নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কোন কিছু বলার নাই, কিন্তু নিজেকে ব্যার্থ ব্যাক্তি হিসাবে উধাহরণ দিতে পার ফেসবুক আইডি: https://www.facebook.com/tanmoy69momo/

হেল কিচেন

নিজেও জানিনা।

হেল কিচেন › বিস্তারিত পোস্টঃ

এক ভৌতিক রাত।

০৬ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৫:৪০

প্রথমে আমাদের পরিচয় করিয়ে দেই। আমরা হচ্ছি "বাংলাদেশ প্যারানরমাল ইউনিভার্সিটি"

তন্ময়ঃ আমি একটা প্রাইভেট কোম্পানিতে আছি নাম লিডস কর্পোরাশন, এর মার্কেটিং বিভাগে আছি এর আগে প্রথম আলোতে এর অনলাইনে বিভাগে ছিলাম। পড়াশুনায় ইউনিভার্সিটি ছিলো AIUB. স্কুল আর কলেজ ছিলো বিএএফ শাহিন স্কুল এন্ড কলেজ।
তারেকঃ বর্তমানে লংকা-বাংলা ফাইনাস এর অপারেশন বিভাগে চাকরী করছে। স্কুল আর কলেজ ছিলো বিএএফ শাহিন স্কুল এন্ড কলেজ।
অর্কঃ প্রাইমেশিয়া ইউনিভার্সিটির EEE এর বিভাগের ছাত্র। স্কুল আর কলেজ ছিলো বিএএফ শাহিন স্কুল এন্ড কলেজ।
হাসানঃ প্রাইমেশিয়া ইউনিভার্সিটির EEE এর বিভাগের ছাত্র। স্কুল আর কলেজ ছিলো বিএএফ শাহিন স্কুল এন্ড কলেজ।

অপারেশন সাতক্ষীরাঃ

পটভূমিঃ যখন প্রথমআলোতে ছিলাম তখন আমাদের সাতক্ষীরার প্রতিনিধির কাছে থেকে সফিক ভাইয়ের সন্ধান পাই। উনাদের গ্রামে নাকি একটা বাড়ী আছে যেখানে বিকাল বেলায়ই নাকি মানুষরা যেতে ভয় পায়। আর রাততো অনেক দুরের ব্যাপার। আমি তখনই ঠিক করছিলাম এরোকম যায়গা মিস করা যাবে না। শ্যামনগর থানার মুন্সিগঞ্জ গ্রাম নাকি সুন্দরবনের কাছে। এইটা শুনে আমাদের ৪ জনের আগ্রহ আরো বেড়ে গেছিলো। আর ঢাকার বাইরে এইটা ছিলো আমাদের প্রথম এসাইংমেন্ট।

গল্পের সুরুঃ

আজকে প্রথমবারের মতো আমরা ঢাকার বাইরে যাচ্ছি কোন প্যারানরমাল ঘটনার উদ্দেশে। যায়গার নাম সাতক্ষীরার, শ্যামনগর থানার, মুন্সিগঞ্জ গ্রাম। বুধবার রাতে রওনা দিচ্ছি। আমার সাথে তারেক, অর্ক আর হাসান। ভোর ৬টার দিকে গিয়ে আমারা পৌছাই। এইখান এর সন্ধান আমাদের শফিক নামে এক ভদ্রলোক দিয়েছে। বাস থেকে নেমে উনাকে ফোন দিতে না দিতেই উনি হাজির। একটু অবাক হইলাম লোকটাকে দেখে। বয়স বেশি হবে না। খুব আগ্রহ নিয়ে আমাদের ব্যাগ গুলা উনার কাধে নিলো সাথে আরেকটা ছোট ছেলেও আছে সেও বাকীগুলা নিলো। যদিও আমরা না করছিলাম কিন্তু কথা শুনলো না। শুধু আমাদের যন্ত্রপাতির ব্যাগটা হাসান নিজের কাছে রাখলো। প্রায় ২০-২৫ মিনিট পর আমরা শফিক ভাইয়ের বাসায় পৌছালাম। বাসায় গিয়ে দেখি উনি ভালোই আয়োজন করেছেন। জীবনে ২য় বারের মতো হরিনের মাংস খাইলাম। এরপর শফিক ভাই এসে বলেন চলেন হাতমুখ ধুয়ে বিশ্রাম করেন। বাথরুমে পানি দিছি। বাথরুম সুবিধার না হলেও আমাদের বিশ্রামের ঘরটা অনেক গোছানো। ও আরেকটা কথা বলা হয় নাই এইখানের পানি আমার কাছে অনেক মিষ্টি লাগলো। শফিক ভাইকে জিজ্ঞেস করতেই বলে এইটা বৃষ্টির পানি। উনাদের এইখানে নোনতা পানি বলে উনারা ড্রাম ভরে বৃষ্টির পানি জমিয়ে রাখে। যাইহোক বিছানায় শুয়ার সাথে সাথেই আমদের ৪ জনের চোখটা লেগে আসে।

