নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
লিন্ক সহ পোষ্টের বাহবা/দায়, মূল লেখকের।
২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা বা ঝউএং অর্জনের জন্য যে ১৭টি লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে, তার মধ্যে ৩ নম্বরটি সরাসরি স্বাস্থ্যখাত বিষয়ক। এছাড়া এসডিজির অন্য ১১টি লক্ষ্যের সঙ্গেও কমবেশি স্বাস্থ্যখাতের সম্পর্ক রয়েছে। এসব লক্ষ্য বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে ‘সুস্থ জাতি, সমৃদ্ধ দেশ’ গড়া সম্ভব হবে বলে বিশ্ব নেতৃত্ব বিশ্বাস করেন। সে অনুযায়ী বাংলাদেশও টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে বিভিন্ন পরিকল্পনা ও পদক্ষেপ নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। এই ধারাবাহিকতায়, এসডিজি বাস্তবায়ন সংক্রান্ত স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের পরিকল্পনায় ৬টি কৌশলগত অভিলক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। এগুলো হচ্ছে; আইন, বিধি ও নীতিমালা শক্তিশালী করা, সার্বজনীন স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা, সংক্রামক ও অসক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম জোরদার করা, পরিবার পরিকল্পনা সেবার বিস্তার, মানবসম্পদ উন্নয়ন এবং মা ও শিশুর স্বাস্থ্য ও পুষ্টির উন্নয়ন। ‘সবার জন্য সাধ্যের নাগালে মানসম্পন্ন স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা সেবা’ নিশ্চিত করার ওই মিশনে ৪৪টি কার্যক্রম ও ৫২টি পারফরমেন্স ইন্ডিকেটরও নির্ধারণ করা হয়েছে। কিন্তু এ দেশের প্রায় ১ কোটি ৫০ লাখ বা তারও বেশি প্রতিবন্ধীদের নিয়ে বিশেষ কোনো পরিকল্পনা নেই সেখানে। ফলে বিশাল প্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠীকে সঠিক ও বিশেষায়িত স্বাস্থ্যসেবার আওতায় না এনে সার্বজনীন স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা ও এর মধ্য দিয়ে টেকসই উন্নয়নের লক্ষমাত্রা অর্জন কীভাবে সম্ভব – এ নিয়ে প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে।
আমরা জানি যে, আর দশটা সাধারণ মানুষের চিকিৎসা ও প্রাসঙ্গিক সেবার সঙ্গে প্রতিবন্ধীদের চিকিৎসা ও সেবার বিষয়টি এক করে দেখার কোনো সুযোগ নেই। কেননা, প্রতিবন্ধিতা সুনির্দিষ্ট কোনো চিকিৎসাগত নির্ণয় নয়। যেমন: স্পাইনাল কর্ড ইনজুরি, শ্রবণ, দৃষ্টি বা বুদ্ধিগত সমস্যা ইত্যাদি। প্রতিবন্ধিতা হচ্ছে ব্যক্তির স্বাস্থ্যগত ক্ষতি বা অবনতির কারণে তার বয়স উপযোগী দৈনন্দিন কাজ বা জীবনযাপন প্রক্রিয়ায় স্বাভাবিকভাবে অংশগ্রহণ করতে না পারা। ফলে প্রতিবন্ধীদের জন্য উপযুক্ত হাসপাতাল পরিবেশ, চিকিৎসা পদ্ধতি, চিকিৎসকের দৃষ্টিভঙ্গি, পরীক্ষা-নিরীক্ষা, সেবা ও ওষুধের প্রাপ্যতা নিশ্চিত করা বিশেষভাবে প্রয়োজন। এসব সুবিধা প্রতিবন্ধীদের জন্য কোনো করুণা নয়। বরং সংবিধান ও আইনসিদ্ধ অধিকার।
