নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কমবুঝি কিন্ত কিছু একটা নিয়ে বোঝার চেস্টা করি তাই যত পারি বই পড়ি ।

ঠ্যঠা মফিজ

ঠ্যঠা মফিজ › বিস্তারিত পোস্টঃ

পশ্চিমবঙ্গের কিছু মসজিদ এবং সংক্ষিপ্ত ইতিহাস

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:৩১


কাটরা মসজিদ
কাটরা মসজিদ মুর্শিদাবাদ রেল স্টেশনের ১৬০০ মিটার পূর্ব দিকে বাজারের মধ্যে অবস্থিত। ৫০.৬০ মিটার আয়তনের একটি বর্গাকার প্রাঙ্গণের মধ্যে একটি ভিতের উপরে এটি দন্ডায়মান। আয়তাকৃতির এক আইলে পাঁচ গম্বুজ বিশিষ্ট মসজিদটির পরিমাপ ৩৯.৬২×৭.৩২ মিটার। এর চার কোণে রয়েছে চারটি বুরুজ এবং বুরুজগুলি সরু হয়ে উপরে উঠে গেছে; প্যাঁচানো সিঁড়িপথ বুরুজের উপর পর্যন্ত প্রলম্বিত। বর্তমানে কেবল উত্তর-পশ্চিমে এবং দক্ষিণ-পশ্চিমে দুটি পার্শ্ব বুরুজ বিদ্যমান আছে। মসজিদটি চতুর্দিক দ্বিতল কক্ষ সারি দ্বারা পরিবেষ্টিত। স্থানীয়ভাবে কাটরা বলে অভিহিত কক্ষগুলি মাদ্রাসা হিসেবে ব্যবহূত হতো। কাটরা মসজিদটি ঢাকার করতলব খান মসজিদ এর অনুকরণে নির্মিত বলা যায়। পূর্বদিকের সম্মুখভাগে রয়েছে বহুভাঁজযুক্ত খিলানের মধ্যেস্থিত পাঁচটি প্রবেশ খিলান। কেন্দ্রীয় প্রবেশপথটির উভয় পার্শ্বে রয়েছে সংলগ্নস্তম্ভ। অভ্যন্তরে প্রতিটি ‘বে’-তে পশ্চিম দেয়ালে রয়েছে তিনটি করে মিহরাব, অর্থাৎ সর্বমোট ১৫ টি মিহরাব রয়েছে মসজিদটির পশ্চিম দেয়ালে। অভ্যন্তরে হল ঘর দেয়াল থেকে উত্থিত চারটি আড়াআড়ি খিলানে মোট পাঁচ স্তম্ভপথে বিভক্ত। সমান্তরাল প্যারাপেট সুরক্ষা ব্যবস্থার বৈশিষ্ট্যযুক্ত এবং গম্বুজে রয়েছে উচুঁ ফিনিয়াল। মসজিদটির নির্মাতা মুর্শিদকুলি খান সমাহিত রয়েছেন বহুখিলানযুক্ত মসজিদ প্রাঙ্গনে প্রবেশ তোরনের নিচে একটি সমাধিতে। মসজিদের কেন্দ্রীয় মিহরাবে এবং পূর্ব ফাসাদে কেন্দ্রীয় প্রবেশপথে দুটি ফারসি শিলালিপি পরিলক্ষিত হয়। দ্বিতীয় শিলালিপিতে নির্মাণকাল উৎকীর্ণ আছে ১১৩৭ হিজরি। মুর্শিদকুলি খান ঢাকা থেকে ১৭১৭ সালে রাজধানী স্থানান্তরিত করেন। তার নিজের নামানুসারে নতুন রাজধানীর নামকরণ করেন মুর্শিদাবাদ। কাটরা মসজিদটি নতুন রাজধানীর জামে মসজিদ হিসেবে নির্মিত হয়।কাটরা মসজিদ(কাটরা মস্ক হিসাবেও পরিচিত) একটি মসজিদ এবং নওয়াব মুর্শিদ কুলি খাঁন এর সমাধি যা ১৭২৩ এবং ১৭২৪ সালের মধ্যে নির্মিত হয় । এটি ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের মুর্শিদাবাদ শহরের উত্তর-পূর্ব অংশে অবস্থিত । এর গুরুত্ব শুধুমাত্র ইসলামিক শিক্ষাকেন্দ্র হিসাবেই নয়, বরং মুর্শিদ কুলি খাঁন এর সমাধি, যা এর প্রবেশদ্বারের সিঁড়ির নিচে অবস্থিত এই নির্মাণটির গুরুত্ব বহন করে । এর সবচেয়ে লক্ষণীয় বিষয় হল দুই কোনার উঁচু দুটি টাওয়ার, যেগুলোতে বন্দুক স্থাপনের জন্য ছিদ্র রয়েছে ।
বর্তমানে এর তত্ত্বাবধান এবং রক্ষণাবেক্ষনের দায়িত্ব আর্কিওলজিক্যাল সারভে অব ইন্ডিয়া এবং পশ্চিমবঙ্গ সরকারের উপর ন্যস্ত রয়েছে ।

