![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
পাকিস্তান আমলে এই পশ্চিম পটিয়ার কালারপোল ও শিকলবাহা গ্রামের সংযোগস্থল সেতুটি তৈরী হয় বলে জানা যায়।আবার অনেকেই বলে বৃটিশ সময়ের তৈরী।সময়ের সাথে সাথে খরাস্রোতা খালের ভাঙনের কারণে সেতুটি এক সময় ভেঙে পড়ে।এর পর দীর্ঘ ৪০ বছরের ও এই খালের ওপর আর কোন সেতু নির্মীত হয়নি।এটা নাকি একসময় পুরো পটিয়া কালুরঘাট সেতুর বিকল্প হিসেবে মানুষজন এই সেতু দিয়ে এক নম্বর ব্রীজঘাট এলাকা দিয়ে শহরে প্রবেশ করত ৩০-৩৫ মাইল অতিক্রম করে্। পরবতীর্তে কর্ণফুলী সেতু হওয়ায় এবং এর অগ্রদিকে মইজ্জারটেক এলাকা দিয়ে মহাসড়ক তৈরী হওয়ায় এ সেতুর গুরুত্ব আর রইল না।কিনতু এলাকাকে কেন্দ্র করেএর আশপাশের মানুষগুলো লঞ্চ বা নৌকা ব্যবহার করে শহরে যাতায়াত করত।৯০এর শুরুতে প্রেক্ষাপট আবার বদলাতে শুরু করে ।যখন মানুষ সোচ্চার হয় নতুন করে এই সেতু তৈরী করতে হবে।অনেকেই নব নির্বাচিত বিএনপি প্রার্থী শাহনেওয়াজ চৈৗধুরীর কল্যাণে আর এলাকাবাসীর আন্তরিকতায় আবার এই সেতু তৈরী হয়।শহরের এত কাছের একটা এলাকা হওয়ার পর দ্বীপের মত বসবাস করত আর নানারকম অসুবিধার সম্মুখীন হত।কর্ণফুলীর সেতু হওয়ার পর থেকে দক্ষিণ চট্ট্রগ্রামের ওপর ব্যবসায়ী সমাজের বিশেষ নজর পড়ে।বিনিয়োগ আর জমি বেচাকেনার ধুম লেগে যায়।জায়গা জমির দাম হু হু করে বাড়তে থাকে।সেই সাথে বাড়তে থাকে নানা অরাজকতা।এস.আলম গ্রুপ সহ আর কতিপয় গ্রুপ অব কোম্পানীজ সহ কারখানা তৈরী হতে থাকে।এখানে আরেকটা কথা বলে রাখা ভাল,যদি কারখানা আইনে পরিবেশ দূষণ , ঋৃণ খেলাপির কথা বিবেচনায় আনলে একটা কল্যা্ণকামী দেশে এই সব কোম্পানি গুলো ব্যবসা করার লাইসেন্সই পেত না।ব্যবসা তো দূরের কথা ।।বাস্তবতা হল বাংলাদেশে ব্যবসায়ীরা হল সরকারের ভেতর আরেক সরকার।দেশের ভেতর আরেক দেশ।হা. সরকারী নজরদারী তো বাংলাদেশে প্রায় নেই বললেই চলে।বলে রাখা ভাল, দক্ষিণ চট্টগ্রাম হল শিল্প বিনিয়োগের তীর্থক্ষেত্র ।এর কারণ প্রচুর নদী খাল,সড়ক,পাহাড়,সমুদ্র বন্দর সব,সব কাছে।বিনিয়োগের উৎকৃষ্ট স্থান বলে যা বোঝায়।সরকার তো একটা নির্দিষ্ট শিল্পাঞ্চল ঘোষণা না করাই ব্যাঙের ছাতার মত যত্রতত্র কারখান গড়ে উঠে। মানুষের কোনটা খাস জমি,কোন ভিটে মাটি,কোনটা আবাদি জমি হিসেবে থাকবে তার বালাই নেই।সেই সাথে এএলাকায় গড়ে উঠেছে দালাল শ্রেণী,গড়ে উঠেছে লাঠিয়াল আর মাস্তান বাহিনী ।জায়গা জমি দখল করা এখন নিত্য দিনের ব্যাপার।না বিক্রি করলে পারে না যে এলাকা ছাড়া করার মত অবস্থা! দূবৃত্তের সমাজে দূবৃত্তদের রাজত্ব।সে যাক ,বিগত কয়েক বছর আগে এস.