নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কমবুঝি কিন্ত কিছু একটা নিয়ে বোঝার চেস্টা করি তাই যত পারি বই পড়ি ।

ঠ্যঠা মফিজ

ঠ্যঠা মফিজ › বিস্তারিত পোস্টঃ

মুঘল-পূর্ব সুলতানি আমলের স্থাপত্যশৈলীর সমন্বয়ে নির্মিত প্রাচীন খেরুয়া মসজিদ এর ইতিহাস

১০ ই জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৪:৪৩


খেরুয়া মসজিদ বাংলাদেশের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রত্ননিদর্শন এবং এই মসজিদটি মুঘলপূর্ব সুলতানি আমলের স্থাপত্যশৈলীর সঙ্গে মোগল স্থাপত্যশৈলীর সমন্বয়ে নির্মাণ করা হয়। প্রায় ৪৩৫ বছর ধরে টিকে থাকা এই মসজিদের অবস্থান বগুড়া শহর থেকে প্রায় ২০ কিলোমিটার দক্ষিণে শেরপুর উপজেলা সদরের খোন্দকার টোলা মহল্লায়।মসজিদটি টিকে আছে চার কোণের প্রকাণ্ড আকারের মিনার আর চওড়া দেওয়ালের কারণে তবে ইটে খোদাই করা নকশা ক্ষয়ে গেছে এবং চুন সুরকির প্রলেপ ঝরে গেছে। চুন সুরকি দিয়ে গাঁথা পাতলা লাল ইটের দেওয়ালগুলো প্রায় ১.৮১ মিটার চওড়া তার ওপর ভর করেই ছাদের ওপর টিকে আছে খেরুয়া মসজিদের তিনটি গম্বুজ। খেরুয়া মসজিদ বাইরের দিক থেকে উত্তর-দক্ষিণে লম্বা প্রায় ১৭.২৭ মিটার, প্রস্থ ৭.৪২ মিটার। পূর্ব দেওয়ালে তিনটি খিলান দরজা। মাঝেরটি আকারে বড়। উত্তর-দক্ষিণে একটি করে খিলান দরজা। কোনোটিতেই চৌকাঠ নেই। ফলে দরজার পাল্লা ছিল না। পূর্বের বড় দরজাটির নিচে কালো পাথরের পাটাতন। পূর্বের দরজা বরাবর পশ্চিমের দেওয়ালের ভেতরের অংশে তিনটি মেহরাব। মেহরাবগুলোর ওপরের অংশ চমৎকার কারুকাজখচিত। মসজিদটির নিচের অংশে ভূমি পরিকল্পনা মোগল স্থাপত্যরীতির। ওপরের অংশ মোগল-পূর্ব সুলতানিরীতিতে। চার কোণে দেওয়াল থেকে খানিকটা সামনে চারটি বিশাল মিনার। ছাদের ওপর তিনটি ৩.৭১ মিটার ব্যাসের অর্ধ গোলাকৃতির গম্বুজ। কার্নিশ ধনুকের মতো বাঁকা। তার তলায় সারিবদ্ধ খিলান আকৃতির প্যানেলের অলংকরণ।

