নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

যাহা বলিব সত্য বলিব

আল্লাহ মহান, যাহা বলিব সত্য বলিব।

তালপাতারসেপাই

লিন্ক সহ পোষ্টের বাহবা/দায়, মূল লেখকের।

তালপাতারসেপাই › বিস্তারিত পোস্টঃ

জঙ্গিদের ৮২ ভাগ উদ্বুদ্ধ হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়

১৪ ই মার্চ, ২০১৭ সকাল ১০:০৪


বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে উগ্র পন্থা ও জঙ্গিবাদে জড়িয়ে পড়া ঠেকাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ওপর আরও বেশি নজরদারির তাগিদ এসেছে। গতকাল সোমবার ঢাকায় ১৪ দেশের পুলিশপ্রধানদের সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনে এক পুলিশ কর্মকর্তার গবেষণা প্রবন্ধে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে জঙ্গিদের ৮২ ভাগই উদ্বুদ্ধ হচ্ছে ফেসবুক-টুইটারের মতো সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে। সোশ্যাল মিডিয়ার প্রভাবের বিষয়টি নিয়ে ফেসবুকের ট্রাস্ট অ্যান্ড সেফটি ম্যানেজার বিক্রম লাংঘের সঙ্গে গতকাল বৈঠকও করেছেন পুলিশ কর্মকর্তারা। ফেসবুক ব্যবহার করে যাতে উগ্র পন্থা বা এ জাতীয় কোনো প্রচারণা চালানো না যায়, সে বিষয়ে তাদের সহায়তা চাওয়া হয়েছে। এ ছাড়া গতকাল ইন্টারপোলের মহাসচিব ড. জারগেন স্টোকের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে বিদেশে পলাতক বঙ্গবন্ধুর খুনিদের দেশে ফিরিয়ে আনা এবং বিভিন্ন আসামির বিরুদ্ধে দেওয়া রেড নোটিশ নিয়েও বিস্তারিত আলোচনা হয়। গত রোববার রাজধানীর একটি হোটেলে দক্ষিণ এশিয়া ও পার্শ্ববর্তী ১৪ দেশের পুলিশপ্রধানদের নিয়ে শুরু হওয়া তিন দিনের এ সম্মেলন আজ যৌথ ঘোষণার মাধ্যমে শেষ হবে। গতকাল সম্মেলনের দ্বিতীয় দিন বাংলাদেশের পুলিশপ্রধান এ কে এম শহীদুল হক ইন্টারপোলের মহাসচিব, ফেসবুক প্রতিনিধিসহ সাতটি দেশের পুলিশ প্রতিনিধির সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেন। এদিন চারটি অধিবেশনে জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাসবাদে অর্থায়ন, মাদকের বিস্তারসহ নানা বিষয়ে ১২টি প্রবন্ধ উপস্থাপন করা হয়। সম্মেলনের দ্বিতীয় অধিবেশনে পুলিশ সদর দপ্তরের এআইজি (গোপনীয়) মো. মনিরুজ্জামান 'সোশ্যাল মিডিয়ায় জঙ্গিবাদের প্রচারণা ও সমাজে এর প্রভাব' শীর্ষক গবেষণা প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। তাতে তিনি বলেন, গ্রেফতার হওয়া ২৫০ জন জঙ্গির ওপর গবেষণা চালিয়ে দেখা গেছে, তাদের ৮০ থেকে ৮২ ভাগ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে উদ্বুদ্ধ হয়ে জঙ্গিবাদে ঝুঁকেছে। ওই জঙ্গিদের মধ্যে ৫৬ ভাগ সাধারণ শিক্ষা ব্যবস্থা থেকে এবং ২২ ভাগ মাদ্রাসা শিক্ষা ব্যবস্থা থেকে এসেছে। প্রবন্ধ উপস্থাপনের পর দেশি-বিদেশি কয়েক বক্তা তার সঙ্গে ঐকমত্য পোষণ করে সোশ্যাল মিডিয়ার বিষয়ে নজরদারি আরও বাড়ানোর ওপর গুরুত্ব দেন। একই দিন অপর এক প্রবন্ধে র‌্যাবের মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ বলেন, সন্ত্রাসবাদ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এবং ইন্টারনেটের ব্যবহারে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। সন্ত্রাসীরা এভাবে তাদের সংগঠনে নিয়োগ থেকে শুরু করে বিভিন্ন কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল এ কে এম আবদুুর রহমান তার প্রবন্ধে বলেন, বিশেষ ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে এ অঞ্চলের উগ্র জঙ্গিবাদকে আঞ্চলিকভাবেই মোকাবেলা করার প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে। এ জন্য তিনি