নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কমবুঝি কিন্ত কিছু একটা নিয়ে বোঝার চেস্টা করি তাই যত পারি বই পড়ি ।

ঠ্যঠা মফিজ

ঠ্যঠা মফিজ › বিস্তারিত পোস্টঃ

তুমি আছো থাকবা নজরুল মোর প্রাণে গাঁথিয়া

২৭ শে আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ১:৫৯


আমি বঞ্চিত ব্যথা পথবাসী চির গৃহহারা যত পথিকের,

আমি অবমানিতের মরম বেদনা, বিষ জ্বালা, চির লাঞ্ছিত বুকে গতি ফের

আমি অভিমানী চির ক্ষুব্ধ হিয়ার কাতরতা, ব্যথা সুনিবিড়,

চিত চুম্বন-চোর-কম্পন আমি থর-থর-থর প্রথম প্রকাশ কুমারীর!

আমি গোপন প্রিয়ার চকিত চাহনি, ছল করে দেখা অনুখন,

আমি চপল মেয়ের ভালবাসা তার কাকন চুড়ির কন-কন।

...

মহা-বিদ্রোহী রণক্লান্ত

আমি সেই দিন হব শান্ত।

যবে উৎপীড়িতের ক্রন্দন-রোল আকাশে-বাতাসে ধ্বনিবে না,

অত্যাচারীর খড়ুগ কৃপাণ ভীম রণ, ভূমে রণিবে না-

বিদ্রোহী রণক্লান্ত

আমি সেই দিন হব শান্ত।

..........................

আমি চির বিদ্রোহী বীর –

বিশ্ব ছাড়ায়ে উঠিয়াছি একা চির উন্নত শির!

আমাদের প্রাণের নজরুল এক দরিদ্র মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার প্রাথমিক শিক্ষা ছিল ধর্মীয়। নজরুল স্থানীয় এক মসজিদে সম্মানিত মুয়াযযিন হিসেবেও কাজ করেছিলেন। কৈশোরে বিভিন্ন থিয়েটার দলের সাথে কাজ করতে যেয়ে তিনি কবিতা, নাটক এবং সাহিত্য সম্বন্ধে সম্যক জ্ঞান লাভ করেন। ভারতীয় সেনাবাহিনীতে কিছুদিন কাজ করার পর তিনি সাংবাদিকতাকে পেশা হিসেবে বেছে নেন। এসময় তিনি কলকাতাতেই থাকতেন। সেসময় তিনি ব্রিটিশ রাজের বিরুদ্ধে প্রত্যক্ষ সংগ্রামে অবতীর্ণ হন। প্রকাশ করেন বিদ্রোহী এবং ভাঙার গানের মতো কবিতা; ধূমকেতুর মতো সাময়িকী। জেলে বন্দী হলে পর লিখেন রাজবন্দীর জবানবন্দী, এই সব সাহিত্যকর্মে সাম্রাজ্যবাদের বিরোধিতা ছিল সুস্পষ্ট। ধার্মিক মুসলিম সমাজ এবং অবহেলিত ভারতীয় জনগণের সাথে তার বিশেষ সম্পর্ক ছিল। তার সাহিত্যকর্মে প্রাধান্য পেয়েছে ভালোবাসা, মুক্তি এবং বিদ্রোহ। ধর্মীয় লিঙ্গভেদের বিরুদ্ধেও তিনি লিখেছেন। ছোটগল্প, উপন্যাস, নাটক লিখলেও তিনি মূলত কবি হিসেবেই বেশি পরিচিত। বাংলা কাব্যে তিনি এক নতুন ধারার জন্ম দেন। এটি হল ইসলামী সঙ্গীত তথা গজল, এর পাশাপাশি তিনি অনেক উৎকৃষ্ট শ্যামা সংগীত ও হিন্দু ভক্তিগীতিও রচনা করেন। নজরুল প্রায় ৩০০০টি গান রচনা এবং অধিকাংশে সুরারোপ করেছেন যেগুলো এখন নজরুল সঙ্গীত বা "নজরুল গীতি" নামে পরিচিত এবং বিশেষ জনপ্রিয়।মধ্যবয়সে তিনি পিক্‌স ডিজিজে আক্রান্ত হন। এর ফলে আমৃত্যু তাকে সাহিত্যকর্ম থেকে বিচ্ছিন্ন থাকতে হয়। একই সাথে মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেন। বাংলাদেশ সরকারের আমন্ত্রণে ১৯৭২ সালে তিনি সপরিবারে ঢাকায় ফিরে আসেন।