২০০৮ সালে জাতিসংঘের প্রতিবন্ধী সুরক্ষা সনদে স্বাক্ষর করে বাংলাদেশ। ২০১৩ সালে দেশে প্রতিবন্ধী ব্যক্তির অধিকার ও সুরক্ষা আইন এবং নিউরো-ডেভেলপমেন্টাল প্রতিবন্ধী সুরক্ষা ট্রাস্ট আইন প্রণয়ন করা হয়। আইনগুলোতে প্রতিবন্ধিতার সংজ্ঞা, প্রতিবন্ধিতার ধরণ, অধিকার, জাতীয় সমন্বয় কমিটিসহ বিভিন্ন কমিটির গঠন ও কার্যক্রম, প্রতিবন্ধী ব্যক্তির নিবন্ধন ও পরিচয় পত্র প্রদানসহ বিভিন্ন বিষয়ে সুস্পষ্ট দিক নির্দেশনা দেয়া হয়। কিন্তু এখন পর্যন্ত সেগুলোর যথাযথ বাস্তবায়ন ঘটেনি। প্রতিবন্ধীদের নিয়ে মাঠ পর্যায়ের অনেক উদ্যোগ নজরদারির অভাবে চলছে ঢিমেতালে। প্রতিবন্ধী সুরক্ষা আইন ২০১৩ বাস্তবায়নে ২৭ সদস্য বিশিষ্ট একটি জাতীয় সমন্বয় কমিটি গঠন করা হয়েছিলো। কিন্তু ওই কমিটির কার্যক্রমও খুব একটা দৃশ্যমান নয়। সঙ্গতকারণে এসডিজি অর্জনের পথে এসব চ্যালেঞ্জ নিয়েও আমাদের ভাবতে হবে।
আইন অনুযায়ী ১২ ধরণের মানুষকে প্রতিবন্ধী হিসেবে বিবেচনা করা হয়। ধরণগুলো হচ্ছে: (১) অটিজম বা অটিজম স্পেকট্রাম ডিজঅর্ডারস (২) শারীরিক প্রতিবন্ধিতা (৩) মানসিক অসুস্থতাজনিত প্রতিবন্ধিতা (৪) দৃষ্টি প্রতিবন্ধিতা (৫) বাক্ প্রতিবন্ধিতা (৬) বুদ্ধি প্রতিবন্ধিতা (৭) শ্রবণ প্রতিবন্ধিতা (৮) শ্রবণ-দৃষ্টিপ্রতিবন্ধিতা (৯) সেরিব্রাল পালসি (১০) ডাউন সিনড্রোম (১১) বহুমাত্রিক প্রতিবন্ধিতা (১২) অন্যান্য প্রতিবন্ধিতা।
এসব মানুষের অধিকারগুলোও সুনির্দিষ্ট করে দেয়া হয় আইনের ১৬ ধারায়। আজকে আমাদের আলোচনায় প্রতিবন্ধীদের স্বাস্থ্যসেবার দিকেই কেবল দৃষ্টি দিতে চাই। আইনের ১৬ ধারার ১ এর (ক) এ প্রতিবন্ধীদের পূর্ণমাত্রায় বেঁচে থাকা ও বিকশিত হওয়ার অধিকারের কথা বলা হয়েছে। (চ) এ প্রবেশগম্যতা ও (ঠ) এ প্রাপ্যতা সাপেক্ষে, সর্বাধিক মানের স্বাস্থ্যসেবা প্রাপ্তির কথা উল্লেখ রয়েছে। অন্যদিকে গণস্থাপনায় প্রতিবন্ধী ব্যক্তির প্রবেশগম্যতা নিশ্চিত করতে আইনের ৩৪ ধারায় বলা হয়েছে, সর্বসাধারণ গমন করে এইরূপ বিদ্যমান সকল গণস্থাপনা, ‘এই আইন কার্যকর হইবার পর, যথাশীঘ্র ও যতদূর সম্ভব, প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের আরোহন, চলাচল ও ব্যবহার উপযোগী করিতে হইবে।’ এখানে গণস্থাপনা বলতে সর্বসাধারণ চলাচল করে এমন সব সরকারি ও বেসরকারি ইমারত বা ভবন, পার্ক, স্টেশন, বন্দর, টার্মিনাল ও সড়ককে বোঝানো হয়েছে। ভবন নির্মাণের ক্ষেত্রে বিল্ডিং কন্সট্রাকশন এ্যাক্ট ১৯৫২ ও এর অধীনে প্রণীত বিধিমালা (২০০৮ সালের বিল্ডিং কোড) অনুসরণের কথা বলা হয়েছে ওই ধারায়।
কিন্তু বাস্তবতা হলো, সরকারি-বেসরকারি সমস্ত স্থাপনায় প্রতিবন্ধীদের সহজ যাতায়াত সুবিধা তো দূরের কথা, হাসপাতালগুলোতে প্রতিবন্ধীদের প্রবেশগম্যতাও এখন পর্যন্ত নিশ্চিত করা যায়নি। ফলে স্বাস্থসেবা নিতে গিয়ে চলাফেরায় নানা সমস্যায় পড়তে হয় প্রতিবন্ধীদের। হাসপাতাল ভবনে প্রতিবন্ধীদের উপযুক্ত টয়লেটের ব্যবস্থা নেই। সেবা দেয়ার জন্য, তাদের ‘ইশারা’ ভাষা বোঝার জন্য, পেশাদার ও প্রশিক্ষিত স্বাস্থ্যকর্মী ও চিকিৎসক নেই। কয়েকটি হাসপাতাল ছাড়া অন্যসব হাসপাতালে প্রতিবন্ধীদের জন্য সংরক্ষিত বিছানা নেই। নেই পর্যাপ্ত ওষুধ প্রাপ্তি ও পরীক্ষা-নিরীক্ষার সুযোগ। কোনো কোনো হাসপাতালে প্রতিবন্ধীদের প্রবেশগম্যতা নিশ্চিত করতে র্যাম্প বা ঢালু সিঁড়ি নির্মাণ করা হলেও তা মূলত ট্রলি চলাচলের চিন্তা মাথায় রেখে করা হয়েছে।
