নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমিত্ব কে আবিষ্কার করা...

তাওিহদ অিদ্র

জীবন অর্থবহ...

তাওিহদ অিদ্র › বিস্তারিত পোস্টঃ

সাহিত্যিকদের দায়বদ্ধতা,সৈয়দ শামসূল হক -দলবল ও পরিবর্তনীয় সমাজ

২৫ শে মে, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৫৬



সৈয়দ শামসূল হক... বাংলাদেশের একজন খ্যতনামা সাহিত্যিক ।তাঁর নানাবিধ সাহিত্য প্রতিভা রয়েছে এবং অনেকেই উনাকে সব্যসাচী ও বলে থাকেন।একজন পাঠক হিসেবে তাঁর সাহিত্য সমালোচনা করা যাবে অনায়াসেই।এ প্রসঙ্গে একটা উদাহরণ দিই, কলকাতার উপন্যাসিক সমরেশ মজুমদার তাঁর ত্রয়ী কালবেলা,কালপুরুষও উত্তরাধিকার নিয়ে তুমুল পাঠক প্রিয়তা পেয়েছিলেন দুই পারেই ।তাঁর এই ত্রয়ী উপন্যাসের সমালোচনা করেছিলেন একজন পাঠক ।যিনি কিনা জলপাইগুড়িঁ চাবাগানের এক শ্রমিক । তিনি একটা সমরেশ বরাবর চিঠি লিখেছিলেন ,অনেক কথা বলার পর চিঠির একটা অংশে উল্লেখ ছিল ,আচ্ছা লেখক,কলকাতায় নারী কি এতই সস্তা !!! সেই চিঠি দেশ পত্রিকায় আশির দশকে ছাপানো হয়েছিল সমরেশের কল্যানেই ।এর পর এর একটা জবাব ও তিনি পাঠকের কাছে দিয়েছিলেন ..সেটা অবশ্য দেশে ছাপানো হয়নি ,লেখক মাত্রই জানেন তা।একথা বলার কারণ ও ওটাই ।একজন নিতান্ত পাঠক হিসেবে সাহিত্য পাঠ করে আপনি যত বড় লেখক হোন না কেন তাঁর লেখার সমালোচনা করতেই পারেন আর বড় লেখকরা তাতে কোনভাবে্ বিব্রত হন না ।যাই হোক আসল কথায় আসা যাক,সাহিত্যিকদের সামাজিক দায়ব্ধতা কিরুপ আর কি হওয়া উচিত? সাহিত্যিকদের অতিমাত্রায় রাজ-সাহিত্যিক হতে নেই ।এতে সৃজনশীলতা দূর্বল হয়ে পড়ে ।পৃথিবীতে সব দেশেই সব সংকটে সাহিত্যিকরা রাজনীতিতে নিজের দায়বদ্ধতা প্রকাশ করেছেন ,করতে পিছপাও হন না।বিশেষ করে সমাজতান্ত্রিক দেশগুলোতে শুরুর দিকে ম্যাক্সম গোর্কি,নিকোলাই অস্ত্রভয়োস্কি,ব্রেটোল্ট ব্রেশট,রবীন্দ্রনাথ,নজরুল ,সুকান্ত অনেকেই রাজনীতি সচেতন ছিলেন এবং দেশ ও সামাজিক পরির্বতনে নিজেদের অবস্থান পরিষ্কার করেছিলেন।সাহিত্যিকরা শুধু লেখবেন আর চুপ করে থাকবেন তা তো নয়,তাঁরা লিখে যাবেন,আর অন্ধের মত সবকিছু মেনে নে্বেন তা কেন? তাঁরা সমস্ত অন্যায় অত্যাচার,অনাচার,সামাজিক অসঙ্গতির বিরুদ্ধে লড়বেন এটা তাঁর নিজের দায়বদ্ধতা।একজন সাহিত্যিক একজন ব্যক্তি তাঁর মত, পথ ,রাজ-আর্দশ ,দৃষ্টিভঙ্গি সবই আলাদা হতেই পারে কিন্তু একপেশে হলে কোন ভাবেই চলেনা।তাছাড়া প্রকৃত শিল্পীদের কখনো মতবাদী হতে নেই।আর এটা হলে এর চেয়ে জঘন্য কিছু আর হতে পারে না।সবচেয়ে বেশি চাপটা পড়ে --ওই সামাজিক দায়ব্ধতায়।কেননা যারা তাঁদেরকে ঘিরে পথ দেখে,আশা দেখে,নতুন কিছু করার প্রেরণা পায় আর যদি তাতে ঘাটতি দেখা গেলে সেক্ষেত্রে পাঠক বা সচেতন মানুষ বিক্ষুদ্ধ হতেই পারে ।ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর,রবীন্দ্রনাথ,নজরুল শুধু লেখক ছিলেন না তারা সমাজ সংস্কারে ও সক্রিয় অংশগ্রহণ করেছিলেন ,মাঠে নেমে মানুষের দুয়ারে দুয়ারে গিয়ে সমাজ সংস্কারে অংশগ্রহণ করেছিলেন।সমস্ত প্রথা ,কুসংস্কার,অন্ধত্ব ,সামাজিক গোঁড়ামির জন্য নিজেরা লড়াই করেছেন হয়ত দৃষ্টিভঙ্গিটাই আলাদা আলাদা হতে পারে ! এজন্য বলছিলাম সাহিত্যিকদের সামাজিক দায়ব্ধতা স্বরুপ কি আদতেে না জানার কথা নয় তাই এটা কোন ভাবে অগ্রাহ্য করার বিষয় নই।মাত্রা ,সীমা -পরিসীমার গন্ডি কতটুকুন পেরিয়ে গেলে আমরা বলে থাকি -লেজুড়বৃত্তি।ইদানিং লক্ষ্য করছি ,তাঁর মত এবং তাঁদের মতানুসারীরা অনেকেই আছেন এ কাজে তাঁরা দেদারসে সময় নষ্ট করছেন সেই সাথে নিজেদেরকে মধ্যযুগীয় সাহিত্য আমলের মত দরবারী,জলসাঘরের সাহিত্যিকে নিজেদের রুপান্তরিত করছেন।এ কাজ তাঁদের জন্য ম্রিয়মাণ ,নীচু পর্যায়ে বলে মনে করা স্বাভাবিক।এত পাঠকরা বিব্রত হই,শঙ্কিত হই এই ভেবে যে, রচনার জন্য পাতা লাগে কিনতু পরিবর্তনের জন্য সাহস লাগে।সবাই সাহসী হতে পারে না।সৎ সাহসীরাই পারে সমাজের প্রথা ভাঙতে ,কুসংস্কার ভাঙতে ,সমাজের অন্ধত্ব দূর করতে ।কতিপয় তাঁহারা আছেন তসলিমারা এ দেশে আসতে পারে না। তাঁহারা আজ রাজার সহযোগী ভূমিকায়,দরবারী,জলসাঘরের লালসার ভূমিকায় । এখানে একটা কথা বলে রাখা ভাল,সমাজতান্ত্রিক বিপ্লবের খ্যতনামা ব্যক্তিরা যারা নিজের জীবনটাই এই আর্দশের জন্য নিজের জানটা ছাড়া সব কিছু দিয়েছেন তাঁহারা পর্যন্ত সমাজতান্ত্রিক সরকারের অত্যচারের ফলে দেশ ত্যাগ করেছিলেন,ব্রেটোল্ট -পূর্বজার্মানির শাসকের অত্যাচারের বিরুদ্ধে নিরবে কেঁদেছিলেন এবং শেষতক বলতে বাধ্য হয়েছিলেন ,এ অত্যাচার ,নিমর্মতা বন্ধ করা হোক, ফ্রান্সে ও অনেক খ্যতনামা লেখক -সাহিত্যিক আছেন যারাা সরকারের সমালোচনা করে জেল খেটেছিলেন,দেশ ত্যাগ করেছিলেন, আমাদের মুক্তিযুদ্ধের সময় এ বঙ্গের লেখক সাহিত্যিকরা নিজের জীবন বাজি রেখেছিলেন সেকথা আমরা ভুলিনি ।এ ও ভূলিনি অনেকেই চোখের সামনে তার চরিত্র হারিয়েছেন হয়েছেন -ভন্ড,লেজুড় আর যত নিচু বিশেষণ আছে ।আজ তাঁহারা আত্মিক উন্নয়নের সহযোগী হতে না পারলে যে সব তথৈবচ..রৈ..রৈ.....!! তাঁহাদের দ্বারা হয়ত ছাপাখানা সমৃদ্ধ হবে অথচ কাজের কাজ কিছুই হবে না।সমাজ পরির্বতনের চেয়ে বড় কঠিন কাজ আর কি আছে।ধানকন্যা ,ভাষাকন্যা বিশেষণের চেয়ে ,ব্যক্তি পূজার চেয়ে সাধারণ মানুুষের জন্য পূজা বড্ড দরকার।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৫ শে মে, ২০১৫ রাত ৮:০০

সাদা যাদুকর বলেছেন: চমৎকার লিখেছেন।

পোস্ট প্রিয়তে নিলাম।

২| ২৬ শে মে, ২০১৫ রাত ৯:১৩

তাওিহদ অিদ্র বলেছেন: ধন্যবাদ ......যাদুকর!!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.