১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে বাঙালিদের বিজয় লাভের মাধ্যমে বাংলাদেশ নামে একটি স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা লাভ করে। ১৯৭২ সালের ২৪শে মে ভারত সরকারের অনুমতিক্রমে কবি নজরুলকে সপরিবারে বাংলাদেশে নিয়ে আসা হয়। বাংলাদেশের তৎকালীন রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবুর রহমান সেক্ষেত্রে বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছিলেন। কবির বাকি জীবন বাংলাদেশেই কাটে। ১৯৭৬ সালে নজরুলকে স্বাধীন বাংলাদেশের নাগরিকত্ব প্রদানের সরকারী আদেশ জারী করা হয়।তারপর যথেষ্ট চিকিৎসা সত্ত্বেও নজরুলের স্বাস্থ্যের বিশেষ কোন উন্নতি হয়নি। ১৯৭৪ সালে কবির সবচেয়ে ছোট ছেলে এবং বিখ্যাত গিটারবাদক কাজী অনিরুদ্ধ মৃত্যুবরণ করেন। ১৯৭৬ সালে নজরুলের স্বাস্থ্যেরও অবনতি হতে শুরু করে। জীবনের শেষ দিনগুলো কাটে বাংলাদেশ ঢাকার পিজি হাসপাতালে। ১৯৭৬ সালের ২৯শে আগস্টে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। নজরুল তার একটি গানে লিখেছেন,

"মসজিদেরই কাছে আমায় কবর দিয়ো ভাই / যেন গোরের থেকে মুয়াজ্জিনের আযান শুনতে পাই":-

কবির এই ইচ্ছার বিষয়টি বিবেচনা করে কবিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদের পাশে সমাধিস্থ করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয় এবং সে অনুযায়ী তার সমাধি রচিত হয়।

তুমি আছো থাকবা চিরকাল মোর প্রাণে গাঁথিয়া।
তোমার কথা ভাবতেই নয়ন মোর উঠে ভিজিয়া
আছে কান্না মোর বুক ফাঁটিয়া
একবার দেখা দিও মরণ কক্ষ ছাঁয়াতল নির্বাসিয়া।

মন্তব্য ১৪ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (১৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ২:২৬

বিজন রয় বলেছেন: ++++

২৭ শে আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৪:৩০

ঠ্যঠা মফিজ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ভাই বিজন রয়।

২| ২৭ শে আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ২:২৬

বিজন রয় বলেছেন: *****

২৭ শে আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৪:৩০

ঠ্যঠা মফিজ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ভাই বিজন রয়।

৩| ২৭ শে আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ২:৪৫

রাকু হাসান বলেছেন:


বাহ প্রিয় কবি কে নিয়ে পোস্ট ,তারপর অনেক অনেক ভাল লাগার কবিতাটি । সুন্দর বলেছেন । তবে একটা বিষয় খটকা লাগলো ,ভারতীয় সেনাবাহিনীতে চাকরির ব্যাপারটা । শেষ চার লাইনে যেন ,আমার মনের কথাগুলোই বলেছেন । আর কয়েকটা লাইন বেশি হলে খারাপ হত না । ভাল লাগছিল ++

২৭ শে আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৪:৩১

ঠ্যঠা মফিজ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ভাই রাকু হাসান।

৪| ২৭ শে আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৪:২৭

রাজীব নুর বলেছেন: গ্রেট কবি।

২৭ শে আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৪:৩২

ঠ্যঠা মফিজ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ভাই রাজীব নুর।

৫| ২৭ শে আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৪:৫৮

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: তাঁর গান আসলে চার হাজারেরও ওপরে। বেখেয়ালি ছিলেন বলে অনেক গান সংরক্ষণে রাখেন নি, তা-ও যা রেখে গেছেন বাংলা গানের জগতে বিরাট সম্পদ।

০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:০৭

ঠ্যঠা মফিজ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ সাধু ভাই।

৬| ২৭ শে আগস্ট, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৪৬

:):):)(:(:(:হাসু মামা বলেছেন: কাজীনজরুল ইসলামকে নিয়ে লেখাটি ভালো লাগল।

০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:০৭

ঠ্যঠা মফিজ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ভাই হাসু ।

৭| ২৮ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ২:৩৭

ব্লগ সার্চম্যান বলেছেন: লেখাটি ভালো লাগল।

০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:০৮

ঠ্যঠা মফিজ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ভাই ব্লগ সার্চম্যান ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.