নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কমবুঝি কিন্ত কিছু একটা নিয়ে বোঝার চেস্টা করি তাই যত পারি বই পড়ি ।

ঠ্যঠা মফিজ

ঠ্যঠা মফিজ › বিস্তারিত পোস্টঃ

আহমদ রেজা খান বেরলভী ছিলেন একজন ব্রিটিশ ভারতের সমাজ সংস্কারক

২৯ শে মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৪:৫৩


আহমদ রেজা খান বেরলভী ছিলেন একজন বিশিষ্ট মুসলিম মনীষী, সুফী এবং ব্রিটিশ ভারতের সমাজ সংস্কারক। সুন্নি ইসলামের মধ্যে বেরলভী আন্দোলনে তিনি ছিলেন প্রধান উদ্যোক্তা। তার লেখার বিষয়বস্তুতে আইন, ধর্ম, দর্শন এবং বিজ্ঞান সহ বিভিন্ন বিষয় অন্তর্ভুক্ত ছিল। তিনি ছিলেন উর্বর লেখক তার জীবদ্দশায় তিনি ইসলামী আইন-কানুনের উপর প্রায় ১০০০ টির অধিক লিখা লিখেছেন।আহমাদ রেজা খান বেরলভীর পিতা নকী আলী খান ছিলেন রেজা আলী খানের পুত্র ।আহমাদ রেজা খান ১৪ জুন ১৮৫৬ সালে ব্রিটিশ ভারতের বেরেলী শহরের জাসলী মহল্লাতে জন্ম গ্রহণ করেন। জন্মের সময় তার নাম রাখা হয় মোহাম্মাদ।আহমেদ রেজা বেরুলভী আযাদী আন্দোলনের বিরোধী ছিলেন। শাহ ওয়ালীউল্লাহ দেওলভীর বিরোধ পক্ষ হিসেবে তিনি আবির্ভূত হন। তিনি ততৎকালীন বৃটিশ শাসিত ভারতকে দারুল ইসলাম ঘোষণা করে জিহাদের বিপক্ষ অবস্থান নেন।আহমদ রেজা আরবী, উর্দূ, এবং ফারসী ভাষায় বিভিন্ন বিষয়ে অনেক বই লিখেছেন, তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য ফাতওয়া-ই-রিজভিয়া/ফাতওয়া রাদাভিয়াহ ৩০ খন্ড, যেটি ফাতুয়া সমুহের সংকলন, এবং কানজুল ঈমান কোরআনের অনুবাদ। তার বিভিন্ন বই ইউরোপীয় এবং দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন ভাষাতে অনূদিত হয়েছে।

কানজুল ঈমান হল সুন্নি মুসলিম আহমদ রেজা খান কর্তৃক ১৯১০ সালে কোরআন শরিফের উর্দূ ভাষায় অনূদিত গ্রন্থ। এটি হানাফী মাযহাবের আইনসমুহকে সমর্থন করে এটি ভারত উপমহাদেশের সর্বাধিক পঠিত কোরআনের অনুবাদ গ্রন্থ হিসেবে বিবেচনা করা হয়, এটি ইউরোপ এবং দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন ভাষায় অনূদিত হয়েছে যার মধ্যে রয়েছে ইংরেজী, হিন্দি, বাংলা, ডাচ, তুর্কী, সিন্ধি, গুজরাটী এবং পশতু. বাংলা ভাষায় কানযুল ঈমান গ্রন্থটি অনুবাদ করেন আল্লামা এম এ মান্নান,যা বাংলাদেশে ব্যাপক সমাদৃত হয়।
কানজুল ঈমানে সুরা ফাতিহার ব্যাখ্যা
আহমদ রেজা খান বেরলভী উর্দুতে অনুবাদ লিখেছিলেন। এটি পরবর্তীতে ইউরোপিয়ান এবং দক্ষিণ এশিয়ান ভাষা সহ ইংরেজি, হিন্দি, বাংলা, ডাচ, তুর্কি, সিন্ধি, গুজরাটি এবং পশতুতে অনুবাদ হয়।পবিত্র কোরআন বিশ্বাসের ধন কানজুল ঈমান (উর্দু), ইংরেজিতে অনুবাদ করেন প্রফেসর শাহ ফরিদুল হক।অন্যান্য অনুবাদ সম্পন্ন করেন প্রফেসর হানিফ আকতার ফাতমি।সম্প্রতি আকিব ফরিদ কাদরী তৃতীয় অনুবাদ প্রকাশ করেন।ডি হেইলিজ কোরআন,ডাচ ভাষান্তরিত করেন গোলাম রসুল আলাহদিন।কোরআন-ই-করিম, তুর্কী ভাষান্তরিত করেন ইসমাইল হাক্কি ইজমিরলি।
তথ্যসূত্রঃ http://www.kanzuliman.org/
https://www.onlinequrancourses.com/kanzul-eman-fi-tarjamatil-quran/

