নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কমবুঝি কিন্ত কিছু একটা নিয়ে বোঝার চেস্টা করি তাই যত পারি বই পড়ি ।

ঠ্যঠা মফিজ

ঠ্যঠা মফিজ › বিস্তারিত পোস্টঃ

আজ ত্রৈলোক্যনাথ মুখোপাধ্যায় বিখ্যাত বাঙালি কৌতুক লেখক এবং বাংলা সাহিত্যের প্রথম ঔপন্যাসিক ছদ্মনাম টেকচাঁদ ঠাকুর আসল নাম প্যারীচাঁদ মিত্র তাদের শুভ জন্মদিন

২২ শে জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৩:৫৩


ত্রৈলোক্যনাথ মুখোপাধ্যায় মূলত তিনি একজন বিখ্যাত বাঙালি কৌতুক লেখক। তিনি বর্তমান পশ্চিমবঙ্গেরউত্তর চব্বিশ পরগণার অন্তর্গত শ্যামনগরের কাছে রাহুতা গ্রামে জন্ম গ্রহণ করেন। তার পিতার নাম বিশ্বম্ভর মুখোপাধ্যায়।ত্রৈলোক্যনাথ চুঁচুড়ার ডাফ সাহেবের স্কুলে এবং ভদ্রেশ্বরের কাছে তেলিনীপাড়া বিদ্যালয়ে পড়াশুনা করেছেন। সংসারের অসচ্ছল অবস্থার জন্য ১৮৬৫ সালে বাড়ি থেকে রোজগারের জন্য চলে যান এবং নানা দেশ ভ্রমণ করেন। প্রথমে দ্বারকা বীরভুম উখড়া রানীগঞ্জ এবং শাহজাদপুর সিরাজগঞ্জ সহ অনেক স্থানে শিক্ষকতার কাজ করেন। কিন্তু কোথাও কাজ পছন্দ না হওয়ায় কটকে চলে যান।কটকে তিনি জেলার পুলিশ সাব ইন্সপেক্টর হন। কটকে ওড়িয়া ভাষা শিখে ওড়িয়া উৎকল শুভকরী’ নামে মাসিক পত্রিকার সম্পাদনাও করেন তিনি। পুলিশের চাকরি করাকালীন বিখ্যাত স্যার উইলিয়াম হান্টার সাহেবের সঙ্গে পরিচিত হন। হান্টার সাহেব এর কথাবার্তা এবং অগাধ পান্ডিত্যে সন্তুষ্ট হয়ে ১৮৭০ সালে কলকাতায় নিজের বেঙ্গল গেজেটিয়ার সংকলন অফিসে কেরানীর পদে নিযুক্ত করেন। তারপর ইনি উত্তর পশ্চিম প্রদেশের কৃষি এবং বাণিজ্য বিভাগের অফিসে প্রধান কেরানীর পদে নিযুক্ত হন।পরে বিভাগীয় ডাইরেক্টরের একান্ত সহকারী হন।১৮৭৭ বা ৭৮ সালের দিকে উত্তর পশ্চিমাঞ্চলে ভয়ানক এক দুর্ভিক্ষ হলে তিনি প্রান বাঁচানোর জন্য গাজর চাষ করার জন্য সরকারকে উপদেশ দেন। তার কথানুযায়ী সরকার ১৮৭৭সালে কয়েকটি জেলায় গাজরের চাষ করার বন্দোবস্ত করেন। আর তার ফলে দু বছর পরে রায়বেরিলী এবং সুলতানপুর জেলায় দুর্ভিক্ষের সময় তার প্রস্তাবিত গাজর চাষের জন্য বহু প্রাণ বাঁচানো সম্ভব হয়েছিল।১৮৮১ খ্রীষ্টাব্দে ভারত সরকারের রাজস্ব বিভাগে বদলী হন। সেই সময় ইনি উত্তর পশ্চিমাঞ্চলের শিল্পোন্নতির জন্য যথেষ্ট চেষ্টা করেন এবং বিশেষ কৃতকার্যও হন। ১৮৮৩ সালে কলকাতায় আন্তর্জাতিক প্রদর্শনীতে কয়েকটি বিষয়ে অধ্যক্ষ ছিলেন। ১৮৮৬ সালে যুক্তরাজ্যে প্রদর্শনী আরম্ভ হয় তখন ত্রৈলোক্যনাথকে সেখানে পাঠানো হয়। সেই সময় তিনি ইউরোপের নানা জায়গায় ভ্রমণ করেন এবং এ ভিজিট টু ইউরোপ নামক গ্রন্থ রচনা করেন। এই বইটিতে তার সমস্ত কাজ এবং ভ্রমণ বৃত্তান্ত রয়েছে। ১৮৮৬ সালে এই বিভাগ ত্যাগ করে কলকাতা মিউজিয়ামে সহকারি কিউরেটর হন । ভারতবর্ষের বিভিন্ন প্রদেশে দেশীয় শিক্ষা বাণিজ্যে যাতে উন্নতি হয় তার যথেষ্ট চেষ্টা করেন। কলকাতা,বোম্বে প্রভৃতি বড় বড় শহরে এবং বড় বড় রেলস্টেশনে ভারতীয় কারুকার্যের যে সকল দোকান দেখতে পাওয়া যায় তা তার উদ্যোগেই প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। এই সময় ইনি সরকারের অনুমতিক্রমেআর্ট ম্যানুফ্যাকচারারস অফ ইন্ডিয়া নামক একটি বই লেখেন। ভারতবর্ষের বিভিন্ন প্রদেশে যে সব শিল্প দ্রব্য নির্মিত হত সেই সব শিল্প দ্রব্যের একটি তালিকা ইংরাজীতে প্রকাশ করেন। ত্রৈলোক্যনাথ বর্ধমানে থাকাকালীন ফার্সি ভাষা শিক্ষা করে অভূতপূর্ব নাম করেছিলেন।
ত্রৈলোক্যনাথ মুখোপাধ্যায় যে গ্রন্থগুলো সম্পাদনা করেছেণ তার একটা তালিকা দেয়া হলঃ


