![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ধরুন আপনি একজন চাকরিজীবী।চাকরিতে ঢুকার ও বের হওয়ার অফিসিয়াল প্রসেস জানা থাকার কথা।হোক সেটা সরকারী বা বেসরকারী।আমি যদি এভাবে বলি, তাহলে এইকাজটি -এইচআর ডির্পাটমেন্টই করে এবং কর্মী বা কর্মকর্তার ফাইল বা ডকুমেন্ট পার্সোনাল ফাইলে সংরক্ষিত থাকে এবং বড়জোড় অনুলিপিগুলো চাকরীজীবীর সিনিয়র কনর্সানের কাছে চলে যায়—এইযা।এর বাইরে শুধুমাত্র স্টেটের নির্বাহীদের ক্ষমতা বা সাংবিধানিক পোস্টের ক্ষেত্রে শুধুই সরকারী প্রজ্ঞাপন জারী হয়।এর বাইরে স্টেট বা কর্পোরেট বা অন্যন্য নন কর্পোরেট জবও হতে পারে – এর দ্বিতীয় কোন পন্থা পৃথিবীতে আর নাই ।তাহলে বাবুল আকতার চাকরির জয়েন ও পদত্যাগে কেন প্রজ্ঞাপন জারি হবে? গ্রামে গ্রামে একটা প্রচলিত কথা আছে—”চোর যত সেরাই হোক না কেন কিছু না কিছু প্রমাণ রেখেই যায়”। এটাই হলো তার উৎকৃষ্ট উদাহরণ। ভবিষ্যতে যদি এটা রেফারেন্স আকারে ব্যবহৃত হয় তাহলে একটা আইনগত জটিলতা তৈরি হবে তাতে কোন সন্দেহ নেই! সে যাক, একজন মানুষের চাকরি থাকা না থাকা নিয়ে জনমানুষের প্রতিক্রিয়া হওয়ার তো কথা না।তাহলে প্রতিক্রিয়া কেন জানাচ্ছি? তার কারণ একটাই – রাষ্ট্রীয় বাহিনীর অসততার কারণে। বাবুল আক্তার যদি কোন অপরাধ করে থাকে তাহলে তার শাস্তি পাওয়া দরকার।কেননা রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব ও ন্যায়-শৃঙ্খলার মানুষ হয়ে এটা শপথ বা জনগণের কাছে তার দায়অস্বীকার করার শামিল সেইজন্য।না হলে কত মানুষ তো বাংলাদেশে ডেইলী জব করে মানে ডেইলি ঢুকে আর ডেইলি বের হয়! যে ঘটনা অসততা ও নষ্টামি এবং জনগণের আবেগের সাথে জড়িত সে হোক রাষ্ট্র বা রাষ্ট্রীয় বাহিনী তারা এটা করতে পারে না।মিতু হত্যাকে কেন্দ্র করে জঙ্গি সম্পৃক্ততা,পদত্যাগ,রাতবারোটায় তাকে তুলে আনা,তার পরিবার থেকে বলছে—বাবুল আকতার কোথায় কেউ জানে না!! এই অবস্থায় প্রতিক্রিয়া দেখানো একজন মানুষের পক্ষে অস্বাভাবিক কিছু না।একজন মানুষ এভাবে রাস্তায় পরে মরে থাকবে তাকে নিয়ে এত নাটক হবে এটা ভাবা যায়!এর সাথে পুলিশ যাদেরকে গ্রেফতার করেছে এখন তো এইসব মানুষ আদৌ জড়িত আছে কিনা –সেটাও সন্দেহের তালিকায় এসে যায়।কেননা পুলিশ যেখানে তার নিজের ডির্পাটমেন্টের মানুষের সাথে প্রতারণা করতে পারলে সে আইনের অপব্যবহার করে সাধারণ মানুষের সাথে এতদিন যে প্রতারণা করে আসে বা মানুষ পুলিশ দেখলে ভয় পায় বা মানুষ পুলিশ দেখলে দূর থেকে গালি দেয়—সেগুলোই বরং স্টাবিলিশড হয়ে যায়।যায় হোক ,প্রত্যেক মানুষ ন্যয়বিচার পাওয়ার অধিকারী আবার প্রত্যেক অপরাধীই যে পদেই থাকুক না কেন সেও শাস্তি পাওয়ার অধিকারী যথাযথ ন্যায়ানুগ পন্থায়।
অপরদিকে , এই পদত্যাগ যদি প্রজ্ঞাপন না হয় বা এজইজউজুয়্যাল হয় তাহলে প্রজ্ঞাপন হিসেবে জারি প্রচারের জন্য—মিডিয়ার বামহাত ঢুকে দেওয়া বা অজ্ঞতা হিসেবেই বিবেচিত হবে কেননা—অফিসিয়াল ম্যানার না জেনে অফিসিয়াল রির্পোট করতে যাওয়া খুব বোকামি।এইরকম অনেক বড় বড় রথি মহারথি অফিসিয়াল নন অফিসিয়াল ব্যাপারটা জাস্টিফাই করতে পারেননা। একজন মানুষ ফুটবল না খেলেও ফুটবল খেলা বুঝতে পারে।কিন্তু একজন মানুষ চাকরি না করে চাকরির ধরণ কি হয় সেব্যাপারে মন্তব্য করতে পারে না।যদি করে সেটা হয় – ভীষণ অজ্ঞতার ভালবাসা !!!
০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১২:৪২
তাওিহদ অিদ্র বলেছেন: ধন্যবাদ ... মতামতের জন্য। যেমনটা ভেবেছেন,হয়ত ওটা হতেই পারে !
©somewhere in net ltd.
১|
০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ১১:১৫
ইফতি সৌরভ বলেছেন: একজন মানুষ ফুটবল না খেলেও ফুটবল খেলা বুঝতে পারে।কিন্তু একজন মানুষ চাকরি না করে চাকরির ধরণ কি হয় সেব্যাপারে মন্তব্য করতে পারে না।
অনেক গুরুত্বপূর্ণ কথা আছে লেখাটিতে - যা পড়ে ভালো লাগল।
হয়তোবা কিছু দিনের মধ্যে অনেক গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তাদের ACRও প্রকাশ পাবে খাম খেয়ালিপনার কারণে আর এসব একসময় ম্যানার হয়ে উঠবে।