আলম গ্রুপের র্বাজের ধাক্কায় ওই কালারপোল সেতুটি ভেঙে যায়। এর পরের কাহিনী গুলো লক্ষ্য করুণ: প্রথমে এস আলম গ্রুপ মানুষের আবেগকে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য দু-তিনটি নৌকা বিনা পয়সায় যাতায়াতের ব্যবস্থা করে বিশেষ করে কালারপোল উচ্চ বিদ্যালয়ে ছেলেমেয়েদের পড়াশুনা আর ঝুকিঁপূর্ণ অবস্থা থেকে সাময়িক রেহাই দেয়ার জন্য।এর পর মেজবান আয়োজন ,মসজিদ উন্নয়নে কিছু ধর্মীয় বিনিয়োগ করা ছাড়া আর কিছু করল না!!! এর পরে ধীরে ওই বিনা ভাড়ায় পার হওয়া নৌকাও একসময় উঠে যায়।এলাকার মানুষ সেতু করার আন্দোলনে সম্প্ৃক্ত হয়।এবং সফল ও হয়।কিনতু সরকারী মাল তো দরিয়ামে ঢাল “এই স্লোগান উদ্দ্বুদ্ধ হয়ে ওই এস.আলম গ্রুপকে কোন জরিমানা গুনতে হল না।কারণ আখতারুজ্জান চৌধুরী তাহার আত্মীয় !! এটা অনেকটা প্রভু আর কামাল খাটা মানুষের সম্পর্কের মত। বিশাল আর্দশ বান পুরুষ ছিলেন আওয়ামীলীগের জন্য তিনি এলাকার জনগণের জন্য কিছুই ছিলেন না।আশির দশকে তাকে নিয়ে নানা বির্তক এখনো যায়নি। চোরাকারবারী হিসেবে আনোয়ারা এলাকার নাম সারা বাংলাদেশে একসময় ছড়িয়ে পড়ে।একটা প্রজন্ম তো ধ্বংস হয়ে গেছে ওই আনোয়ারা এলাকায়। এখন আনোয়রা আর পটিয়ার দ্ত্বৈ শাসন চলছে।পটিয়ার পশ্চিমাংশ পটিয়ার হলে ও আনোয়ারার থানার সাথে সম্প্ৃক্ত করা হয়েছে নির্বাচনী এলাকা হিসেবে।এ নিয়ে দ্বনদ্ব এখন চরমে।ভোট বলে কথা।এখন সেই বাবু মহাশয়ের ছেল ভূমি প্রতিমন্ত্রীর সাথে পটিয়ার শামসুল হক সাহেবের সাথে একধরনের টানাপোড়ন চলছে।এটা এখন নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনা ।এক জন আরেকজনকে কেমনে ঠ্যাঙানো যায় সেই কাহিনী চলছেই।নিজের এলাকার খবর নাই অথচ মার চেয়ে মাসির দরদ বেশি।কি একটা বিতিকিচ্চিরি কালচার তৈরী হয়েছে, মানুষ একটা মারা গেলে বিশেষ করে রাজনীতি যারা করেন তারা মরার পরে ও বেঁচে থাকতে চান খাল, নদী, সেতু, রাস্তা, ফ্লাইওভারের সাথে লেগে !!! সে যাক. কাল হল, সম্প্রতি এই সেতুটির পাটাতন আবার দেবে গেছে। কেননা নতুন করে সেতুটি পুন:তৈরী করার সময় যে অংশটি দেবে গেছে ওই অংশ বরাবর ৪-৫ ইঞ্চির মত অসামঞ্জস্য অংশ আগে থেকেই ছিল।অর্থাৎ কোন রকম করে তৈরী করে দিয়েই পগাড়পাড়!!! কারণ তড়িঘড়ি না করলে অবস্থা যে খুব বাজে হত তখন লোকাল আওয়ামীলীগ ও তার চেলাচামুন্ডরা ভালই জানত।সেই বিখ্যাত একতরফা নির্বাচন!!যোগাযোগ মন্ত্রী কয়েক বার এসে নির্মাণ ও উদ্বোধন করে গেছেন।এই মন্ত্রী যে আরেক চীজ !!তার কাঁধে যোগাযোগ দায়িত্ব পড়ার পর বাংলাদেশের রাস্তাঘাট তো রীতিমত মধ্যপ্রাচ্যে কার্পেট এর মত নরম আর তুলতুলে হয়ে গেছে!!!