নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমিত্ব কে আবিষ্কার করা...

তাওিহদ অিদ্র

জীবন অর্থবহ...

তাওিহদ অিদ্র › বিস্তারিত পোস্টঃ

কসাইয়ের হাতে সাদা বলদ আর গো মাতা..........

২১ শে অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১০:২৬



একটা গলি দিয়ে যাওয়ার সময় একটা সাদা ধবধবে গরু হেঁটে যাচ্ছে।গরুর প্রতি একটা বিশেষ মায়া সবার আছে ।শতকারা ৮০ ভাগ কৃষকের পরিবারে গরু একজন পারিবারিক সদস্যদের মত।বড় উঁচু মার্কা গরুর পাশ দিয়ে হেঁটে যাওয়ার সময় একটা গুতোঁ মারার অঙ্গভঙ্গি ও করল না ! এক ভারী আশ্চর্য্য গরু তো!! আহা বড় মায়া হল।মানুষের হাতে পড়ে গরুটা কেমন র্নিবীষ হয়ে গেল!! শিং বড় ভাল জিনিস।ইস্রাফিলের চোঙা।আর কৃষ্ঞের ও চোঙা। পয়ারের কি অন্ত্যমিল ।এটা আদতে জ্ঞানের ,আর্দশের অন্ত্যমিল।প্রত্যেক ধর্ম বা ধর্মীয় সাহিত্য একই রকম জ্ঞানের চিন্তাভাবনার ফসল সেই প্রাচীন ধ্যানধারণা থেকেই।সময়ের সাথে কিছু কিছু ভিন্নতা দিয়ে আলাদা করা হয়েছে মাত্র।উৎপত্তি সূত্র এক জায়গায়।যা হোক-- কথাটা হল ভারতে গো-মাংস নিয়ে মানুষ মারা বা কালি মাখিয়ে দেয়া এরকম আজগুবি কান্ড আবার শুরু হয়েছে!! হিন্দুধর্মে - যুদ্ধ,প্রেম,হত্যা,লিঙ্গ বৈষম্য আর শেষটা বাংলা ছিঃনেমার মত হ্যাপি এন্ডিং !! মুসলমান ধর্মের অনুসারীরা হাতে হাত তালি দিয়েন না।আপনার ও একই পথের পথিক। এই সনাতনি হিন্দু ধর্মে পশুর দিকটাই শুধূ দেখি...... সম্পর্কের জটিলতা যেমন বিস্তার তেমনি পশুর ব্যবহার ও বিস্তার।কেননা,পশুকে যুদ্ধক্ষেত্রে ব্যবহার করতে হয়। গরু তো যুদ্ধের পশু নয়।বিশেষ করে ক্ষেত খামারে চাষাবাদের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা হয়।পান্ডব রা যদি সত্যবাহনের দ্রষ্টা হয় শ্রী কৃষ্ঞ হল এর আরেক প্রতিরুপ।পান্ডবরা নিচ থেকে ওপরে যেতেন আর শ্রী কৃশনো ওপর থেকে নিচে নামতেন।মনোজাগতিক র্পাথক্য বা ভ্রম হল এটা।উদ্দেশ্য একই -সত্যের প্রতি অবিচল থাকা।পান্ডবরা যখন নির্বাসনে যায় তখন নিরীহ পশু,পাখি ,লতাপাতা খেয়ে জীবন ধারণ করত।হয়ত পুষ্টিকর হিসেবে গাভীর উলান থেকে দুধ খাইনি এমনটা ও বলা যাবে না।বা শ্রীকৃষ্ঞের বাহন ও কিন্তু গরু ছিল না।তাহলে এত প্রাণী থাকতে তারা গরুরপ্রতি এত সদয় হল কেন? অন্য প্রাণীর ক্ষেত্রে এমনটা নয় কেন! যেমন মহাভারতে -নিষাদ নামে একটা প্রাণী ছিল।দুর্যোধনেরা যখনই পান্ডবদের হত্যা করে পরে দেখা যায় ওরা পান্ডব নয় ,নিষাদ।নিষাদ প্রাণীটা নিশাচরী ,চোখে ধুলা দিয়ে যায়,খুঁজবেন কিন্তু পাবেন না।আমার মনে হয় ওরা ছিল একপ্রকার ছাগল সদৃশ প্রাণী। মানে আজকের পাঁঠা। বলির জন্য ব্যবহৃত।যেমনটা মুসলমানের কোরবানির পবিত্র পশু - ভেড়া বা দুম্বা!! যা ইব্রাহিমের ছেলেকে কোরবান দিতে গিয়ে পরে দেখা গেল এটা - দুম্বা। এক্ষেত্রে পশুর মিল ও প্রতি ধর্মে একই। কিনতু বর্তমান ভারতে গো -মাতা নিয়ে যে আজগুবি কান্ড হচ্ছে তা শুধু মাত্র গাভীকে নিয়ে।অথচ তারা ধর্ম ও প্রকৃতি বিরুদ্ধ কাজ করে চলেছে সে ব্যপারে তাদের কোন হুশঁ নেই।তা হল গরু বিশেষ করে ছেলে গরুদের ধরে ধরে বলদ করে দেয়া। এর সাথে অর্থ আর ব্যবহারের যোগ আছে।গাভীরা থাকবেন গোয়ালে । বলদেরা যাবে হাটে মাঠে আর কসাইয়ের হাতে!!! তাদের এইসব বলদেরা যখন বাংলাদেশের মত দেশে গোমাংস খাওয়ার বা ভক্ষণ হবে যেনে ও পাঠায় তখন তারা কোথায় থাকে ? কোথায় থাকে তাদের ধর্ম!! ওখানে জবাই করা আর বাংলাদেশে জবাই করার জন্য পাঠানো কি একই কথা নয় !!! মহাত্মা গান্ধি ভারতকে আধা উল্ঙগ করেছিলেন আর আধুনিক ভারত মন্দিরের ইমাম সমেত জাঙ্গিয়া পরে হাঁটছে................. !!!! এই গলির বলদের চোখ দেখে ভারী মায়া হল ।যে কিনা কসাইয়ের হাতে আর কিছুক্ষণ পর প্রসার হবে !!! ধন্যবাদ।।।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.