নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমিত্ব কে আবিষ্কার করা...

তাওিহদ অিদ্র

জীবন অর্থবহ...

তাওিহদ অিদ্র › বিস্তারিত পোস্টঃ

নতুন করে কর্ণফুলির নদীর পাড়ে সবরকম শিল্পস্থাপন নিষিদ্ধ করা হোক…।।।।

২৭ শে আগস্ট, ২০১৬ দুপুর ১:১৮



কর্ণফুলি নদী চট্টগ্রামের একমাত্র মিঠাপানির জলাধার।চট্টগ্রামের শুধুমাত্র বাণিজ্যিক ব্যবহারের মাধ্যমে এই নদীর অবদান সীমাবদ্ধ নেই।কিন্তু অবস্থাদৃষ্টে মনে হয়, এই নদী দ্বিতীয় বুড়িগঙ্গা হতে চলেছে।শুধু এই নদীই নয় এর শাখা-উপশাখাও দখল আর দূষণে বন্দি হয়ে পড়ছে।নদীর পাড়কে ঘিরে বাণিজ্য নেশা এক রোগের মত হয়েছে এই জাতির কাছে।পৃথিবীর অনেক দেশই নদীর প্রান্তে শহর গড়ে তুলেছে।এর মধ্যে একটা শহর কি আছে যে নদীর পাড়ে অগণিত বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছে যার সমস্ত শিল্পবর্জ্য নদীতে ফেলছে! বোধহয় এর কোন উত্তর কার কাছে নেই।রাষ্ট্রের উচিত নদীর পাড় ঘিরে এই ধরনের বর্জ্য নিক্ষেপিত শিল্পস্থান সর্ম্পূণরুপে নিষিদ্ধ করা।ব্যক্তির লোভ আর রাষ্ট্রের মিলিত লোভ মিলে সবসময় মানবিক বির্পযয় ডেকে আনে।এই নদীকে ঘিরে মানুষের পানিয় জলের সংস্থান আর কৃষিব্যবস্থার বিপর্যয় ঠেকাবার মত যেন কেউ নেই।এখনো গ্রীষ্মকালীন সময়ে লবণাক্ত পানি অনেক গভীরে চলে আসে এই নদীতে ফলে গত দশবছর কৃষিতে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে মানুষের বিশেষ করে যারা এই নদীর সেচ ব্যবস্থার ওপর ‍নির্ভর করে কৃষিজাত শস্যফলায়। এখনো মনে রাখতেহবে দেশের মোট আয় মাত্র দুইভাগ এই বর্জ্য শিল্প আমাদের দিতে পারে। বাকি বেশিরভাগ আয় দেয় এখনো সেই আদি –কৃষি। হয়ত অনেক অর্থনীতিবিদ এই কৃষকনামের ছোটলোকের পেশাকে ধর্তব্যেই আনতে চায় না।এই অবস্থায় মিলিত প্রতিরোধ ছাড়া এই নদীকে বাঁচানো সম্ভব হবে বলে মনে হয়না। এদেশের মানুষে এখনো জল আর পরিবেশ সর্ম্পকে তেমন সচেতন নয়- এটা ও একটি বিশেষ দিক। এখনো তারা মনে করে সব আল্লাহর দান। আল্লাই তা দেখবেন। এমনও বলে যে, মাটি আর জলের পেট বড়।তাই সব জল আর মাটি হজম করতে পারে। এই অজ্ঞতাই এদেশের মানুষের চরম বিপর্যয়ের দিকে ঠেলে দিচ্ছে।কোনকিছুতেই তাদের যেন হুঁশ নেই। রাসায়নিক কারখানা,সার,ডাইয়িং,গার্মেন্টস,চামড়া,সিমেন্ট,জাহাজকাটা সবই এই নদীর তীরে গড়ে উঠেছে।এই উল্লেখিত প্রত্যেক শিল্পই হল—বিষাক্ত বর্জ্য নিক্ষেপের আধার।তার উপর এই সব শিল্পমালিকরা কোন রকম ট্রিটম্যান্ট প্ল্যান্ট বসায় না- না জলের না ধোয়াঁর,সামান্য কিছু টাকা বাঁচানোর আশায়!তাদের কাছে বিনিয়োগ আর কর্মসংস্থান হল এক অস্ত্রের নাম।এই দুই নামে তারা রাষ্ট্রের কাছ থেকে সুবিধা আদায় করে থাকে।অন্ধরাষ্ট্রও তাতে সায় দিয়ে থাকে।কেননা রাষ্ট্র ও ওই জায়গায় অজ্ঞ!রাষ্ট্রেরও জায়গায় জ্ঞান নেই।ক্লাস সিক্স পাস করে সিক্স প্যাক করা যায়,রাষট্র চালানো যায় না।এই দুই মিলিত অজ্ঞতা দেশের ভেতর ভয়াবহ জলজ ও পরিবেশ সংকট বাড়িয়ে তুলছে।এখনই সময় : নদীর পাড়কে ঘিরে নিষিদ্ধ করুন নতুন শিল্পস্থাপন।বিভিন্ন গ্রুপ অব কোম্পানিজের নাম দিয়ে যেখাবে দখল করার মহোৎসব চলছে তার ফলকিন্তু ভাল হয় না।তারা মনে করেন জলে পরিবহন খরচ কম,রাতের অন্ধকারে বর্জ্য সব ফেলানো যায়,শ্রমিকদের পারিশ্রমিকও কম তাই নদীর পাড়,খালের পাড় কোনকিছুই বাদ যাচ্ছে না।কর্ণফুলি মূল নদীই নয় তার শাখা যেগুলো খাল নামে পরিচত এইসব এলাকায় সেসব খালের প্রান্তিক পর্যায়ে পর্যন্ত এই শিল্পকারখানা স্থাপনের ব্যাপক নষ্ট উৎসব চলছে!! দেখার যেন কেউ নেই? মনে হয় শিল্পস্থাপেনের নামে এই লাঠিয়াল বাহিনী গ্রামে ঢুকে পড়ছে,দস্যুতা করতে এসেছে মগের মুল্লুকের মতন। ভূগর্ভ আর ভুপৃষ্ঠ সব দখল আর নষ্ট করছে এইসব শিল্পস্থাপনের নামে।তখন কি বলতে ইচ্ছে হয় না, মানুষ তুই এত নিকৃষ্টক্যান?তুই এত লোভী ক্যান?তুই এত ফালতু ক্যান?তোদের কি চক্ষু নাই,নাক নাই!

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.