কদম রসুল মসজিদ
কদম রসুন মসজিদ ভারতের মালদহ জেলার গৌড়তে অবস্থিত একটি মসজিদ।চতুষ্কোণ এক গম্বুজ বিশিষ্ট এই মসজিদটি ১৫৩০-১৫৩১ সালে সুলতান নসরত শাহের দ্বারা নির্মিত হয়।এটির প্রস্তরের উপর হজরত মুহাম্মদের পদচিহ্ন স্থাপিত ছিল। বর্তমানে যা মহদিপুরে খাদেমের নিকট রক্ষিত আছে।কদম রসুল একটি পবিত্র স্থান যেখানে নবী (সাঃ) এর পদচিহ্ন সংবলিত পাথর খন্ড সংরক্ষিত থাকে। মুসলিম বিশ্বে বিভিন্ন দেশে এ রকম পবিত্র স্থানের প্রতি ভক্তি প্রদর্শন করা হয়। মুসলমানদের মধ্যে বিশ্বাস রয়েছে যে, মুহম্মদ (সঃ) পাথরের উপর দিয়ে হেটে যাওয়ার সময় সেখানে তার পদচিহ্ন থেকে যায়। মক্কা ফেরত অনেকেই এই ধরনের পদচিহ্ন সংবলিত পাথর খন্ড নিয়ে আসতেন। তারা শ্রদ্ধার সঙ্গে এগুলি বিভিন্ন সৌধে, বিশেষ করে মসজিদের অভ্যন্তরে সংরক্ষণ করতেন, যা কদম রসুল আল্লাহ বা কদম শরীফ বা কদম মোবারক নামে পরিচিত।
আরব বিশ্বে ইহুদি এবং খ্রিস্টানদের মধ্যে এই রকম পবিত্র স্থানের ধারনা পূর্বে ছিল। মুসলমানদের আগমনের পূর্বে ও পরে দক্ষিণ-পশ্চিম বংলায় ‘ধর্ম-পাদুকার’ (ধর্ম ঠাকুরের পায়ের চিহ্ন) পূজা হত। ভারতেও দেবতা বা দেবীর পবিত্র পদচিহ্নের পূজা প্রথা দেখা যায় বৌদ্ধ ও হিন্দু যুগে। বেশকিছু সংস্কৃত লিপিতে এমন কয়েকটি নাম পাওয়া যায় যা দিয়ে পবিত্র পা পূজা প্রচলনের প্রমান পাওয়া যায়। যেমন, বি পদগিড়ি। বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের প্রাচীন সূত্রেও অনুরূপ ‘বুদ্ধ পদ’ নাম পাওয়া যায়। মুসলমানদের রসুল (সাঃ) এর পদ চিহ্ন সবসময়েই পবিত্র হিসেবে পরিগণিত। রসুল (সাঃ) এর প্রাচীনতম পদচিহ্ন সংবলিত সৌধটি হচ্ছে জেরুজালেম এর ‘ডোম অব দি রক’। বলা হয়ে থাকে এখান থেকে মহানবী (সঃ) মিরাজে গমন করেছিলেন। মিরাজে রওয়ানা হওয়ার পূর্বে তার পা পাথরে ছাপ সৃষ্টি করেছিল। এই ধরনের আরও কিছু পদচিহ্ন সংরক্ষিত আছে দামেস্কের মসজিদ-ই-আকদাম-এ, যেখানে মুসা