নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সংশপ্তক তাফি

"আমি আছি মানুষের মাঝখানে- ভালোবাসি মানুষকে, ভালোবাসি আন্দোলন, ভালোবাসি চিন্তা করতে; আমার সংগ্রামকে আমি ভালোবাসি . . ."

সংশপ্তক তাফি › বিস্তারিত পোস্টঃ

ইসলাম ও মুক্তিযুদ্ধ - সাংঘর্ষিক, না সামঞ্জস্যপূর্ণ?!?

১০ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৯:০০

আমি মুক্তিযুদ্ধের চেতনায়, ইসলামিক অনুশাসনের ছায়াতলে বেড়ে ওঠা একজন সাধারণ মুসলমান। আমি কোন দল বা সংগঠনের নই, বস্তুত আমি পৃথিবীর, আমি মানুষের... আমি শান্তির!





গণমাধ্যমগুলোর ধৃষ্টতা হোক, অথবা মানুষের অজ্ঞতা, ইসলামিক চেতনা আর স্বাধীনতা যুদ্ধের চেতনা কখনোই সাংঘর্ষিক ছিল না, ৭১ এও না, বর্তমানেও না। ৭১এ মুসলমানেরা ধর্মকে বাসায় বন্দী রেখে যুদ্ধ করতে যায়নি। ব্যক্তি আমাকে যদি জিজ্ঞাসা করা হয়, দেশ আগে, না ইসলাম? আমি অবশ্যই বলব, ‘ইসলাম’। কিন্তু যেখানে দেশ ও ইসলাম মুখোমুখিই নয়, তখন মানুষের মধ্যে এত দ্বিধাদ্বন্দ্ব কেন!?!



হেফাজতে ইসলামের উত্থাপিত ১৩ দফা দাবি সম্বন্ধে নাস্তিকদের সাথে অনেক ‘মডারেট’ মুসলমানেরা(!) বলছেন, এসব দাবি মানা হলে বাংলাদেশ তালেবানের দেশ হয়ে যাবে, মধ্য যুগে ফিরে যাবে! সত্য কথাটা হল, আমরা মানুষেরা এখন ইসলামকে নিজের মত করে গুছিয়ে নিয়েছি; কুরআন-সুন্নাহ’র ইসলাম মেনে চলাতে আমাদের যতসব আপত্তি! একজন মানুষ যে নিজেকে ‘মুসলমান’ হিসেবে দাবি করে সে কোনোদিনও হেফাজতে ইসলামের ১৩ দফা দাবির সরাসরি বিরোধিতা করতে পারবে না, কখনোই না।



১০০০ হাজার বছর আগের বাংলায় চর্যাপদ অথবা মধ্যযুগের মহাকবি আলাওলের কবিতা পড়তে গিয়ে আপনি হিমশিম খাবেন, অথচ ১৪০০ বছর আগের কুরআন হাতে নিয়ে পড়তে বসুন, দেখুন কেমন অবলীলায় পড়ে যেতে পারছেন! না, পবিত্র কুরআন শুধু ১৪০০ বছর আগের আরবদের জন্যেই আসেনি, এটা এসেছে পৃথিবী নিঃশেষ হবার আগ পর্যন্ত আগত প্রত্যেকটা মানুষের জন্যে। এর মাধ্যমে যে দিকনির্দেশনা দেয়া হয়েছে তা শুধু মধ্যযুগের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ না, আধুনিক যুগের সাথেও এর কোনো সাংঘর্ষিক অবস্থান নেই। একটি সুস্থ ধারার সমাজ ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হলে কুরআন অনুসরণের বিকল্প নেই। কুরআন-সুন্নাহ অনুসরণের ফলে আমরা অন্ধকারের দিকে নয়, বরং আলোর দিকেই সামনে এগোব।



আমরা অনেক সময়ই ভুল করি,গুনাহ করি...জেনেশুনেই করি। এজন্যে আমাদের অনুশোচনা হয়, ওপরে হয়তো শাস্তিও নির্ধারিত হয়ে যায়।



একটা উদাহরণ দেই– গানবাজনা শোনার বিষয়ে ইসলামে নিষেধাজ্ঞা আছে। অনেকের মতে এটা কবিরা গুনাহ, অন্যদের মতে 'হারাম'। আমি গান শুনি, এটা জেনেই যে অন্যায় হচ্ছে। এর জন্যে অনুশোচনা হয়। কিন্তু গান শোনাকে আমি কোন প্রকারেই ইসলামে জায়েজ বা হালাল বলে ঘোষণা করতে পারবো না। সুদ নেয়া-দেয়ার সাথে জড়িত ব্যক্তিদের বিপক্ষে আল্লাহ ও তাঁর রসূল মুহাম্মদ (সঃ) প্রকাশ্যে যুদ্ধ ঘোষণা করেছেন [সূরা বাকারাঃ ২৭৯]। এখন কোন মুসলমান(!)যদি এ মুহুর্তে এসে আমাকে বলেন, একবিংশ শতাব্দীতে সুদ ছাড়া বেঁচে থাকা সম্ভব নয় তবে সে বিশ্বাসী না অবিশ্বাসী তা আল্লাহ সুবহানা তা’আলাই শেষ বিচারের মাঠে নির্ধারণ করে দিবেন।



