![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমার বেশিরভাগ লেখায়/কথায়, না চিন্তা করে বা নিজ ধ্যানের বাইরে মুসলমান হওয়ার প্রবনতাকে আঘাত করা হয়েছে বলে বলা হয়ে থাকে। আসলে যা বলার চেষ্টা করেছি তা ভুল বুঝাবুঝি হয় ভালোভাবে অনুধাবন না করার কারনে। যেহেতু আমরা সবাই মুসলিম পরিবারে জন্ম নেই বলে আমাদের সবাইকে মুসলিম বলে চালায় দিয়া হয়। তবে এ কথাটাকে সহজে গ্রহন করার অসম্ভব। এতটুকু সত্য যে, বালেগ হবার পর পরিবারের প্রভাব খুব একটা বেশি না থাকার কথা। যদি তাই হয় তবে কেউ চাইলে মুসলিম হিসাবে নিজেকে সন্তুষ্ট করতে নাও পারে তার বালেগ বয়সে । তবেই এই চিন্তা বা চেষ্টা করে কত জন যদি ready-made মুসলিম হিসাবে পরিচয় দিয়ে জীবন শেষ করা যায়।
কিন্তূ এই ready-made মুসলমানিত্ব নিয়ে কি প্রশান্ত আত্মার/মনের (Quran 89:27) অধিকারী হওয়া যায় এবং আল্লাহর বান্দাদের অন্তর্ভুক্ত হওয়া যায় (Quran 89:29) এবং জান্নাতে প্রবেশ করা যায় directly (Quran 89:30)?
তাহলে কিভাবে? মুসলিমরা একজন আর একজনকে নামাজের কথা বলে। কিন্তূ যে মুসলমান তাকে আবার কেন নামাজের কথা বলতে হবে, হা সরণ করিয়ে দেয়া যেতে পারে কিন্তূ আবারও প্রশ্ন থাকে সেকি গাফেল। যদি গাফেল হয় (পাগলনা), তাহলে সে আবার কিভাবে মুসলমান হয়। তাহলে একজন মুসলমান কিভাবে নামাজ পড়বে অথবা নামাজের বেপারে সচেতন হবে?
এর উত্তরে মানুষ সমস্যার শিকড়ে যায় না। মুসলমান হওয়ার শিকর হলো ঈমান (বিশ্বাস) । এই ঈমানটা ঠিক হওয়া দরকার। এই ঈমান ঠিক করার pre-requisite শর্ত কিছু কিচ্ছা-কাহিনীর দ্বারা emotionally blackmail না হওয়া। এই ঈমান ঠিক করার pre-requisite শর্ত হলো নিজেকে সন্তুষ্ট করা যে আমি কেনো আল্লাহ কে বিশ্বাস করি। প্রশ্ন হতে পারে - Why Allah, why not others e.g. Issor, God or nothing?
যারা এই complex পথ ঘুরে আল্লাহকে খুজতে চাননা তাদের নিজেদের তাহলে বের করতে হবে কেন নামাজ পড়া হয় না। আমার কাছে মনে হয়েছে আল্লাহর উপর বিশ্বাস যদি সচ্ছ হয় তবে আল্লাহর কথা মানা তত সহজ হয়। যারা আল্লাহর উপর ready-made বিশ্বাস নিয়ে বসে আছেন তাদের শিরক মুক্ত ঈমান থাকা দরকার। আর শিরক (অংশীদার) মুক্ত ঈমান কিভাবে অর্জন করা যায়? সুধু কোরআন এবং হাদিস দ্বারা। এ বিষয়ে সহযোগিতা নিয়ার নিরিখে Dr. Bilal Philips এর Tawheed বইটি [http://www.kalamullah.com/Books/Fundamentals Of Tawheed.pdf] সহজ ভাবে কোরআন থেকে শিরক মুক্ত ঈমান উপস্থাপন করেছেন।
যদি ঈমান পরিষ্কার থাকে তবে নামাজ পড়তে আর একজনের সহযোগিতা লাগবে না। ঠিক তেমনি ভাবে বাংলাদেশের সংবিধানে, এত দিন থাকতে পারলে এখন থাকলে কি সমস্যা, ইসলাম থাকবে নাকি না এই বেপারে নিজ অবস্থান পরিষ্কার করতে আর একজনের সহযোগিতার প্রয়োজন হবে না।
মজার বেপার হলো, বেশিরভাগ বাংলাদেশী মুসলমান যেহেতু ready-made মুসলিম, তাই তারা অন্তত যা কষ্টকরে বিশ্বাস (ইসলাম) করে তা সংবিধানে থাকলে তাদের খারাপ লাগার কথা না। আমাদের অমুসলিম ভাইদেরও খারাপ লাগার কথা না যেহেতু তারা তাদের বিশ্বাস, সংস্কৃতি এবং কৃষ্টি কোনো বাধা ছাড়া পালন করে আসছেন এবং করছেন। ইসলাম শব্দটি সংবিধানে থাকতে তাদের বিগত কয়েক বছরে কোনো অভিযোগ ছিল না। তাহলে সমস্যা কোথায় ইসলাম শব্দটি যে ভাবে আছে সেভাবে থাকতে । আর না থাকলেই বা সমস্যা কি? না থাকলেই বা সমস্যা কি বিষয়টা সমস্যা হওয়াই সমস্যা।
তার মানে হচ্ছে হটাত করে এটা সমস্যা হয়ে দাড়ালো কেনো। আমরা বর্তমানে বেশিরভাব লোকজনকে প্রভুর চিন্তা মুক্ত দেখি। তাই সাভাবিক ভাবেই মানুষের ইচ্ছা, চিন্তা এবং চাহিদার পরিবর্তন হয়েছে। তাই ইসলাম বাংলাদেশের সংবিধানে এই যুগে থাকাটা সমান সমস্যা হবে অসম্ভব কিছু না। যদি বাংলাদেশের গত ১০ বছরের মানুষের চিন্তা- ভাবনা এবং ২০ বছর আগের সাথে তুলনা করা হয় তবে ইসলাম সংবিধানে না থাকার দাবি সাভাবিক একটা চাওয়া। এখন মুসলমানদেরকেই চিন্তা করতে হবে (যদি বুঝে মুসলমান হই) তারা কি রূপ রায় দিবেন এবং কেনো।
©somewhere in net ltd.
১|
২৮ শে মার্চ, ২০১৬ সকাল ৭:৩৯
বিজন রয় বলেছেন: হুম।