নবী(আঃ) এর পবিত্র পদচিহ্ন আছে বলে ধারণা করা হয়। আরও রয়েছে, মিশরের কায়রো, তুরস্কের ইস্তান্বুলে এবং সিরিয়ার দামেস্কে। ভারতের বিভিন্ন প্রদেশে বেশ কয়েকটি কদম রসুল রয়েছে। যেমন, দিল্লি ও বাহরাইচ (উত্তর প্রদেশ), আহমদাবাদ (গুজরাট), কটক (উড়িষ্যা) এবং পশ্চিম বাংলার গৌড় ও মুর্শিদাবাদ প্রভৃতি অঞ্চলে। বাংলাদেশে নবীগঞ্জ এর কদম রসুল (নারায়ণগঞ্জ জেলা) এবং চট্টগ্রামে কদম মোবারক (রসুল নগর) এবং বাগিচা হাট মসজিদ, বিখ্যাত।
বাংলার প্রাচীনতম কদম রসুল কমপ্লেক্সটি গৌড়ে অবস্থিত। এটি ১৫৩০-১৫৩১ খ্রিস্টাব্দে সুলতান নুসরত শাহ নির্মাণ করেন। জনশ্রুতিমতে তেরো শতকের সাধক জালালউদ্দীন তাবরিজি(রঃ)এর পান্ডুয়ায় ইবাদতখানায় এ পদচিহ্ন সংবলিত পাথরটি পাওয়া যায়। নুসরাত শাহের পিতা সুলতান হোসেন শাহ এ পাথরটি গৌড়ে নিয়ে এসেছিলেন। গৌড়ের কদম রসুল সৌধটি বাংলার আঞ্চলিক স্থাপত্যিক রীতির বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ। সুলতানি যুগে এ রীতি পূর্ণাঙ্গ রূপ লাভ করেছিলো। কুঁড়েঘর আকৃতির এ সৌধের মাঝে রয়েছে বর্গাকৃতির একটি কক্ষ, যার তিনদিকে রয়েছে বারান্দা। কেন্দ্রীয় গম্বুজ-কক্ষটিতে পদচিহ্ন সংবলিত কালো পাথরটি রক্ষিত আছে।
মুর্শিদাবাদের কদম শরীফ কমপ্লেক্সটি ১৭৮১ খ্রিস্টাব্দে মীর জাফরের প্রধান খোজা বসন্ত আলী খান কর্তৃক নির্মিত একটি পুরাতন মসজিদের সঙ্গে সংযুক্ত। নওয়াব সিরাজউদ্দৌলার সময় গৌড় থেকে পাথরটি বাংলার শেষ রাজধানী মুর্শিদাবাদে নিয়ে আসা হয়েছিলো। কিন্তু মীর জাফর সেটিকে পুনরায় গৌড়ে ফিরিয়ে নিয়ে যান। তবে কদম শরীফ কমপ্লেক্স-এ রয়েছে নওয়াব পরিবারের সদস্যদের কবর, একটি অতিথিশালা এবং অন্যান্য বেশ কয়েকটি অবকাঠামোগত নিদর্শন। কদম শরীফ মসজিদটি তিন গম্বুজ বিশিষ্ট এবং গম্বুজে রয়েছে প্যাঁচানো নকসা। মসজিদের চার কোনে রয়েছে চারটি অষ্টভূজাকৃতির কর্ণার টাওয়ার। মসজিদের পূর্ব দিকের দেয়ালে