নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কমবুঝি কিন্ত কিছু একটা নিয়ে বোঝার চেস্টা করি তাই যত পারি বই পড়ি ।

ঠ্যঠা মফিজ

ঠ্যঠা মফিজ › বিস্তারিত পোস্টঃ

রক্তচোষা ভ্যাম্পায়ার কখনো কি কেউ দেখেছে না শুধুই রূপকথা

০১ লা জুন, ২০১৮ বিকাল ৪:৩৬


আসলে মূল কথা হল রক্তচোষা ভ্যাম্পায়ার একটি পৌরাণিক এবং লোককথার একটি প্রাণী যারা জীবিত প্রাণীর রক্ত খেয়ে বেঁচে থাকে। ভ্যাম্পায়ার অনেক সংস্কৃতিতে দেখা যায়। ইতিহাসবিদ ব্রায়ান ফ্রস্ট বলেছেন রক্তচোষা দৈত্য এবং ভ্যাম্পায়ারে বিশ্বাস মানুষের অস্তিত্বের মতোই একটা পুরানা ব্যাপার। বিশেষ করে ভ্যাম্পায়ার শব্দটি জনপ্রিয় হয়ে ওঠে ১৮ শতকের প্রথম দিকে।একটা সময় ছিল যখন পূর্ব ইউরোপ ও বলকানসের ধরনের কুসংস্কার বেড়ে ওঠেছিল। ভ্যাম্পায়ার কুসংস্কারের মাত্রা যতই বাড়তে থাকে মানুষের মাঝে মাস হিস্টেরিয়া বাড়তে থাকে।চাইলে ব্রাম স্টোকারের ড্রাকুলা উপন্যাস স্বরণ করা যায় ভ্যাম্পায়ার সাহিত্য হিসেবে। এই বইটি ব্যাপক জনপ্রিয়তা পায়, এমনকি এই শতাব্দীতেও বেশ জনপ্রিয়তা লাভ করে। অক্সফোর্ড ইংলিশ অভিধানে শব্দটি ১৭৩৪ সালে স্থান পেয়েছিল।অনেক পরিবর্ধিত ধর্মীয় উপাসনার পদ্ধতিতে ভ্যাম্পায়ারকে খুঁজ়ে বের করা যায়।

এজন্য প্রথমে একটা কুমার বালককে কবরের কাছে নিয়ে আসতে হবে অথবা একটি ঘোড়াকে। সাধারণত কালো ঘোড়া আর আলবেনিয়াতে সাদা ঘোড়া দরকার হয়। যে কবরে ভ্যাম্পায়ার থাকে তার মাটিতে তখন গর্ত সৃষ্টি হয়। মানুষের মৃতদেহকে ভ্যাম্পায়ার হিসেবে ভাবা হয় অনেক সময় যেগুলোর পচে যাওয়ার লক্ষণ দেখা যায় না। কিছু কিছু ক্ষেত্রে সন্দেহজনক কবর খোঁড়া হলে পাওয়া যায় সারা মুখে শিকারের রক্তমাখা মৃতদেহ বা ভ্যাম্পায়ার। গবাদি পশুর মৃত্যু বা আত্নীয়, প্রতিবেশীর মৃত্যুকে ভ্যাম্পায়ারের প্রমাণ হিসেবে দেখা যায়।২০০৬ সালে ভেনিসের কাছে ১৬ শতকের একটি কবরে মুখে ইট দেয়া একটি মহিলা মৃতদেহ পাওয়া যায়, যা ভ্যাম্পায়ার জবাই করার উপাসনার প্রমাণ হিসেবে দেখা যায়। কবরে গরম পানি ঢেলে দেওয়া যা পুরো দেহকে পুড়িয়েও ভ্যাম্পায়ার তাড়ানো যায়। গরম পানিতে চুবিয়ে বা গুলি করেও ভ্যাম্পায়ার মারা যায়। এমনকি এক্সোরসিজমে পবিত্র পানি ছিটিয়ে ভ্যাম্পায়ার হত্যা করা যায়। ২০০৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে রোমানিয়াতে টোমা পেতরের কিছু আত্নীয় অভিযোগ করেন যে সে ভ্যাম্পায়ার হয়ে গেছে। তারা তখন কবর ভেঙ্গে তার মৃতদেহকে তুলে ফেলেন তারপর তার হৃৎপিন্ড তুলে আগুনে পোড়ায় এবং ছাই মিশ্রিত পানি খাইয়ে দেয়। আধুনিক ওকালটিস্ট আন্দোলনে ভ্যাম্পায়ার জীবনাচরণ একটি অনুপ্রেরণার নাম। ভ্যাম্পায়ারদের ধূর্ত শিকারীসুলভ মনোভাব,তার মন্ত্রপুত ক্ষমতা তার একটি শক্তিশালী ভাবমূর্তি গড়ে তোলে যা ধর্মীয় উপাসনাতে শক্তির কাজে এবং মন্ত্র সাধনায় সর্বোপরি একরকম ধর্মীয় ব্যবস্থা গড়ে তোলে।