পত্রিকায় দেখলাম আল্লামা শফির প্রতি কৃষি মন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী প্রশ্ন রেখেছেনঃ “আমি কলেমা পড়েছি। কলেমা যাঁরা বিশ্বাস করেন, তাঁদেরকে আপনি নাস্তিক বলার কে”



হ্যাঁ ঠিকই বলছেন, কে আস্তিক, আর কে নাস্তিক তা নিঃসন্দেহে আল্লাহ তা’আলাই ভালো জানেন। তবে মানুষের কর্মকাণ্ড, কথাবার্তা দেখে আধা-শিক্ষিত মুসলমানেরও খুব বেশি কষ্ট হবে না তাদের সংজ্ঞায়িত করতে।



ইসলামে নারী-পুরুষের অবাধ মেলামেশা হারাম; কিন্তু নারীদের ঘরে বন্দী করে রাখার কথা কোথাও বলা হয়নি। হেফাজতের ৪ নম্বর পয়েন্টের হাস্যকর অপব্যখ্যা দেয়া হচ্ছে। ক্ষেত্র বিশেষে পার্থক্য থাকলেও সামগ্রিকভাবে ইসলামে নারী-পুরুষের অধিকার সমান। ইসলাম যেটা বলে,নারী-পুরুষ উভয়ই শিক্ষায় শিক্ষিত হবে, চাকরী করবে, সমান সুযোগ-সুবিধা পাবে– কিন্তু তাদের জন্যে আলাদা পরিবেশ থাকতে হবে, নারী-পুরুষ আলাদাভাবে থাকবে। উম্মুল মুমিমীন হজরত আয়েশা (রাঃ) ৫৬ বছর পর্যন্ত সাহাবীদের ইসলাম শিক্ষা দিয়েছেন, কিন্তু পর্দার মাঝে।



আজকের দিনে সমাজের দিকে তাকিয়ে দেখুন – অন্ধভাবে পাশ্চাত্য রীতি-নীতিকে অনুসরন করে ছেলেমেয়েরা লিপ্ত হচ্ছে অবাধ যৌনতায়। মূল্যবোধ বিসর্জন দিয়ে বিয়ের আগেই ব্যভিচারে লিপ্ত হচ্ছে। সেই মেয়ে আবার কিছুদিন পর ‘বউ’ হয়ে যাচ্ছেন অন্যের ঘরে! ‘নারীর ক্ষমতায়ন’ এর নামে মা-বোনদের ভোগের বস্তুতে পরিণত করা হয়েছে। গাড়ীর বিজ্ঞাপনে সামনে থাকবে মেয়ে। বডি স্প্রের বিজ্ঞাপনেও থাকবে মেয়ে। এমনকি গরুর দুধের এডভার্ট যেখানে বাচ্চা অথবা গরুরাই হতে পারে আদর্শ মডেল, তা না করে সেখানেও মডেল বানানো হচ্ছে অশ্লীল কাপড় পরিহিতা নারীদের! অধুনা খেলার মাঠও এ অশ্লীলতা, নোংরামি থেকে মুক্ত না, বিনোদনের সাথে যেন বাড়তি বিনোদন – চিয়ারলিডার্স! অদ্ভুত!!



নারী-পুরুষের সহশিক্ষার একটা ভয়ংকর বাস্তব উদাহরণ দিই-



৫-৬ দিন আগে বন্ধুরা মিলে আড্ডা দিচ্ছিলাম (সবাই অবিবাহিত)। হঠাৎ কথা প্রসঙ্গে সবার প্রতি একজনের কৌতুহলবশত জিজ্ঞাসা- “কে কে তোদের কুমারত্ব হারিয়েছিস, সত্যি করে বল?” প্রশ্ন থেকেও বন্ধুদের দেয়া উত্তরগুলো শুনে আমি অধিক বিস্মিত! ৮ জনের মাঝে ৩ জন যৌনকর্ম করেছে, আর আমরা ৩ জন বাদে অন্য দুজন চরম পর্যায়ে যায়নি, কিন্তু অন্যসব করেছে! আস্তাগফিরুল্লাহ ওয়া আতুবু ইলাইহ!



আলহামদুলিল্লাহ, আল্লাহ সুবহানা তা’আলা সেদিক থেকেআমাকে রক্ষা করেছেন, আজ পর্যন্ত কোন নারীর হাত ধরিনি।