রয়েছে তিনটি প্রবেশদ্বার। অভ্যন্তরের কিবলায় রয়েছে তিনটি মিহরাব, এবং মধ্যের মিহরাবটি অপেক্ষাকৃত বড়। কক্ষের অভ্যন্তরের দক্ষিণ দেয়ালে আট খন্ড শিলালিপি সংস্থাপিত অবস্থায় পাওয়া গিয়েছে। আরবি এবং ফারসির সংমিশ্রনে রচিত এই লিপি গৌড় ও পান্ডুয়ার ধ্বংসাবশেষ থেকে সংগৃহীত হয়েছিল এবং এতে কোরানের বাণী উৎকীর্ণ।বাংলাদেশে সুপরিচিত কদম রসুলটি নারায়ণগঞ্জের বিপরীতে শীতলক্ষ্যা নদীর পূর্ব পাড়ে অবস্থিত নবীগঞ্জে। সতেরো শতকের প্রারম্ভে মির্জা নাথান কর্তৃক প্রণীত বাহারিস্তান-ই-গায়েবীর বর্ণনা থেকে জানা যায় যে, সম্রাট আকবর এর বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণাকারী আফগান নেতা মাসুম খান কাবুলী এ পদচিহ্ন সংবলিত পাথরটি একজন আরব বণিকের কাছ থেকে ক্রয় করেছিলেন। ঢাকার জমিদার গোলাম নবী ১১৯১ হিজরিতে পবিত্র সৌধটি নির্মাণ করেন এবং এর অভ্যন্তরে পবিত্র পাথরটি সংরক্ষিত হয়েছে। এক গম্বুজ বিশিষ্ট সৌধটির সামনে রয়েছে বারান্দা, মধ্যের প্রকোষ্ঠে রয়েছে পবিত্র পাথরটি। সাধারণত এটি একটি ধাতব পাত্রে গোলাপজলে ডুবানো থাকে। পাথরের গায়ে ২৪ সেমি × ১০ সেমি জায়গা জুড়ে অগভীরভাবে পায়ের ছাপ লক্ষ্য করা যায়। উপরের দিকে পায়ের আঙ্গুলের ছাপ স্পষ্ট। সৌধের প্রধান ফটকটি গোলাম নবীর পুত্র গোলাম মুহম্মদ ১২২০ হিজরিতে তৈরি করেছিলেন।মুগল প্রশাসক ইয়াসিন খান ১৭১৯ সালে চট্টগ্রামে আরেকটি কদম রসুল নির্মাণ করেন। এর কেন্দ্রে রয়েছে একটি মসজিদ এবং দ‘ুদিকে দুটি কক্ষ। এর একটিতে হযরত মুহম্মদ (সঃ)-এর এবং অন্যটিতে বারো শতকের (বাগদাদের) সাধক আবদুল কাদের জিলানী (রাঃ) এর পদচিহ্ন রয়েছে। সম্পূর্ণ কদম রসুল কমপ্লেক্সটিকে ঘিরে গড়ে উঠেছে মসজিদ, মাদ্রাসা, কবরস্থান পভৃতি অবকাঠামো। এটি কদম মোবারক নামেই সুপরিচিত।চট্টগ্রামের চন্দনাইশ উপজেলার অন্তর্গত বাগিচা হাটে আরেকটি কদম রসুল রয়েছে ।
তথ্সূত্রঃ পারভীন হাসান বাঙলাপিডিয়া।

