![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সোয়ান " না এটা কোন রাজহাঁস নয়।সোনার ডিম পাড়া হাঁস নামক -এক গার্মেন্টস কোম্পানীর নাম।এই হাঁস এখন কিছু মানুষের গলার ফাঁস ! মাসের পর মাস চাকরি করে বেতন না দিয়ে এই হাঁস দাপড়িয়ে বেড়ায় দেশে দেশে ...!! বাংলাদেশের এক তৃতীয়াংশ সম্পদ এখন মুস্ঠিমেয় হাজার খানেক মানুষের দখলে ।তারাই তো আর্ন্তজাতিক বা দেশীয় বাজার ব্যবস্থার নিয়ন্ত্রক।আর গোটা এক শতাংশ সম্পদ ভোগ করছে ১৬ কোটির মত মানুষ ।শুধু আমাদের দেশ কেন বিশ্বপতিদের ও একই অবস্থা ।একশ ধনীদের হাতে বিশ্বের প্রায় পাঁচভাগের তিনভাগ সম্পদ আর বাকি ৭০০ মিলিয়ন মানুষ দুই ভাগ ভোগ করে।বাংলাদেশের অর্থনীতি ও নাকি দিন দিন ফুলে ফেঁপে উঠছে।এরাই তো আর্ন্তজাতিক বাণিজ্যের নামে দেশে দেশে লবিস্ট বা কাউন্সিলর নিয়োগ করে রেখেছে তারাই আবার পরিসংখ্যান তৈরী করে দিয়ে বলছে তোমরা এখন মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হতে চলেছ।তো আর কি দরকার !! আসলে সম্পদ কুক্ষিগত করার যে বাজার ফন্দি বা উন্নয়নের ফন্দি আজ আঁটা হচ্ছে তা ওই শ্রেণীরই প্রচার হাতিয়ার।এতে সাধারণ বলতে যা বুঝায় তার ছিঁটেফোঁটার ও অবস্থার উন্নতি হয়নি ।যদি কিছু হয়ে থাকে তা উন্নয়নের আতঙ্ক,উন্নয়নের রঙে রাঙায়িত বেসাতি মাখা সাধারণ মানুষের না বুঝার উন্নয়ন।এখানে গ্রামীণ একটা প্রবাদ না বললেই নয়," গরীবের সুন্দরী বউ সবার ভাবী"। অর্থাৎ বিরাট অংশের মানুষের কর্মসংস্থান নাই ,বিনিয়োগ নাই, যে গ্রামীণ অর্থনীতির কথা বলা হচ্ছে তাও ভেজাল উন্নয়নের কারসাজি।সরকার আসে যায় ,রাজা রাণী ও আসে যাবে তবে যে বৈষম্য বা ভোগ তার আর ও বৈষম্যের বাহুবৃদ্ধি করবে মাত্র।খাবারের জন্য যে হাহাকার ,ক্ষুধার জন্য যে হাহাকার যে বৃত্তি তা কখনেো বন্ধ হবে না।ভিক্ষাবৃত্তির ও যে নানা রকমফের আছে ।পর্দা দিয়ে পর্দা ছাড়া,খাবার সংগ্রহের ও নানা কৌশল আছে কোনটা এভাবে নতুবা ওভাবে .. ঘুরেফিরে সুকান্তের কবিতা ....... ক্ষুধার রাজ্যে পৃথিবী গদ্যময় ।আর " সোয়ান" - একটা বালুকণা মাত্র।।।
অন্য প্রসঙ্গ: শিশু চুরি
একদিন মেডিকেল কলেজে গেলাম দেখা হল মেডিকেলের প্রশাসক : মেজর ক" এর সাথে। তাঁর সুপরিসর কক্ষ। যদি ও মেডিকেলের পরিবেশের সাথে তার কক্ষের পরিবেশের মিল পাওয়া কঠিন।তাঁর সুন্দর জ্বলজ্বলে মুখ,পোশাক আশাক একটা এরিস্টোক্রেট এরিস্টোক্রেট ভাব ।তা থাকতেই পারে। একখানা বড় টেবিল ,একট জোড়া সোফা,আর একটা ছো্ট্ট শো পিচ রাখার স্ট্যান্ড যদি ও এতে শোপিচ ছিল না আছে তাঁর সেই উর্দি টুপি,আর হাতে সবসময় থাকা একটা বেত (এর শুদ্ধ নামটা এখন মনে পড়ছে না কেউ চাইলে শিখিয়ে দিতে পারেন)।তাঁর পরণে উর্দির্কোতা ।এখানে না পড়লে ও চলে তথাপি ও পড়েন যদিও বা এটা কোন যুদ্ধের ময়দান নয় ! তাঁর কক্ষে প্রবেশ করতে হলে ও ঘন্টাখানিক লাগে ,অনুমতি নিতে হয় লঙ্কাকান্ড তো বটে।দশমিনিট তার সাথে কথা হল চমৎকার লাগল।যদি ও বা যেরকম ভাবি ঠিক ও রকম মনে হয়নি।ভারী আজব লাগল ... এর ফাঁকে ফাঁকে তিনি যেসব কথা ফোন রিসিভ করে বলছেন সবই তার গাড়ি ,বাড়ি,সংসার বা ব্যক্তিগত কেন্দ্রিক যাক নাহয় তা হল ।কিন্তু মোদ্দাকথা হল, এত পরিপাটি মানুষ ও এত পরিপাটি কক্ষ।অথচ যাদের ট্যাক্সের টাকায় তাদের বেতন চলে সেই সব মানুষের কি দূর্দশা!! মা শিশু জন্ম দিল অথচ বাড়ি গেল -- শূণ্য হাতে।কেউ কিছু বুঝতে পারল না্।ওর্য়াড বই ,বাগানের মালি "রোগীর পেটে অপারেশনে ছুরি চালায়"!,ডাক্তার ও সেজে যায়।অথচ একটু ত্যাগ স্বীকার করলে বদলে দেয়া কোন অসম্ভব কোন কিছু নয়।বরং এটা যেকোন মানুষের জন্যই একটা বড় সুযোগ যে -এ ধরনের দায়িত্ব পেলে মানুষের সেবা করার বড় সুযোগ পায় বটে ।অথচ তারা পেয়ে ও তা কাজে লাগায় না ।আর যারা এ ধরনের কাজের সুযোগ পাওয়ার আগ্রহী তারা পায় না।লিস্ট বোর্ডে যত না ডাক্তারের নাম আছে ,তার সাথে উর্দিবাবুদের ও নাম কম নয়!! তবু তারা সেটা পারে না যার যেখানে যাওয়ার দরকার নেই তাকে সেটা দিলে অন্যদের মনে ক্ষোভ তৈরী হবে -এটা তো মানুষের প্রাকৃতিক প্রবৃত্তি।এটাকে বাস্তবতার নিরিখে অস্বীকার করা যায় না।।।
১০ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ১১:৪৫
তাওিহদ অিদ্র বলেছেন: আমি যদি সমাধান দিতে পারতাম ,তাহলে তো অষ্টম আর্শ্চয্য হিসেবে আর্বিভূত হতাম!! হা হা হা ......... আসলে ইচ্ছাটাই বড়। ধন্যবাদ কমেন্টস এর জন্য।ভাল থাকবেন।
©somewhere in net ltd.
১|
১০ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ১:০৫
চাঁদগাজী বলেছেন:
সমাধান কি?