শুরুটা হয়েছিল নাস্তিক/ধর্মবিদ্বেষী ব্লগারদের শাস্তির দাবিতে। পরে গণজাগরণ মঞ্চ তুলে দেয়ার দাবি করা হয়। অনেকেই এর পেছনে জামায়াত-শিবিরের আঁতাত খুঁজে পান। স্বীকার করছি, জামায়াত-বিএনপি স্বার্থ উদ্ধারের কারণে এ আন্দোলনে পরোক্ষ সমর্থন দিতেই পারে, ঠিক যেভাবে গণজাগরণ মঞ্চকে ব্যবহার করতে চেয়েছে আওয়ামীলীগ সরকার। কিন্তু হেফাজত নেতা মুফতী ফয়জুল্লাহ লংমার্চ ভাষণে আল্লাহর কসম করে বলেছেন, এ আন্দোলনের সাথে জামায়াতের কোন সম্পর্ক নেই। এ আন্দোলন শুধু মাদ্রাসার ছাত্র-শিক্ষকদেরই না, এর সাথে লাখো সাধারণ মুসলিমের অনুভুতি জড়িত। কোনদিন রাজনীতির সংস্পর্শে আসেনি, দাওয়াতে তবলীগ করেন এমন মানুষ– বন্ধু শাকিল, জামাল খানের রবিউল ভাই, লিচু বাগানের মাসুম ভাইদের আমি দেখেছি স্বেচ্ছায় এ আন্দোলনে সম্পৃক্ত হতে।



আমি বলছি কেন হেফাজতে ইসলাম গণজাগরণ মঞ্চ ভঙ্গে দেয়ার দাবি করে...



মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় গড়ে ওঠা কিছু মানুষ কাদের মোল্লার বিচারের রায়ে অসন্তুষ্ট হয়ে জমা হয় শাহবাগ মোড়ে। প্রাথমিকভাবে সবই ঠিকঠাক ছিল। পরে এক দফা রূপ নেয় ছয় দফাতে যেখানে বলা হয়েছিল ধর্মভিত্তিক রাজনীতি নিষিদ্ধ করতে হবে!



‘সেক্যুলারিজম’ শব্দের মানে হল রাষ্ট্র এবং ধর্ম আলাদা থাকবে। ‘ধর্ম’ রাষ্ট্রের ব্যাপারে মাথা ঘামাবে না। আজকের অনেক আধুনিক মুসলমানের(!) ও সেই একই দাবি! অবিশ্বাসীদের সাথে তথাকথিত কতিপয় মুসলমানের দাবি, ৭১এ বাংলার মানুষ মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল একটি ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র গঠনের লক্ষ্যে! বুঝিনা, এটা কি তাদের নির্লিপ্ত মিথ্যাচারিতা, কপটতা, না মূর্খতা! আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধের বীজ বোনা হয়েছিল ছয় দফা দাবি দিয়ে যেখানে কোথাও ধর্মনিরপেক্ষতার আলোচনা করা হয়নি। মানুষ ৭১ এ যুদ্ধে গিয়েছিল নিজের ও দেশের অস্তিত্ব রক্ষার তাগিদে।



সুশীল সমাজের মতে ‘ধর্ম’ যার যার ব্যক্তিগত বিষয়, এর সাথে রাষ্ট্রকে মেলানো উচিৎ না! আমি বলি, এটা তাদের জ্ঞানের সীমাবদ্ধতা। ‘ইসলাম’ শুধুমাত্র একটা ব্যক্তিগত বিশ্বাসের বিষয় নয়, বরং ইসলামএকটি ‘পূর্ণাঙ্গ জীবন ব্যবস্থা’। আপনি কি করে সালাত আদায় করবেন, খাওয়া-দাওয়া করতে বসবেন, ঘুম যাবেন, মাতা-পিতা, প্রতিবেশীর সাথে আচরণ করবেন, সমাজও রাষ্ট্র পরিচালনা করবেন, কিভাবে প্রাকৃতক কার্যাদি সম্পন্ন করবেন, এমন কি নিজ স্ত্রীর সাথে কিভাবে সহবাস করবেন সে বিষয়েও ইসলামে আলোকপাত করা হয়েছে।



ইসলাম ‘মানবতা’ ধর্মের মত ক্ষুদ্র পরিসরের নয়। মানুষের অধিকারের পাশাপাশি ইসলামে পশুপাখি, গাছপালার অধিকারের কথাও উচ্চারিত হয়েছে।



প্রকৃতপক্ষে সেক্যুলারিজম মুসলমানের ঈমানের পরিপন্থী; রসূল মুহাম্মদ (সঃ) যার আদর্শ সে কখনো সেক্যুলারিস্ট হতে পারে না। মুসলমান হবে অসাম্প্রদায়িক, কিন্তু ধর্মনিরপেক্ষ নয়। জীবনটা ‘লাইফ অব পাই’ মুভির পাই ক্যারেক্টারের মত নয় যে একাধারে হিন্দু, খৃষ্টান, আবার মুসলিমও!



