নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

যাহা বলিব সত্য বলিব

আল্লাহ মহান, যাহা বলিব সত্য বলিব।

তালপাতারসেপাই

লিন্ক সহ পোষ্টের বাহবা/দায়, মূল লেখকের।

তালপাতারসেপাই › বিস্তারিত পোস্টঃ

১৫ হাজার মেগাওয়াটের মাইলফলকে দেশ

০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ ভোর ৬:২৩


আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে মহাজোট ২০০৯ সালের জানুয়ারি মাসে সরকার গঠন করে। তখন দেশের বিদ্যুৎ উৎপাদনের ক্ষমতা ছিল তিন হাজার থেকে তিন হাজার ৪০০ মেগাওয়াট।

রাজধানী ঢাকাসহ বড় শহরগুলোতে প্রায়ই দিনের বেলায় বিদ্যুৎ থাকত না, রাতের অবস্থা ছিল আরো খারাপ।
সাড়ে সাত বছরে উৎপাদনক্ষমতা প্রায় চার গুণ বেড়ে ১৫ হাজার মেগাওয়াট ছাড়িয়েছে। এর সুফল শুধু ঢাকা বা বড় শহরগুলোই পায়নি, দেশের ৭৫ শতাংশ মানুষ এখন বিদ্যুৎ পাচ্ছে। সরকারের লক্ষ্য ২০২১ সালের মধ্যে শতভাগ মানুষকে বিদ্যুত্সুবিধা দেওয়া।

১৫ হাজার মেগাওয়াট উৎপাদনক্ষমতা অর্জনকে সরকার ঘটা করে উদ্যাপন করতে চায়। আগামী ৭ থেকে ১০ ডিসেম্বর রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় (আইসিসিবি) ‘বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সপ্তাহ ২০১৬’-এর আয়োজন করা হয়েছে। ৭ ডিসেম্বর সকালে চার দিনব্যাপী এ আয়োজনের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেদিন সন্ধ্যায় জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় বিদ্যুৎ বিভাগ আলোক উৎসবের আয়োজন করেছে। প্রধানমন্ত্রী ওই উৎসবেরও উদ্বোধন করবেন।

যেখান থেকে শুরু

বছর আটেক আগে দিনে গড়ে ১৫ ঘণ্টা লোডশেডিং হতো। বিদ্যুৎ মাঝেমধ্যে আসত। মহাজোট সরকার ক্ষমতাসীন হওয়ার পরই প্রধানমন্ত্রী এবং বিদ্যুৎ ও জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী শেখ হাসিনা বিদ্যুৎ সংকটের সমাধানের নির্দেশ দেন। অতঃপর তিন ধরনের পরিকল্পনা করা হয়। স্বল্প মেয়াদে ক্র্যাশ প্রোগ্রামের মাধ্যমে দ্রুত বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়ানো, মধ্যমেয়াদে মাঝারি ধরনের বিদ্যুেকন্দ্র নির্মাণ ও দীর্ঘ মেয়াদে বড় বিদ্যুেকন্দ্র নির্মাণের পরিকল্পনা করা হয়। দ্রুত বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়াতে বড় জটিলতা হলো দরপত্র আহ্বান করে

কেন্দ্র নির্মাণ করা। তাই সরকার দরপত্র ছাড়াই কেন্দ্র নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেয়। সংসদে পাস করা হয় দ্রুত বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সরবরাহ আইন। এর আওতায় তিন বছরের মধ্যে অনেক নতুন বিদ্যুেকন্দ্র নির্মাণ করা হয়।

সূত্র জানায়, সরকারের বিদ্যুেকন্দ্রগুলোর উৎপাদনক্ষমতা ১৩ হাজার মেগাওয়াট। কিছু কেন্দ্রের ক্ষমতা কমে যাওয়ায় এখন ১২ হাজার ৪০৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়। ভারত থেকে আসছে ৬০০ মেগাওয়াট। দেশি শিল্প উদ্যোক্তাদের কাছ থেকে পাওয়া যাচ্ছে ক্যাপটিভ পাওয়ার। সব মিলিয়ে উৎপাদনক্ষমতা ১৫ হাজার মেগাওয়াট ছাড়িয়েছে।