গোয়েন্দা তথ্য বিনিময়, সক্ষমতা বৃদ্ধি, সন্ত্রাসবিরোধী প্রশিক্ষণের জন্য আঞ্চলিক প্রতিষ্ঠান তৈরির ক্ষেত্রে জোর দেন। দ্বিপক্ষীয় বৈঠক :আইজিপি শহীদুল হকের নেতৃত্বে বাংলাদেশ পুলিশের কর্মকর্তারা ইন্টারপোলের মহাসচিব ড. জারগেন স্টোকের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেন। বৈঠকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের খুনিদের দেশে ফিরিয়ে আনতে ইন্টারপোলের কার্যকর সহায়তা চাওয়া হয়। পাশাপাশি বাংলাদেশে ইন্টারপোলের আঞ্চলিক কার্যালয় তৈরিরও প্রস্তাব দেওয়া হয়। বাংলাদেশ থেকে যেসব আসামির নামে ইন্টারপোলে রেড নোটিশ দেওয়ার জন্য বলা হয়, তা সঠিকভাবে দেওয়ার আহ্বান জানান তিনি। জারগেন স্টোক এ বিষয়ে সহায়তার আশ্বাস দেন। মালয়েশিয়ার পুলিশপ্রধান খালিদ বিন আবু বকরের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় আলোচনায় বাংলাদেশি শ্রমিকদের আইনগত সহায়তা দেওয়া, প্রবাসীদের নিরাপত্তা, ভিসা পাওয়ার পরও ইমিগ্রেশনে হয়রানির মতো বিষয় উঠে আসে। এ ছাড়া অ্যান্টি টেরোরিজম এবং মানব পাচার রোধ বিষয়ে দুই দেশের পুলিশপ্রধান বিস্তারিত আলোচনা করেন। মিয়ানমার পুলিশের চিফ অব জেনারেল স্টাফ ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মায়ো সু উইনের সঙ্গে আলোচনায় ইয়াবা পাচারের বিষয়টি উঠে আসে। বাংলাদেশ পুলিশের পক্ষ থেকে সীমান্তের মিয়ানমার অংশে ইয়াবা কারখানার তালিকা তুলে দিয়ে তা বন্ধেরও আহ্বান জানানো হয়। শ্রীলংকার আইজিপি পুজিত সন্ধি বন্দরার কাছে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির ঘটনায় তার দেশের জড়িত ব্যক্তিদের বিষয়ে তদন্তের অনুরোধ করা হয়। বৈঠক শেষে আইজিপি শহীদুল হক বলেন, চীন ও দক্ষিণ কোরিয়ার পুলিশ প্রতিনিধিদের সঙ্গেও ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে। দেশ দুটি বাংলাদেশ পুলিশকে প্রশিক্ষণ ও নানা সরঞ্জাম দিয়ে সহায়তার আশ্বাস দিয়েছে। আলোচনায় অংশ নিয়ে আফগানিস্তানের পুলিশপ্রধান তার পুলিশ সদস্যদের প্রশিক্ষণসহ নানা সহযোগিতা চেয়েছেন। ফেসবুক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠক :গতকাল ফেসবুকের ট্রাস্ট অ্যান্ড সেফটি ম্যানেজার বিক্রম লাংঘের সঙ্গে বৈঠক করেন পুলিশ কর্মকর্তারা। সেখানে পুলিশের পক্ষ থেকে তদন্ত পর্যায়ে ফেসবুক কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে তথ্য সহায়তা চাওয়া হয়। ফেসবুকে নারী নির্যাতন ও ধর্মীয় বিষয়ে কোনো প্রচারণা হলে তা পুলিশের নজরে আনার অনুরোধ করা হয়। ভাষাগত সমস্যার কারণে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ বিষয়টি বুঝতে না পারলে পুলিশ বিষয়টি জানালে তা যেন দ্রুত বিবেচনায় নেওয়ারও অনুরোধ জানায় পুলিশ। এ ছাড়া বিভ্রান্তিকর, আপত্তিকর ও উস্কানিমূলক তথ্য থাকলে তা সরাসরি মুছে দেওয়ার ক্ষমতাও চাওয়া হয়। সন্দেহভাজনদের সরাসরি নজরদারির পাশাপাশি ফেসবুকে অ্যাকাউন্ট খুলতে জাতীয় পরিচয়পত্র বা পাসপোর্টের তথ্য থাকা বাধ্যতামূলক করা যায় কি-না তা নিয়েও আলোচনা হয়। এসব বিষয়ে দেখভালে ফেসবুকের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগের জন্য পুলিশ সদর দপ্তরের গোপনীয় শাখার এআইজিকে মুখপাত্র হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
সুত্র

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ১৮ ই মার্চ, ২০১৭ ভোর ৫:৫০

ইহসান আকসার মাহমুদ বলেছেন: https://www.alislam.org/
http://www.ahmadiyyabangla.org/
সকল মুসলমানের কাছে অনুরোধ, শুধু একবার ঘুরে আসুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.