আমাদের এখানে সমস্যা হল, ‘আমলে নাজাত’ টাইপ বইগুলোতে অজু ভঙ্গের, সালাত ভঙ্গের কারণসমূহ দেখানো হয়, কিন্তু ‘ঈমান’ ভঙ্গের কারণ সমূহ নিয়ে আলোচনা করা হয় না। দুঃখের সাথে বলতে হয়, এ দেশের অধিকাংশ মানুষ হল ‘পেটে-ভাতে মুসলমান!’ মুখে চাপ দাঁড়ি, আর মাথায় টুপি বসিয়ে দুদিন পরপর ‘মিলাদ’ পড়াবেন, ওরসের মাংস খাবেন, আর মোটাতাজা হবেন, এইতো



ইসলামিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করা মুসলমানের ‘ঈমান’ এর অঙ্গ। যে নিজেকে মুসলমান হিসেবে দাবি করছে সে কোনো না কোনো ভাবে রাষ্ট্রে ইসলাম কায়েম করার জন্যে চেষ্টা করবে – কেউ লড়াই করে, কেউ অর্থবিত্ত দিয়ে, কেউ হয়তো শুধু ইবাদত করে... তবে জোর জবরদস্তি বা মানুষের ক্ষতি করে নয়।



অন্যদিকে ইসলামিক রাষ্ট্রের কথা ভাবলেই মানুষের মনে প্রথমে উঠে আসে আফগানিস্তানের কথা... তালেবানি রাষ্ট্র! অথচ গত এক যুগে সেখানে তথাকথিত তালেবানের উপস্থিতি আমার মনে নেই; মনে আছে দেশ রক্ষার জন্যে ইসলামিক বেশভূষার কিছু মানুষের ঝাপিয়ে পড়ার কথা, যাদের আখ্যায়িত করা হল ‘ সন্ত্রাসী’ হিসেবে। ঠিক যেমনটা ৭১এ বাংলাদেশের অস্তিত্ব রক্ষার্থে লড়াই করা মুক্তিযোদ্ধাদের পাকিস্তানীরা নাম দিয়েছিল ‘দেশদ্রোহী’! আরো মনে আছে সন্ত্রাসী হামলার ‘অজুহাত’ দিয়ে হিংস্র আমেরিকার সন্ত্রাসী আক্রমণে সেই দেশটা আক্ষরিক অর্থে পঙ্গু হয়ে গিয়েছে, আমেরিকা শুষে খেয়েছে তাদের তরল সম্পদ।



না, ইসলামিক রাষ্ট্র মনে হলেই পিলে চমকে ওঠার কারণ নেই। সব ধর্মই ভালো ভালো কথা বলে... কিন্তু অন্য বিশ্বাসের সাথে ইসলাম ধর্মের পার্থক্যটা হল – উপদেশ দেয়ার পাশাপাশি ইসলাম দেখিয়ে দেয় সমস্যা সমাধানের পথ। দারিদ্য দূরীকরণে মানুষকে সাহায্য কর... যাকাত দাও। চুরি ঠেকাতে শাস্তি হিসেবে তাদের হাত কেটে নাও! অনেকে হয়তো বিস্ময়ে শব্দ করে বসেছেন – ইসলামে চুরির শাস্তি হাত কেটে নেয়া! ইসলাম চুরির শাস্তি হিসেবে হাত কেটে নেয়ার কথা বললেও এর কিছু পূর্বশর্ত আছে – রাষ্ট্র ইসলামিক হতে হবে, যাকাত কায়েম থাকতে হবে, মানুষের মৌলিক চাহিদা নিশ্চিত হতে হবে। এরপরও কোন মানুষ যদি লোভের বশবর্তী হয়ে চুরি করে সেক্ষেত্রে তার শাস্তি হাত কেটে নেয়া; এজ সিম্পল এজ দ্যাট।



তবে হ্যাঁ, রাষ্ট্র ইসলামিক হলে নারীদের ভোগের বস্তুতে পরিণত করে কতিপয় মানুষ যে ব্যবসা করছে তা আর সম্ভব হবে না, নারীরাও তাদের সাদা চামড়া দেখিয়ে টু-পাইস কামাতে পারবেন না; পরিশ্রম করে খেতে হবে সবাইকে।



অন্যদিকে, আমেরিকা ও গণমাধ্যমগুলো গত কয়েক যুগ ধরে স্বার্থসিদ্ধির লোভে ইসলামী ভাবধারাকে নিরন্তর ধর্ষণ প্রচেষ্টার মাধ্যমে বহু মানুষের মাঝে ‘ইসলামফোবিয়া’ বা ‘ইসলামভীতি’ ঢুকিয়ে দিতে সক্ষম হয়েছে। তালেবনাদের তারা দুষ্কৃতকারী বানিয়েছে, নাফিসকে বানিয়েছে তারা সন্ত্রাসী; অথচ তাদের নির্বিচার ড্রোন হামলার বিচার নেই!



