নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমিত্ব কে আবিষ্কার করা...

তাওিহদ অিদ্র

জীবন অর্থবহ...

তাওিহদ অিদ্র › বিস্তারিত পোস্টঃ

গড’ একটি রাজনৈতিক শব্দ !!!

১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:৪৪


যতদিন রাষ্ট্র থাকবে ততদিন রাজনৈতিক সরকারগুলো থাকবে আর ততদিন গড ও বেঁচে থাকবেন।রাষ্ট্রের র্শীষ মিনার চূড়ায় গডের অদৃশ্য অ্যার্পাটমেন্ট আছে!!কেননা তিনি তো কুঁড়ে বা মাইট্টা ঘরে থাকবেন না।তার ধরন ধারণই আলাদা।কি উন্নত আর কি অনুন্নত দেশ বলেন সরকার প্রধানরা যখন মসনদে আহরণ করেন তখন বাইবেল, ত্রিপিটক,কোরান বা গীতা নিয়ে শপথ করে ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হন।যুক্তিবাদীরা বলেন, অজ্ঞতা থেকে আ্ল্লাহ বা ঈশ্বর বা ভগবান বা খোদা বা গডের জন্ম ।সেসব আজকাল জানা কথা, কমবেশি সবাই জানে।অজ্ঞতার দোহাই দিয়ে সাধারণ মানুষকে নিগৃহীত করার সবচেয়ে বড় হাতিয়ারের একটি হল অতিশয় ধর্মের ব্যবহার।অনেক সাধক,মনীষীকে রাজনৈতিক স্বার্থে বা তাদের ব্যক্তিস্বার্থে হত্যা করেছেন সেসব কথা ও কমবেশি সবার জানা।আমরা হয়ত সক্রেটিস,ব্রুনো,নিকোলাস,আর্কিমিডিস, জোয়ান অব আর্ক সহ আরো অনেক জ্ঞানীগুণি ও প্রতিবাদী আছেন যাদেরকে কতল করেছেন কতিপয় রাজনৈতিক গোষ্ঠীর হাত, তা ও কিসের জন্য?স্রেফ- অজ্ঞতার জন্য বা নিজেদের গোষ্ঠীগত স্বার্থ হাসিলের জন্য! হালের আমলের অনেক দেশ আজও সেই চরিত্র থেকে বের হতে পারেনি।এই ভয় দেখানোর অনুশীলন এখনো সর্বত্র বহমান।খ্রীষ্টপূর্ব, তার ও ৫০০০ হাজার বছরের ও র্পূ্ব তাৎপর্য বা ইতিহাস আমাদের জানা নেই।নিশ্চয় সেই সময় ও তার আর হাজার বছর আগে এইসব অজ্ঞতার জন্য কতজনকে যে খড়গের নিচে যেতে হয়েছে সেইসব ইতিহাসের পাতার ভেতর দিয়ে আমাদের কর্ণকুহরে পৌছাঁয়নি।তবে আঁতে ঘা পড়লে বা স্বার্থে ঘা পড়লে ,কুশলে কৌশলী করে যে কোন মানুষকে নিগৃহীত করা রাজনৈতিক সরকারগুলোর এক ধরনের চরিত্র তা জানতে ঢের বাকি নেই।রাষ্ট ধারণা পৃথিবীর বয়েসের তুলনায় খুব নগন্য।রাষ্ট্রীয় রাজনৈতিক সরকারের ধারণা আর নগণ্য।আজকাল রাষ্ট্র থেকে মানুষ যেসব ধারণা লাভ করে বা জনগণ যে তার অধিকারের কথা বলে তার ইতিহাস মাত্র দু-আড়াইশ বছরের।সে হিসেবে মানুষ তার রাষ্ট্রীয় ধ্যান ধা্রণার উন্নত শিখরে পেীঁছাইনি বা আরো অনেক সময় লাগবে পরিপূর্ণ রাজনৈতিক সেবা বা ধারণা পাবার জন্য। যেটা সবচেয়ে বেশি দরকার সাধারণ নামক জনগণের। মানুষ সর্বত্র ভাবে রাজনৈতিক সরকার বা কাঠামো ছাড়া বৃহৎ সমাজের উন্নয়ন ধারণা অসম্ভব।