অত্যন্ত সুন্দর এর দেওয়ালের গাঁথুনি। নান্দনিক বৈচিত্র্য আনা হয়েছে ইটের বিন্যাস এবং খাড়া প্যানেল তৈরি করে। সামনের অংশের ইটে আছে ফুল-লতা-পাতা খোদাই করা নকশা। মিনার, গম্বুজ, নকশা ও ইটের বৈচিত্র্যময় গাঁথুনিতে পুরো স্থাপত্যটি অত্যন্ত নান্দনিক হয়ে উঠেছে। মসজিদের সামনে সবুজ ঘাসে ঢাকা আয়তাকার মাঠ। মসজিদের কিনার দিয়ে তাল, নারকেল, আম, কদমগাছের সারি। এক পাশে মৌসুমি ফুলের গাছও আছে। ইটের প্রাচীরের ওপর লোহার রেলিং দিয়ে পুরো চত্বর ঘেরা। মোট জায়গার পরিমাণ প্রায় ৫৯ শতাংশ। নামাজের সময় মুসল্লিরা ছাড়া সাধারণত কেউ ভেতরে প্রবেশ করে না। তাই প্রাঙ্গণটি নিরিবিলি এবং খুবই পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন। গাছগাছালিঘেরা সবুজ পরিবেশে তিন গম্বুজওয়ালা প্রাচীন স্থাপত্যটিকে মনোরম দেখায়।
মসজিদের সামনের দেওয়ালে উৎকীর্ণ শিলালিপি থেকে জানা যায় ১৫৮২ সালে জওহর আলী কাকশালের পুত্র মির্জা মুরাদ খান কাকশাল মসজিদটি নির্মাণ করেছিলেন। কাকশাল উপাধি ছিল তুর্কিদের দেওয়া। ঘোড়াঘাট অঞ্চল ছিল তুর্কি জায়গিরদারদের অধীন। মির্জা মুরাদ খান কাকশালের বিশদ পরিচয় পাওয়া যায় না। শেরপুর সে সময় ঘোড়াঘাটের অধীনে একটি প্রশাসনিক কেন্দ্র ছিল। ঐতিহাসিকদের অনুমান মির্জা মুরাদ খান কাকশাল শেরপুরের জায়গিরদার বা ফৌজদার ছিলেন।খেরুয়া মসজিদের নামকরণ স্পষ্ট নয়। আবুল কালাম মোহাম্মদ যাকারিয়া তার বাংলাদেশের প্রত্নসম্পদ বইতে উল্লেখ করেছেন এই মসজিদের খেরুয়া নামের কোনো ইতিবৃত্ত পাওয়া যায়নি। আরবি বা ফার্সি ভাষায় খেরুয়া বলে কোনো শব্দ পাওয়া যায় না। তবে ফার্সিতে খায়ের গাহ্ বলে শব্দ আছে। যার অর্থ কোনো স্থানের ভেতরে। রাজা মানসিংহ যখন বাংলার সুবাদার তখন তিনি শেরপুরে একটি দুর্গ নির্মাণ করেছিলেন। এই দুর্গের কোনো অস্তিত্ব এখন নেই। তবে মসজিদটি যদি শেরপুর দুর্গের ভেতরে নির্মিত হয়ে থাকে, তবে খায়ের গাহ থেকে খেরুয়া নাম হতে পারে বলে অনুমান করা যায়।

তথ্যসূত্রঃ ইন্টারনেট।

মন্তব্য ১৬ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১০ ই জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৪:৫১

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: বাংলাদেশে প্রত্নসম্পদ হিসেবে অবহেলিত অসংখ্য নমুনার মাঝে একটি আপনার খেরুয়া মসজিদ - সম্পত্তির কি নিদারুন অপব্যাবহার ও অপচয় - আফসোস ।।

১০ ই জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৪:৫৪

ঠ্যঠা মফিজ বলেছেন: বড়ই কষ্টের কথা। ধন্যবাদ ভাই ঠাকুরমাহমুদ।

২| ১০ ই জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৪:৫৩

রাজীব নুর বলেছেন: আমার একসময় ইচ্ছা ছিল ঢাকা শহরের সমস্ত মসজিদে দুই রাকাত করে নামাজ পড়বো। ঢাকা শহরের পর শুরু করবো জেলা শহর। কিন্তু আমি ঢাকা শহরের মসজিদ গুলোই শেষ করতে পারিনি।

১০ ই জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৪:৫৮

ঠ্যঠা মফিজ বলেছেন: আপনি প্রতি বছর শবেবরাত এবং শবেকদরে মনে রমজানের শেষ দশদিনে সফর দিতে পারেন ।ধরেন প্রতেক মসজিদে
গেলেন আর দুই রাকাত করে নফল নামাজ আদায় করলেন । কয়েক বছর এরকমসফর দলেই আশা করি আপনার মনবাসনা পূর্ণ
হতে পারে। ধন্যবাদ ভাই রাজীব নুর।

৩| ১০ ই জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৫:০২

চাঁদগাজী বলেছেন:



তুর্কিরা ও আফগানরা বরাবরই ইডিয়ট ছিল; যুদ্ধ করে মরেধরে বিশ্বের অন্যপ্রান্ত এসে, গরীবের টাকা লুট করে, মসজিদ ও কবরস্হান বানায়েছে এসব বেকুবেরা; দরকারী কিছুই বানায়নি।