‘গেরিলা’ টাইপ মুভি আমাকে হতাশ করে, ক্রোধ বাড়িয়ে দেয়। এসব চলচ্চিত্রগুলোতে কখনো দেখানো হয় না মুক্তিযোদ্ধারা ইসলামিক চেতনার অধিকারী ছিলেন। যুদ্ধের মাঝে অবসর সময়ে তারা তাস খেলে, ভাত খায়, রেডিওতে খবর শোনে, কিন্তু এটা কখনো দেখানো হয় না যেখানে একজন মুক্তিযোদ্ধা নামায আদায় করছেন! বরঞ্চ এখানে ‘আদর্শ মুসলমান’ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করা হয় এমন এক চরিত্রকে যে নামায পড়ার পাশাপাশি ঘরের মধ্যে সঙ্গীতশিল্পী এনে গান-বাজনার আসর বসায়! অন্যদিকে ‘রাজাকার’ চরিত্রটিকে দেখানো হয় মুসলিম লেবাসে থাকা টুপি পড়া,দাঁড়িওয়ালা এক লোক যে রিক্সা থেকে মহিলাদের নামিয়ে হেনস্তা করে, ধর্ষণ করে, মানুষদের জবাই করে! এবসার্ড! কি ভয়াবহ Stereotyping! ফলশ্রুতিতে বোকা মানুষগুলোর মাঝে এক ধরণের Mind Set হয়ে গিয়েছে - দাঁড়িওয়ালা, টুপি পড়া মানুষ দেখলেই তারা একটা‘দানব’ কল্পনা করে! অবশ্য এর পেছনে ‘বাংলা ভাই’ হালালজাদার ইসলাম পরিপন্থী সন্ত্রাসী কর্মকান্ডগুলোকে নেহায়েত উপেক্ষা করার অবকাশ নেই। সত্যি বলতে, ইসলামের নামে মানুষ কি করছে– তা ইসলাম নয়। ইসলাম হল – কুরআন, সুন্নাহ কি বলছে, আর মানুষ তা যথাযথ মেনে চলছে। ইসলামিক চিন্তাবিদ বুনা মুহাম্মাদের একটা উদ্ধৃতি মনে পড়ে গেল-



“Islam is simple, people are complicated.”



মুসলিম অধ্যুষিত এদেশে বেশির ভাগ অমুসলিমেরা কেন জানি মুসলমানদের স্বাভাবিকভাবে গ্রহণ করে নিতে পারেনি এতগুলো বছর পরও! অথচ মুসলিমের পাশাপাশিএ দেশটা তাদেরও, প্রত্যেকেরই সমান অধিকার প্রাপ্য। এমনকি রাষ্ট্র যদি ‘ইসলামিক’ ও হয় সেখানেও তাদের অধিকার ক্ষুণ্ণ হয় না এতটুকুনও। আল্লাহ সুবহানা তা’আলা বলেনঃ



“তাদেরকে গালি দিও না যারা আল্লাহ তা’আলা ব্যতীত অন্যদের উপাসনা করে, কেননা অজ্ঞতাবশত তারাও আল্লাহ তা’আলাকে তিরস্কার করবে।” ~ আল কুরআন [৬:১০৮]



তলোয়ার-বন্দুক দেখিয়ে ‘ইসলাম’ গ্রহণ করানোর ভয়ও অমূলকঃ



“দ্বীন (ইসলাম) এর ব্যাপারে কোন জোর জবরদস্তি নেই।” ~ আল কুরআন [২:২৫৬]



“কোন মুসলিম অধ্যুষিত দেশে যে অমুসলিম নাগরিককে কষ্ট দিল সেআমার শত্রু, এবং কিয়ামতের দিন সে আমার শত্রুই থাকবে।”~ বুখারী / আল খতিব



“যে লোক কোন অমুসলিমকে জুলুম করল, আমি তার বিরুদ্ধে মামলা দায়েরকারী। আর আমি যার বিরুদ্ধে মামলা দায়েরকারী, তার বিরুদ্ধে কিয়ামতের দিন আমি মামলা লড়ব।” ~ আবু দাউদ



“যে লোক কোন অমুসলিমকে কষ্ট দিল , সে যেন আমাকে কষ্ট দিল। আর যে লোক আমাকে কষ্ট দিল, সে মহান আল্লাহকে কষ্ট দিল।” ~ আল হাদীস



ফলে অমুসলিম বন্ধুদের প্রতি অনুরোধ, ইসলামফোবিয়া দূর করুন। যারা অন্যায়ভাবে মন্দির ভাঙ্গে, মানুষদের ঘর-বাড়ি শূন্য করে অত্যাচার করে, তারা মানবজাতির শত্রু, ইসলামের শত্রু, আল্লাহ সুবহানা তা’আলার শত্রু। ইন শা’আ আল্লাহ আমরা সকলে একসাথে তাদের প্রতিরোধ করবো।



ফিরে আসি গণজাগরণ মঞ্চে - এ গণজাগরণ মঞ্চ থেকে থাবা বাবা ওরফে রাজীবকে ‘শহীদ’ উপাধি দেয়া হয়েছিল! রাজীব নাস্তিক ছিল। নাস্তিকতা নিয়ে ব্যক্তি আমার আপত্তি নেই যদি না সে ধর্মবিদ্বেষী হয়। বাকস্বাধীনতা চর্চার নামে রাজীব জীবদ্দশায় ইসলাম, আল্লাহ, মুহাম্মদ (সঃ) নিয়ে যা লিখেছে তা কোন সুস্থ ধারার মানুষ লিখতে পারে না। অথচ সেই রাজীবকে কে বা কারা হত্যা করলো জানার আগেই তাকে ‘শহীদ’ উপাধি দিয়ে শাহবাগে তার জানাজা পড়ানো হল; হিন্দু, বৌদ্ধ, খৃস্টান, মুসলিম সকলে সে জানাজা পড়লো। চার তাকবীরের জানাজা পড়ানো হল তিন তাকবীরে। অবিশ্বাসীদের কোন জানাজা নেই - সূরা তওবার আয়াত ৮৪ তে স্পষ্টভাবে এ বিষয়ে উল্লেখ করা আছে। রাজীবের জানাজা পড়িয়ে পরিষ্কারভাবে শত-সহস্র মুসলমানের অনুভুতিতে আঘাত দেয়া হয়েছে! How hypocritical!



