নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমিত্ব কে আবিষ্কার করা...

তাওিহদ অিদ্র

জীবন অর্থবহ...

তাওিহদ অিদ্র › বিস্তারিত পোস্টঃ

লতিফ সিদ্দিকী ও সামাজিক দায়ভার

০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:১১




সাংসদ লতিফ সিদ্দিকীর সংসদীয় শেষ ভাষণ শুনে অবাক হলাম,দারুণ আবেগময় কন্ঠ ছিল তার।যাই হোক তার পদত্যাগে ভালই হয়েছে ।এই সংসদ শুরু থেকে যা দিয়ে আসছে জনগণকে, তাতে উনার সম্পৃক্ততা না থাকাই বরং উনার জন্য ভালো হয়েছে।অন্তত বতর্মান সংসদের অপর্কমের দায়ভার নিতে হবে না তাকেঁ,শুধু তাই নয় তার দেয়া হজ্জ্ব ও জয় সম্পর্কে যে বক্তব্য দিয়েছেন তাতে তিনি অটল রয়েছেন এই জন্য ভাললাগার সবচেয়ে বড় কারণ।আগে উনার বড় ভাই কাদের সিদ্দিকী আর উনি টাঙ্গাইল বাসীকে তেমন কিছু দেননি।শুধু নাম দিয়ে বারবার প্রতারণা করেছেন আর ভোটের সময় নৌকা দিয়ে বৈতরণী পার হয়েছেন মাত্র।প্রেক্ষাপট মানুষের যুক্তিকে নাড়িয়ে দেয় সেটা ভাল করেই উপলব্ধি করলাম।মুখের কথা কে মুখ দিয়ে জবাব দিলেই তো হত!! কাল সাপ পুষে ,দুধ কলা খাইয়ে কওমী,হেফাজতিদের বাঁচিয়ে রেখে অন্যদের কতল করবার কৌশলের কি পরিণতি তা সবার মনে রাখা উচিত।তাদের তো আর কিছু হয় না। জান বলেন,জাত বলেন সব তো যায় জনগণের।সবাই তো বেশ বলেন, লেখনির জন্য যুক্তি হবে লেখনি তাহলে কথার জন্য উপযুক্ত যুক্তি হবে কথা!! কিন্তু এর ব্যতয় ঘটল কেন?? শুধু কথার জন্য কার মন্ত্রীত্ব বা দলের সদস্যপদ যাবে তা কোন ভাবে মেনে নেয়া যায় না।এই সংসদে অনেক বড় বড় মদদী ,দুর্বৃত্ত ব্যবসায়ী, গডফাদাররা তো আছেন তারা ঠিক বহাল তবিয়েতে বহাল আছেন। এইদেশে বোকা জনগণ ভোট দিয়ে দেশটা ইজারা দিয়েছে সংসদের কাছে।জনগণ যে তিমিরেই থাকেন সেই তিমিরেই থাকবেন। যাক এমনিতেই তো সরকার মানুষের মুখের ওপর হাত বসিয়ে রেখেছে।কথা বললেই ৫৭,না জানি আবার কি হয় !!! অপরদিকে আমাদের সমাজে ধর্মীয় গোঁড়ামি এতটাই বেড়েছে যে সেটা এখন অপরের মৃত্যু বা ধর্মীয় অপবাদ, অপব্যাখা, লাঞ্ছনার হাতিয়ার হয়ে দাঁড়িয়েছে।ধর্ম নিরপেক্ষ সমাজ ব্যবস্থাটা একেবারেই আপেক্ষিক ।এটা কোন একক ব্যবস্থা নয়।সব ধর্মের সমান সুযোগ বা শিক্ষা বা সমমর্যাদা ভিক্তিক তবে যুক্তিবোধ কে বাধ দিয়ে নয়।যুক্তিবোধ মানে যারা ধর্ম দিয়ে ব্যক্তিগত খারাপ কাজকে জায়েজ করার যে কৌশল তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করা,তবে ইচ্ছাকৃত অপমান নয়।