ফোকলা দিগম্বর
পাপের পরিণাম
ডমরু-চরিত
বাঙ্গাল নিধিরাম
বীরবালা
লুল্লু
নয়নচাঁদের ব্যবসা
কঙ্কাবতী
সোনা করা যাদুগরের গল্প
ভানুমতী ও রুস্তম
জাপানের উপকথা
পূজার ভূত
পিঠে-পার্বনে চীনে ভূত
বিদ্যাধরীর অরুচী
মেঘের কোলে ঝিকিমিকি সতী হাসে ফিকিফিকি
এক ঠেঙো-ছকু
মুক্তা-মালা
এ ডেসক্রিপটিভ ক্যাটালগ অফ প্রোডাক্টস
এ হ্যান্ডবুক অফ ইন্ডিয়ান প্রোডাক্টস
এ লিস্ট অফ ইন্ডিয়ান ইকনমিক প্রোডাক্টস

আসল নাম প্যারীচাঁদ মিত্র তিনি হলেন বাংলা সাহিত্যের প্রথম ঔপন্যাসিক তার ছদ্মনাম ছিল টেকচাঁদ ঠাকুর। প্যারীচাঁদ মিত্র কলকাতায় ১৮১৪ সালের ২২শে জুলাই এক বণিক পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম রামনারায়ণ মিত্র। তিনি কাগজ এবং হুন্ডি ব্যবসায়ী ছিলেন। প্যারীচাঁদ মিত্র বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী ছিলেন।শৈশবে একজন গুরুমহাশয়ের নিকট বাংলা, পরে একজন মুন্সির নিকট ফারসি শিখেন। ইংরেজি লাভের জন্য হিন্দু কলেজে একাদশ শ্রেণীতে ভর্তি হয়েছিলেন। সেই সময় ডিরোজিও নামে একজন বিখ্যাত অধ্যাপক ছিলেন হিন্দু কলেজে। তিনি তার শিষ্য এবং ভাবশিষ্য ছিলেন।তিনি বাংলার নবজাগরণের অন্যতম নেতা ছিলেন।