গণজাগরণ মঞ্চ, মিডিয়া– কেউই স্বীকার করেনি রাজীব তার জীবনে ভালো কাজের পাশাপাশি ভুল করেছিল; উপরন্তু তাকে বাঁচানোর জন্যে বেহায়াভাবে একের পর এক মিথ্যাচার করে গিয়েছে। রাজীবের বিরুদ্ধে অভিযোগগুলোকে ‘অপপ্রচার’ বলে মাটিচাপা দিতে চেয়েছে! হতে পারে তার কর্মকাণ্ডগুলোকে একটা মহল মানুষের মাঝে ছড়িয়ে দিয়ে ফায়দা লুটতে চেয়েছিল, কিন্তু রাজীবের বিরুদ্ধের অভিযোগগুলো তো আর বানোয়াট নয়!



যুদ্ধাপরাধীর বিচারের দাবিতে শাহবাগের গণজাগরণমঞ্চের আদলে পরদিন চট্রগ্রাম প্রেস ক্লাবের সামনে গড়ে ওঠা প্রতিবাদ কর্মসূচীতে শুরুতে অংশ নিয়েছিলাম আমিও, কন্ঠের সাথে একাত্মতা ঘোষণা করেছিলাম। পরে প্রেসক্লাবের পেছনে থাকা পিডিবি মসজিদে মাগরিবের নামায পরতে গিয়ে গান-বাজনা, স্লোগানের চিৎকারে খাবি খেতে হল! বুঝলাম, জামাতের সময়সূচী তারা জানে না (পড়ে না,তাই), কিন্তু চার-চারটে মাইকের আজানের শব্দ উপেক্ষা করে তারা ঢোল পিটিয়ে যায় কিভাবে!?! ন্যূনতম শ্রদ্ধাবোধ কি তাদের নেই? কারা আছে এ আন্দোলনে?!?



প্রশ্নবিদ্ধ আচরণের কারণে গণজাগরণ মঞ্চ বহু আগেই বহু মানুষের কাছে তাদের গ্রহণযোগ্যতা হারিয়েছে। মঞ্চের নেতৃত্বে থাকা ইমরান এইচ সরকারের সে বক্তব্য আমি ভুলিনিঃ “অবশ্যই সরকারের চেয়ে শাহবাগের গণজাগরণ বেশি শক্তিশালী।” মানুষের জমায়েত দেখে ছেলেটার মাথা খারাপ হয়ে গিয়েছে। পরবর্তীতে মূল দাবির সাথে যোগ হল ‘জামায়াতনিষিদ্ধকরণ’ এর দাবী। সে পর্যন্ত সব ঠিক ছিল। পরে জামায়াতের সাথে সম্পর্ক আছে এমন সব প্রতিষ্ঠান– স্কুল, কলেজ, ব্যাংক, গণমাধ্যম, ডায়াগনস্টিক সেন্টার, হসপিটাল বন্ধের দাবিতে সরকারকে একের পর এক Ultimatum দিয়ে গেছে। ফলশ্রুতিতে তীব্র লজ্জায় ও শোকে ইংরেজী অভিধান থেকে আত্মহত্যা করে ‘আল্টিমেটাম’ শব্দটি।



আন্দোলনের আরেক নেতা, ফেসবুকের কথিত ইসলাম বিশারদ অমি রহমান পিয়াল। তিনি হলেন বাংলাদেশের প্রথম পর্ণ ওয়েবসাইট ‘যৌবনজ্বালা’র একাধারে ফাউন্ডারও কন্ট্রিবিউটর!



মারূফ রসূল, শাহরিয়ার কবিরের মত সুশীল সমাজের অধিকারী ব্যক্তিরা টেলিভিশনের টক শোতে এসে মাওলানাদের সাথে ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ করেন, মিথ্যাচার করেন, আঙ্গুল তুলে কথা বলেন... ইন শা’আ আল্লাহ, অচিরেই আল্লাহ সুবহানা তা’আলা সেই আঙ্গুল ভেঙ্গে দিবেন।



“...এবং [অবিশ্বাসীরা] ষড়যন্ত্র ও চক্রান্ত করেছিলো, আল্লাহও কৌশল অবলম্বন করেছিলেন। নিশয়ই আল্লাহ কৌশলীদের মধ্যে শ্রেষ্ঠ” ~ আল কুরআন [৩:৫৪]



