নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমিত্ব কে আবিষ্কার করা...

তাওিহদ অিদ্র

জীবন অর্থবহ...

তাওিহদ অিদ্র › বিস্তারিত পোস্টঃ

লাইফবয় ও পরকীয়া

২১ শে জুলাই, ২০১৬ সকাল ১১:২৯



পনের,বিশদিন বা মাস পরে একবার হলে ও খবর নেয়
বলে: কেমন আছ?
কিন্তু কয়েকদিন আগে তার একটা ইচ্ছের কথা বলে
পুরনোদিনের কেচ্ছা ভুলতে পারিনা!আবার তোমার সাথে দেখা করব
দরকার হলে এক মিনিটের জন্য:এসো চকবাজারে
প্যারেডকোণায়।
এর আগে প্যারেডমাঠে বিকেলবেলায় মাঠের ঘাসে ডুব দিতে চেয়েছিলাম
একটা মাঠ কয়টা মাঠ হয়ে উঠতে পারে,বুঝতেই পারছিলাম না।
অবশেষে বসেই পড়লাম:ছেলেরা কেউ মাশরাফি,কেউ লি কেউ শচীন বা ওয়াসিম হতে চায়
বা কিছুই না,
মেয়েরা সাধারণত বিকেলে মাঠে যায় না:বিধির বেড়া।
সন্ধ্যাটা আস্তে আস্তে বড় হয়।জ্বলে ওঠে সড়ক বাতি
বৃক্ষগুলো পেইন্ট হলে বের হয়ে আসে কালবাদুড়ের ঝাঁক
পেঁচাপক্ষী চোখ মেলে চায় – চারপাশ।
কেয়ারীর সিঁড়ির ধাপে লেখা নেয় –পরকীয়ার কথা
সিঁড়ি দিয়ে ওঠে নামে পরকীয়া পাখিরা।
দোতলার আঁটসাট চেয়ার টেবিল:বড়জোড় কফি আর ফুচকা
বিবাহিত সদ্য:তবু পূর্বপ্রেমিকারা প্রেমিকা পদ ছাড়তে চায় না
সমাজে রাষ্ট্রে তার নাম দিয়েছে:পরকীয়া।
স্পষ্টত:পরকীয়া একটা আর্ট
বড় বড় মিউজিয়ামে কত শিল্পীর রঙ আর তুলির প্রর্দশনী
মানবিক যন্ত্রণা কায়স্থস্মৃতি হয়ত তার কাছে কোন মন্ত্রণা
তবু না-বোধক শব্দ দ্বারা সে তাড়িত হতে চায় না।
একটা মিনিট হলেও তার কাছে অনেক মূল্য:কিসের জন্য নয়
কোন কিছুর জন্য নয়,দ্বিচারিনী ও নয়
কোন কিছুই নয়
শুধু তোমার কাছে রেখে আসা আমার প্রথম শীত
প্রথম বসন্ত
প্রথম শরৎ কাশবনের রাজা-রাণী এইসব বিমূর্ত আহ্বানের সাড়া।
কলেজের পাঠ এখনো শেষ হয়নি
তবু আক্ষেপের সীমা নেই,আবার ভয় ও পায়—লোকলজ্জা।
এতটা কঠিন সব বাধা সামলে নিতে পারে না
কিন্তু পারে মনের জলধারাকে: বলে আরেকটু আগে আসলে কি হতো!
কি হতো বছর বা মাস বা দিন কি হতো!
মানুষের আথিতেয়তা,পরিচ্ছন্ন হাসি ,উচ্ছ্বলতার প্রকাশকে ও নিবোর্ধরা পরকীয়া বলে
প্রতিদিন লাইফবয় বা এন্টিসোপ দিয়ে হাত পরিষ্কার হয়ত অভ্যাস
জীবাণু মুক্ত জীবন।
জীবাণুতো মনে,
জীবাণু এইডস্ বা গনোরিয়া সদ্য পাওয়া জিকা!
সেসব সামলাবার না পারা সমাজে রাষ্ট্রে পরকীয়া একটা মানসিক রোগ বটে
পরকীয়ার লোভে পড়ে মানুষ ডাকাত হয় না,চোর হয়না
দস্যুতা,এনার্কি হয়ে উঠে সমাজ- রাষ্ট্রে পতিত নিয়মশৃঙ্খলার বিধিতে
যেখানে জনমানুষের সাথে পরকীয়ায় লিপ্ত স্বয়ং
দৈব-পরিচালক!এতটা আহম্মকিকে জনসমাজও পরকীয়া বলে না!
বলে—সুযোগের অভাবে সৎ!
একজন মানুষ মানে স্রেফ একজন
দুইজন মানুষ মানে স্রেফ দুইজন
জন-মানুষই আসলে পতিত,পতিতক্ষেত্র থেকে বের হয়ে নানা বিশেষণে শুধু ব্যক্তিমনের অবাধবিচরণকে
স্বত্তাকে বিমূর্ত করতে শুধু বিশেষনের সাহা্যে নেয়।লাইফবয় সমাজে লাইফবয় রাষ্ট্রে
নারী ও তার ইচ্ছা
পরকীয়া নামে খ্যাতি পায়। জন থেকে বের করে জনমানুষের সামনে ফেলে
বিনোদন পেতে চায়।
ধর্মে বিনোদন,কর্মে বিনোদন,সমাজ-রাষ্ট্র সবাই বিনোদনে মত্ত
মদ্যপান করুক বা নাই করুক
মাতালদের অবিশষ্টতা কোথাও যেন থামবার নেই।
মানুষে হিসেবে তার ইচ্ছা পাঠ চুকিয়ে সবকিছুকে সামলে নেবার মন্ত্র জুগিয়ে
ঠিক প্রতিষ্ঠিত হতে চায় জনমানুষের কাছে,
সবার কাছে!বোধ’রা তা পরোয়া করে না।বোধরা শক্তি পায় বোধিবৃক্ষ থেকে
জনমানুষ বা পতিতক্ষেত্র থেকে নয়।
ভালবাসা,স্নেহপরায়ণতা সব মানুষ নিতে পারে না,দূর্বল ভেবে আঘাত করে
মূর্খদের ব্যবস্থাপনায় এটা–আরোপিত শিক্ষা! স্ব বা সু-শিক্ষা নয়।
নিঝুম মধ্যরাত বা সকালকে কেন পরকীয়া বলে না
পরকীয়া করি মধ্য বা সকালের কাছে
শান্ত নির্মল বোধের কাছে যা মাঝে মাঝে যেকোন স্থানে শক্তিবর্ধক হয়ে উঠে
জীবনের কাছে তার মায়ার কাছে প্রথমা’র কাছে: কোন দরজার কপাটের কাছে।।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.