![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমার শপথ শুনিয়েছি, আমি প্রস্তুত হচ্ছি, আমি সব কিছুর নিজস্ব প্রতিশোধ নেবো আমি আমার ফিরে আসবো
নার্সারি ক্লাসে শিক্ষক কাউন্টিং শেখানোর পর এক ছাত্রকে জিজ্ঞাসা করলেন, নয়ন বলতো তোমার দুই হাতে কয়টা আঙ্গুল? নয়ন উত্তর দিল, ১১টা স্যার। শিক্ষক ধমক দিয়ে বললেন, এই গাধা প্যান্টের পকেট থেকে হাত বের করে আঙ্গুল কাউন্ট কর।
কিছুদিন আগ পর্যন্ত জানা ছিলো একদিনের হরতাল হয় মূলত আধাবেলা। দুপুরের পর আর কোন পিকেটার থাকেনা রাস্তায় গাড়ি বের হয়, ধীরে ধীরে জীবনযাত্রা স্বাভাবিক হয়ে আসে। লাগাতার হরতাল বা অবরোধ ছাড়া কোন হরতালেই দুপুরের পর পিকেটার পাওয়া যেতনা। আর খুব বেশী হলে হরতালের আগের দিন হরতালকারিরা জনমত তৈরির জন্য লিফলেট বিতরণ করতো বা কখনও কখনও সন্ধ্যায় মশাল মিছিল করতো।
বিগত কিছুদিন যাবত বিশেষকরে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার শুরু হওয়ার পর থেকে হরতালের রূপ পাল্টে গেছে। এখন বলা মুশকিল একদিনের হরতাল আসলে কতদিনের? হরতাল ডাকা হচ্ছে হাতে সময় নিয়ে যেন হরতালের আগের দিন ইচ্ছেমত নাশকতা সৃষ্টি করা যায়। আগে হরতালের দুইদিন আগে হরতাল নিয়ে কোন আতংক তৈরি হতনা, আতংক তৈরি হত আগের আগের দিন সন্ধ্যার আগ থেকে। কর্মজীবী মানুষ চেষ্টা করতো হরতালের আগের দিন সন্ধ্যার আগেই তড়িঘড়ি করে ঘরে ফিরতে। রাজধানীর নিদিষ্ট কিছু এলাকায় বিকেল থেকেই গণ পরিবহন চলাচল কমে যেত। চিরচেনা এই ধারাতেও পরিবর্তনের বাতাস লেগেছে। এখন হরতাল ডাকা হচ্ছে কমপক্ষে দুইদিন আগে, সাথে সাথে জনমনে তৈরি হচ্ছে আতংক। ধীরে ধীরে ফাঁকা হচ্ছে রাস্তা, যান চলাচল এবং পথচারি একবারেই কম। দেখে মনেই হবেনা এই শহরে প্রায় দুই কোটি মানুষ বাস করে। এরপর মূল খেলাটা শুরু হয় হরতালের আগের দিন। চিরচেনা সেই সন্ধ্যা পরবর্তী নাশকতা এখন সকাল থেকেই শুরু করে সকাল ১০টা এগারটা থেকেই। ব্যক্তি মালিকানাধিন গাড়ি এই দিনে আর রাস্তায় দেখা যায়না, গণ পরিবহন চলাচলও কম থাকে। আর হরতালের দিনতো হরতালের দিনই। ফজরের নামাজের পর পরই জামাত-শিরিব শুরু করে গাড়ি পোড়ানো আর সুর্য্যি মামা জাগার সাথে সাথে গলির মাঝ থেকে হলুদ ব্যাণার হাতে চোরা গোপ্তা হামলা চালাতে থাকে একদল। পাঠক একটু মনোযোগ দিয়ে খেয়াল করলেই দেখবেন ইদায়িং ছাত্রদলের সমর্থনে যে পিকেটাররা পিকেটিং করছে তাদের বেশীরভাগ ব্যাণারের রং হলুদ। দলে থাকে মাত্র ৫-৬ জন। হ্যালির ধুমকেতুর মত উদয় হয় গলির মাঝ থেকে। হরতাল হরতাল চিৎকার করতে করতে কয়েকটা গাড়ি ভাংবে, ২-৩ টা ককটেল ফোটাবে আর পকেটে থাকা প্লাস্টিকের বোতলের পেট্রোল ঢেলে পোড়াবে একটা গাড়ি। এই দৃশ্য এখন সকলেই মুখস্ত কিন্তু প্রশ্ন হল বেশীরভাগ ব্যাণারের রং হলুদ কেন?
০৩ রা এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৪:৫৮
তারেক.মাহমুদ বলেছেন: এটাও ভাবনার বিষয়..
২| ০৩ রা এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৫:৫৮
নতুন বাঙ্গাল বলেছেন: হরতালের দিন যারা বের হন, তারা জানেন আসলে রাস্তায় পিকেটার হারিকেন ধরায়ে ও খুজে পাওয়া যায় না। গাড়ি চলাচলও নেহাত কম হয়না। কিন্তু টিভিতে দেখবেন এিখানে ককটেল তো ঐ খানে আগুন। আসল বিষয় হল, এরা টিভি রিপোটারদের ফোন দিয়ে আসতে বলে ওমুক গলিতে ওমুক সময় আসেন, টিভি ক্যামেরাও মারদাংগা ফুটেজের আশায় হাজির হয়, এভাবেই চলছে আসলে হরতাল।কর্মীরাও মাইরের হাত থেকে বাচতে পাড়ছে আবার এলাকা ভিত্তিক ততপরতাও মেডাম কে জানান দিচ্ছে এই আরকি। যারা হরতালের দিন অফিস করেন তারা অনেকেই রাস্তার হরতাল আর টিভির হরতালের নিউজ দেখে কনফিউজ হয়ে যান। তবে হরতালের আগের দিন সন্ধায় সতিই আতংকটা বেশী থাকে, হরতালের দিনের চেয়ে।
©somewhere in net ltd.
১|
০৩ রা এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৪:৫০
কক্ষচ্যুত বলেছেন: arekta prosno kori..? ei hally'r dhumketu kokhon kothai udito hobey ta TV camera kivabe agey thekei janey? protita morey morey cameraman to dekhi na. shudhu agun deuar sothik muhurte othoba coktail burst houar muhurte chobi tolar jonno cameraman ra ki satelite a uthe bosey thaken !!!