টিপু সুলতান মসজিদ
টিপু সুলতান শাহি মসজিদ কলকাতার একটি বিখ্যাত মসজিদ।১৮৪২ সালে টিপু সুলতানের কনিষ্ঠ পুত্র প্রিন্স গোলাম মহম্মদ এই মসজিদটি নির্মাণ করান। এটি কলকাতার একটি গুরুত্বপূর্ণ পর্যটন আকর্ষণ। সকল ধর্মের মানুষের জন্য এই মসজিদের দ্বার উন্মুক্ত। মসজিদটির গঠনশৈলী টালিগঞ্জের গোলাম মহম্মদ মসজিদের অনুরূপ। অতীতে মসজিদে প্রার্থনাকারীদের অজু করার জন্য এসপ্ল্যানেড ট্যাঙ্ক নামে একটি বড় পুকুর খনন করা হয়েছিল। বর্তমানে এই পুকুরটির কোনো অস্তিত্ব নেই।

নাখোদা মসজিদ

নাখোদা মসজিদ কলকাতার প্রধান মসজিদ। এটি মধ্য কলকাতার পোস্তা, বড়বাজার এলাকার জাকারিয়া স্ট্রিট ও রবীন্দ্র সরণির সংযোগস্থলে অবস্থিত।কচ্ছের একটি ছোট্ট সুন্নি মুসলমান সম্প্রদায় কুচ্চি মেমন জামাত আগ্রার সিকান্দ্রায় অবস্থিত মুঘল সম্রাট আকবরের সমাধি সৌধের অনুকরণে এই মসজিদটি নির্মাণ করেন। কুচ্চি মেমন জামাত সম্প্রদায়ের নেতা আবদুর রহিম ওসমান এই মসজিদের স্থাপক। তিনি নিজে ছিলেন বিশিষ্ট নাবিক। নাখোদা শব্দেরও অর্থ নাবিক।১৯২৬ সালের ১১ সেপ্টেম্বর এই মসজিদটি স্থাপিত হয়। সেই সময় মসজিদটি তৈরি করতে মোট খরচ হয়েছিল ১,৫০০,০০০ টাকা।

ফুটি মসজিদ
ফুটি মসজিদ বা ফৌত মসজিদ পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ জেলার অন্যতম বৃহৎ ও প্রাচীন মসজিদ। এটি নির্মান করেন মুর্শিদকুলি খাঁর দৌহিত্র নবাব সরফরাজ খান। মসজিদটির দৈর্ঘ্য ও উচ্চতা যথাক্রমে ১৩৫ ফুট ও ৪০ ফুট। মসজিদের চারকোণে চারটি মিনার রয়েছে। এই মসজিদের গড়নের সাথে মুর্শিদাবাদের কাটরা মসজিদের গঠনপ্রনালীর মিল আছে।কথিত আছে মুর্শিদকুলি খাঁর দৌহিত্র নবাব সরফরাজ খান তার অক্ষয়কীর্তি হিসাবে তৈরি করতে চেয়েছিলেন এই মসজিদটিকে। তাই তিনি নাকি এক রাত্তিরের মধ্যেই বিশাল এই মসজিদ বানানোর চেষ্টা করেন। সুজাউদ্দৌলার মৃত্যুর পর ১৭৩৯ সালে তার পুত্র সরফরাজ নবাবী মসনদে বসেন। নবাবী মসনদে বসলেও রাজ্য শাসনের ভার মন্ত্রীবর্গের ওপরে ন্যস্ত করে তিনি ভোগ বিলাস এবং অনাচারের পথে পা দেন। তার রাজত্বকালে অরাজকতা মন্ত্রী মন্ডলীর সদস্যদের সঙ্গে নবাবের বিরোধ উত্তরোত্তর বেড়েই চলে। অবশেষে দিল্লীর বাদশাহ হস্তক্ষেপ করতে বাধ্য হন। নবাব আলীবর্দী খানের নেতৃত্বাধীন ফৌজের হাতে নবাব সরফরাজ খাঁ নিহত হন। নিজের স্মৃতি রক্ষার জন্য একটি সুরম্য মসজিদ স্থাপন করার কাজ শুরু করেছিলেন নবাব সরফরাজ তার জীবদ্দশায়। কিন্তু যুদ্ধবিগ্রহে জড়িয়ে পড়ার ফলে কাজটি সম্পূর্ণ হয়ে ওঠেনি। নবাবের মৃত্যুর সঙ্গে তার সাধের কীর্তি সৌধ নির্মানের কাজ অসম্পূর্ণই রয়ে গিয়েছিল। নবাবের আকাঙ্ক্ষা পূর্ণ হবার আগেই নবাব 'ফৌত' হয়ে যান। তাই অসম্পূর্ণ গম্বুজের কারণে মসজিদটি ফৌতি মসজিদ বা ফুটি মসজিদ বলে পরিচিত হয়।সংস্কারের অভাবে ‪জরাজীর্ণ অবস্থায় এখন এটি প্রায় বর্তমানে ‪ধ্বংসের মুখে। মসজিদের দেওয়ালে ইন্দো-সারাসেনিক স্থাপত্যশৈলীর কারুকাজ রয়েছে।

