গড়তে উন্নয়নের সড়ক থেকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিতে জঙ্গিবাদ প্রধান ভূমিকা রাখবে মনে করে জঙ্গিবাদের বিস্তার রাজনৈতিক লক্ষ্যে পরিণত হয়। গত ১৪ মাসে ছোট বড় মিলে ৪০টি হামলা হয়। দেশের মানুষ হামলা আতঙ্কে ভুগতে থাকে, সাধারণ জীবনযাত্রায় অনেক ব্যাঘাত ঘটতে থাকে। মানুষের মুক্তচিন্তা ও সংস্কৃতি চর্চার স্বাধীনতা ক্ষুণ্ন হয় মারাত্মকভাবে। বিদেশিরা নিরাপত্তার অভাবকে বড় করে দেখে অনেক কার্যক্রম বাতিল ও সংকুচিত করে আতঙ্ককে দীর্ঘ করতে থাকে। জাপানিরা দেশ ছেড়ে চলে যায়, থেমে যায় ঢাকা মেট্রো রেলের কাজ। বিদেশিরা নিরাপত্তার জন্য অতিরিক্ত নিরাপত্তার চাপ সৃষ্টি করে।

ইউরোপ-আমেরিকায় জঙ্গি হামলা নৈমিত্তিক হলেও বাংলাদেশের হামলাগুলোকে ভূ-রাজনৈতিক কারণে তারা সব সময় অন্য চোখে দেখে। জঙ্গি অধ্যুষিত দেশ হিসেবে চিহ্নিত করার জন্য ইরাক-সিরিয়া ভিত্তিক জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেটের সঙ্গে সম্পৃক্ততা খুঁজে পেতে কিছুটা হণ্যে হয়ে ওঠে। অত্যন্ত দক্ষতা ও দৃঢ়তার সঙ্গে বহুমুখি চাপ সামাল দিয়েছেন প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা। জঙ্গি বিরোধী নীতির স্বচ্ছতা ও শক্ত প্রয়োগ এবং জন সম্পৃক্ততা ও রাজনৈতিক প্রত্যয়ের কারণে জঙ্গি দমনে অতি স্বল্প সময়ে সাফল্য অর্জিত হয়েছে। সেটাও অবাক করেছে বিশ্বকে। নব্য জেএমবি নামের সংগঠনটি বেশ অনেকদিন ধরেই গোপনে বেড়ে উঠেছিল। নতুন সাজ ও নতুন কৌশল নিয়ে এগিয়ে চলা সংগঠনটি অনেকগুলো হামলা চালাতে সমর্থ হয়। গুলশান, শোলাকিয়া, কল্যাণপুর, নারায়ণগঞ্জ, মিরপুর, গাজীপুরসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে জঙ্গি আস্তানা গুঁড়িয়ে দেয় পুলিশ। নেতৃত্ব চিহ্নিত হয়, নেটওয়ার্ক উন্মোচন হয় এবং অসাধারণ ক্ষতির মুখে ছিন্ন-ভিন্ন হয়ে পড়ে। জঙ্গি হামলার আশঙ্কা দ্রুতগতিতে কমে গিয়ে জন মনে শংকা দূর হয়, বিদেশিরাও স্বস্তি ফেরত পায়। ত্বরিত জঙ্গি দমন বিশ্ব নেতাদের আরেকটি বিস্ময়ের জন্ম দেয়। গোয়াতে অনুষ্ঠিত ব্রিকস ও বিমসটেক আউটরিচ শীর্ষ সম্মেলনের সাইড লাইনে হাসিনা-মোদি বৈঠকের সময় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে জানতে চেয়েছিলেন কি করে জঙ্গি দমন সম্ভব করলেন। জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে শূন্য সহিষ্ণু নীতি বাংলাদেশ গোড়া থেকেই অনুসরণ করে আসছিল এবং বাংলাদেশের মাটি ব্যবহার করতে না দেবার দৃঢ় অঙ্গীকার নিয়ে কাজ করেছে। বাংলাদেশ নিজ মাটি থেকে বিচ্ছিন্নতাবাদিদের তাড়িয়েছে অনেক আগেই। ফলে আস্থা ও বিশ্বাসের পরিবেশ তৈরি হয়েছে অঞ্চল জুড়েই।

