![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
একটা ইশারা...সৃষ্টি অথবা ধ্বংস।
**রাতের সাথে সাথে দিনের সময়গুলোও এখন দীর্ঘশ্বাসের। চেয়ে থাকা নীলের অবনীশ থেকে ছন্দ করে কারো নাতুক বাজানোর শব্দ যেন শুনি। মনে করি, আমি আটকে গেছি ভ্রমের মাঝে। আমার হাতের কলই সে বেঁধে রেখেছে একটি চিকন সুতার সাথে। সুতার শেষ খুঁজতে খুঁজতে আমি হারিয়ে যাই প্রতিদিন, ক্লান্তি আমায় ফিরিয়ে দিয়ে যায় ঘুমের কোলে। ওই শেষ কোথায়? শেষটা কি দেয়ালে ঠেকে নাকি আজও সে আমায় দেখানোর মত কোনো নিখুঁত কারণ পায়নি তাই অজ্ঞাত....?
রাতের সাথে অনেকটা সময় জেগে থেকে থেকে বিশ্বাস করতে শুরু করেছি, কল্পনায় একবার হলেও বাস্তবের দুর্ভেদ্য ঐ দেয়ালের অপর পাশটায় আমি গিয়েছি। দেখেছি ওপাশের পিঠে লিখে রাখা শত অপূর্ণতার কারিগরদের নাম! নামগুলো পড়েছি আর ভুলে গেছি। হাতের আঙ্গুলে ছুঁয়েছি আর নিজেকে প্রশ্ন করেছি- এত নিখুঁতভাবে মানুষ কীভাবে অপূর্ণ হতে পারে!?
আমার প্রশ্ন, আমার কথা, আমার গতি, আমার চলা- কোনো কিছুই সংজ্ঞায়িত না, না পূর্ণের মাঝে, না অপূর্ণের কাছে।
তবুও ঐ অজ্ঞাত কারণ আমায় বারবার শেষটা দেখতে তাড়া করে বেড়ায়...
কী নির্মম!
**স্বপ্নকে গড়তে দেখি তবু কল্পনার হাতুড়ীতে।
শত শত বিচ্ছেদী ব্যথায় যখন জখমে ভরে আমি,
তখনও মন কারিগর স্বপ্ন গড়ে অবিরাম-
বলে, দুঃখে আমার কী আসে যায়?!
আমি কারিগর, যেভাবেই গড়ি-
গড়ে যাওয়াই আমার কাজ,
আমার ধর্ম।
**আকাশে আজ মঙ্গল গ্রহ দেখা যাবে কিংবা বৃহঃস্পতিই ধরি। এমন খবরে কত আগ্রহ নিয়ে আকাশের দিকে চেয়ে অপেক্ষায় থাকি। উত্তেজনায় ভাবি, 'আজ মঙ্গল দেখবো!'
আর প্রতিদিন রাতের আকাশে দেখি সুশোভিত তারাদের, যেগুলো ভিন্ন ভিন্ন অণু কণিকার সৃষ্টি হয়েও একভাবে সেজে থাকে। খুব নিবিড়েও ভাবি না তখন, 'এতগুলো গ্রহ আমি একসাথে দেখছি! কী আশ্চর্য!'
মানুষগুলোর দৃষ্টিই যেন এমন, যা দেখানো হয় তা-ই দেখে। প্রকাশ হওয়া সুখের গণ্ডি-সীমানাতেই সুখ খোঁজে! থাকা না থাকার মাঝে- না নতুন করে ভাবতে চায়, না গভীরভাবে দেখতে চায়।
People keep new expectations, but hardly see what else is in the existing?!
তাই হয়ত মানুষ কখনো কখনো বেঁচে থাকবার কারণ হারিয়ে ফেলে, আশা খুঁজে পায় না। তবুও যে দৃষ্টিসীমার বাইরে খুঁজতে চায়, ভাবতে চায়; বিধাতা তাকে নিরাশ করেন না। তিনিই সাহায্যকারী।
মানুষ তাই চাইলে সুখের চিরন্তন সঙ্গী হতে পারে, দুঃখের সাথে সুখেরও গর্ভধারীণি হতে পারে।
View this link
১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:৩৭
পেন আর্নার বলেছেন: হম আপু।
ভাল থাকবেন। শুভকামনা।
আর হ্যাঁ, রুশানের জন্য আপনার আঁকা ছবিগুলোই আলিয়াসে প্রদর্শিত হচ্ছিলো, তা গত দু'দিন আগে জানলাম। আপনার ব্লগে সেটা নিয়ে পোস্ট দেখেছিলাম। আলিয়াসেও ছবিগুলো দেখেছি কিন্তু মাথায় অন্য চিন্তা ভর করছিল বলে কিছু মিলাতে পারিনি।
যাই হোক।
২| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১:৫৫
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: হুমমম।বেশ গভীর ভাবনা এবং জটিল ।
মানুষ তাই চাইলে সুখের চিরন্তন সঙ্গী হতে পারে, দুঃখের সাথে সুখেরও গর্ভধারীণি হতে পারে।
তবে যে লিংকটি দেখলাম, তা বেশ মনোমুগ্ধকর, আমি চমৎকৃত হলাম।
১৬ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ২:৩৩
পেন আর্নার বলেছেন: আমার কথাগুলো কারো মনে পৌছতে পারলেই হল!
