নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমিত্ব কে আবিষ্কার করা...

তাওিহদ অিদ্র

জীবন অর্থবহ...

তাওিহদ অিদ্র › বিস্তারিত পোস্টঃ

বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় তো আর ব্যটারি চালিত রিকশা নয়!!!

১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:৩৮

বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় তো আর ব্যটারি চালিত রিকশা নয়!!!
শিক্ষার বাণিজ্যিকতা বা বিভাজন এসব নিয়ে কিছু বলতে চায় না।শিক্ষা অধিদপ্তর যে কত বড় দূণীতির কারখানা সেটা ও বলতে চায় না।ইউজিসি বা সরকারী ঘুষখোর,বা ক্ষমতার বড়ালকারী দলীয় গুন্ডা বাহিনী বা মাস্তানি,মন্ত্রী,এমপি এসব ক্ষমতাকেনিদ্রকরা যেভাবে দোকান কেনার মত করে সরকারের কাছ থেকে বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় অনুমতি নেয় বা মালিকানা বন্ধে মালিকদের টানাটানি এ কেন্দ্রিক যে আর সমস্য আছে- এসব কিছু নিয়ে কথা বলতে চায় না।শুধু এটুকুই বলতে পারি,শিক্ষার সাথে ভ্যাট যুক্ত করাটা একটা লজ্জ্বাষ্কর ব্যাপার।শুনতে কেমন কেমন লাগে!!রিয়াদ নামের একটা ছেলে গতবার চট্টগ্রাম ব্শ্বিবিদ্যালয়ে ল’তে ভর্তি পরীক্ষায় পাশ করার পর ও প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রাম শাখায় ল’তে ভর্তি হয়েছে।পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে যে চাপাতি সংস্কৃতি,লাঠি সংস্কৃতি আর গোলাগুলির সংস্কৃতি রপ্ত করার চেয়ে নিজের জান বাঁচানো ফরজ।সবচেয়ে বড় কথা সে বলল,একটি ডিসিপ্লিন পরিবেশ চায় আর যদি আমার মেধা এবং বিষয়গত আগ্রহ থাকে তাহলে আমার জন্য ইন্সিটিটিউট বড় কোন বাঁধা নয়।সাফল্য হাতে আসবেই।রিয়াদের মত অনেক ছেলেই আজ বেসরকারী বিদ্যালয়ে পড়ছে।অনেক পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্নাস পড়ুয়া ছেলেমেয়েরা বাস্তব জীবনে এসে বড় পরীক্ষার সম্মুখীণ হয়!অনেকেই তারাও বুঝতে পারেন তারা কোথায় লেখাপড়া করেছেন।কাউকে হেয় করে কাউকে বড় করে দেখার মনমানসিকতা এখনো দূর হয়নি অনেকক্ষেত্রে।এটা ও একধরনের উপনেবিশক বা কলোনিয়াল চিন্তা।সে যাই হোক, বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় যে শিক্ষাক্ষেত্রে অবদান রাখতে পারে তা আস্তে আসেত বিকশিত হচ্ছে,এই ধারণা পাকাপোক্ত হচ্ছে।আর এসব ছেলেমেয়েদের যে ট্যালেন্ট আছে তাও আজ নানাভাবে প্রকাশিত হয়।আগেকার দিনে যুদ্ধ সমরে রাজা যখন সৈন্যদের হুকুম করত এই দিকে যাও আর সামনে যা পাও দুমরে মুচড়ে দাও।তখনকার সেনাদলগুলো ছিল ভারী মেধাবী।কতদূর পর দেখল আস্ত সমুদ্র! কিন্তু রাজার আদেশ অমান্য করা যাবে না।চল এদিক দিয়েই যেতে হবে… আরে বাবা যাবি তো যাবি কমনসেন্সটা তো খাটা!!!..... অতএব গাধার দলের সলিল সমাধি হল!! কে যেন পরামর্শ দিল দে বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভ্যাট লাগায় দে!! যেই উপদেশ সেই কাজ।এদিকে বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের কেউ কেউ ঘোষণা করল ছাত্রদের ভ্যাট দিতে হবে না।আরে বাবা সে তো এই বছরের জন্য।এরপর থেকে তো ঠিকই পোষায় নেবেন।ব্যবসার নিয়মতো এটাই।আর আমাদের যে দেশীয় সমাজ ব্যবস্থা সে তো আর বলার অপেক্ষা রাখে না!ভোটের বাক্সের ভোট দেয়ার জন্য নৌকার প্রার্থী বললেন ব্যাটারি চালিত রিকশা বন্ধ করা যাবে না এটা অন্যায়।স্থানীয় প্রশাসনের সিদ্ধান্ত বাতিল হল।নির্বাচনে সেই রিকশাওয়ালার দেদারসে ভোট আর জালভোট দিল।পরে ঠিকই সেই মহামানব, ব্যাটারি চালিত রিকশাবন্ধে উদ্যোগ নিলেন প্রশাসনের কথামত।ব্যস আর যাই কই? আন্দোলন ফান্দোলন ও শেষ।যার যার পথ সে বেছে নিল।আর এখন এমন সময়ের মধ্যে বসবাস করছি কিছু বলা যাবে না!যদি বলেন তাহলে রাষ্ট্রের হাত গলার কাছে এসে যাবে।তা বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের মালিকরাও বলল,বাবারা তোমাদের ভ্যাট দিতে হবে না।বললে তো দোকানের শাটার বন্ধ হয়ে যাবে।এতবড় ঝুকিঁ কেন নেবেন তারা।বাস্তবতা হল,সব ভ্যাটসহ টিউশনফি ছাত্রদের দিতে হবে।এর কোন ব্যতয় হবে না।সংসদ তো এখন একরকম সরগরম।সেখান থেকে বলা হল,ভ্যাট দিবেন মালিক, ছাত্ররা নয়।ঐ যে বললাম, কমনসেন্স!নিজেদের ছেলেমেয়েদের যারা উচ্চশিক্ষার নাম করে বিদেশে বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ান তাতে কোন সমস্যা নেয়।অক্সর্ফোড, হার্ভাড,কলম্বিয়া এসব বিশ্ববিদ্যালয় কি ! না আমরা কিছুই জানিনা।…টাকা আছে তো এসব বিশ্ববিদ্যালয়ও আছে!আসল কথা হল –ভ্যট প্রত্যাহার করেন।তৃতীয় ক্যাটাগরির কিছু রাজনীতিক আছেন তারা আদৌ রাজনীতিক নাকি চামার সেটাতে বুঝা যায় না।অবশ্য বুঝবেন কেমনে ইন্টার পাস করার পরই তো বিশ্ববিদ্যালয় যেতে হয়।তারা তো বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়া ইউনির্ভাসিটির ডিগ্রি নিয়ে বসে আছেন! কর্মাস কলেজ থেকে কেমেস্ট্রিতে পাশ করার মত !! দেশের আইন প্রণেতা বলে কথা!!! আর ভেতরে ভেতরে যারা সংসদের মন্ত্রী আছেন দু একজন যারা কিনা সন্ধ্যাকালীন বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের টিচার হওয়ার জন্য আগেভাগেই নিয়োগ পত্র নিয়ে রেখেছিলেন তারা কিছু বলবেন কি? জলবায়ু ফান্ড চুরি করা পরিবেশ টিচার !!!! এসব গিরগিটিরাই তো ছেলেমেয়েদের মুভমেন্ট এ দুবুত্তের অনুপ্রবেশ,কে জামাত কে ছাত্রশিবির এসব খুঁজতে লাগলেন।এত ভয় পান কেন সরকার মহাশয়? চুরি করেছেন নাকি? ধরা খাওয়ার ভয় আছে, সবসময় এত আতঙ্কিত থাকেন কেন? ও আচ্ছা কথাতো :চোরের নাকি বড় গলা!! মহাশয় অতিশয় গলা বাজি ছেড়ে ভ্যাট প্রত্যাহার করুন,ভ্যাট প্রত্যাহার করুন এবং ভ্যাট প্রত্যাহার করুন!!আপনারা ও নিরাপদে থাকুন।গুছগাছ করে নিজেদের কাজটা ভালমত করুন।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:৫২

