![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আইনী প্রক্রিয়ার জন্য সুখবর হল হাইর্কোটের সার্কিট বেঞ্চ স্থাপনের প্রক্রিয়া আবারো শুরু হয়েছে।অষ্টম সংশোধনীর মাধ্যমে যারা এই প্রক্রিয়াকে রহিত করেছেন তাদের কি হবে? হায় হায় সংবিধানের কি হবে? যার দোহায় দিয়ে যারা এতদিন ঢাকা মেট্রোপলিটন শহরের বাইরের মানুষদের আইনী সহায়তা থেকে বঞ্চিত করেছেন,দূর্ভোগ বাড়িয়েছেন,টাকা পয়সা মেরে নি:স্ব করেছেন,পুরো একাংশ জনগণকে কষ্ট দিয়েছেন তাদের কে কিভাবে ক্ষতিপুরণ দেবেন? একজন মানুষ তার সমস্যা সমাধানের জন্য আরেকজনের কাছে যাবে এটাই স্বাভাবিক।কেননা তিনি পারছিলেন না বলেই তো আপনার কাছে যাবেন।কিন্তু আপনি যদি তাকে আর বেশি সমস্যায় নিপতিত করেন তাহলে এজগতে আপনি এক নিকৃষ্টতম।ধরি একজন তেঁতুলিয়ার এক মানুষ আইনী সহায়তার জন্য প্রথমে লোয়ার র্কোটে গেল পরে সেখান থেকে হাইর্কোটে গেল এখন হাইর্কোট তো ঢাকায় সংবিধান নাকি বলে দিয়েছে ঢাকার বাইরে এর অবস্থান থাকবে না –সাংবিধানিক ব্যখা নাকি তাই বলে। যাক তিনি দেখলেন আমার জায়গা হল 5 গন্ডা যেটা নিয়েতার সাথে আরেকজনের দ্বন্ধ পরে উনি ঢাকায় বছরের পর বছর আসতে যেতে থাকলেন এমনকি যুগ পার হয়ে গেছে সমাধান তো পেলেন না ।পরে দেখলেন এই ৫ গন্ডা জায়গা বাঁচাতে গিয়ে তাকে আর ১৫ গন্ডা জায়গা বিক্রি করতে হল।তাহলে বলেন কোন মানুষের বাচ্চা এই গরু ছাগলের আইনী প্রক্রিয়াকে সম্মান জানাবে!! যদি বিভাগীয় পর্যায়ে থাকত তাহলে তার অন্তত ১৫ গন্ডা জায়গা বিক্রি করতে হত না। নূন্যতম খরচ বাঁচাতে পারতেন।আমাদের আইনী খরচ বা প্রক্রিয়া এমনি এই ৫ গন্ডা জমি বাঁচাতে গেলে ওই ৫ গন্ডার জমির মূল্য পরিমাণ খরচ আর দূভোর্গ সঙ্গে কিনে নিতে হবে। যাই হোক, অষ্টম সংশোধণীতে তিনটি বিষয় ছিল সবচেয়ে খারাপ বিষয় ছিল সংবিধানের ভেতর আ্ল্লাহর জন্য একটা স্থায়ী ঠিকানা করে দেয়া আর সবচেয়ে ভাল বিষয় ছিল প্রত্যেকটা বিভাগে হাইর্কোটের ৭টি স্থায়ী বেঞ্চ প্রতিষ্ঠা। কতিপয় সংঘবদ্ধ গোষ্ঠী বা চক্র নানারকম হিসাব নিকাশ ,ব্যক্তিগত লাভ লোকসান,রাজনৈতিক হালূয়া রুটির ভাগ,পেশাজীবী হিসেবে অপেশাদারী বা হাম্বা গোত্রীয় অদূরদর্শী চিন্তাভাবনা আর হামবড়া আইনীপ্যাচঁ মেরে কাকে কোথায় আটকে দেয়া যায় সে হিসাব ছাড়া ভাল কিছুর অভাবকে প্রতিষ্ঠা দেয়ার জন্য তারা একজোট।এই মামলাটি করেছিলেন তৎকালীন সরকারের বিরুদ্ধে আনোয়ার হোসেন নামক এক আইনজীবী ।এটি বিখ্যাত মামলার রেফারেন্স হিসেবে বেশ খ্যাত। কেননা সংবিধানের অখন্ডতার জন্য।কিন্তু একবার ও চিন্তা করেননি জনস্বার্থ বিবেচনা করলে ,দূরদর্শী চিন্তা করলে বলতে হয় সংবিধান বড় না জনগণ বড়। এক “ শেয়ালে পাদ ” দিয়েছে দৌড়ে যাচ্ছি হাইর্কোটে রীট করতে !!! এই অসাধারণ মগজ নিয়ে যারা আইনী র্চচ্চা করেন তাদের কথা নাই বা বললাম।কিনতু সবাইকে সর্তক হতে হবে যেখানে জনগণের সম্পৃক্ততা আছে সেসব জায়গায় হুট্হাট কোন কিছু করা উচিত নয়।ভাল কাজ যেমন হয় মন্দ কাজও সমান তালে হয় ।বাংলাদেশ বলে বলছি ভালর চেয়ে মন্দ দৌড়ের গতি এখানে একটু বেশিই বটে!!!এরশাদের যে কয়টি ভাল কাজ ছিল তারমধ্যে বিকেন্দ্রীকরণের জন্য উপজেলা ব্যবস্থা আর আইনী সেবা বিকেন্দ্রীকরণের জন্য হাইকোর্টের ৭টি বেঞ্চ স্থাপন বিভাগীয় পর্যায় এ অন্যতম ।কিনতু ওই যে বললাম যারে দেখতে নারি তার চলন বাঁকা।সে নাকি ৗস্বরাচারী এইজন্য সে ভাল কাজ করতেই পারে না!! এমন ধারণার বশবর্তী অনেকেই আছেন।আর যারা ৯০ পরবর্তী গণতন্ত্রী তাদের তো আচার আচরণ কি! এই স্বৈরাচারীর চেয়ে কোন অংশে কম!!!২৭ বছরের যে সেবা থেকে যারা জনগণকে বঞ্চিত করেছে সেই আনোয়ার হোসেন এবং এর সাথে সংশি্লষ্ট দলবল ,বিচারপতি ও রাজনৈতিক কূজন সবার উচিত জনগণের পা ধরে ক্ষমা চাওয়া এবং এরশাদের কাছে তো অবশ্যই বটে!! শুধ্ু তাই নয় যেসব মানুষ ভূক্তভোগী হয়ে নি:স্ব হয়েছেন তাদের ক্ষতিপূরণ দেয়া!!!অবশেষে বিষয়টি আবার নাড়াচাড়া হওয়ায় স্বস্তি পাচ্ছি।ভূক্তভোগীদের কষ্ট দূর্দশা লাঘব হোক।আর যত দ্রুত সম্ভব শুধু চট্ট্রগ্রাম কেন সব বিভাগে বেঞ্চ চালু করা উচিত।যে জনগণের করের টাকা খেয়ে যারা বেতন নেন তাদের দায়িত্ব আর বেশি।জনগণের জয় হোক ,ভাল কাজের জয় হোক।।।।
©somewhere in net ltd.