লিখি তো অনেক কিছুই কিন্তু উপলব্ধি দরকার।
ধন্যবাদ ভাইয়া।
গানটি প্রায় এক বছর আগে গাওয়া
৩| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:৪৯
নীলঞ্জন বলেছেন: মানুষগুলোর দৃষ্টিই যেন এমন, যা দেখানো হয় তা-ই দেখে। প্রকাশ হওয়া সুখের গণ্ডি-সীমানাতেই সুখ খোঁজে! থাকা না থাকার মাঝে- না নতুন করে ভাবতে চায়, না গভীরভাবে দেখতে চায়। - সহমত। তবে গভীরভাবে ভাবলে সুখ না দুঃখ ভর করে। কষ্টের বাক্সে কেষ্টদের শুইয়ে দিতে হয়।
মানুষ কখনো কখনো বেঁচে থাকবার কারণ হারিয়ে ফেলে, আশা খুঁজে পায় না। তবুও যে দৃষ্টিসীমার বাইরে খুঁজতে চায়, ভাবতে চায়; বিধাতা তাকে নিরাশ করেন না। তিনিই সাহায্যকারী। - পরিপূর্ণ সহমত। বিধাতাই সাহায্য করেন; আবার করেনও না; তাঁর সৃষ্ট নিয়তির হাতেই ছেড়ে দেন।
মানুষ তাই চাইলে সুখের চিরন্তন সঙ্গী হতে পারে, দুঃখের সাথে সুখেরও গর্ভধারীণি হতে পারে। - বিনয়ের সাথে দ্বিমত পোষণ করছি, আর্ণার। সুখ কপালের ব্যাপার। সবাই দুঃখকে পায়ে মাড়িয়ে একটুখানি সুখের জন্যই ঘুরছে বিভিন্ন পথ; ইচ্ছায় বা অনিচ্ছায়। তবু কেউ কেউ তা সাময়িক সময়ের জন্য পেলেও, অনেকেউ পায় না। জীবনটা পানিভরা বোতলের মত। তার মাঝে হাবুডুবু খেতে খেতে যতটুকু মাথা তুলে শ্বাস নেয়া যায়; ততটুকুতেই সুখ পায়। আমার কাছে সুখের স্থায়ীত্বকাল হলো - চোখের পলক আর দৃষ্টি মাঝখানে যতটুকু ব্যবধান ততটুকু।
তবে লেখায় দর্শণের বীজে ঠাঁসা। ভালো লাগলো।
শুভ কামান নিরন্তর।
১৬ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ২:৪৩
পেন আর্নার বলেছেন: পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
সহমত-দ্বিমত সমানতালে থাকবে। ব্যাপার নয় আপনার দ্বিমত আমিও স্বীকার করি। বাস্তবতাকে অস্বীকার করা যায় না। তবে জীবন হল উপলব্ধির ব্যাপার। জীবনকে এযাবৎ যতটুকু জেনেছি তাতে আমার অবস্থানে এই চিন্তাগুলো আসা খুবই স্বাভাবিক। বাস্তবতা অন্যরকম হলে হয়ত এসব দর্শন আর ভাবনা কাজ করতো না। বইয়ের এপিঠ পড়ি আর ঐপিঠ নিয়ে নিছক কল্পনা করার চেষ্টা করি আর কি!
ভাল থাকবেন।
সুন্দর মন্তব্যের জন্য কৃতজ্ঞ।
©somewhere in net ltd.
১|
১২ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:১৬
ফারাহ দিবা জামান বলেছেন: আমি নিজেও আজ অনেক বিষাদের কথা লিখেছি।
তবু মনে আমি এটাই মানি,
মানুষ তাই চাইলে সুখের চিরন্তন সঙ্গী হতে পারে, দুঃখের সাথে সুখেরও গর্ভধারীণি হতে পারে।
মানুষ সুখ অনুভব করে কেন জানেন?
দুখ আছে বলে হয়ত।
তাইতো সুখের মতন দুঃখও অমূল্য।
অনেক ভালো লেগেছে কথাগুলো।