চাঁদগাজী বলেছেন:

কিছু সরকারী কর্মকর্তা কয়েক কোটী টাকার ঘুষ খেয়ে প্রাইভেট ইউভার্সিটির লাইসেন্স দিয়েছে; তাতে মানুষের পকেট থেকে বিলিয়ন বিলয়ন ডাকাতী করছে প্রাইভেটের মালিকেরা।

আবার ছেলেমেয়েরা না পড়ে সার্টিফিকেট পাচ্ছে। মা-বাবার লাল, নীল সুতা বের হচ্ছে ৭০% ক্ষেত্রে।
পয়সা-ওয়ালাদের বখাটে ছেলেমেয় ডাক্তার, ইনজিনিয়ার হচ্ছে।

প্রাইভেটের মালিক হতে হবে ছাত্রদের মা-বাবাকে।

১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:৫৬

তাওিহদ অিদ্র বলেছেন: না পড়ে সার্টিফিকেট পাচ্ছে হয়ত সত্যি তাই বলে একটা গড়ে ওঠা ব্যবস্থাকে গড়ে উঠার সুযোগ করে দিতে হবে।লেখাপড়ার জায়গায় সে হোক ইংরেজি মাধ্যম বা বাংলা ভ্যাট কোনভাবে গ্রহণ যোগ্য নয়।পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যর্থতাকেও বুঝতে হবে। কমেন্টসর জন্য ধন্যবাদ পাওনা থাকল........:)

২| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:৫৩

জাহিদুল ইসলাম ২৭ বলেছেন: পয়সা-ওয়ালাদের বখাটে ছেলেমেয় ডাক্তার, ইনজিনিয়ার হচ্ছে।

১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:৫৯

তাওিহদ অিদ্র বলেছেন: অসঙ্গতি দু একটা থাকবে তাই বলে বিরুপ আচরণ করা যাবে না .. যারা ব্যবস্থা দেবার তারাই যদি বাধা হয় তাহলে তো কিছু করার নাই............ ধন্যবাদ

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.