![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
৪ বিভাগের সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের ৪-০ ব্যবধানে পরাজয়ের পর এক ফেইসবুক ফ্রেণ্ড স্ট্যাটাসে ভোটারদের উদ্দেশ্যে বললো – "নিমকহারাম, বেঈমান"! সেখানে আরেকজন মন্তব্য করলো – ‘দেশদ্রোহী’ বলে, এবং ভোটারদের কর্মকান্ড দেখে তার না কি ঘেন্না আসছিল! যাই হোক, ব্লক মারতে দেরি করলাম না।
অপর আরেক বন্ধুর ধারণা – আমরা সবসময় অপেক্ষাকৃত ভালোটাকেই বেছে নেই, তাই বিএনপিকে ভোট দিয়েছে।
তবে আমি বলি ভিন্ন। আমরা বাঙ্গালী জাতি হলাম ফুটবলের মত। আওয়ামী লীগ , বিএনপি মাঠের দু’পাশে থাকে, এর সাথে সাবস্টিটিউট হিসেবে থাকে - জাতীয় পার্টি, জামায়াত! আমরা এর লাথি খেয়ে ওর ঘাড়ের ওপর উঠি, আরেকবার ওর লাথি খেয়ে এর কোলের উপর চড়ে বসি (শুনতে খারাপ হলেও এটা ধ্রব সত্য)! এখানে ‘অপেক্ষাকৃত ভালো’ বলতে আসলে কেউ নেই।
গেল তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়ে বিএনপির দুর্নীতি বেশ ভালোভাবে উন্মোচিত হয়েছিল। মানুষ খাম্বা দেখেছে, বিদ্যুৎ পায়নি! বোমা মেরে বিরোধী দলকে নিশ্চিহ্ন করার ষড়যন্ত্র, জঙ্গিবাদের ভয়াবহ উত্থান – স্বচক্ষে সবাই প্রত্যক্ষ করেছে।
বুকে অনেক আশা চেপে আওয়ামী লীগকে ভোটের মাধ্যমে ক্ষমতায় আনার পর আবার আমাদের স্বপ্নভঙ্গ! বিডিআর হত্যাকান্ড দিয়ে শুরু! শেয়ার বাজার, ইউনিপে, হলমার্ক, বিসমিল্লাহ গ্রুপ, ডেসটিনি সহ কতশত কেলেঙ্কারি! সরকারী ব্যাংকগুলো থেকে একের পর এক ঋণ নিয়ে সরকার সেগুলোকে আক্ষরিক অর্থে দেউলিয়া বানিয়ে রাখলো।
এক বছরে রেকর্ড সংখ্যকবার জ্বালানী তেলের মূল্য বৃদ্ধি; ভোগ্য পণ্যের ক্যাঙ্গারুর মত লাফিয়ে লাফিয়ে দাম বাড়া; তিস্তার পানি চুক্তি ও পদ্মা সেতু নির্মাণে ব্যর্থতা, ও আবুল হোসেনের উদ্ভাবন; জনগণের অনিচ্ছা সত্ত্বেও ‘বন্ধুপ্রতীম’ দেশ ভারতের সাথে ট্রানশিপমেন্ট চুক্তি; সীমান্তে বিএসএফ এর নিষ্পাপ ফেলানী সহ হাজারের ওপর মানুষ হত্যা; সাগর-রুনি, বিশ্বজিত, ও ত্বকী হত্যা; বিভিন্ন এলাকা ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ছাত্রলীগের চাঁদাবাজি ও দৌরাত্ম্য; হেফাজতের ওপর প্রশ্নবিদ্ধ ন্যক্কারজনক হামলা; সংবাদপত্রের স্বাধীনতায় অন্যায় ও অযৌক্তিক হস্তক্ষেপ ও বাকশাল নীতি প্রণয়নের সূক্ষ প্রচেষ্টা; যুদ্ধাপরাধীর বিচার প্রলম্বিত করা; তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল ও সংবিধানে অযথা কাঁটাছেড়া করা; আওয়ামী নেতৃবৃন্দের অহংবোধপূর্ণ কথাবার্তা ও বিরোধী দলের সাথে ‘জারজ সন্তানের’ মত আচরণ – এসব কিছু দেখে গত চার বছরে এদেশের মানুষের নাভিশ্বাস উঠেছে!
