নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

যাহা বলিব সত্য বলিব

আল্লাহ মহান, যাহা বলিব সত্য বলিব।

তালপাতারসেপাই

লিন্ক সহ পোষ্টের বাহবা/দায়, মূল লেখকের।

তালপাতারসেপাই › বিস্তারিত পোস্টঃ

মীর কাশেমের রয়েল ডেনিম কোম্পানির হাতবদল রহস্যজনক

১৩ ই নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ৮:৩৮


মুক্তিযুদ্ধের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার বানচাল করতে এবং নিজে বিচার এড়াতে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যসহ বিভিন্ন দেশে প্রভাবশালী লবিস্টদের পেছনে হাজার কোটি টাকা ঢেলেছিলেন ফাঁসিতে দ-িত মীর কাশেম আলী। ওই সময়ে অর্থ যোগাতে বেশ কিছু কোম্পানি বিক্রি করেছেন তার ভাই মীর হাসান আলী। আর এসব সম্পত্তি কিনে পরোক্ষভাবে যুদ্ধাপরাধীদেরই আর্থিক সহায়তা দিয়েছেন দেশের কয়েকজন ব্যবসায়ী। এর মধ্যে কুমিল্লা ইপিজেডে অবস্থিত রয়েল ডেনিম লিমিটেডের শেয়ার বিক্রি করেন হাসান আলী। কোম্পানিটির নামে ইসলামী ব্যাংক থেকে বড় অঙ্কের ঋণ নিয়ে এবং প্লেসমেন্ট শেয়ার দেয়ার নামে বিপুল পরিমাণ অর্থ উত্তোলন করা হয়।

জানা গেছে, ২০১০ সালের প্রথমার্ধ থেকে ২০১২ সালের ১৭ জুন গ্রেফতার হওয়ার আগ পর্যন্ত এই বিপুল পরিমাণ অর্থ ঢেলেছেন মীর কাশেম আলী। সবচেয়ে বেশি অর্থ দিয়েছেন তিনি যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবশালী কনসালট্যান্সি ফার্ম কেসিডি এ্যান্ড এ্যাসোসিয়েটসকে। ফার্মটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান হলেন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক কংগ্রেসম্যান মার্টি রুশো। জামায়াতের কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ ও কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদের সদস্য মীর কাশেম আলী ২০১০ সালের ১০ মে প্রথম ছয় মাসের জন্য কেসিডির সঙ্গে চুক্তি করেছিলেন। ওই চুক্তির শর্ত অনুযায়ী ২৫ মিলিয়ন ডলার (বাংলাদেশী মুদ্রায় প্রায় ১৮২ কোটি টাকা) অগ্রিম পরিশোধ করতে হয়েছিল তাকে।

সূত্রে জানা গেছে, ২০১৪ সালে যখন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে তাকে মৃত্যুদ- দেয়া হয় তখন থেকেই নামে-বেনামে থাকা কিছু সম্পত্তি বিক্রি করেন মীর কাশেম। এর মধ্যে রয়েল ডেনিম নামে একটি কোম্পানির চেয়ারম্যান ছিলেন মীর কাশেম। ওই কোম্পানির পরিচালক করেছিলেন তার ভাই মীর হাসান আলীকে। কুমিল্লা ইপিজেডে অবস্থিত রয়েল ডেনিম লিমিটেডের চেয়ারম্যান থাকলেও মীর হাসান আলী ২০১৪ সালে তার শেয়ার বিক্রি করে দেন। ওই বছরের জুন মাসে তার স্থলে চেয়ারম্যান হন ভিওএসডি নামের একটি এনজিওর চেয়ারম্যান এ এম সাইদুর রহমান। একই এনজিওর নির্বাহী পরিচালক একেএম মোস্তাফিজুর রহমানও রয়েল ডেনিমের পরিচালক হন। কিন্তু কিভাবে এই কোম্পানির শেয়ার হাতবদল হয়েছে তা অনেকটাই রহস্যজনক। এ বিষয়ে জানতে চাইলে একেএম মোস্তাফিজুর রহমানকে ফোন করা হলে তিনি কোন উত্তর দেননি। পরে এএম সাইদুর রহমানের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনিও বিষয়টি এড়িয়ে যান।

রয়েল ডেনিমের শেয়ার কেনার সময় কিভাবে তার দাম পরিশোধ করেছেন সেটাও রহস্যজনক। এছাড়া রয়েল ডেনিমের বিরুদ্ধে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তির আগেই প্লেসমেন্ট শেয়ার দেয়ার নামে অনেক মানুষের কাছ থেকে টাকা নেয়া হয়। পরবর্তী সময়ে রয়েল ডেনিমের আইপিও অনুমোদন না দেয়ায় যারা রিপ্লেসমেন্ট শেয়ার পাওয়ার জন্য টাকা দিয়েছিলেন তারা পড়েছেন বিপাকে। পরে ফার্স্ট সিকিউরিটিজ এ্যান্ড সার্ভিস লিমিটেডকে জরিমানা করে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (এসইসি)। জানা গেছে, মীর কাশেম আলীর প্রভাবের কারণেই রয়েল ডেনিম ইসলামী ব্যাংক থেকে ঋণ নেয়। কিন্তু ঋণ পরিশোধে অনিয়ম এবং সময়মতো ঋণের কিস্তি পরিশোধ না করায় সেই ঋণ এখন খেলাপী ঋণে পরিণত হয়েছে।
সুত্র

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.