![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমাদের ছায়াপথের মাঝারী আকারের নক্ষত্র সুর্য , তাকে ঘিরে থাকা ৩য় গ্রহ আমাদের পৃথিবীতে প্রানের বিকাশ হয়েছিল ৩ মিলিয়ন বছর আগে । এককোষী এমিবা থেকে কালক্রমে বিবর্তনের পথ ধরে মানব সম্প্রদায়ের সূচনা ।
যে দিন প্রথম মানব প্রজাতি আগুন জ্বালাতে শিখলো সেই দিন থেকেই অন্য প্রানীদের থেকে মানব প্রজাতি উঠে আসলো শীর্ষে, গোড়াপত্তন করলো সভ্যতার । সভ্যতা ভেদে গড়ে উঠলো সামাজ ব্যবস্থা , প্রথা , রীতিনীতি , আচার আচরন, ভাষা ও ধর্ম ।
অনেক ক্ষেত্রে প্রকৃতির কাছে অসহায় হয়ে মানুষ নির্ভর হয়ে পরতে লাগলো কল্পিত ঈশ্বরের কাছে । প্রকৃতির রহস্যভেদ না করতে পেরে দেবতা হয়ে উঠলো সুর্য, চন্দ্র , নক্ষত্র , পাহার , নদী সহ নানা ধরনের প্রানী ।
তবে মানুষের অনুসন্ধানী মন ও কৌতুহলের জন্য রহস্যভেদ হতে থাকলো প্রকৃতির অজানা সব রহস্যময়তা । আর দেবতাগন স্থানচ্যুত হয়ে, হয়ে গেলেন প্রাকৃতিক অংশ । এক সময়ের দুর্দান্ড প্রতাপশালী দেবতা আইসিস , থোর , হরুস আফ্রদিতি এদের অবস্থান হল মিউজিয়ামে কালের স্বাক্ষী হিসাবে । আবার আরবের চন্দ্র দেবতা হুবালেও মানুষের পদচিহ্ন অঙ্কিত হল , এক কালের বহু প্রার্থনা পাওয়া দেবতা হয়ে গেলেন পৃথিবীর একমাত্র উপগ্রহ ।
মানুষ রহস্যময়তা পছন্দ করে না তাই রহস্যের শুন্যস্থান পূরন করেছে ঈশ্বর নামক মহান এক চরিত্র কে দিয়ে । ঈশ্বরের প্রতি অগাথ বিশ্বাস যার জন্য কিনা মানুষ হাসি মুখে জীবন উতসর্গ করতেও দ্বিধাবোধ করে নি । ইনকা ও চেচেন সভ্যতায় দেবতা কে তুষ্ট করতে বলি হত মানুষ । নরবলি দেয়া হত মা-কালীর সন্তষ্টি লাভের আশায়। খ্রীষ্টানদের ক্রুসেড , ইসলামের জিহাদ , ভারতের জাতিগত দন্দে নিহত হয়েছে লক্ষ লক্ষ মানুষ । হালের মায়ানমারেও ধর্মগত কারনে প্রান হারিয়েছে হাজার হাজার মানুষ । প্রতিটি ধর্ম তো মানবতার কথা বলে , মানব কল্যানের কথা বলে , তবে কেন ধর্মের কারনে মানুষের প্রান দিতে হয় ? আর মহান ঈশ্বর কিভাবে রক্তমাখা হাতে প্রার্থনা গ্রহন করেন ? তবে কি ধর্মে উল্লেখ্য সেই মানবতা কি শুধুই মুখের বুলি ?
এক সময়ের প্রভাবশালী ধর্মের ইতিহাস জানতে আমাদের আজ মিউজিয়ামে যেতে হয় । আজকের প্রভাবশালী ধর্ম গুলোর স্থান কয়েক শতাব্দী পর মিউজিয়ামে স্থান হবে না এমন গ্যারান্টি কে দিতে পারে ?
এটা ঠিক , আজও আমরা প্রকৃতির সব রহস্য উন্মেচন করতে পারি নি , তবে মানব সম্প্রদায়ের প্রচেষ্টায় রহস্যের কালো পর্দা এক এক করে উন্মেচিত হবে । আজের বিস্ময়কর এই মহাবিশ্ব কে মানব প্রজাতি জয় করবেই !
অনেক ধর্ম বিশ্বাসীগন বলে থাকেন , সৃষ্টিকর্তা ছাড়া কোন কিছুই সৃষ্টি সম্ভব নয় । যদি তাই হয়ে থাকে তাহলে সেই মহান ক্ষমতাবান সৃষ্টিকর্তা কে সৃষ্টি করেছে কে ????????????
২| ১৮ ই মে, ২০১৩ সকাল ১০:৪৩
জাহাঙ্গীর জান বলেছেন: শ্রেষ্ঠকে সৃষ্টি করছেন যিনি তিনিই ইশ্বর, তার একত্ব জানতে হলে চিন দেশে যেতে হবে ।
©somewhere in net ltd.