শিল্পে নিরবচ্ছিন্নভাবে বিদ্যুৎ দিতে উদ্যোক্তাদের গ্যাস সরবরাহ করা হয়। এ কারণেই সরকার তাদের কাছ থেকে ‘ক্যাপটিভ পাওয়ার’ জাতীয় গ্রিডে সরবরাহের ব্যবস্থা করেছে। এ ব্যবস্থা দেশে এই প্রথম। এর পরিমাণ দুই হাজার ২০০ মেগাওয়াট।

প্রতিবছর বাড়ছে উৎপাদন

বিদ্যুৎ বিভাগ সূত্র জানায়, প্রতিবছর বাড়ছে বিদ্যুৎ উৎপাদনক্ষমতা। ২০১৩ সালে ১০ হাজার মেগাওয়াট উৎপাদনক্ষমতা অর্জনকে উদ্যাপন করে সরকার। গত তিন বছরে আরো প্রায় তিন হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হয়েছে। ২০১৪ সালে ৬৩৫ মেগাওয়াট, ২০১৫ সালে এক হাজার ৩৭৫ মেগাওয়াট, আর চলতি বছর এখন পর্যন্ত উৎপাদনে এসেছে ৯২৭ মেগাওয়াটের বিদ্যুেকন্দ্র। বেশির ভাগই গ্যাসচালিত বিদ্যুেকন্দ্র। তিন বছরে ছয়টি কেন্দ্র উৎপাদনে এসেছে। এগুলো হলো হরিপুর-৪১২ মেগাওয়াট, ভোলা-২২২ মেগাওয়াট, আশুগঞ্জ-৩৬০ মেগাওয়াট ও ২২৫ মেগাওয়াট, বিবিয়ানা-৩৩৫ মেগাওয়াট এবং শাহজিবাজার-২২০ মেগাওয়াট। এ সময়ে আরো কয়েকটি তেলচালিত ছোট বিদ্যুেকন্দ্র নির্মাণ করা হয়েছে।

বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের এক কর্মকর্তা জানান, মধ্যমেয়াদি পরিকল্পনা বাস্তবায়নের মাধ্যমে এসব কেন্দ্র নির্মাণ করা হয়েছে। এর আওতায় আগামী বছরের মাঝামাঝি আরো কয়েকটি কেন্দ্র উৎপাদনে আসবে। এগুলো হলো বড়পুকুরিয়া-৩৬৫ মেগাওয়াট, ঘোড়াশাল-২৭৫ মেগাওয়াট ও সিরাজগঞ্জ-৪১২ মেগাওয়াট বিদ্যুেকন্দ্র।

সরকার বড় বিদ্যুেকন্দ্র নির্মাণের উদ্যোগও নিয়েছে। এসবের মধ্যে দুই হাজার ৪০০ মেগাওয়াটের একটি পরমাণু বিদ্যুেকন্দ্র এবং মোট ছয় হাজার মেগাওয়াটের কয়েকটি কয়লাভিত্তিক বিদ্যুেকন্দ্র রয়েছে। কয়লাভিত্তিক কেন্দ্রগুলোর মধ্যে পায়রা বিদ্যুেকন্দ্রের নির্মাণকাজ শুরু হয়েছে। অন্যগুলোর কাজ খুব শিগগির শুরু হবে।

বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মকর্তারা জানান, প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বড় ও মাঝারি বিদ্যুেকন্দ্র নির্মাণের অগ্রগতি নিয়ে প্রতি মাসেই সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। তিনি এসব প্রকল্পের অগ্রগতির খোঁজখবর রাখেন।

জানা গেছে, সরকার ২০২১ সালের মধ্যে ২৪ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের ক্ষমতা অর্জন করতে চায়। আর ২০৩০ সালের মধ্যে এ ক্ষমতা ৪০ হাজার মেগাওয়াটে উন্নীত করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।

