নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমিত্ব কে আবিষ্কার করা...

তাওিহদ অিদ্র

জীবন অর্থবহ...

তাওিহদ অিদ্র › বিস্তারিত পোস্টঃ

খাতুনগঞ্জ নাকি ভেজালগঞ্জ!!

১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:৪৮

চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জকে চিনে না বাংলাদেশীদের মধ্যে এমন খুব কমই আছে।এটা চট্টগ্রামের আদি ব্যবসা কেন্দ্র।এককালে আমাদের অনেক আত্মীয়,পড়শি আছেন যারা এখানকার ব্যবসাদার ছিলেন।ছোটকালে চাল,ডাল,তেল,নুন সব এখান থেকেই কিনতাম।টাকা বেশি হলে ও ভাল জিনিস পাওয়া যায় বলে অনেক দূর থেকে ও মানুষ এ জায়গা থেকেই খুচরা ও পাইকারী ব্যবসা করত।হয়ত কিছুকাল আগে ও মানুষ সচেতন ছিলনা বলে হয়ত এ ব্যাপারগুলো তাদের কাছে বোধগম্য ছিল না।অন্ধের মত বাজার করত এসব বাজার থেকে।চট্টগ্রামের আদি শহর বলতে চা্ক্তাই ,খাতুনগঞ্জ,সদরঘাট,ফিরিঙ্গিবাজার,আলকরণ,মাঝিরঘাট বাকি অঞ্চলের মধ্যে ব্যবসাকেন্দ্র হিসেবে চাক্তাই আর খাতুনগঞ্জ ছিল উৎকৃষ্ট।সময়ের সাথে সাথে বাজার ব্যবস্থা ধীরে ধীরে পরিবর্তিত হতে থাকে।ব্যবসা এক কেন্দ্র থেকে অন্য কেন্দ্রে সরে যেতে থাকে,এটা স্বাভাবিক প্রক্রিয়ার অংশ।যাই হোক খাতুনগঞ্জ যেহেতু ব্যবসা কেন্দ্র হিসেবে প্রসিদ্ধ সে হিসেবে এ অঞ্চলের প্রভাব কেউ হারাতে চাইবে না স্বভাবজাতভাবে।কিনতু কথা হল, তাদের মত মুনাফালোভি,ভেজালকারীও সুদখোর হিসেবে ও এ ব্যবসায়ীরা নাম করেছে এরই মধ্যে।আগে আমার বাবা এখান থেকে চাউল বস্তা কিনতেন এখন আমরা কিনি।মাকে প্রায় বলতে দেখতাম,খুব কম সময় ভাল চাউল পেতেন।বেশিরভাগ সময় চালের সাথে মেশানো থাকত পাথরের নুড়ি,কুড়া,ভুষি ইত্যাদি।এ নিয়ে কম টানা হেঁচড়া হত না তা নয়।সে যাক-চাল, ডাল, তেল, নুন, পেয়াঁজ, মরিচ,গরম মশলা,চিনি যত রকম ভোগ্যপণ্য আছে তাতে ভেজাল না করলে বা না মেশালে বুঝি উনাদের ব্যবসা হালাল হয়না!আর বিশেষ বিশেষ সময়ে ইচ্ছে করে পণ্য গুদাম জাত করে বাজারে কৃত্রিম সংকট করে অতি মুনাফা করা অভ্যাসে পরিণত হয়েছে।তাদের দৌরাত্ম কেউ বন্ধ করতে পারে না।এক বস্তা যদি চাউল কিনেন তাতে এক কেজি পাথরের নুড়ি,এক কেজি ভূষি এরকম করে না মেশালে বুঝি ব্যবসা হয় না।এমন কোন ভোগ্য পণ্য নেয় যে তারা ভেজাল,পচা জিনিস বাজারে ছাড়ে না।জোয়ারের পানিতে ভিজে যাওয়া, নষ্ট যাওয়া কোন কিছুই তারা ফেলে না, লস তারা কোন মতে দিবেন না। দরকার হলে ধুয়ে, মুছে, শুকিয়ে ঠিক খাইয়ে দেবে।সততার সাথে ব্যবসা করলে মুনাফা একটু পরিমাণে কম করলে কি এমন ক্ষতি হয় তাদের এটা আমাদের কাছে বোধগম্য নয়। মানুষকে জিম্মি করে বা মানুষ তার কষ্টের টাকা দিয়ে পণ্য কিনলে তারা কেন এই প্রতারণা করবে ?অনেক সময় দেখা যায় ,খাতুনগঞ্জে পুলিশি অভিযান , কেন? ভেজাল প্রতিরোধ করার জন্য।তাহলে এই ব্যবসায়ীদের কি তখন লজ্জা হয় না।তাদেরকে যখন অনেক সময় হ্যান্ডক্যাপ পরিয়ে নেয়া হল ভেজাল বা অতি মুনাফার জন্য তখন তাদের ব্যবসায়ী সমাজের কোন দায়দায়িত্ব থাকে না।অথচ দেখা যায় জোয়ারের পানিতে মালামাল নষ্ট হলে মায়াকান্না করে,সরকারকে বলে সাহায্য করতে।আর যখন ভেজাল মেশান,মুনাফা করেন হারামীর মত মানুষের ন্যায্য টাকা কেটে তাদেরকে পচা জিনিস খাওয়ান তখন অন্য মানুষদের দয়ামায়া থাকে? যখন দেখা যায় যে ইচ্ছে করে পণ্যের দাম বাড়িয়েছেন কৃত্রিম সংকট তৈরী করেন, পরে দেখা গেল সেসব পচন যোগ্য পণ্য পরে গুদাম থেকে বের করে টনে টনে কর্ণফুলিতে ফেলছেন! এরকম ভেজাল ধর্ম মানা যায় না।অনেকেই বলেন চট্টগ্রামের ঐতিহ্য এই বাজার হারিয়ে গেলে কি হবে? বলছি, কিছু হবে না।ব্যবসা কেন্দ্র এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় সরে যাবে এটা যুগের ধর্ম।এটার সাথে অর্থনীতির কি সম্পর্ক আছে? অর্থনীতি কি এত ছোট জিনিস এরকম বাজার হারিয়ে গেলে সবকিছু ধসে পড়বে।বরং যুগের বির্বতেনে পরিবর্তন হলে সেটাই হবে যোগ্য সমাধান। রাষ্ট্রতো লাঠি দিয়ে পিটিয়ে ও তাদেরকে সোজা করতে পারে না। বরং রাষ্ট্র নিজেই তাদের কাছে কাত !রাষ্ট্রতো তার ব্যর্থতা স্বীকার করেছে ব্যবসায়ীদের মুনফাখোরী চরিত্র,বা ভেজাল চরিত্র প্রতিরোধ করতে পারবে না।তারা ব্যবসা করবে আমাদের কি করার আছে? এরকম বললে আর কিছুই কি করার থাকে । শুধু বলতে পারি, অপরাধ করা এক ধরনের সামাজিক প্রবৃত্তি এখানে।যে যারে পারে দেদারসে ঠকাচ্ছে। এ ঠকানা এখানে প্রবৃত্তি না ধর্মীয় প্রবৃত্তি? বরং এটা না করলে ,অধার্মিকতা। অর্থাৎ যে চরিত্র ব্যবসায়ী সমাজ ধারণ আজ ওই খানে ধারণ করেছে তাতে একটা প্রাকৃতিক ভূমিকম্প অপরির্হায।এমনে সাধারণ মানুষরা করতে গেলে কতল করে ফেলবে!!!

মন্তব্য ০ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.