নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

একজন মুক্ত চিন্তা ধারার মানুষ । নিজে যা ভাল বুঝি তাই করি । যা মনে আসে তাই লিখি ।

রক্তাক্তর প্রান্তর

একজন মুক্ত চিন্তা ধারার মানুষ।

রক্তাক্তর প্রান্তর › বিস্তারিত পোস্টঃ

রক্ত দানের অবিশ্বাস্য স্বাস্থ্য উপকারিতা

২৯ শে জুন, ২০১৬ বিকাল ৫:২৩

আপনার দান করা একব্যাগ রক্ত একজন মানুষের জীবন রক্ষা করতে পারে। তাই প্রতিটি সুস্থ মানুষের অবশ্যই তার আপন ও পরিচিত জনদের প্রয়োজনের সময় রক্তদানে এগিয়ে আসা উচিত। শুধু তাই নয়, মানবতার সেবায় এগিয়ে আসতে চাইলে দান করতে পারেন বিভিন্ন সংস্থাতেও কিংবা কারো প্রয়োজনে। একজন সুস্থ ও নীরোগ মানুষ প্রতি ৪ মাস অন্তর অন্তর রক্ত দান করতে পারেন। এতে শরীরের কোনও ক্ষতি তো হয়ই না, বরং তা স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী।

রক্ত দানে রয়েছে অনেক স্বাস্থ্য উপকারিতা। চলুন জেনে নেই রক্ত দান করলে কি কি উপকার পাওয়া যায়-

* রক্তে আয়রনের ভারসাম্য বজায় রাখে: গবেষণায় দেখা গেছে নিয়মিত রক্ত দান করলে শরীরে রক্তের প্রবাহ সঠিক হয় ফলে শরীরে আয়রনের ভারসাম্য বজায় থাকে। কেননা রক্তদান করার সঙ্গে সঙ্গে আপনার শরীরের মধ্যে অবস্থিত ‘বোন ম্যারো’ নতুন কণিকা তৈরির জন্য উদ্দীপ্ত হয়। রক্তদানের ২ সপ্তাহের মধ্যে নতুন রক্তকণিকা জন্ম হয়ে ঘাটতি পূরণ হয়ে যায়। আর বছরে ৩ বার রক্তদান আপনার শরীরে লোহিত কণিকাগুলোর প্রাণবন্ততা বাড়িয়ে তোলে ও নতুন কণিকা তৈরির হার বাড়িয়ে দেয়।

* ক্যান্সার প্রতিরোধে সহায়ক: সম্প্রতি ইংল্যান্ডের এক গবেষণায় দেখা গেছে, নিয়মিত স্বেচ্ছায় রক্তদানকারী জটিল বা দুরারোগ্য রোগ-ব্যাধি থেকে মুক্ত থাকেন অনেকাংশে। যেমন, নিয়মিত রক্তদান ক্যান্সার প্রতিরোধে সহায়ক।

* হার্ট ভালো থাকে: নিয়মিত রক্তদান রক্তে কোলেসটোরলের উপস্থিতি কমাতে সাহায্য করে। ফলে নিয়মিত রক্তদানকারীর হৃদরোগের সম্ভাবনা ৩৩ ভাগ কমে যায়ও হার্ট অ্যাটাকের অনেকটাই ঝুঁকি কম থাকে।

* রক্তদাতার রক্তে এইচআইভি, হেপাটাইটিস-বি, হেপাটাইটিস-সি, সিফিলিস ও ম্যালেরিয়া প্যারাসাইট এর উপস্থিতি পরীক্ষা করা হয়। রক্তদাতা রক্তদানের ফলে এ টেস্টগুলো বিনামূল্যে করার সুযোগ পাচ্ছেন।

* রক্তদানে শরীরের ফ্রি রেডিক্যালের পরিমাণ কমে যায়। তাই বার্ধক্যজনিত জটিলতা দেরিতে আসে।

* স্বেচ্ছায় রক্তদানে মানসিক প্রশান্তি আসে। কারণ প্রতি ২ সেকেন্ডে বিশ্বে এক ব্যাগ রক্তের প্রয়োজন হয়। আপনার দেওয়া রক্তই একজন রোগীর জীবন বাঁচাতে পারে।

মন্তব্য ১০ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ২৯ শে জুন, ২০১৬ বিকাল ৫:২৮

দ্যা ফয়েজ ভাই বলেছেন: উপকারী পোষ্ট।:-):-):-)

২৯ শে জুন, ২০১৬ বিকাল ৫:৩৫

রক্তাক্তর প্রান্তর বলেছেন: ধন্যবাদ

২| ২৯ শে জুন, ২০১৬ বিকাল ৫:৩০

ওবায়দুল হক বলেছেন: হুমমমমমমম........ এই রমজানের শুরুতে কিছুটা অসুস্থ ফিল করছিলাম। রক্ত দেয়ার পর আল্লাহর রহমতে ভালো আছি।

২৯ শে জুন, ২০১৬ বিকাল ৫:৩৯

রক্তাক্তর প্রান্তর বলেছেন: সব আল্লাহ এর ইচ্ছা

৩| ২৯ শে জুন, ২০১৬ বিকাল ৫:৩২

হাসান মাহবুব বলেছেন: গ্রেইট! আমারও রক্ত দিলে ভালো লাগে।

২৯ শে জুন, ২০১৬ বিকাল ৫:৪১

রক্তাক্তর প্রান্তর বলেছেন: প্রতিনিয়ত রক্ত দান মানুষের মনকে প্রশান্তি প্রদান করে । । ।

৪| ২৯ শে জুন, ২০১৬ বিকাল ৫:৪৬

ফাহিম সাদি বলেছেন: আমার বয়স ২১ বছর ৮ মাস । আমি গত ২ বছরে ৪ বার রক্ত দিয়েছি । রক্ত দিতে বা দেয়ার পর কোন শারীরিক দুর্বলতা অনুভব করিনি । আমি ভালো আছি । প্রতিবার রক্ত দেয়ার পর আমার মনে হয়েছে আমি আগের থেকে মোটা হয়ে যাচ্ছি , এবং আসলেই তাই মোটা হচ্ছি । এখনো পর্যন্ত ঠিক আছি , তবে এর থেকে বেশী মোটা হলে ব্যাপারটা আর সুন্দর দেখাবে না । রক্ত দেয়ার আসলেই মোটা হওয়ার কোন লিঙ্ক আছে কিনা আমি জানি না :(

২৯ শে জুন, ২০১৬ রাত ৯:১১

রক্তাক্তর প্রান্তর বলেছেন: না । রক্ত দেয়ার সাথে মোটা হওয়ার কোন সম্পর্ক নাই । ৩ মাস পর পর মানুষের রক্ত নষ্ট হয়ে যায় ।

৫| ২৯ শে জুন, ২০১৬ বিকাল ৫:৪৭

সিগনেচার নসিব বলেছেন: হুম !!! নিঃসন্দেহে একটা ভাল পোস্ট !! অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে

২৯ শে জুন, ২০১৬ রাত ৯:১২

রক্তাক্তর প্রান্তর বলেছেন: আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.