এবং এই ধারণার বশবর্তী হয়ে মানুষ রাজনৈতিক সরকারের হাতে সবকিছু ছেড়ে দিয়ে বা এই গোষ্ঠীর হাতে দিয়ে তারা দায়িত্ব পালন করতে চায়।যার কাজ সেই করবে -এটাই সে ভেবে নিয়েছে।তদুপরি আমরা এ ও লক্ষ্য করি জনগণ তার অধিকারের ক্ষূণ্ণতা লঙ্ঘন করার জন্য রাজনৈতিক সরকারকে উৎখাত করে।আবার রাজনৈতিক সরকারগুলোও তার ক্ষমতাকে ধরে রাখার জন্য সাধারণ মানুষের ওপর খড়গ হস্ত হয়।রাজনৈতিক সরকার খড়গ হস্ত হবার সময় অন্য যে সব অস্ত্র ব্যবহার করে তাদের একটি অন্যতম হল ধর্ম ব্যবহার। অপরদিকে জনগণ বা ব্যক্তি সাধারণ ও কমবেশি ধর্ম ভিত্তিক গোষ্ঠী।অর্থাৎ ধরে নেয়া যায় যে ,রাজনৈতিক সরকারগুলো কাঁটা দিয়ে কাঁটা তোলে।ধর্ম দিয়ে জনগণকে বাঁধে বা ধর্ম দিয়ে জনগণকে কাটে!আবার জনগণ ও নিজেদের মধ্যে এ অনুশীলন অব্যাহত রাখে যখন তার একক ব্যক্তি স্বত্তায় ঘা লাগে !!যখন রাষ্ট্র ছিল না তখন ও ধর্মীয় অনুশাসন ছিল।তখন মানুষকে, শক্তিধর গোষ্ঠী অন্যসব হাতিয়ারের মত ধর্মভিত্তিক সমাজ ও আচার অনুশীলন করত এবং দোষে বা প্রদোষে বা নিগৃহীত বা পীড়ন বা অত্যাচারের জন্য এই ফন্দি কাজে লাগাত।তাহলে তো ধরে নেয়া যায় যে তথাকথিত সভ্যতার যে বুলি আওড়ায় সে হিসেবে মানুষ এখনো প্রাচীন বা তার আগের জমানার অস্ত্রগুলো আজও ব্যবহার করে অন্যকে দমনের জন্য।অন্যদশটা পন্থার মত এ ও এক চতুরতার পন্থা।প্রত্যেক মানুষ কি তাহলে স্বাভাবিক প্রাগৈতিহাসিক অন্ধকার বয়ে বেড়ায়। মানিকের কথা ধার করে যদি বলি,মানুষ মায়ের গর্ভে অন্ধকারে বড় হয় তার আলো যত ঔজ্জ্বল্য হোক না কেন অন্ধকারের এক কণা আলোর পাশে বহন করে।যেমন বলা যায় চেরাগের নিচে অন্ধকার।একটু অন্ধকারে থেকে আলোর হাতছানি।কিনতু গোষ্ঠী ভিত্তিক সে অন্ধকার অনুশীলন যখন অন্যের টুটি চেঁপে ধরতে উদ্ধত হয় তখন কি হয়?আবার সে শক্তির নানা রকম নামধাম আছে।তেমন একটা নাম হল রাজনৈতিক সরকার এবং তার সবচেয়ে বড় কৌশলী হাতিয়ার হল আল্লাহ বা ভগবান বা ঈশ্বরের কথা বলে জনগণ নামক বহৎ গোষ্ঠীকে শাসন করা।এই জন্য আল্লাহ’ বহুল ব্যবহৃত একটি রাজনৈকি শক্তি।