মন্তব্য ২৬ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (২৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০১ লা জুন, ২০১৮ বিকাল ৪:৫৫

সম্রাট ইজ বেস্ট বলেছেন: ব্রাম স্টোকারের ড্রাকুলা পড়ার আগে ভ্যাম্পায়ার সম্পর্কে কিছুই জানতাম না। পরে অবশ্য বিভিন্নভাবে ভ্যাম্পায়ারের বিষয়ে জানার সৌভাগ্য হয়েছে। কিন্তু এটা আমার কাছে নেহাত কুসংস্কার ছাড়া আর কিছু মনে হয়নি।

০১ লা জুন, ২০১৮ বিকাল ৫:০০

ঠ্যঠা মফিজ বলেছেন: সম্রাট ভাই এসব ভ্যাম্পায়ারে আমিও বিশ্বাস করি না।এসবই আমার কাছে বরাবর রূপকথাই মনে হয়ে আসছে ।আপনার
মূল্যবান মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।অনেকদিন পরে মনে হয় আপনাকে পেলাম ।

২| ০১ লা জুন, ২০১৮ বিকাল ৪:৫৯

শায়মা বলেছেন: ভ্যাম্পায়ার বলে অবশ্যই কিছু নেই তবে গল্পগুলো একেবারে সত্যি বলেই মানুষ বিশ্বাস করে অনেকেই।

০১ লা জুন, ২০১৮ বিকাল ৫:০৬

ঠ্যঠা মফিজ বলেছেন: শায়মা আপু এই কারনেই আমরা কিছু মানুষ কিছু ভন্ড পীর আর কিছু ভন্ড সাধুদের জন্ম দিয়েছি।আমাদের এই ভুল বিশ্বাসগুলোই
আমাদের অনেক ক্ষতির কারন।আমার কাছে মনে হয় আসলে ভ্যাম্পায়ার বলে কিছু নেই।শুধু ভন্ডামী ।যেমন এখন দেশে মাদক
নিয়ে ক্রসফায়ার চলছে ;)

৩| ০১ লা জুন, ২০১৮ বিকাল ৫:৩০

কাইকর বলেছেন: সাইকো টাইপ গল্প আশা করছি এরপরে

০১ লা জুন, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:০৬

ঠ্যঠা মফিজ বলেছেন: হলে মন্দ হয় না।

৪| ০১ লা জুন, ২০১৮ বিকাল ৫:৪০

অচেনা হৃদি বলেছেন: ভাইয়া ড্রাকুলা আর ভ্যাম্পায়ার কি একই জিনিস ? আমার মনে হচ্ছে আপনি ভ্যাম্পায়ারের যে বর্ণনা দিয়েছেন তার সাথে ড্রাকুলার কনসেপ্টও মিলে যাচ্ছে ।

০১ লা জুন, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:০৬

ঠ্যঠা মফিজ বলেছেন: খারাপ বলেন নাই।

৫| ০১ লা জুন, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৪৭

নতুন বলেছেন: মানুষ রহস্য পছন্দ করে। তাই এই সব কাহিনি বিশ্বাস করে।

আমাদের দেশের ভন্ডপীরেরাও এই রকমের কাহিনি তৌরি করে মানুষের মতনে এক রকমের বিশ্বাস তৈরি করে ধান্দাবাজী করে যাচ্ছে।