১|
১৮ ই মে, ২০১৩ সকাল ৭:৫৫
দেখি তাই বলি বলেছেন: কিছু বক্তব্যের সাথে একমত, বেশীরভাগ বক্তব্য নিয়েই দ্বিমত আছে।
প্রথমত এই পৃথিবীতে ধর্মযুদ্ধে কতজন মানুষ মারা গেছে কতজন অন্যান্য যুদ্ধে এবং অন্যান্য কারণে মরেছে তার একটা তুলনামূলক র্যালোচনা করে দেখুন প্লিজ।
এ পৃথিীতে সবচেয়ে বড় যে দুটো যুদ্ধ হয়েছিল তার প্রথমটির সূত্রপাত ছিল প্রথম বিশ্বযুদ্ধ সাম্রাজ্য দখল অন্য কথায় আগ্রাসন থেকে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ হয়েছিল একই কারণ এবং প্রথম বিশ্বযুদ্ধের প্রভাবে। এটা প্রমাণিত সত্য যে, সিমিত সম্পদ এবং তা দখল করার প্রবণতাই সকল যুদ্ধের মা। কিছু মানুষের অপরিমিত লোভ বারবার পৃথিবীকে যুদ্ধের দিকে ঠেলে দিয়েছে। অল্প কিছু মানুষ গোটা পৃথিবীকে ভোগদখল করার জন্যই বারবার অন্যায় চক্র তৈরি করে বৃহত্তর জনগোষ্ঠিকে বঞ্চিত করেছে।
ধর্মগুলো এসেছিল মানুষকে এই লোভের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে খাঁটি মানুষ তৈরির প্রক্রিয়া হিসেবে। প্রতিটা ধর্মই শুরুতে বলেছে সাম্যের কথা যেটা সেইসব স্বার্থলোভী চক্রের জন্য ছিল অশনিসংকেত। তাই তারা বারবার তাদেরকে আক্রমণের ওপর রেখে নিজেদের অন্যায় চক্রকে অক্ষত রাখতে প্রাণপাত করেছে।
ধর্মীয় মতবাদের ক্রমবর্ধমান জনপ্রিয়তায় ভীত হয়ে তাদের মধ্যে কেউ কেউ পরবর্তীকালে ধর্মকে ব্যবহার শুরু করেছে। মুখে ধর্মের কথা বলে- কার্যত নিজেদের শোষন টিকিয়ে রাখাই ছিল তাদের মূল উদ্দেশ্য। স্মরণ করুন ভুট্টোর ডায়লগ- 'ম্যায় শরাব পিইতা হু, গরীবকা খুন নেহি পিইতা'। যে ধর্মের নামে তিনি শাসন ও শোষণ করছেন, সেই ধর্মের নিষেধাজ্ঞা শরাব পান কিন্তু ঠিকই করছেন। তার দামী দামী শরাবের দাম যে এদেশের খেটে খাওয়া মানুষদের ঘাম আর রক্ত থেকেই দিতে হত সেটা নতুন করে বলার কীইবা আছে। এই স্বার্থান্বেষী চক্রদের হাতেই তৈরি হয় জঙ্গীবাদ। আদর্শের শরাব পান করিয়ে যাদেরকে দিয়ে লুটপাট করানো যায়। আচ্ছা বলেন তো তাদের সাথে এদশের রাজনীতিবিদদেরই বা পার্থক্য কোথায়? তারাও তো নানান চেতনার আদর্শের নেশা খাইয়ে, স্বার্থের মোহে ফেলে তরুণদের দিয়ে টেন্ডারবাজী, খুন করায়।
একজন মজলুমের যুদ্ধ হল ধর্মযুদ্ধ। সে কারণে ইতিহাসে কতজন প্রাণ দিয়েছেন আর এই যুদ্ধগুলোয় কতজন প্রাণ দিয়েছে? জঙ্গীবাদের মাধ্যমেই বা কতজন প্রাণ দিয়েছে? আর ধর্ম ছাড়া অন্য আদর্শ, মাও সে তুঙের লং মার্চ??? আচ্ছা স্মরণ করুন তো বিরুদ্ধ মতের প্রতি জিরো টরারেন্সের নমুনা চীনের তিয়েন আন-মেন চত্বরের কাহিনী। ভুলে গেলেন স্ট্যালিনের নৃশংসতা। ভুলে গেলেন এই সেইদিন তেলের দখলদারিত্বের জন্য ইরাকে নির্বিচার গণহত্যা। ধর্মের জন্য কতজন মারা গেছে ভাই???
সবশেষে সেই পুরনো বস্তাপচা প্রশ্ন সৃষ্টিকর্তাকে সৃষ্টি করেছে কে? এ্ প্রশ্নের উত্তর অসংখ্য জায়গায় অসংখ্যবার দেয়া হয়েছে। তবু যখন করলেন তখন আপনার কাছে একটা প্রশ্ন পৃথিবী এমনি এমনি তৈরি হল কীভাবে?
একজন স্রস্টা আছেন তিনি তোমার প্রতিটা কার্যকলাপ মনিটর করছেন, অন্যায় করে তার কাছ থেকে তুমি পালিয়ে অন্য কোথাও আশ্রয় নিতে পারবে না- সুতরাং নিজেকে পরিশুদ্ধ করে খাঁটি মানুষ হও এটাই একেশ্বরবাদীদের মূল সুর। আর নাস্তিকদের মূল সুর তো ডকিন্সের বাণী- "Probably, there is no God, so enjoy your life." একটু তুলনা করে দেখবেন?