মানুষ সুস্থভাবে বেঁচে থাকতে চায়, সেই চাহিদাকেও এ দেশের নোংরা রাজনীতি পা মাড়িয়ে প্রমথিত করেছে। এখানে একদল মুক্তিযুদ্ধ বেঁচে খায়, আরেকদল ধর্মের বলয়ে(!) ঘুরপাক খেতে খেতে দুর্নীতি করে! মূলত উভয়েই সাধারণ মানুষদের আবগের সাথে প্রতারণা করে। তাদের ক্ষমতা ও হিংসার রাজনীতির যাঁতাকলে প্রতিনিয়ত এখানে-ওখানে পিষ্ট হচ্ছে আমাদের স্বপ্নেরা। ৫ বছর গদির ক্ষমতা উপভোগ করার পর কোন একজন মন্ত্রী পরবর্তীতে গদিবিহীন শরীরের কথা ভাবতেও পারেন না... অন্যদিকে প্রতি ৫ বছর অন্তর অন্তর ভোটাধিকার প্রয়োগ করে গণতন্ত্রের ইজ্জত রক্ষা করার মাঝেই আমাদের দায়িত্ব ও ক্ষমতা সীমাবদ্ধ করে রাখা হয়েছে! আমাদের কণ্ঠস্বরের হাহাকার প্রতিবিম্বিত হয়ে আমাদের কাছেই ফিরে ফিরে আসে, যেন শোনার কেউ নেই!
না, আছে; বিশ্বাস করি ওপরে একজন আছে। আশা করার যন্ত্র ভোঁতা হলেও এখনো টিকে আছে, তাই অল্প একটু আশা তো করতেই পারি!
২| ১৮ ই জুন, ২০১৩ রাত ১০:২৫
বিশ্বাস করি 1971-এ বলেছেন: আপনে পাচ বছর পর পর একটা করি ভুট দিবেন আর কবেন দেশের কিছু হচ্ছি না ক্যান? চুরের হাতে সব বর্গা দিয়ে কবেন চুরি হচ্ছি ক্যান! আপনেরা চুদা খাবেন নাতো চুরা তারেক আর ডিজিটাল মাগিখোর জয় চুদা খাবে?
৩| ১৮ ই জুন, ২০১৩ রাত ১০:৪১
সংশপ্তক তাফি বলেছেন: বিশ্বাস করি... আশা করছি পরবর্তীতে কমেন্ট করলে শালীন ভাষা ব্যবহার করবেন!
আমি ভোটার হইনি, ভোটও দিইনি। ভোটার হলেও যে শীঘ্রই ভোট দেব এমন কোন ইচ্ছাও নেই।
অনেক ক্ষেত্রে আমরা ব্যবহার করার মাধ্যমে নিজেকেও সাধারণ মানুষের কাতারে ফেলেছি, তবে তার মানে এই না যে অন্যেরা যা করছে তার সবটাই আমি অনুসরণ করেছি...
©somewhere in net ltd.
১|
১৮ ই জুন, ২০১৩ রাত ১০:০৮
প্রািন্ত বলেছেন: যারা ফেসবুকে ভোটাদের নামে বাজে মন্তব্য করেছে তারা সত্যিকার অর্থেই বাকশালের উত্তরসূরি। এরা মানুষ নয়, অমানুষ। তারা কি ৩টি কারণ জানাতে পারবেন যে ৩টি কারণে আওয়ামীলীগকে ভোট দেয়া যায়? জনগণ বিএনপির প্রতি আস্থাবান হয়ে ভোট দেয়নি, তারা আওয়ামী অপশাসনের বিরুদ্ধে এই ভোটের মাধ্যমে অনাস্থা জানিয়েছে। সুতরাং সাবধান।