গত রাতে দেখলাম ফেসবুকে একটা কবুতরের গলায় তাবিজ বাধা....সেখানে ২/৩ শত মানুষের লাইক/কমেন্ট আছে.... যার মাঝে অধেক` এটা কুফুরী কালাম এবং এই তাবিজের মাধ্যমে মানুষের ক্ষতি করা যায় বলে বিশ্বাস করে মনে হলো।

০১ লা জুন, ২০১৮ রাত ৯:৪২

ঠ্যঠা মফিজ বলেছেন: নতুন ভাই আপনার কমেন্টের সাথে সহমত না হওয়ার কোনো উপায় নাই।

৬| ০১ লা জুন, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৪৮

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: এত বিজ্ঞান মনস্ক হয়েও কিছু কিছু ক্ষেত্রে পশ্চিমারা আমাদের চেয়েও বেশী কুসংস্কারে বিশ্বাসী...

০১ লা জুন, ২০১৮ রাত ৯:৪৩

ঠ্যঠা মফিজ বলেছেন: হ্যা সেটা টিভিতে তাদের নাটক মুভি কালচার দেখলেই বোঝা যায়।

৭| ০১ লা জুন, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:২৫

নির্বাক শাওন বলেছেন: Warning: Some contents may be inappropriate for some people.


The Sun Interviews Vampire Couple

০১ লা জুন, ২০১৮ রাত ৯:৪৪

ঠ্যঠা মফিজ বলেছেন: ধন্যবাদ।

৮| ০১ লা জুন, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:২৬

নির্বাক শাওন বলেছেন: The Interview Of Vampire Couple

০১ লা জুন, ২০১৮ রাত ৯:৪৫

ঠ্যঠা মফিজ বলেছেন: ধন্যবাদ।

৯| ০১ লা জুন, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৫২

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: ভ্যাম্পায়ার নিয়ে নির্মিত মুভি, সিরিজগুলো দেখতে দেখতে মনে হতো আসলেই এরা এক্সিস্ট করে। বাস্তবে না হোক মানুষের কল্পনায় ভালোভাবেই বাসা করেছে ভ্যাম্পায়াররা।

অনেককিছু জানলাম আপনার পোষ্টের কারণে। থ্যাংকস।
শুভেচ্ছা।

০১ লা জুন, ২০১৮ রাত ৯:৪৫

ঠ্যঠা মফিজ বলেছেন: ধন্যবাদ আপু।

১০| ০১ লা জুন, ২০১৮ রাত ১০:৪২

ব্লগার_প্রান্ত বলেছেন: উপমহাদেশে কি প্রচলিত আছে তা নিয়েও লিখুন, রক্তচোষাতো এই এলাকায়ও থাকতে পারে =p~
আপনার প্রোপিকে উনি কি আর্কিমিডিস বা পীথাগোরাস? প্লিজ বলুন আমি ওনাকে যেন কোথায় দেখেছি!

১০ ই জুন, ২০১৮ বিকাল ৩:৪৪

ঠ্যঠা মফিজ বলেছেন: হ্যা রক্তচোষা সব জায়গায় থাকতে পারে সে শক্তি তাদের দিয়েছেন ওপর আলা ।

১১| ০১ লা জুন, ২০১৮ রাত ১১:১৫

সনেট কবি বলেছেন: মানুষের কল্পনা অনেক সমৃদ্ধ!

১০ ই জুন, ২০১৮ বিকাল ৩:৪৫

ঠ্যঠা মফিজ বলেছেন: ধন্যবাদ প্রিয় সনেট কবি।

১২| ০২ রা জুন, ২০১৮ সকাল ১০:৫৩

রাজীব নুর বলেছেন: হুম।
জানলাম।

১০ ই জুন, ২০১৮ বিকাল ৩:৪৫

ঠ্যঠা মফিজ বলেছেন: ধন্যবাদ ।

১৩| ০৩ রা জুন, ২০১৮ রাত ৩:০০

:):):)(:(:(:হাসু মামা বলেছেন: দারুন বর্নণা দিয়েছেন । :)

১০ ই জুন, ২০১৮ বিকাল ৩:৪৬

ঠ্যঠা মফিজ বলেছেন: ধন্যবাদ ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.