সহজ-সরল, প্রচলিত মিডিয়ায় অভ্যস্ত নয় এমন মাওলানাদের টেলিভিশনে নিয়ে গিয়ে শিষ্টাচার বহির্ভুত আচরণ করেন, কয়েকটা হাদীস জেনে তাদের সাথে ঝগড়া বাঁধান, বোধ করি ওপরওয়ালা এহেন আচরণ সহ্য করবেন নাঃ



"যখন তারা বিশ্বাসীদের সাথে মিলিত হয়, তারা বলে, 'আমরা ঈমান এনেছি।' কিন্তু যখন তারা নিভৃতে শয়তান (লোকদের) সাথে মিলিত হয়, তারা বলে; 'আমরা তোমাদের সাথেই রয়েছি, আমরা কেবলমাত্র ঠাট্টা-তামাশা করেছিলাম। তাদের ঠাট্টা-তামাশা আল্লাহ তাদের উপরে ছুঁড়ে দেবেন এবং তাদের সীমালংঘনের জন্য (অবাধ্যতার) রশিকে লম্বা করে দেবেন, যেনো তারা অন্ধের ন্যায় চারপাশে পথভ্রষ্ট হয়ে ঘুরে বেড়ায়। এরাই তারা যারা হেদায়েতের বিনিময়ে ভ্রান্তি কিনে নিয়েছে। কিন্তু তাদের ব্যবসা-বাণিজ্য লাভজনক নয়, এবং তারা সত্য পথের নির্দেশ হারিয়ে ফেলেছে।" ~ আল কুরআন [২:১৪,১৫,১৬]







শাহরিয়ার কবির সেদিন বলছিলেন, চট্রগ্রামের কে যেন তাকে খবর দিয়েছে, লংমার্চে অংশ নেয়ার জন্যে মাদ্রাসার প্রতি ছাত্রদের ১ হাজার টাকা, শিক্ষকদের ৩ হাজার টাকা করে দেয়া হয়েছে। জনাব শাহরিয়ার কবির, আমার সাথে কুমিল্লা থেকে পায়ে হেঁটে ঢাকা গেলে নিজের পকেট থেকে আপনাকে আমি ৫ হাজার টাকা দিব, তো হয়ে যাক - এক রাউণ্ড?!



“তারা বধির, মূক, এবং অন্ধ; তারা [সঠিক পথে] ফিরবে না।”~ আল কুরআন [২:১৮]







কেউ যদি ইসলামের গঠনমূলক সমালোচনা করে, তার অজ্ঞতা নিভানোর লক্ষ্যে আলেম-ওলামাদের প্রাসঙ্গিক প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করে, তবে আমাদের আপত্তি নেই। কিন্তু আসিফ মহিউদ্দিনের মত মুরতাদ, নাস্তিক যখন ঢাকার সব মসজিদগুলোকে ভেঙ্গে 'পাবলিক টয়লেট' বানানোর দাবি করে, রাজীবের মত 'শহীদ' উপাধি পাওয়া ব্লগার যখন চটিসদৃশ্যভাষায় আল্লাহ, তাঁর রসূল মুহাম্মদ(সঃ), ও ইসলামের মূলস্তম্ভের বিষয়গুলোকে যা-তা বলে গালিগালাজ করে, ব্যঙ্গ করে, তখন প্রগতিশীল ‘মডারেট’ মুসলমানের সাথে এসব সুশীলেরা মুখে কুলুপ এঁটে বসে থাকেন, যেন কোন অদৃশ্য শক্তি তাদের শ্বাসরোধ করে রেখেছে!



গত বছর ধর্ম অবমাননাকারীদের শাস্তির লক্ষ্যে করা রিট যদি আদালত খারিজ করে না দিত, তবে আজ এতগুলো মানুষের লাশ ঝরতো না, দেশের কোটি টাকার সম্পত্তি বিনষ্ট হত না, যুদ্ধাপরাদ্ধীর বিচারের দাবিও প্রলম্বিত হত না! দু-একজন আসিফ-রাজীবের জন্যে কেনো পুরো দেশে এ ধরণের অস্থিরতা সৃষ্টি হবে!?!



মোদ্দা কথা হল – একপাশে চলে আসুন, হয় আপনি নাস্তিক, নতুবা ইসলামের অনুসারী আস্তিক মুসলমান। নিজের মসলমানিত্ব নিয়ে চলাফেরা-কর্মকাণ্ডে সংকোচবোধ ঝেড়ে ফেলুন।



“দুনিয়া মুমিন বান্দাদের জন্যে কারাগারস্বরূপ, আর অবিশ্বাসীদের জন্যে জান্নাত” ~ মুসলিম শরীফ



যুদ্ধাপরাধীর বিচার বাংলার মানুষের প্রাণের দাবি। একাত্তরে পাকিস্তান-রাজাকারদের অত্যাচারের খবরাখবর আমার ভালোই জানা আছে। কিভাবে তারা মা-বোনদের ধর্ষণ করে স্তন কেটে নিয়েছে, বেয়োনেট দিয়ে যৌনাঙ্গ খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে হত্যা করেছে; মায়ের কাছ থেকে কোলের বাচ্চাকে টেনে নিয়ে দু' পা দু'দিকে টান মেরে ছিড়ে দিয়েছে!