আমাদের দেশে দুর্যোগ, দুর্ঘটনা, সহিংসতা ও জালবায়ু পরিবর্তনের কারণে প্রতিবন্ধিতা বাড়ছে। অথচ প্রতিবন্ধীদের নিয়ে স্বাভাবিক সময়ের কিংবা দুর্যোগকালের কোনো উপাত্ত নেই সরকারের কাছে। দুর্যোগে ও দুর্ঘটনায় প্রতিবন্ধী ব্যক্তিরা সমস্যায় পড়েন বেশি মাত্রায়। প্রতিবন্ধীদের নিয়ে গুরুত্ব দিয়ে সুদূর প্রসারী ও সমন্বিত পরিকল্পনার অভাব রয়েছে। রয়েছে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের বিশেষায়িত সেবা প্রদানকারী সংস্থার অভাব। প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের স্বাস্থ্য, প্রতিবন্ধিতা প্রতিরোধ ও প্রতিকার ইস্যু এখনও প্রাথমিক স্বাস্থ্য সেবায় অন্তর্ভুক্ত হয়নি। মানসিক অসুস্থ ব্যক্তিদের চিকিৎসার জন্য পর্যাপ্ত সেবাকেন্দ্র না থাকার কারণে অনেকে স্থায়ীভাবে প্রতিবন্ধী হয়ে যাচ্ছেন।
প্রতিবন্ধীদের দূরবস্থার এসব চিত্র গণমাধ্যমেও ঠিক মতো প্রতিফলিত হতে দেখা যায় না। দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে শুরু করে নগরজীবনে প্রতিবন্ধীদের নানা দুর্ভোগ, স্বাস্থ্যকেন্দ্রে সুযোগ সুবিধার অভাব, বঞ্ছনা, অনিয়ম ইত্যাদি নিয়ে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হলে তা নীতিনির্ধারকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করবে। প্রতিবন্ধীদের অধিকার প্রতিষ্ঠা ও কল্যাণে জনসচেতনতা গড়তেও গণমাধ্যমের বিশেষ ভূমিকা রয়েছে। গণমাধ্যমের এই অংশগ্রহণ দেশকে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের দিকে এগিয়ে নিতে সহায়ক হবে।
এটা ঠিক যে, প্রতিবন্ধীদের নিয়ে সরকার গত কয়েক বছরে বেশ কিছু উদ্যোগ গ্রহণ করছে। অনেক বেসরকারি সংস্থাও এ নিয়ে কাজ করছে। নিউরো ডেভেলপমেন্ট ডিজঅর্ডার অব অটিজম বিষয়ে যুগান্তকারী অবদানের জন্য বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা কর্তৃক সাউথ ইস্ট এশিয়ান রিজিয়ন এওয়ার্ড ফর এক্সেলেন্স ইন পাবলিক হেলথ পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কন্যা সায়মা হোসেন পুতুল। এবার বাজেটে ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে প্রতিবন্ধীদের উন্নয়নের জন্য। ট্রেন, বাস, লঞ্চ, স্টীমারে বিশেষ সুবিধা সৃষ্টি, প্রতিবন্ধীদের ব্যবহার উপযোগী টয়লেট নির্মাণ ও সরকারী বিল্ডিংগুলো প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের চলাচলের উপযোগী করে গড়ে তোলার কাজে এই বাজেট খরচ করা হবে বলে অর্থমন্ত্রী তার বাজেট বক্তৃতায় উল্লেখ করেছেন। কিন্তু সামগ্রিক বিচারে এই বাজেট বরাদ্দ যে নগন্য, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