বাংলাদেশ প্রেক্ষিত: এই বঙ্গদেশের প্রাচীন ইতিহাসের দিকে ধাবিত হব না কেননা সেকথা ও পাঠক বা মানুষের অজানা নয়।আমাদের খন্ডিত রাষ্ট্র ব্যবস্থা অন্য সব সভ্যতার মত ও ধর্ম ভিত্তিক ছিল।জ্ঞান আদান প্রদানের ইতিহাস সর্বত্র বহমান।তাতে এখানে ভিন্ন কিছু হবে এমন কেউ আশা করেনি।নানা ঘাত অভিঘাত এর মধ্যে ইতিহাস পাড়ি দেয়।প্রাচীন নগর ব্যবস্থা বা আজকের স্বাধীন বাংলাদেশ খুব বেশি প্রাগৈতিহাসিক প্রেক্ষাপট থেকে দূরে নয়।বলা যায় ওই ধর্মীয় কৌশল খাটানোর হাতিয়ার অনুশীলন অন্য সব অঞ্চলের মত এখানে ও একই।পরাধীণতা,যুদ্ধ নানারকম অনুশাসন সব অভিজ্ঞতা বঙ্গদেশের মানুষর আছে।একেবারে ছোট পরিসর করে আনলে বলা যায় ৭১ এদেশের মানুষ বা জনগণ বা রাজনৈতিক সরকার সবার কাছে এক আরাধনার নাম বাংলাদেশ বা বাংলাদেশের স্বাধীনতা।কি এক অভিজ্ঞতা সঞ্চয়ের ভেতর দিয়ে দীর্ঘ ২২ বছরের গ্লানি ধুয়ে সাফ হয়েছিল পূর্ণাঙ্গ স্বাধীণ হওয়ার মাধ্যমে।কথা হল সেই প্রাচীন ধ্যানধারণা থেকে জনগণ মুক্তি পেয়েছে কিনা? বলতে হয় সেই রাষ্ট্র বা রাজনৈতিক সরকার,বা গোষ্ঠীগত মগজীয় বর্জ্য থেকে স্বাধীনতার মাধ্যমে জনগণের মুক্তি মিলেছে নাকি মুক্তির নামে সবকিছু হাতবদল হয়েছে।মুদ্রার এ পিঠ আর ও পিঠের মত।ধর্ম আবার রাষ্ট্রীয় সরকার বা গোষ্ঠীর কাছে মোক্ষম হাতিয়ার হয়ে দাঁড়াল।বঙ্গভবন বা গণভবনের মাথায় এ প্রেক্ষাপটে আ্ল্লাহর একটা স্থায়ী অ্যাপার্টমেন্ট হল।কিন্তু রাষ্ট্র তো কখনো সংকীর্ণ হতে পারে না।রাষ্ট্রকে সবসময় কল্যাণমুখী চিন্তা করতে হয়।সংবিধানের মাধ্যমে কোন বিশেষ র্ধমকে প্রাধান্য দেয়া হলে অন্যান্য ধর্মের মানুষকে অপমান করা হয় এতে রাষ্ট্রে বিভক্তি বাড়ে ।অত্যাচারীরা সবল হয়। একজন ব্যক্তি সংকীর্ণ হলে তার জন্য তার পরিবারের ক্ষতি হয় সেটা হয়ত দেখা যায় না ।অপরদিকে রাষ্ট্র নিজেই সংকীর্ণ হয়ে পড়লে বৃহৎ সমাজ ব্যবস্থাই নাজুক হয়ে পড়ে।কত উদাহরণ এরই মধ্যে হয়ে গেছে ।যেখানে রাষ্ট্র নিজেই অক্ষমতার পরিচয় দিয়েছে।এই অবস্থায় আর কত গোঁজামিল আমরা শোকেসে সাজিয়ে রাখব আর বলব আমরা রাজনৈতিক সরকার যা করি তা ঠিক !! বলা ভাল এই সংবিধান বা নিয়মনীতি বা আনুষঙ্গিক শৃঙ্খলার নামে জনগণকে আস্টেপৃস্টে বাঁধার আয়োজন সাঙ্গ হল।কল্যাণ সেতো দূর অস্ত! ,অ-কল্যাণকামী রাষ্ট্র থেকে কল্যাণ,সমাজ বা রাষ্ট্র বা পরিবার বা জনসমাজ বা বৃহৎ পরিসরের পরিবেশগত, চেতনাগত, মজ্জাগত,মনোগত অবস্থান থেকে উধাও হল ।তাই তো রাজনৈতিক সরকারগুলো কৌশলী হল।কদর ধরে রাখতে হলে কৌশলী হওয়া অনির্বায!!যে আর্দশ থেকে মুক্তির গান গেয়েছেন সেই আর্দশকে যদি নিজেই কাঁটাছেঁড়া করে ক্ষমতা কুক্ষিগত করার যে চেষ্টা সেটা সর্বত্রই প্রতিহত হয়েছে নিজেদের গোষ্ঠী দ্বারা অথবা রক্তপাত বা রক্তমাখা পটপরিবর্তূনের মধ্য দিয়ে।