ইন শা’আ আল্লাহ এই বাংলার মাটিতেই রাজাকার-আলবদরদের সুষ্ঠু বিচার হবে। এজন্যে গণজাগরণমঞ্চ নয়, সরকারের সদিচ্ছাও বিচার বিভাগের সততার প্রয়োজন; বিশেষ করে বাংলাদেশের প্রায় ১৬কোটি মানুষ যেখানে একই দাবিতে সোচ্চার।



তেমনিভাবে হেফাজত-ই-ইসলাম ভালো কি মন্দ আপাতত সে তর্ক বাদ দেই, তবে সাধারণ মুসলমান হিসেবে নির্দ্বিধায় বলতে পারি তাদের প্রত্যেকটা দাবি যুক্তিসঙ্গত এবং ইসলামিক। তাদের প্রতিবাদকর্মসূচীতে অংশ নিচ্ছেন কি নিচ্ছেন না – তা সম্পূর্ণই আপনার ব্যক্তিগত বিষয়। তবে একজন ‘মুসলমান’ হওয়ার দরুন তাদের উত্থাপিত দাবির সাথে একাত্মতা ঘোষণা না করে আপনার উপায় নেই। সেক্ষেত্রে ইসলামের সম্মান রক্ষার্থে আপনাকে একা অথবা অন্যদের সাথে হলেও সচেষ্ট হতে হবে। পুরুষত্ব বিসর্জন দিয়ে ঘরে বসে শাড়ী-ব্লাউজ পড়ে থাকবেন, আর দু-একটা হাদীস জেনে ফেইসবুকে ইসলাম কপচাবেন, আর বলবেন “ইসলামের হেফাজত আল্লাহই করবে”, বিশ্বাস করি সেটা আল্লাহ সুবহানা তা’আলার কাছে গ্রহণযোগ্য হবে না...



বলুনঃ "যদি তাই হয় যে, তোমাদের পিতা, তোমাদের পুত্র, তোমাদের ভাই, তোমাদের পত্নী, তোমাদের আত্মীয়স্বজন, তোমাদের অর্জিত সম্পদ, তোমাদের ব্যবসা-বাণিজ্য যার মন্দা পড়ার আশংকা কর; অথবা বাসস্থান যেখানে তোমরা পরমানন্দ লাভ কর - যদি তোমাদের নিকট আল্লাহ, তাঁর রসূল, অথবা আল্লাহর পথে সংগ্রাম করার চেয়ে অধিক প্রিয় হয়; তবে অপেক্ষা কর... আল্লাহর সিদ্ধান্ত আসা পর্যন্ত। নিশ্চয়ই আল্লাহ বিদ্রোহী সম্প্রদায়কে সৎ পথ প্রদর্শন করেন না।” ~ আল কুরআন [৯:২৪]

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৯:১০

পরাজিত মধ্যবিত্তের একজন বলেছেন: "মুক্তিযুদ্ধ ধর্ম নিরপেক্ষতার জন্য হয় নি, ইসলাম প্রতিষ্ঠার জন্য হয়েছে।"
-মাহী বি চৌধুরী

মন্তব্য: 'তোরও জন্ম মানবজাতির বিকাশের ধারায় হয়নি;
কনডম কোম্পানির ব্যর্থতার কারণে পৃথিবীতে আসলি''

[এখন থেকে স্বাধীনতা নিয়ে উল্টাপাল্টা কথা বললে ডাইরেক্ট জাবাব] ফেসবুক থেকে পেলাম। কপি পেস্ট মারলাম।

১২ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ৯:৩৯

সংশপ্তক তাফি বলেছেন: পরাজিত মধ্যবিত্তের একজন, লেখা মনে হয় পুরোটা পড়েন নি...

মুক্তিযুদ্ধ ধর্মনিরপেক্ষতার জন্যে হয়নি, ইসলাম প্রতিষ্ঠার জন্যেও হয়নি; মুক্তিযুদ্ধে মানুষ অংশ নিয়েছিল দেশ ও যার যার অস্তিত্ব রক্ষার তাগিদে, শোষণ- নিপীড়নের অসুস্থ থাবা থেকে বাঁচার আশায়।

২| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৯:৪১

মামুন রশিদ বলেছেন: 'মুক্তিযুদ্ধের সাথে ইসলাম সাংঘর্ষিক' এটা কারা বলছে বা করছে ??



উত্তর ভেরি সিম্পল । একাত্তরে স্বাধীনতা বিরোধীরা পাকিদের দালালী করতে গিয়ে ইসলামকে মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধে দাড় করাতে চেয়েছিলো । পারেনি, মুক্তিকামী বাঙালী এই অপচেষ্টা প্রতিহত করেছে ।

আজকেও সেই একই অপশক্তি ইসলাম আর মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে মুখোমুখি দাড় করানোর এই একই অপচেষ্টা করে যাচ্ছে । এরাও নিশ্চিত ব্যর্থ হবে ।

৩| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১০:০৯

আহলান বলেছেন: এতো বড় লেখা ....

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.