বেসরকারি সেচ্ছাসেবী উন্নয়ন সংস্থার মধ্যে ডিজএ্যাবল্ড রিহ্যাবিলিটেশন অ্যান্ড রিসার্চ এসোসিয়েশন (ডিআরআরএ) প্রতিবন্ধীদের সেবা ও অধিকার প্রতিষ্ঠায় ১৯৯৬ সাল থেকে কাজ করে আসছে। বর্তমানে সংস্থাটি মানিকগঞ্জ, সাতক্ষীরা, ঢাকা, চট্টগ্রাম ও খুলনা জেলায় সরাসরি কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে। এছাড়া ডিআরআরএ আরো ১৯টি জেলায় সহযোগী সংস্থার মাধ্যমে প্রতিবন্ধীদের স্বাস্থ্যসেবা ও পুনর্বাসনের কাজে নিয়োজিত। দাতা সংস্থা সিবিএম ও অস্ট্রেলিয়ান এইড-এর সহযোগিতায়, বাংলাদেশ সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় ও ডিআরআরএ-এর যৌথ উদ্যোগে চৎড়সড়ঃরহম ওহপষঁংরাব ঐবধষঃয ধহফ জবযধনরষরঃধঃরড়হ ঝবৎারপব ভড়ৎ ঃযব ঢ়বৎংড়হ রিঃয ফরংধনরষরঃরবং (চওঐজঝ) প্রকল্পের মাধ্যমে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের সরকারি হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা ও পুনর্বাসন সেবার পাশাপাশি অন্যান্য স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার প্রচেষ্টা চলছে। প্রকল্পের সুনির্দিষ্ট উদ্দেশ্য হলো (১) প্রতিবন্ধী ব্যক্তিরা যাতে সরকারি হাসপাতাল থেকে প্রয়োজনীয় সেবা নিতে পারেন এজন্য সরকারি হাসপাতালগুলোর সক্ষমতা বৃদ্ধি করা। (২) হাসপাতালের পরিবেশকে প্রতিবন্ধী-বান্ধব করে তোলা। প্রকল্পের কার্যক্রমের মধ্যে রয়েছে অকুপেশনাল থেরাপি, ফিজিওথেরাপি, কাউন্সেলিং, বিনামূল্যে ঔষধ বিতরণ, প্রতিবন্ধী ব্যবস্থাপনা বিষয়ক প্রশিক্ষণ প্রদান, যাদের প্রতিবন্ধী হওয়ার সম্ভাবনা আছে তাদের ক্ষেত্রে শুধু ঝুঁকি শনাক্ত করা এবং তার প্রতিরোধমূলক কাউন্সেলিং (প্রিভেনটিভ কাউন্সেলিং), সিএইচসিপি ও কমিউনিটি গ্রুপের মাধ্যমে প্রতিবন্ধী ব্যক্তি চিহ্নিত করা ও হাসপাতালে রেফার করে সেবা গ্রহণে উদ্বুদ্ধ করা ইত্যাদি। ডিআরআরএ এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের যৌথ উদ্যোগে দেশে প্রথমবারের মতো চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য প্রশিক্ষণ মডিউল ‘প্রতিবন্ধিতা প্রতিরোধ ও প্রাথমিক শনাক্তকরণ’ বিষয়ক প্রশিক্ষণ ম্যানুয়াল প্রণয়ন করা হয়। হাসপাতালে প্রতিবন্ধীদের প্রবেশগম্যতা নিরূপণের জন্য একটি নিরীক্ষাও করে ডিআআরএ। এসব উদ্যোগের ফলে প্রকল্প এলাকার সরকারি হাসপাতালে প্রতিবন্ধীদের জন্য ১টি করে আলাদা বিছানা সংরক্ষণ করা সম্ভব হয়েছে। হাসপাতালে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য আলাদা কাউন্টার খোলা হয়েছে এবং হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা এখন কোনো এ্যাপয়েন্টমেন্ট ছাড়াই প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের দেখে থাকেন।