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ২৯ শে মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৫:১৭

শামচুল হক বলেছেন: পোষ্টের জন্য ধন্যবাদ

২| ২৯ শে মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৫:১৮

ক্স বলেছেন: আমি ভাবছি আপনি বালাকোটের ইতিহাস নিয়ে কিছু বলবেন।

৩| ২৯ শে মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৫:৩০

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: ধন্যবাদ,এমন একটি হারিয়ে যাওয়া ইতিহাসকে তুলে ধরার জন্য।শুভেচ্ছা অনন্ত।

৪| ২৯ শে মার্চ, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:০৪

চাঁদগাজী বলেছেন:


সুরা ফাতিহায় যা লেখা আছে, উনি ব্যাখ্যা করে কি উহা বদলায়ে দিয়েছিলেন? আপনি যেভাবে সুরা ফাতিহা নামাজের সময় পড়েন, উনার ব্যাখা পড়ার পর, সুরার অর্থ কি আপনার কাছে অন্য রকম মনে হয় এখন?

৫| ২৯ শে মার্চ, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৩৯

বিএম বরকতউল্লাহ বলেছেন: বাহ তথ্যসমৃদ্ধ লেখা।
শুভেচ্ছা রইল।

৬| ২৯ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ৮:১০

সৈয়দ তাজুল বলেছেন:


উনি ব্রিটিশ শাসনকে দারুলইসলাম ঘোষণা করে আজাদি আন্দোলনের বিরোধী ছিলেন! মনে হয় আপনি আজাদি আন্দোলন ও ব্রিটিশ শাসন সম্পর্কে খুব একটা জ্ঞাত নন।
ব্রিটিশ শাসন কোন সুত্রে দারুল ইসলামের পক্ষে যেতে পারে?
ঐ সময় কিন্তু তুরস্কে উসমানী খেলাফত চলছিল। যেটাকে রেজা খা সাহেবের বিরোধী পক্ষ জোরালো ভাবে সমর্থন দিচ্ছিল। আপনি কোন দিক থেকে ভারতবর্ষের লুটেরাদের শাসনকে ইসলামি শাসন বলছেন?


আর উনার অনূদিত পবিত্র কোরআন কী এখনো ভারতবর্ষে সর্বাদিক পঠিত গ্রন্থের জায়গায় বহাল রয়েছে? আচ্ছা, কোন সময়টায় এ অর্জন লাভ করলো একটু জানাবেন?

মাফ ককরবেন, উনার এমন প্রশংসা দেখে আপনাকে বৃটিশ সমর্থিত মনে হচ্ছে!

৭| ২৯ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ১০:১৪

কাউয়ার জাত বলেছেন: ব্রিটিশদের একনিষ্ঠ খাদেম, মাজার কেন্দ্রিক বাড়াবাড়ির প্রবক্তা এবং উলামায়ে হাক্কানীকে কাফের সাব্যস্তকারী ধূর্ত এক মিনি দাজ্জাল।

৮| ৩০ শে মার্চ, ২০১৮ সকাল ১১:৫৭

টারজান০০০০৭ বলেছেন: জী ! উনি বিশিষ্ট সমাজ সংস্কারকই ছিলেন ! সমাজ সংস্কার করিয়া উনি সমাজ হইতে ইংরেজ বিরোধিতা দূর করিতে জোর চেষ্টা করিয়াছিলেন, ইংরেজবিরোধী ওলামা সমাজকে কাফের ফতোয়া দিয়া ইংরেজদের পক্ষে সমাজকে আনিতে চেষ্টা করিয়াছিলেন !সমাজে শিন্নি পার্টির প্রভাব ব্যাপক বৃদ্ধি করিয়াছিলেন ! উনার মতন মহান (!) সমাজ সংস্কারককে ইংরেজ নাইট উপাধিতে ভূষিত না করিয়া অবমূল্যায়ন করিয়াছে ! একারণেই ইংরেজ উপমহাদেশ হইতে তল্পিতল্পা গুটাইতে বাধ্য হইয়াছে !

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.