বিশাল প্রেক্ষাপটে নানা উদাহরণ আছে।নবী মোহাম্মদ কে ভাল কাজের জন্য হিজরত করেতে হয়েছিল।মধ্যপ্রাচ্যের ধেয়ে আসা এই আর্দশবোধ উপমহাদেশে ভালই পোষ মানিয়েছিল।বৃটিশ ভাগভাটোয়ার প্রেক্ষাপট থেকে দা কিরিচ এর প্রশিক্ষণ শুরু হয় ও ব্যবহার শুরু হয় ।কুকুর বিড়াল কে এক পাতে খেতে দিয় কিন্তু মানুষকে খেতে দিয় না।এর পর ৭১ এ ধর্মীয় অপরাধ বলে যে রক্ত আমাদের নিয়েগিয়েছিল পশ্চিম পাকিস্তানিরা ও রাজাকাররা তাভোলার নয়।এই যে উ্ত্থান পতনের মধ্যে মানুষ নানা অভিজ্ঞতায় এ সমাজ শাণিত হয়েছে।তাতে ধর্মীয় শিক্ষা বা ব্যক্তিগত র্চচ্চায় তেমন বিরোধ দেখা যায়নি।তদুপরি এর গোঁড়ামি বা মানুষের দুষ্টতায় বিরুদ্ধে যে প্রতিবাদ সেটাকে ও দমানো যায়নি।বেগম রোকেয়ার কথায় দরুণ.. তিনি আমাদের সমাজের ও পরিবারের স্বরুপ উন্মোচন করেছিলেন।মোতোহের হোসেন,একালের আরজ আলী মাতুব্বর সবার কথায় দরুন না কি দারুণ সংযত লেখনির মাধ্যমে কুসঙষ্কার ও প্রথাগত ও ব্যক্তিগত অপব্যাখা ও খারাপ কাজে ধর্মের ব্যবহার র্সম্পকে সচেতন করেছিলেন।কিনতু তারা ও ধর্ম পালন করেছিলেন।নাস্তিকতার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ কিছু মানুষের সেটা ও একধরনের না বোঝার ফল।আবার অনেকেই যারা নাস্তিকতার র্চচ্চা করেন তারা ও নাস্তিকতার মর্মাথ বোঝেন না।না বুঝে কটাক্ষ করেন।মনে রাখা দরকার সভ্যতার বা মানুষের চিন্তার বদল এতটাই ধীরগতিতে হয় যে মনোজাগতিক বদলটা ঠিক খালি চোখে ঠাউর করা যায় না।গভীর দিকর্দশন জনিত ও মনন র্চচায় শাণিত চোখের প্রয়োজন হয়। এর সাথে যখন রাজনৈতিক উপাদান যুক্ত হয় তখন এইসব লীলাখেলা শুরু হয় ।তখন না থাকে যুক্তি না থাকে মুক্তি শুধু ভাঙনের গান ছাড়া।কবি নজরুল কে দেখেছি,হুমায়ুন আজাদকে দেখেছি লেখনির মাধ্যমে অন্যের অপর্কমে কে তুলে ধরা ।কিনতু তারা ও পরিক্রমায় অন্যের কাছে খারাপ হলেন ! কাদের কাছে খারাপ হয়েছেন তারা হল হয় বিশেষ ধর্মীয় রাজনৈতিক গোষ্ঠী,দখলবাজি,স্বার্থবাজ গোষ্ঠী ,লালসালুর গোষ্ঠী ওরা ছাড়া সাধারণ ব্যক্তিবিশেষে আহাম্মকি করতে দেখা যায় না।দুই একটা উদাহরণ দিই প্রচলিত গ্রাম্য সমাজে সুন্নী প্রধানরা যখন কোন মিলাদ আয়োজন করেন তখন সেই সকাল থেকে টানা মাইক বাজিয়ে চলেন।এতে আশেপাশে কার ক্ষতি হচ্ছে কিনা দেখার মুরোদ নাই ।একজন মাদ্রাসায় পড়া হুজুর বললেন, বাবা ধর্ম টর্ম বড় বিষয় নয়,বিবেক বুদ্ধি হল বড়।এগুলো বকলমের কাজ।