![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
অফিসে আসার জন্য দেওয়ানহাট মোড়ে বাসের জন্য অপেক্ষা করছি।রাস্তার ওপারে প্র্রচন্ড শব্দ ,চিৎকার ও দু তিনজন রক্তাক্ত মানুষ অবশেষে রাস্তায় লুটিয়ে গড়াগড়ি খাচ্ছে।দুটি ১০ নং বাস নিজেদের স্বভাবজাত ঠেলাঠেলি ,গেটিস দিয়ে কাকে কেমনে ব্লক মারার লীলাখেলার বলি হল আজ এইসব মানুষ।আজ সকাল ৯.১৫ মিনিট হবে এইসময়ের ঘটনা এটা। যারা লোকাল পরিবহনে চলাফেরা করেন তারা জানেন লোকাল ড্রাইভারদের এইসব চরিত্র। এখন যদি বলি তাদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করা যাবে না কেন? তাদের লীলাখেলালার বলি অন্যরা হবেন কেন? যারা জনস্বার্থে জনগণের স্বার্থখুন করেন বা রক্ষা করতে পারেন না তাদের প্রতি আপনি আস্থা কিভাবে পোষণ করবেন?এখন যদি এই ড্রাইভারদের রামধোলাই বা গণপিটুনিতে মৃত্যু হত তাহলে নিশ্চয় বাস মালিক সমিতি ধর্মঘট করে বাস চলাচল বন্ধ করে দিতেন নিজেদের স্বার্থে।পুলিশ বা জেলা প্রশাসন বা সিটি কর্পোরেশন তাদের ভূমিকা কি? তাদের কি কোন দায়দায়িত্ব নেই,থাকবে না।খেয়াল করবেন,যারা চট্টগ্রাম শহরে চলাফেরা করেন তারা জানেন যে বর্তমানে শহরে উপযুক্ত সড়ক বলে কিছু নেই, সব ভাঙাচোরা।এইসব রাস্তায় গাড়ির গতি ও তেমন থাকে না।তাহলে দূর্ঘটনা হওয়ার কোন ও কারণ নেই।তারপরও শহরে এইসব গতিহীন রাস্তায় মানুষের মৃত্যু হয় কেন? স্রেফ,ড্রাইভারদের দোষ বলতে পারেন তারা হাসতে হাসতে ,খেলতে খেলতে অপর মানুষের মৃত্যু বা জানবাজি কবজ করে ঠিক এইভাবে!!ফিটনেস বিহীন গাড়ি,ধ্বজ,ভাঙাচোড়া,লক্করঝক্কর,মুড়ির টিনের মত গাড়ি দিয়ে জনপরিবহন হয়।এখানে কেউ কাউকে পাত্তা দেয় না।ধরুণ ড্রাইভাররা পুলিশ বা সমিতি বা জেলাপ্রশাসন বা সিটি কর্পোরেশন কেউ কা্উকে না।পুলিশকে চাঁদা খেয়ে বা টোকেন নিয়ে ড্রাইভাররা বাস চালায়।সেই পুলিশের কি নৈতিক শক্তি আছে ড্রাইভারদের বলার ঠিকমত গাড়ি চালানোর জন্য,সিগনাল মানার জন্য,যেখানে বাস বা যাত্রী দাঁড়ানো কথা সেখানে দাঁড়াতে বলার জন্য আর বললেও ওরা শুনবে কনে? ওরা বলে চাঁদা দিয়ে গিাড়ি চালায় তোমার বাপের কি!এক রাস্তার গাড়ি অন্য রাস্তায় চালানোর অনুমতি নিতে হলে কি চাই ... চাঁদা।বাসমালিক সমিতি গুলো, বড় অঙ্কে চাঁদা গুলো প্রদান করে থাকে পুলিশ কমিশনার লেভেলে।ওরা বড় চাঁদা গুলো ট্রাফিক পুলিশ কে দেয় না।একটা উদাহরণ দিই,৬ নং বাস লালদীঘি পর্যন্ত যায় ,আগে ৭ নং বাস ও যেত।তাহলে এখন যাও না কেন? ওরা বলল ৬নং বাস মালিক সমিতি ৫ লক্ষ টাকা দিয়ে ওটা ম্যানেজ করেছে।৭নং বাস মালিক সমিতি ওটা করেনি।তাই কোতোওয়ালী পর্যন্ত যতটুকুন নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছে ততটুকুন পর্যন্ত যেতে পারি। এই হল অবস্থা........ যাই হোক, সবাই এখানে একেকটা শ্রেণীচ্ক্র।ভাল কাজের জন্য নয় ! তাদের বোধশক্তি কবে ফিরবে তা কারো জানা নেই।নিয়ম শৃঙ্খলা কি এ জাতির রক্তে নেই!! তা না হলে কেউ নিয়মের ভেতর থাকতে চাই না কেন? ব্যক্তিস্বাধীণতা :মিলের তত্ব নিয়ে ড্রাইভাররা ও ঘুরে আমরা ও ঘুরি!!! মানুষের মৃত্যু এখানে কাউকে তেমন একটা কাতর করে না।।।।
২৯ শে জুলাই, ২০১৭ সকাল ১০:৪৯
তাওিহদ অিদ্র বলেছেন: তা তো চলছেই...ধন্যবাদ।
২| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:৫৩
প্রামানিক বলেছেন: ওদের লীলা খেলা আর জনতার মরণ।
২৯ শে জুলাই, ২০১৭ সকাল ১০:৫০
তাওিহদ অিদ্র বলেছেন: একদম তাই......।
৩| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:৫৫
বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: ফাটাকেষ্ট দরকার। বেশী বেশী নতুন বাস নামাতে হবে। আর যারা ফাইজলামি করবে তাদের ক্রসফায়ার!
২৯ শে জুলাই, ২০১৭ সকাল ১০:৫১
তাওিহদ অিদ্র বলেছেন: আপনিতো তাই বুঝাইলেন যে, বিচার মানি তালগাছ আমার !!!
৪| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৪৮
আর্টিফিসিয়াল বলেছেন: একদম ঠিক কথাটা বলেছেন। সৈনিক ক্লাব দিয়ে যখন ক্যান্টনমেন্ট যায়,রাস্তার অবস্থা দেখে মনে হয় যে, বিদেশে আসছি। ড্রাইভার সিগনাল দেখা মাত্রই গাড়ি থামায় দেয়, রাস্তা ফাকা থাকলেও। যাত্রী ঠিক জায়গায় নামায় আর উঠায়। এই ধরনের শাসন ব্যবস্থা ঢাকার সব রাস্তাই থাকলে জ্যাম অনেক খানি কমে যেত বলে আমার মনে হয়।
২৯ শে জুলাই, ২০১৭ সকাল ১০:৫১
তাওিহদ অিদ্র বলেছেন: ভ্রান্ত ধারণা...........উল্টো বুমেরাং হয়ে ফিরে আসে!
©somewhere in net ltd.
১|
২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:৫০
হামিদ আহসান বলেছেন: লিলাখেলা চলবে ........