আমার ঘুম ভাঙ্গে ঠিক ২টায়। সবার আগে আমার ঘুম ভাঙ্গে। বাইরে দেখি শফিক ভাই বসে আছেন, আমাকে দেখে বলেন আমরা ৩টার সময় রওনা দিবো। বাকিদের ঘুম থেকে উঠে কিছু খেয়ে নিতে বলেন। সারারাত জাগতে হবে বলে আমরা কেউই সেরকম খাওয়াদাওয়া করলাম না। খাওয়াদাওয়া শেষ করে দেখি শফিক ভাই আমাদের একটা বড় টিফিন-কাড়িতে আমাদের জন্য বিকাল আর রাতের খাবার দিয়ে দিছেন।

আমরা আমদের যন্ত্রপাতি নিয়ে রওনা দিলাম। আমাদের ব্যাগগুলা সফিক ভাইয়ের বাসায়ই রেখে দিয়ে আসি। প্রায় ৫০ মিনিট আসার পর ঐ বাড়ীতে গিয়ে পৌছাই। টিনের বাড়ী। ভিতরে দেখালাম কিছু গাছ কেটে রাখা আছে। কাঠুরেরা নাকি তাদের জিনিষপত্র এই বাসায় রাখে। তাও দিনের বেলায় আসে। আবার দুপুরের মধ্যে রেখে চলে যায়। কেও বিকালেও এই বাসায় আসার সাহস পায়না। এক রুম এর বাড়ী আর সামনে সামান্য একটু উঠান। আসার পরপরই শফিক ভাই বলেন। ভাইসাবরা আমি যাই। এই বলে উনি কোন কথা না বাড়ায় চলে যান। আমরা উনার এই ব্যবহারে একটু অবাক হই। আমরা সবাই মিলে উঠানে বসে সময় কাটাচ্ছিলাম। গল্প করছিলাম। বিকালে একটু দূরে গিয়ে দেখি একটা ছোট গাং বয়ে গেছে বারীর পিছন দিক থেকে। সন্ধ্যা হয়ে গেলে আমরা ঐ ঘরে ঢুকে আলো জ্বালিয়ে দেই আর সবাইকে বলা আছে যে কেউ একা এই বাসার বাইরে ভুলেও যাও্য়া যাবে না। বাইরে কুচকুচে অন্ধকার। বসে থাকতেই গা ছিম ছিম করছে। পরিবেশ হালকা করার জন্য আমরা বিশেষ করে আমি মজার মজার জোকস বলা শুরু করলাম। এর মাঝে আমরা আমদের রাতের খাবার খেয়ে নেই, খাবারে আমরা শফিক ভাইকে ভাজাপোড়া দিতে বলছিলাম, কারন শুনছিলাম ভাহাপোড়া থাকলে নাকি খারাপ ছায়া আসে। ঠিক ৯টার দিকে আমরা আমদের নাইটভীষণ ক্যামেরা লাগাই, আর ২ দিকে ২টা ডিজিটাল ক্যামেরা। আর মোবাইলতো আছেই। আর সবার হাতে টর্চ আর আমি নিজে বড় টর্চটা আমদের মাজখানে রাখি। আর লাইটটা বন্ধ করে দেই। আর আমরা নিজেদের মধ্যে কথা বলতে থাকি যাতে কারোর ঘুম না পায়। কিন্তু ১২টার দিকে বুঝলাম আমি আর হাসান বাদে বাকি ২জন ঘুমায় গেছে। আমি আর হাসানই বলা বলি করছিলাম
- তন্ময় ভাই, আমার মনে হয়না কিছু আছে।
- ঠিক বলছো, কিন্তু একটা জিনিষ খেয়াল করছো এইখানে একদম মশা নাই। আর বেশ ঠান্ডা।
- ঠিক বলছেন।