পরিশেষে, দেশের প্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠীকে নিয়ে ডিআরআরএ’র কাজ করার অভিজ্ঞতা ও বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত পর্যালোচনা করে বলা যায়; দেশের প্রায় ১৫ শতাংশ মানুষ যারা প্রতিবন্ধী, তাদের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা ছাড়া কাঙ্খিত টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন অসম্ভব। তাই- ক্স হাসপাতালগুলোতে প্রতিবন্ধীদের প্রবেশগম্যতা ও উপযুক্ত পরিবেশ নিশ্চিত করা ক্স সরকারের নীতিনির্ধারণ পর্যায়ে বিষয়টিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয়া ক্স বাজেটে পর্যাপ্ত বরাদ্দ রাখা ক্স সরকারী ও বেসরকারী সব হাসপাতালে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য আলাদা বিছানা সংরক্ষণ করা ক্স আলাদা কাউন্টার স্থাপন করা ক্স প্রতিবন্ধীদের জন্য বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের ব্যবস্থা করা ক্স প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের বিনামূল্যে ওষুধ বিতরণ ও চিকিৎসা সংক্রান্ত পরীক্ষা-নিরীক্ষার ব্যবস্থা করা ক্স চিকিৎসক, নার্স এবং কমিউনিটি ক্লিনিকের কর্মীদের জন্য প্রতিবন্ধিতার ওপর বিশেষ প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা ক্স প্রতিবন্ধিতা বিষয়ক তথ্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের আওতাধীন ডিআইএইচএস-২ এ সন্নিবেশিত করা ক্স হাসপাতাল, স্বাস্থ্যসেবাকেন্দ্র এবং পুনর্বাসন কেন্দ্রে বিনামূল্যে বা স্বল্পমূল্যে প্রতিবন্ধিতা নিরোধমূলক বা নিরোধে সহায়ক উপকরণ সরবরাহ করা ক্স প্রতিটি স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রে মানসিক অসুস্থতাজনিত প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের প্রয়োজনীয় চিকিৎসার ব্যবস্থা করা ক্স হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যকেন্দ্রে বাক ও শ্রবণ প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের সমস্যা বোঝানোর ইশারা ভাষার দোভাষীর ব্যবস্থা রাখা ইত্যাদি জরুরি বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।
২| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ৯:১৫
মু ওমর ফারুক বলেছেন: নাইচ পোস্ট
৩| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ১১:১৮
আদর্শ সৈনিক বলেছেন: সরকারি উন্নতির কথা লিখে লিখে আমিও আপনার মত টাকা কামাতে চাই।
৪| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ ভোর ৪:৪১
চাঁদগাজী বলেছেন:
আওয়ামী লীগ হলো ভালো মুসলিম লীগ
©somewhere in net ltd.
১| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ৭:১৮
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: খুবই জনগুরুত্বপুর্ণ বিষয় নিয়ে লিখেছেন ।
বাক ও শ্রবণ প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের সমস্যা বোঝানোর জন্য ইশারা ভাষার দোভাষীর ব্যবস্থা রাখা ইত্যাদি জরুরি বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।
পৃথিবীর উন্নত সব দেশেই শ্রবন ও বাক প্রতিবন্ধিদের জন্য ইটারপ্রিটর দেয়া হয় শিক্ষা জীবন হতে শুরু চাকুরী প্রাপ্তি পর্যন্ত জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে ।
এই গুরুত্বপুর্ণ পোস্ট এর এর বহুল প্রচার কামনা করি ।
ধন্যবাদ ।