এ ধারার ইতিহাস অন্য দেশ বা রাষ্ট্রের যেমন আছে ঠিক সেই অভিজ্ঞতা ও বাংলাদেশের আছে।সেই যে শুরু সেটা আজ ও আর তিরোহিত হল না।বরং ধারার বিপরীত ঘরানা দিন দিন বটবৃক্ষে পরিণত হতে চলেছে।কিছু সঙ্গতি বা অসঙ্গতি বা কুশল বা কৌশলী নমুনা তুলে ধরি…. ক্ষমতা পাকাপোক্ত করার জন্য প্রথম সংবিধান উল্টালো কে? আর প্রতিবাদ যারা করেছে তারা অধার্মিক(ধর্ম মানে নিয়মানুবর্তীতা বা শৃ্ঙ্খলা বা ভাল’র অনুশীলন আর উল্টা হলেই অ’ধার্মিক) বা তাদের ধর্মের জাত গেল বলে মনে করা হল তাই ওদের ধর পুরো আর ক্রুশবিদ্ধ কর(উপমা অর্থে)।নিরীহ মানুষের বৃহৎ রক্তপাতের মধ্যে ও শেষ করার যে ইঙ্গিত দিল তাতে ওই গোষ্ঠীর মধ্যেই র্ধমের আয়োজন ছিল এবং নিরীহ মানুষ সাঙ্গ করল … এর বিরুদ্ধে কিছু বললেন তো ধর্মের জাত গেল আর সেসব জাত ধুয়াদের নিগৃহীত কর, ধর, মার ,কাট, ছাঁট !! লুটপাট, পুকুর চুরি, ইনডেমনিটি, নারী পুরুষ বৈষম্য নির্বিশেষ, নারী-পুরুষ পাচার ,টাকা পাচার,টাকার বস্তা নিয়ে ধরা খাওয়া কোন সমস্যা নাই ... এর বিরুদ্ধে কিছু বললেন তো ধর্মের জাত গেল আর সেসব জাত ধুয়াদের নিগৃহীত কর, ধর, মার ,কাট, ছাঁট !! সীমা চৌধুরী বা ইয়াসমিন,পেট্রোল বোমা মেরে মানুষ মারা,গ্রামের পর গ্রাম পুড়িয়ে দেয়া- ছোটধর্ম(হিন্দু),নিজের ক্ষমতাকে পাকাপোক্ত করার জন্য সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা বাঁধানো হত ছোট লোকের ধর্ম বলে!কেননা সংখ্যাগরিষ্ঠ বলে কথা!! তার মানে হল আমি(রাজনৈতিক সরকার)বলবান তাই আমার যা ইচ্ছা আমি তাই করব!! রাষ্ট্র বা রাজনৈতিক সরকার কি সংখ্যাগরিষ্ঠদের জন্য(পৃথিবীর প্রায় সব দেশ এ দোষে দুষ্ট)।নির্বাচন কম বেশি হয় মতামতের ভিত্তিতে!কিন্তু পরিচালনাকারীরা পরিচালনা করবেন সব জনগোষ্ঠী কে তাও কি সেবার নামে বা আদলে।শাসন করার জন্য তো অবশ্যই নয়! উদাহরণ ফিরে যায়… ”আমার মেয়েটা ছোট …বাবারা তোমরা একজন একজন করে আসো”,একজন ষাটোর্ধ্ব মানুষকে লিঙ্গ কেটে মুসলমান বানানো, আবার হিন্দুর জমি ভিটা দখল করে বিত্তশালী হওয়া, চোর কে চোর বলতে না পারা,ডাকাতকে ডাকাত বলতে না পারা …যদি বলেন তাহলে তো ধর্মের জাত গেল আর সেসব জাত ধুয়াদের নিগৃহীত কর, ধর, মার ,কাট, ছাঁট !!সাত খুন ,আট খুন, হরিলুট,নিমিষেই কত মানুষের টাকা হাতিয়ে নেয়া বা পাচার করা,”একটা লাশের বদলে দশটা লাশ বা লগি বৈঠা রক্তপাত,দেশ উচ্ছেনে যাক জনগণ বাঁচুক বা মরুক তাতেও কোন সমস্যা নাই ………এর বিরুদ্ধে কিছু বললেন তো ধর্মের জাত গেল আর সেসব জাত ধুয়াদের নিগৃহীত কর, ধর, মার ,কাট, ছাঁট !!