১০ ই জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৫:০৮

ঠ্যঠা মফিজ বলেছেন: মুসলিমরা বরাবরই একটু রক্ত গরম কেননা রাসুল সঃ এর উম্মত কিনা সে জন্য।পৃথিবী সবাই লুটপাত করেই রাজা বাদশা হইছে
কম আর বেশি ।

৪| ১০ ই জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৫:৩২

চাঁদগাজী বলেছেন:


লেখক বলেছেন, " মুসলিমরা বরাবরই একটু রক্ত গরম কেননা রাসুল সঃ এর উম্মত কিনা সে জন্য।পৃথিবী সবাই লুটপাত করেই রাজা বাদশা হইছে কম আর বেশি ।"

-নবী (স: ) নিশ্চয় যুদ্ধ করে, মানুষ মেরে, লুটপাট করে, গরীবদের টাকায় মসজিদ বানাতে বলেননি।

১০ ই জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৫:৪১

ঠ্যঠা মফিজ বলেছেন: নবী (স: ) নিশ্চয় যুদ্ধ করে, মানুষ মেরে, লুটপাট করে, গরীবদের টাকায় মসজিদ বানাতে বলেননি।
আপনি প্রথম কমেন্টে বলেছেন তুর্কিরা ও আফগানরা বরাবরই ইডিয়ট ছিল; যুদ্ধ করে মরেধরে বিশ্বের অন্যপ্রান্ত এসে, গরীবের টাকা লুট করে, মসজিদ ও কবরস্হান বানায়েছে এসব বেকুবেরা; দরকারী কিছুই বানায়নি। সেই প্রাচীন আমলের এরকম সঠিক কোনো প্রমান দেখাতে পারবেন আপনি। আসলে আপনার গলা চুলকানি একটা রোগ হয়েগেছে সম্ভবত আপনার চোখের সাথে সাথে ভালোকোনো এলার্জীর ডাক্তারও দেখানো প্রয়োজন।

৫| ১০ ই জুলাই, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:১৪

চাঁদগাজী বলেছেন:


ছবির মসজিদটি কি আপনাদের জমিদারীর টাকা, বা তুরস্ক থেকে এরদোগানের টাকা এনে বানায়েছে?

১১ ই জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৪:০০

ঠ্যঠা মফিজ বলেছেন: আমাদের কোন জমিদারী ছিলনা আর তখন সম্ভবত তুরস্কের এরদোগানেরও পৃথিবীতে আসেননি।

৬| ১০ ই জুলাই, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৩২

সূচরিতা সেন বলেছেন: অজানা তথ্য জানা হল।

১১ ই জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৪:০০

ঠ্যঠা মফিজ বলেছেন: অসংখ ধন্যবাদ আপনাকে দিদি ভাই।

৭| ১০ ই জুলাই, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৩০

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: হুবহু এমন একটা মসজিদ আমাদের এলাকায়ও আছে, ফখরুদ্দীন মুবারক শাহ মসজিদ।

১১ ই জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৪:০২

ঠ্যঠা মফিজ বলেছেন: অসংখ ধন্যবাদ ভাই গিয়াস উদ্দিন লিটন। আমিতো ভেবেছিলাম ওটা আবার ব্লগার চাঁদগাজী ভাইদের বাড়ির আশেপাশে হবে হয়ত। ;)

৮| ১২ ই জুলাই, ২০১৮ দুপুর ২:৫৬

চিন্তিত নিরন্তর বলেছেন: আমাদের এলাকায় মসজিদের পেছনে খরচ হয় কোটি টাকা। কিন্তু দরিদ্রদের পেছনে খরচ করে না দশ ভাগের একভাগ। অনেক মসজিদের এত বেশি টাকা উঠে যা মসজিদেও কাজে লাগাতে পারেনা। সে ক্ষেত্রে রাস্তা ঘাটের পেছনে ব্যায় করলেই পারে। সেটাও ইবাদত। মসজিদ ইবাদত এর জন্য। সেটা প্রাসাদ হওয়া জরুরী না। আমরা মসজিদের উন্নয়নের পেছনে লেগেছি। কিন্তু নিজেদের অত্মিক উন্নয়নের কথা বলিনা।

১২ ই জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৩:২২

ঠ্যঠা মফিজ বলেছেন: আপনার মন্তব্যের সাথে আমি একমত। আসলে মাদের দেশের মসজিদ কমিটিগুলো ঠিকমত তাদের দিতবগুলো পালন
করেনা ভাই।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.