নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমিত্ব কে আবিষ্কার করা...

তাওিহদ অিদ্র

জীবন অর্থবহ...

তাওিহদ অিদ্র › বিস্তারিত পোস্টঃ

নব্য পরিবেশবাদীরা ও কুকুর বিষয়ক …………

১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৪৮


পরিবেশেএখন একটা আধুনিক বিষয় এর আগে পরিবেশের ব্যাপারে তেমন একটা কেউ গা করেনি।এই যেমন গ্রামে গ্রামে মানুষ সকালে উঠে টিলা,জঙ্গল,পুকুর পাড়,জমির আইলে বসে দেদারসে প্রাকৃতিক কর্ম সারত! আর অনেক জায়গায় সাম্যবাদী স্টাইলে নারী-পুরুষ নির্বিশেষে একই কাজ মিলেমিশে করত।অনেক নারীরা মুখে কাপড় দিয়ে বলত –ওই দেখ তোর বাবু কোথায় বসে আছে ”।তাই না অনেকেই সখ করে জিওলে গাছে চড়ে ওখান থেকে প্রাকৃতিক কর্ম মানে হাগা সারত।কেউ সখ করে পূর্ণিমার রাতে খোলা বিলে,পাখিদের সাথে ….সে দিন আজ পেরিয়ে গেছে ।প্রাকৃতিক টাট্টি ছেড়ে টয়লেট ব্যবহার করে…।পরিবেশ চেতনা অর্থবহ হচ্ছে।পরিবেশগত এসব আচরণ অজ্ঞতা সাপেক্ষ! কিন্তু পাহাড়-পর্বত,বন উজাড় করে বাংলো করা,শানশওকত করে জীবনভোগ করা ও পরিবেশ চেতনার অংশ!! এই চেতনার নানারকম বিশিষ্টতা আছে ।আজ আমাদের গ্রাম ছেড়ে পরিবেশ এখান আর্ন্তজাতিকতা প্রেক্ষিতলাভ করেছে।এখানকার অনেক দরিদ্র মানুষ এনজিও প্রতিনিধি হয়ে দেশ-বিদেশ ভ্রমণ করছেন আর পরিবেশকে বাঁচিয়ে তোলার চেষ্টা করছেন।উদাহরণ সাপেক্ষে বলা যাক ----শহরে কুকুর নিধন করা হত-মানুষকে কুকুরের কামড় বা উৎপাত থেকে রক্ষা করার জন্য।পাগলা কুকুরের কামড়ে ইদানিং শত শত মানুষকে আহত করার খবর প্রকাশ হয়েছে।সমস্যা নেই- এটা একধরনের পরিবেশবাদী ফল!!কুকুর নিধন করা যাবে না।তাহলে ঘরের মধ্যে মশার কয়েল বা স্প্রে করলে সমস্যা নেই ।ফসলি জমিতে বিষপ্রয়োগ করে পোকা মাকড় মারলে সমস্যা নেই।ইঁদুর নিধন করলে সমস্যা নেই।কারণ এসবের সাথে পেটজনিত ব্যাপার আছে বা খাদ্য ঘাটতি বা খাদ্য সংকটের ব্যাপার জড়িত যে চায় নিজের পেটে লাথি মারতে।পোকামাকড় আর ইদুঁরের কারণে বিশ্বের প্রায় ১০ ভাগ উৎপাদিত ফসল নষ্ট হয় জমিতে অথবা গুদামে।যাক, যেহেতু কুকুরের ব্যাপারে আবার পেটজনিত কোন সম্পর্ক নেই তাই কুকুর নিধন করা যাবে না।কেননা পোকা মাকড়ের তো জিহ্বা নেই।এই এক সমস্যা ।কুকুর প্র্ভু ভক্ত,লম্বা জিহ্বা আছে সে প্রভুর পা চাটতে পারে।তাই প্রভুরা খুশি হয়,পরিবেশবাদীরা ও প্রভুরমত তাই তারা ও খুশি হয়।আমাদের এখানে হঠাৎ কেউ বড় লোক হলে বিদেশ থেকে এনে কুকুর পালে।মনে রাখবেন এর সাথে প্রাণীভালবাসার সম্পর্ক নেই।আছে আভিজাত্যের শ্রেনীবিন্যাস!(এখানে আরেকটা পশ্চিমা উদাহরণ দেয়া যেতে পারে, জার্মানিতে মনে হয় কুকুরের জন্য প্রথম প্রস্টিটিউশন কেন্দ্র খোলা হয়েছে।কেননা যেসব কুকুর মরদ বা মাদি তার ঘরে পালেন তাদের যৌন চাহিদা মেটানোর দরকার কেননা যদি না দেয়া হয় তাতে স্রষ্টার সৃষ্টিকে অবজ্ঞা করা হয় বা প্রাকৃতিক অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হয়।তাদের সেই পরিবেশগত চিন্তার ফসল কি বাংলাদেশে ফলানো সম্ভব!! স্থান কাল পাত্র ভেদে ,চিন্তাচেতনার জায়গা থেকে নানা কিছু করা সম্ভব আবার সম্ভব না )। কেউ ফুলের চাষ করলে ভাবতে পারব না যে তিনি ফুল ভালবোসেন!! ফুল দিয়ে কেউ পুজা সারেন,কেউ ব্যবসা সারেন!! হুজুগে মানুষের কিসে প্রেম, কিসে ভালবাসা, কিসে ধান্ধা, কিসে অজ্ঞতা- বুঝা মুশকিল।পরিবেশ বাদীরা যদি এত প্রাণীকুল সংহারের বিপক্ষে থাকেন তাহলে তো প্রথমে তাদের খাদ্যাভাসে পরিবর্তণ আনা উচিত।মাছ মাংস জাতীয় সব পরিহার করা উচিত।যতটুকুন সম্ভব পরিহার করে তারা পরিবেশগত চিন্তা করলে সবার মঙ্গল।




মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:০২

রিয়াদ ফেরারী বলেছেন: সুন্দর , ভেরী নাইচ . :) B:-/

২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:১৩

তাওিহদ অিদ্র বলেছেন: ভেরী নাইস : :P :P

২| ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:০৮

মেহেদী হাসান শীষ বলেছেন: সুন্দর লিখেছেন ভাই

২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:১৫

তাওিহদ অিদ্র বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই :p :p

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.