শুধু উৎপাদন বাড়ানোই নয়, নিরবচ্ছিন্নভাবে সারা দেশে বিদ্যুৎ পৌঁছে দিতে সঞ্চালন ব্যবস্থার ওপরও জোর দিয়েছে সরকার। ইতিমধ্যে পাওয়ার গ্রিড কম্পানি অব বাংলাদেশের (পিজিসিবি) অধীনে প্রায় ১৩ হাজার কোটি টাকার বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। এসবের কাজ ২০২১ সালের মধ্যে শেষ হবে। প্রায় ছয় হাজার কিলোমিটার সঞ্চালন লাইন ও এক লাখ কিলোমিটার বিতরণ লাইন স্থাপন করা হবে। প্রয়োজনীয় উপকেন্দ্র নির্মাণ ও সক্ষমতা বাড়ানো হবে।

প্রতিদিন নতুন এলাকায় বিদ্যুৎ

২০২১ সালের মধ্যে সব মানুষকে বিদ্যুতের আওতায় আনার পরিকল্পনা করেছে সরকার। এ জন্য বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থার বিস্তৃতির জন্য পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডকে (আরইবি) নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের মতে, ২০১৮ সালের মধ্যেই সব মানুষকে বিদ্যুতের আওতায় আনা সম্ভব হবে। এখন ৭৫ শতাংশ মানুষ বিদ্যুতের আওতায় রয়েছে।

আন্তর্জাতিক বাজারে নজর

সরকার দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে জ্বালানি বিনিময় ও পরস্পরের সম্পদ ব্যবহার নিশ্চিত করার চেষ্টা চালাচ্ছে। কিছু দূর অগ্রসর হওয়াও সম্ভব হয়েছে। সংশ্লিষ্ট দেশগুলো জ্বালানি সংকট সমাধানে পারস্পরিক সহায়তা বাড়িয়েছে। সার্কের আওতায় এ-সংক্রান্ত একটি ফ্রেমওয়ার্ক স্বাক্ষরিত হয়েছে। সেই ফ্রেমওয়ার্ক অনুযায়ী ভারত থেকে ৬০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি করা হচ্ছে। আগামী বছরের শেষ নাগাদ ভারত থেকে আরো ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি শুরু হবে। ২০১৭ সালের জুনের মধ্যে আরো ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি করা হবে সে দেশ থেকে। ভুটানের জলবিদ্যুৎ প্রকল্পে বিনিয়োগ করার সিদ্ধান্তও নিয়েছে বাংলাদেশ। ভারত হয়ে এ বিদ্যুৎ আসবে বাংলাদেশে।

বিদ্যুৎ বিভাগ সূত্র জানিয়েছে, দক্ষিণ এশিয়ায় অভিন্ন বিদ্যুৎ নেটওয়ার্ক স্থাপন করে ২০২১ সালের মধ্যে আরো ছয় হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি করবে বাংলাদেশ।সূত্র

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ ভোর ৬:৩৮

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ এই জাতীয় গুরুত্বপুর্ণ তথ্য অামাদেরকে অবহিত করার জন্য ।

২| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ৭:২১

আবু মুছা আল আজাদ বলেছেন: ভাল লাগল তথ্যপূর্ণ ও আশাজাগানিয়া পোস্ট।

৩| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ৮:২৩

চাঁদগাজী বলেছেন:




আওয়ামী লীগের লোকজন হয়তো বাপ-মায়ের ভিটামাটি সব বিক্রয় করে দিয়েছে আমাদের জন্য বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে!

৪| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ ভোর ৬:৪৪

নিয়াম বলেছেন: উৎপাদন এবং উন্নয়ন! জনগণের ভাগ্যে ডাবল মারা। সরকারদলীয় ব্যবসায়ীদের কুইক রেন্টালে কম মূল্যে জ্বালানি দিয়ে উৎপাদিত বিদ্যুৎ দ্বিগুণ দামে ক্রয় করে দ্বিগুন মূল্যে জনগণের কাছে বিক্রি করে উন্নয়নের বিশাল বাঁশ জনগণের পাছায় দেয়া হচ্ছে। জনগণের জন্য উন্নয়ন সহনশীল মলম তৈরি করে এমন উন্নয়নের বৃত্তান্ত বেশি বেশি প্রচার করলে অন্তত আমার আপত্তি নেই। এখন আমাকে উন্নয়ন বিরোধী ষড়যন্ত্রকারী বললেও আপত্তি নেই :D

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.