কেউ টুপি, কেউ অ-টুপি, কেউ পৈতা, কেউ খাকি ,কেউ অসি চালান করে,কোন সমস্যা নাই …এর বিরুদ্ধে কিছু বললেন তো ধর্মের জাত গেল আর সেসব জাত ধুয়াদের নিগৃহীত কর, ধর, মার ,কাট, ছাঁট !! এর চেয়ে ও জঘন্য ও ভয়াবহ অভিজ্ঞতা ও বর্ণণাতীত বর্ণনা এই পৃথিবীর নানা প্রান্তে ছড়িয়ে আছে এখনো।এসব লড়াই সেখানেও চলছে।যোগাযোগ ও প্রযুক্তিতে যতই উন্নতি হই না কেন এ সংকট থেকে উত্তোরণ সহসা হচ্ছে না।না হওয়ার পেছনে সব বড় ইন্ধনযোগ্য হাত হল-রাজনৈতিক সরকার।সব অর্জনের বড় বাধা যেমন তারা সমাধানও তারা।সমাধানের জন্য যে প্রাজ্ঞতা দরকার বেশিরভাগ দেশের রাজনৈতিক সরকারের তা নেই। তাইতো অধিকারের সাথে সংকট ও জেগে আছে এবং বেশি রকম জেগে আছে। সে যাক স্বাধীন হওয়ার পর থেকে এ রাষ্ট্রের ভেতর কত উপমাই তো শুনলাম.. রাজাকার, ঘাতক, স্বৈরাচারী, মুক্তিপন্খী, গণিকাতন্ত্র, পারিবারিক তন্ত্র,মোল্লাতনত্র, হোয়াইট কলার ক্রিমিনাল তন্ত্র বা আমলাতন্ত্র, অসঙ্গতি তন্ত্র, এখন নব্য সংযোজন চাপাতিতন্ত্র… এর বিরুদ্ধে কিছু বললেন তো ধর্মের জাত গেল আর সেসব জাত ধুয়াদের নিগৃহীত কর, ধর, মার ,কাট, ছাঁট !! এই জন্যে বললাম, আ্ল্লাহ বা ভগবান বা ঈশ্বর ,এটা একটা বহুল প্রচারিত রাজনৈতিক শব্দ।বলতে বাকি নেই, পৃথিবীর বয়স ঢের বাকি আছে !! কতকিছুই পাল্টাতে পারে ।একদিন রাষ্ট্র বা রাজনৈতিক সরকারের আদৌ প্রয়োজন থাকবে কিনা সে কথা অনায়াসেই বলা যায় ।তখন এই প্রাচীন বা আদি কৌশল চিরদিনের জন্য হারিয়ে যেতে পারে,ফসিল হয়ে যেতে পারে।এমনকি কাঠামোগত পরিবর্তন ও হতে পারে সেসবের ।আজ যে দেশ তা ৫০০ বছর বা ১০০০ বছর পর সে দেশটা না ও থাকতে পারে,ভূপরিবর্তন এর জন্য সেখানে সমুদ্র ,পাহাড়, মরুভূমি ,এত ভাষা ,প্রাণ কিছুইতো থাকতে না ও থাকতে পারে!! সে ভাবনাটাই সবার আজ এবং আগামীর হয়ে ভাবা উচিত। যে সামান্য আদি কৌশল খাটানো হচ্ছে আজ সেটা বড্ড মিনমিনে, পানশে প্রাগৈতিহাসিক জিনিস!!আর এ অন্ধকার থেকে মুক্তির নামই হল জনগণের ব্যক্তিস্বাধীনতা,অর্থনৈতিক স্বাধীনতা,সামাজিক নিরাপত্তা যা এক একটা নিদের্শনামূলক পথ যেখান থেকে জীবনের রসস্বাদন করা যায়।মানুষ মানুষের পাশে বৃহৎ অঙ্গিকারে অপরকে পাশে পাবে,কাছে পাবে,দুখে পাবে-এটাই তো বৃহৎ ধর্ম। এ যে বৃহৎ কল্যাণ। কঠিন সত্য এই, কল্যাণের আরেক নাম সে ও যে ধর্ম!!!!!


মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.