যারা না বুঝে ধর্ম,না বুঝে সমাজ,না বুঝে অন্যকিছু শুধু আজকের দিনের জৌলুসের কথাটাই তার মনে আছে।” আরেকটা বলি, কিছু আগের কথা এক বড় ব্যবসায়ী তাহার দাপটে এক সরকারী সেতু ভেঙে দিলেন, মানুষ ফুসেঁ উঠছে দেখে প্রথমে মেজবান,পরে এলাকায় মসজিদ করে দিলেন কিন্তু তিনি হাজার হাজার মানুষের সেতু পারাপারের ব্যাপারে কিছুই করলেন না।” আমরা ছোট্ট তিন চারটা জায়গা আছে চট্টগ্রাম শহরে সবগুলোই ৭১ সালে দখল করা আর প্রত্যেক জায়গার সাথে একটা করে মসজিদ বানানো আছে ।এ নিয়ে সবাই কথা বলাবলি করে “। মাজার কেন্দ্রিক নানা ঘটনার কথা যে গুলো পড়া এবং চোখের দেখা এত উদাহরণ দিলে একটা উইকিপিডিয়া লেখা যায়।আর আছে গ্রামে গ্রামে বিশেষ করে মেয়েদের বেলায় নানা রকম যৌন হয়রানির কথা ।প্রত্যেকটার অপরাধের বিচার বা প্রতিবাদ বা প্রতিফল পেতে গেলে সবচেয়ে বড় বাধা হয়ে দাঁড়ায় ধর্ম।আসলেই কি এসব ধর্মের দোষ বা কোন আর্দশের দোষ।মানুষের নানা ব্যক্তিগত অপর্কম থেকে নিজেকে বাঁচাতে ধর্ম ব্যবহার করছে মাত্র।ইউরোপ বা সোভিয়েত আন্দোলনের মূল প্রেক্ষাপট ছিল ধর্মীয় গোঁড়ামির বিরুদ্ধে।অথচ তারা ও সেসময়ের ক্ষমতাবানদের কাছে ছিলেন র্ধম দ্রোহি বা নাস্তিক।ম্যাকিয়াভেলী সংবিধান থেকে ধর্ম থেকে না রাখার পক্ষে মত দিয়েছিলেন এ কারণে যে স্বার্থবাজ মানুষ থেকে সাধারণ মানুষকে রক্ষা করতে হলে একে ব্যক্তি পর্যায়ে রাখতে হবে।কেননা বিশাল অপরাধী গোষ্ঠীকে সামলানো কঠিন হয়ে পড়বে তখন।মানুষ এমন এক প্রাণী যাকে কোনদিন একটা আর্দশ নিয়ে বাঁধা যায়নি ।বহুআর্দশ মানুষের মধ্যে বসবাস করে ।তাই মত বা মিল অমিলের পার্থক্য থাকবে ।তার জন্য অন্যায় শাস্তি কোনভাবে কাম্য নয়।তার জন্য কাউকে হত্য করা ও কাম্য নয় ।বরং এটাই অপরাধ ।প্রত্যেক ধর্ম সেটাই বলে ।মানুষ মানুষেকে ভালবাসতে জানলেই কেবল ধর্ম প্রম্ফুটিত হয়।যে কোন আর্দশ যে যুগে আসুক না কেন তা সময়ের শ্রেষ্ঠ জ্ঞান এর কথা বলে।আবার কোন র্আদশই শেষ আর্দশ নয়।মানুষের সাথে সাথে সময়ের সাথে সাথে চিন্তা ভাবনা পরিবর্তন হবে ।এটাই জীবন বা সৃষি্টর ধর্ম।ধর্ম ছাড়া পৃথিবীতে কোন কিছু নেই ।যে কিছু মানে না সেটা ও তার ধর্ম বা আর্দশ। যারা কথা বলতে পারে না উদিভদ বা জীবাণূকুল তারাও ধার্মিক তারাও তাদের জীবনচক্রকে তাদের ধর্ম দিয়ে অতিবাহিত করে ।সব প্রাণীকুলের মহত্ব কামনা করাই শ্রেয় ধর্ম ।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.