গত সপ্তাহে ঢাকায় আওয়ামী লীগের ২০তম জাতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হলো। জাঁকজমক এবং উত্সব মুখর পরিবেশে বিশ্বের ১০টি দেশ থেকে ৫৫ জন রাজনৈতিক তাদের দলের প্রতিনিধি হয়ে সম্মেলনে যোগ দেয়। সবার মুখে ছিল বাংলাদেশের উন্নয়নের অভাবনীয় প্রশংসা। জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের সাফল্যের জয়জয়কার। জাতির আকাঙ্ক্ষা পূরণে দলের কৌশল ও নীতি গ্রহণে বঙ্গবন্ধুর পদাঙ্ক অনুসরণ করে জনমানুষের প্রত্যাশাকে রাজনৈতিক দলের কর্মসূচিতে অন্তর্ভুক্ত করে এগিয়ে চলার প্রত্যয় নতুন নজীর সৃষ্টি করল। সম্মেলন থেকে জঙ্গিবাদ দমনে রাজনৈতিক প্রত্যয়কে মজবুত ভিত্তি দেওয়া হলো। উন্নয়নের প্রধান প্রতিবন্ধক হিসেবে জঙ্গিবাদকে চিহ্নিত করে নেতাকর্মীদের জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান রাখা হয়েছে।

রাজনীতির সঙ্গে জঙ্গিবাদের সম্পৃক্ততা জননিরাপত্তায় ঝুঁকি যোগ করেছে। রাষ্ট্রযন্ত্র ও রাজনৈতিক দলের পৃষ্ঠপোষকতা থেকে জঙ্গিবাদ বেড়ে ওঠার দৃষ্টান্তগুলো ক্রমেই জ্বলন্ত হয়ে উঠেছে। উপমহাদেশে পাকিস্তান জঙ্গিবাদের আঁতুড় ঘরে পরিণত হয়েছে। সরকার ও রাজনৈতিক দলের গোপন ও প্রকাশ্য পৃষ্ঠপোষকতা সবচেয়ে বেশি দায়ী। পাকিস্তানের সাবেক পররাষ্ট্র মন্ত্রী হিনা খান পাকিস্তানি সামরিক বাহিনীকে সরাসরি দুষেছেন। পাকিস্তানের রাজনৈতিক দলগুলো জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে নিজেদের সুস্পষ্ট নীতি গ্রহণে ব্যর্থ হয়েছে। সামরিক বাহিনী নিজেদের কর্তৃত্ব ধরে রাখতে জঙ্গিবাদকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে অবলীলায়। ভারত ও আফগানিস্তানের ভেতরে হামলা চালিয়ে সস্তা জনসমর্থন ধরে রাখার চেষ্টা চালিয়েও নিজেদেরকে জঙ্গি হামলা থেকে মুক্ত রাখতে ব্যর্থ হয়েছে। কোয়েটার পুলিশ একাডেমি সর্বশেষ জঙ্গি হামলার শিকার হয়েছে এবং ৬১ জনের জীবনহানি ঘটেছে।