সরকারী জিনিস ক্ষতি করে কিভাবে সরকারের কাঁধে উল্টো জরিমানা করতে হয় এরা শিখিয়ে দিয়ে গেছে।জনগণের ভোটে যাদের নির্বাচিত হওয়ার সম্ভাবনা নাই তাদের জন্য একতরফা নির্বাচন ছাড়া গন্ত্যত্তর নাই।তাই তো এই সেতু থাকার পর ও এখন না থাকার মত অবস্থা হয়ে গেছে।নির্বাচন ও শেষ সেতুর মেয়াদ ও শেষ!! কিন্তু শহর থেকে মাত্র এক ঘন্টার এই যাত্রাপথ এখন পুলসিরাতের পুল পার হওয়ার মত অবস্থা।৭-৮টি ইউনিয়নের মানুষের ভোগান্তির আর শেষ নেই।এর পরিত্রাণ কি তা জানা থাকলে ও মুক্তি যে মিলবে না সে কথা তো জানাই।আছে এলাকাবাসীর জন্য সমবেদনা জানানো ছাড়া আর কিছু করার নাই।মগের মুল্লুক যে চলছে!! তবে বোয়ালের মনে রাখা উচিত, অনেক সময় ছোট মাছের ঝাঁকে পড়লে বোয়ালকেও পালাতে হয় ।।।।
২| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:৫৬
তাওিহদ অিদ্র বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই। কি আর করা এই যৎসামান্য কাজটুকু ছাড়া কি আর করা যায় ........ রাজনীতি এখন মানুষকে কষ্টে ফেলার নীতি আর ধান্দার নীতি ছাড়া আর কিছু নয়।
৩| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:০৮
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: কারণ তড়িঘড়ি না করলে অবস্থা যে খুব বাজে হত তখন লোকাল আওয়ামীলীগ ও তার চেলাচামুন্ডরা ভালই জানত।সেই বিখ্যাত একতরফা নির্বাচন!!যোগাযোগ মন্ত্রী কয়েক বার এসে নির্মাণ ও উদ্বোধন করে গেছেন।এই মন্ত্রী যে আরেক চীজ !!তার কাঁধে যোগাযোগ দায়িত্ব পড়ার পর বাংলাদেশের রাস্তাঘাট তো রীতিমত মধ্যপ্রাচ্যে কার্পেট এর মত নরম আর তুলতুলে হয়ে গেছে!!!সরকারী জিনিস ক্ষতি করে কিভাবে সরকারের কাঁধে উল্টো জরিমানা করতে হয় এরা শিখিয়ে দিয়ে গেছে।জনগণের ভোটে যাদের নির্বাচিত হওয়ার সম্ভাবনা নাই তাদের জন্য একতরফা নির্বাচন ছাড়া গন্ত্যত্তর নাই।
দায়হীনদের কাজে দায়বদ্ধাতা থাকবে কেন বলুন!
++
৪| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:৪৭
তাওিহদ অিদ্র বলেছেন: ধন্যবাদ ভৃগু ভাই।
..................................বলতেই পারি মাত্র আর কদিন পর সেটা ও পারব কিনা চিন্তা করছি !!
©somewhere in net ltd.
১|
২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:৫৭
আলম৪৩৪ বলেছেন: ভাই লিখেছেন খুব সুন্দর করে, বিএনপি করে থাকলে আপনারে ১৪ ভছরের জেলের ব্যবস্থা করে দিবে, অবশ্য এখন আওয়ামীলীগের মধ্যেও ভাগের বেশকম হলে গন্ডগোল শূরু হয়ে যায়, কিছুদিন আগে জাহাঙ্ঘীরের সাথে গন্ডগোলের কারনে অনেক মানুষ কষ্ট পেলো