ঠিক ১:১৫ বাজে, হাসান একটা সিগারেট ধরাতে গেলে দেখে ম্যাচ জ্বলছে না। আমি বললাম অক্সিজেন এর অভাব আছে মনে হয়। চলে বাইরে যাই। বাইরে যাবার সাথে সাথেই ম্যাচটা জ্বলে। আমি বললাম হাসান কিছু নাইরে এই বাড়ীতে। পুরা কষ্টই বৃথা। চলতো ওদেরকে ডাকি। বলে আমরা বাড়ীতে ঢুকতেই দেখি হাসান তখনো উঠানে দাঁড়িয়ে আছে। আর চিৎকার দিয়ে বলে আমি ঢুকার সাথে সাথেই আমার সিগারেট নিভে গেছে। ওর চিৎকারে অর্কের ঘুম ভেঙ্গে যায়। বলে কি হইছে? আমি সঙ্গে সঙ্গে লাইট জ্বালাতে গিয়ে দেখি লাইট জ্বলছে না। তারেক্বও উঠে বলে কি হইছে। আমরা মোবাইল বের করে দেখি কারোর মোবাইল কাজ করছে না। আমদের ক্যামেরাও কাজ করছে না। তখন আমরা বেশ ভয়ই পেয়ে গেছিলাম। আছা ঠিক আছে এইখানে কিছু একটা আছে কিন্তু বুজবো কিভাবে? এই বলে আমি বাসা থেকে বের হয়ে যেতে বলি। বের হয়ে অর্ক ওর টর্চটা জ্বালানর চেষ্টা করার সাথে সাথেই টর্চ জ্বলে উঠে। আমরা একটু অবাক হই। তখন সবার টর্চ জ্বালাতে গেলে দেখি সবার টর্চ জ্বলছে। এরপর ফোনও অন হয়। এরপর কিছুক্ষণ বাইরে দাড়িয়ে থেকে ঠিক করি, আমরা সবাই মিলে ভিতরে যাবো। যেমন কথা তেমন কাজ ভিতরে গেলাম আর সাথে সাথেই আমদের সমস্ত ইলেক্ট্রনিকস ডিভাইস গুলা আবার বন্দ হয়ে যাই। এবং বাড়ীর ভিতরে ঢুকেই আমি আর হাসান বুঝলাম যে ভিতরে কোন বিশাল সম্যসা আছে। আমরা অনেক চেষ্টা করার পরও আমরা আমাদের ক্যামেরা অথবা মোবাইল অন করতে পারলাম না। এরপর আবার বাইরে আসলে আবার আমাদের ডিভাইস গুলা অন হয়ে যায়। এরোকম করে ঠিক ২:৫০ এর সময় প্রথম অর্কর টর্চটা অন হয়। এরপর ধীরে ধীরে সবার টর্চ আর মোবাইল অন হয়। এবং আমি বুঝলাম যে আর কোন সম্যসা নাই। সারে ৩টার দিকে আমি নিজেই ঘুমায় গেছি।