তিনি ক্যালকাটা পাবলিক লাইব্রেরির লাইব্রেরিয়ান ছিলেন। তিনি ফার্সি, বাংলা এবং ইংরেজি ভালো জানতেন। বিশেষ করে বাংলা ও ইংরেজি ভাষায় বহু গ্রন্থ রচনা করে তিনি খ্যাতি অর্জন করেছিলেন। তিনি মহিলাদের জন্য একটি মাসিক পত্রিকা সম্পাদনা করেন। তার সহযোগী ছিলো রাধানাথ শিকদার। তিনি তাছাড়াও জনকল্যাণ মূলক কাজও করতেন। তিনি কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেটের সদস্য ছিলেন। তিনি পশু-ক্লেশ নিবারণী সভারও সদস্য ছিলেন। বেথুন সোসাইটি এবং ব্রিটিশ ইন্ডিয়া সোসাইটির অন্যতম উদ্যোক্তা ছিলেন প্যারীচাঁদ মিত্র। জ্ঞানান্বেষণ সভার সদস্য হন তিনি ১৮৩৮ সালে। তাঁর ইংরেজি ভাষায় রচিত লেখাসমূহ ছাপা হত ইংলিশম্যান, ইন্ডিয়ান ফিল্ড, ক্যালকাটা রিভিউ, হিন্দু প্যাট্রিয়ট, ফ্রেন্ড অফ ইন্ডিয়া প্রভৃতি পত্রিকায়। তিনি পুলিশি অত্যাচারিতার বিরুদ্ধে লড়েছিলেন এবং সফলকামও হয়েছিলেন। তিনি স্ত্রী শিক্ষা প্রচারে যথেষ্ট সক্রিয়তার পরিচয় দেন। তিনি বিধবাবিবাহ সমর্থন করতেন। তিনি বাল্যবিবাহ এবং বহুবিবাহের বিরোধিতা করেন। তিনি আমদানি ও রপ্তানি এবং চালের ব্যবসা করে প্রচুর অর্থোপার্জন করেন।

প্যারীচাঁদ মিত্র যে সকল সাহিত্য সম্পাদনা করেছেনঃ

আলালের ঘরের দুলাল এটা ছিল তার শ্রেষ্ঠ এবং বাংলা সাহিত্যের প্রথম উপন্যাস । ১৮৫৮ সালে প্রকাশিত এই উপন্যাসটির অন্যতম প্রধান চরিত্র ঠকচাচা । উল্লেখ্য যে এখানে তিনি যে কথ্য ভাষা ব্যবহার করেছিলেন তা আলালী ভাষা নামে পরিচিতি লাভ করেছে। এই গ্রন্থটি ইংরেজিতেও অনুবাদ করা হয়েছিল The spoiled child নামে। মদ খাওয়া বড় দায়, জাত থাকার কি উপায় তার এই গ্রন্থে উদ্ভট কল্পনা লক্ষ করা যায়। অভেদী আধ্যাত্মিকা The Zemindar and Ryots. এই গ্রন্থটি তখনকার সময়ে অনেক আলোড়ন সৃষ্টি করেছিলো। কারন হিসেবে জানা যায় এটি রচিত হয়েছিলো চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত ব্যবস্থার বিরুদ্ধে। যৎকিঞ্চিৎ রামারঞ্জিকা বামাতোষিণী গীতাঙ্কুর ।

তথ্যসূত্রঃ ইন্টারনেট।

মন্তব্য ১০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ২২ শে জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৪:০৫

চাঁদগাজী বলেছেন:


যাক, ত্রৈলোক্যনাথ বাবু নিজের মেধায় চাকুরী পেয়েছিলেন; তখন কোটা থাকলে বেচারার অবস্হা খারাপ হয়ে যেতো!

২২ শে জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৪:১১

ঠ্যঠা মফিজ বলেছেন: হয়ত ঠিকি বলেছেন।

২| ২২ শে জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৪:৪৪

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:

বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী বাংলা সাহিত্যের প্রথম ঔপন্যাসিক প্যারীচাঁদ মিত্রের ২০৪তম জন্মবার্ষিকীতেফুলেল শুভেচ্ছা

২৩ শে জুলাই, ২০১৮ সকাল ১০:০৩

ঠ্যঠা মফিজ বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই নূর মোহাম্মদ নূরু।

৩| ২২ শে জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৫:১৯

এখওয়ানআখী বলেছেন: অসাধারণ প্রতিভাধরদের সম্পর্কে জানতে পারলাম। যাঁরা কোনো কিছুর সূচনা করেন তাঁরা সব সময়ই শ্রদ্ধেয়।

২৩ শে জুলাই, ২০১৮ সকাল ১০:০৪

ঠ্যঠা মফিজ বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই এখওয়ানআখী ।

৪| ২৩ শে জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৪:৩৪

চাঁদগাজী বলেছেন:


এই পোষ্টের পর, আপনি ২ দলের উপর একটি পোষ্ট দিয়েছিলেন?

২৬ শে জুলাই, ২০১৮ সকাল ১০:১১

ঠ্যঠা মফিজ বলেছেন: অনেক পোস্ট মুছে দিয়েছি।

৫| ২৭ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ১১:৪৪

ইমরান আশফাক বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ এই পোষ্ট টির জন্যে। অনেক কিছুই জানতে পারলাম।

০৩ রা আগস্ট, ২০১৮ রাত ১২:৩৩

ঠ্যঠা মফিজ বলেছেন: ভাই ইমরান আশফাক আপনাকেও ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.