জঙ্গিবাদ দমনে সুস্পষ্ট রাজনৈতিক প্রত্যয়ের অনুপস্থিতি ও রাজনৈতিক সুরক্ষার প্রাপ্তি নিয়ে জঙ্গিবাদ বেঁচে থাকে। নিজ ভূমিতে জঙ্গি পুষে প্রতিবেশীকে ঘায়েল করার ছায়া যুদ্ধে নেমে পাকিস্তান জঙ্গি রফতানি করছে বাংলাদেশ, ভারত, আফগানিস্তানে। পাকিস্তানপুষ্ট জঙ্গিরা অহরহ হামলা করছে প্রতিবেশী দেশগুলোকে এবং বাংলাদেশকেও রেহায় দিচ্ছে না। আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতা নষ্ট করে পাকিস্তান রাষ্ট্র উন্নয়নের পথ থেকে ছিটকে গিয়ে বিফলতার দিকে ধাবিত হচ্ছে।

জঙ্গিবাদ দমন কৌশল রচনায় শক্ত ও নমনীয় পথের ভারসাম্যপূর্ণ সংমিশ্রণ খুব গুরুত্বপূর্ণ। গুলশান হামলার পরে জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষের রুখে দাঁড়ানোর নজীর বাংলাদেশকে জঙ্গিবাদ দমনে অনেক শক্তি জুগিয়েছে। শক্ত হাতে সাহসের সঙ্গে সশস্ত্র জঙ্গি নিধন জনমনে স্বস্তি এনে দিয়েছে। আওয়ামী লীগের ২০তম জাতীয় সম্মেলনে উন্নয়নের রূপকল্পের পাশাপাশি জঙ্গি দমনের সুস্পষ্ট নীতি প্রণয়ন ও গ্রহণ করে শক্তিশালী রাজনৈতিক প্রত্যয় সৃষ্টি করেছে। যা নিঃসন্দেহে অন্যান্য রাজনৈতিক দল ও উপমহাদেশের রাষ্ট্রগুলোর জন্য অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত হয়েই থাকবে। মৌলবাদী মতাদর্শের ক্ষেত্রকে রাজনৈতিক পুঁজি করে ধর্ম রক্ষার নামে জনসমর্থন আদায়ের কৌশল নিয়ে ধর্মীয় জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে অবস্থান সুস্পষ্ট করা দুষ্কর। নীতি ও অবস্থানের দোদুল্যমানতা নিয়ে জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করে সফল হওয়া যায় না। এবারের সম্মেলনে জঙ্গি দমন দলের রাজনৈতিক লক্ষ্য হিসেবে রূপ পেয়েছে যা জঙ্গি নির্মূলে নতুন অবদান রাখবে।

বাংলাদেশের জঙ্গিবাদ অভ্যন্তরীণ রাজনীতিকে প্রভাবিত করার হাতিয়ার হিসেবে গণ্য হয়ে এসেছে। বৈশ্বিক জঙ্গিবাদের প্রভাবকে অনুঘটক হিসেবে কাজে লাগিয়েছে। দেশের গণতান্ত্রিক ধারাকে দানবীয় শক্তি দিয়ে ‘ভয় দিয়ে জয়’ করার কৌশল বারে বারে অসফল হলেও জঙ্গিবাদের পৃষ্ঠপোষকতা ও রাজনৈতিক সুরক্ষার রাস্তা ধরে চলা বন্ধ হয়নি। জন নিরাপত্তার ঝুঁকি কমাতে হলে সব রাজনৈতিক দলকে জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে অবস্থান সুস্পষ্ট করতে হবে এবং জঙ্গি দমনের দলীয় কৌশল জনগণের সামনে স্বচ্ছভাবে উন্মুক্ত করেই জনসমর্থনের পাল্লা ভারী করায় প্রয়াসী হতে হবে। রাজনৈতিক লক্ষ্য অর্জনের উপায় হিসেবে জঙ্গিবাদকে ব্যবহার না করে জঙ্গি দমনকে রাজনৈতিক লক্ষ্য বানাতে হবে তাহলে জঙ্গি নির্মূল সম্ভব।
সূত্র

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ০১ লা নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ৯:১০

সজীব মোহন্ত বলেছেন: কোন লাভ নাই, পরবর্তী জঙ্গি ঘাটি হতে যাচ্ছে বাংলাদেশ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.