ঘুম ভাঙ্গে সফিক ভাইয়ের গলার আওয়াজে। দেখি উনি ভোরে চলে আসছে সাথে প্রায় ৯-১০ জন। বুঝলাম ফযরের ওয়াক্ত এখনো শেষ হয় নাই। উনি বলে ভাই আপনাদের টেনশনে আমার সারারাত ঘুম হয় নাই, তাই ফযরের নামাজ পড়েই আপনাদের জন্য চলে আসলাম। উনার বাসায় যাবার পথে ঠিক করলাম যে আমরা আবার আসবো আজকে রাতে। কিন্তু সমস্যা হলো শফিক ভাইয়ের বাসায় যাবার পর অর্ক হঠাৎ করে বলে যে ওর আম্মা ফোন দিছে আর বলছেযে আমরা অনেক বিপদে পরতে যাচ্ছি আজকে রাতের মধ্যে যাতে ঢাকায় চলে আসি। জিজ্ঞেস করলাম কেনো এই কথা বললেন উনি। অর্ক বললো আমাদের এক হুজুর আছে উনি বলছে অর্ক নাকি অনেক খারাপ যায়গায় গেছে। গতরাতে নাকি একটুর জন্য বেঁচে গেছি। আজকে নাকি অনেক বিপদ আছে। আমরা শুনে একটু হতাশ হইলাম। কারন আমদের ইচ্ছা আছে সুব্দরবনও একটু ঘুরে আসবো। ঠিক ৫ মিনিট পর আন্টি নিজেই আমাকে ফোন দেয় আর অর্ক যা বলছে উনি ঠিক তাই বললো। আর বললো বাবা প্লীজ তোমরা চলে আসো।

এরপর সফিক ভাইকে জিগ্যেস করলাম বাস কখন? সফিক ভাই বললো ঢাকার বাস রাতে। আমি আন্টিকে ফোন দিয়ে বললাম যে এখন কোন বাস নাই আমদের আসতে কালকে সকাল হবে। উনি বলে বাবা দরকার হইলে প্রাইভেট গাড়ী ভাড়া করে চলে আসো। আমি বিকাশ করে টাকা পাঠাচ্ছি অর্ককে। ঠিক তখন বুঝলাম, আসোলেই কোন সমস্যা আছে। তাই একটা মাইক্রো ভাড়া করলাম আর এর মধ্যে অর্কর মোবাইলেও টাকা চলে এসেছে। মনে মনে আমি খুশিই হইলাম। আরাম করে এসিতে বসে বসে যাও্য়া যাবে। কিন্তু আমরা সবাই হতাশ ছিলাম যে এরোকম একটা অভিজ্ঞতা পুরাপুরি না দেখেই চলে আসতে হচ্ছে।

আমরা ১২টার দিকে রওনা দিলাম, রাত ৭:৩০ এ এসে পৌছালাম। আশা করছিলাম যে কোন সমস্যা আর হবে না। কিন্তু আমি ভূল ছিলাম...।

মন্তব্য ৯ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৯) মন্তব্য লিখুন

১| ০৬ ই অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:২৯

সাইফুলহাসানসিপাত বলেছেন: তারপর?

২| ০৬ ই অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৩০

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: এমন জায়গায় শেষ করে কেউ!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!


তারপর?????

০৭ ই অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১১:৫৮

হেল কিচেন বলেছেন: অপেক্ষা করেন ভাই।

৩| ০৬ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১০:০৪

HARUNUR-RASHID বলেছেন: থামলেন ক্যা?

০৭ ই অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ৯:০৯

হেল কিচেন বলেছেন: অপেক্ষা করেন ভাই।

৪| ০৭ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৩:৪৮

রানা আমান বলেছেন: তারপর কি হলো ? তাড়াতাড়ি বলুন । এমন একটি অভিজ্ঞতা যদি আমার নিজের থাকতো তাহলে সেটা দারুন হতো ।

০৮ ই অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১:২৫

হেল কিচেন বলেছেন: ভাই একটু অপেক্ষা করেন।

৫| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:৩২

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: তারপর? আইচ্ছা যাই দেখি পরের পর্ব পাওয়া যায় নাকি ;) :P

২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ৯:২১

হেল কিচেন বলেছেন: na nai

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.