তথ্যসূত্রঃ বাঙলাপিডিয়া সহ
ইন্টানেটের বিভিন্ন সাইট।

মন্তব্য ২০ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (২০) মন্তব্য লিখুন

১| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:৩৬

ঝিগাতলা বলেছেন: মুসলমানের কি উচিত যে সে মসজিদ নিয়ে গর্ববোধ করবে?

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:৪১

ঠ্যঠা মফিজ বলেছেন: আপনার কাছে কি মনে হয় ?

২| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:৪৬

রাজীব নুর বলেছেন: সংগ্রহে রাখার মতো পোষ্ট।

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:৪৮

ঠ্যঠা মফিজ বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই রাজীব নুর ।

৩| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:৫৪

আমি রোবট বলেছেন: তথ্য গুল অনেক কষ্ট করে সংগ্রহ করেছেন আপনি ,আপনাকে ধন্যবাদ এরকম না জানা বিষয় টা জানানোর জন্য.।

১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:২৯

ঠ্যঠা মফিজ বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই আমি রোবট।

৪| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:৫৪

আমি রোবট বলেছেন: তথ্য গুল অনেক কষ্ট করে সংগ্রহ করেছেন আপনি ,আপনাকে ধন্যবাদ এরকম না জানা বিষয় টা জানানোর জন্য.।

১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৩০

ঠ্যঠা মফিজ বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই আমি রোবট।

৫| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:৫৫

চাঁদগাজী বলেছেন:


কাটরা মসজিদে কি মানুষজন নামাজ পড়েন?

১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৩২

ঠ্যঠা মফিজ বলেছেন: মসজিদ নামাজের স্থান।

৬| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:৩৫

মাহমুদুর রহমান বলেছেন: পোষ্টে ভালো লাগা।

১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৩৪

ঠ্যঠা মফিজ বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই মাহমুদুর রহমান।

৭| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:৪৭

জাহিদ হাসান বলেছেন: সেই লাগল। পোস্টের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।

১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৩৫

ঠ্যঠা মফিজ বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই জাহিদ হাসান।

৮| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:০৭

আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: দারুণ পোস্ট :)

১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৩৭

ঠ্যঠা মফিজ বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই আর্কিওপটেরিক্স।।

৯| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:৫৯

কাজী আবু ইউসুফ (রিফাত) বলেছেন: প্রিয়তে নিলাম--+++

১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৩৮

ঠ্যঠা মফিজ বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই আবু ইউসুফ।।

১০| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:০৩

ব্লগার_প্রান্ত বলেছেন: @ঝিগাতলা আসলে মসজিদগুলো মুসলিম স্থাপত্য শিল্পকে প্রতিনিধিত্ব করে। এবং দ্বিতীয়ত,
দেশে দেশে অসাধারণ শিল্প শৈলীর মুসলিম নিদর্শনগুলো এক যুগে মুসলমানদের শাসন আমল ও তাদের ঐতিহ্যের প্রতীক

১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৩৯

ঠ্যঠা মফিজ বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই ব্লগার_প্রান্ত।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.