![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সাদামাটা জীবন ভালোবাসি। ভালোবাসি মানুষকে বিশ্বাস করতে। অতিতকে নিয়ে ভাবি না , বর্তমান ও ভবিষ্যত নিয়ে ভাবতে ভালোলাগে। ভালোলাগে লিখতে বা নতুন কিছু আবিষ্কার করতে। অসহায় ও দুর্বল মানুষের পাশে দাড়ানো আমার একটা বদ অভ্যাস। ব্লগিং করতে ভালো লাগে, পাঠক মন্তব্য দেখলে খুব আনন্দ পাই। বাকিটা আমার সাথে মিশলে বুঝবেন আমি কতোটা বদের হাড্ডি ।\\n\\nপছন্দ: কালো ও নীল রং ভালো লাগে, সকল ধরনের ফস্টফুড ও চাইনিজ খাবার পছন্দ করি, সকল ফল আমার প্রিয় তবে টক জাতীয় ফল একটু বেশি পছন্দ, খুব আচার খেতে ভালোবাসি, প্রিয় মাছ ইলিশ ও গলদা চিংড়ি, গিটার নিয়ে গান খাইতে ভালো লাগে, ছবি আকা ও কবিতা লেখা আমার সখ, উল্লেখযোগ্য সখ হচ্ছে সুন্দর সুন্দর ফুল বা ফলের গাছ লাগানো।\\n\\nআমার সম্পর্কে এর চেয়ে বেশি জানতে চাইলে একদিন বাসায় চলে আসবেন, দুজনে কফি হাতে আড্ডা দিতে দিতে বাকিটা বলবো। ওহ ভালো কথা, বাসায় আসলে সাথে করে মিষ্টি আনতে ভুল করবেন না যেন, মিষ্টি আমার খুব প্রিয় ;)
আমি জোবায়ের, ঢাকার কোন এক এলাকায় অনেক দিন ধরে থাকছি। শিক্ষিত বেকার তাই সারাদিন নেটে পরে থাকি আর বিভিন্ন ব্লগে লেখালিখি করি। এটা আমার সখ বলতে পারেন।
সকল কাজের কিছু অংশ হলো যখনই সময় পাই রাতের বেলায় বাইরে ঘুরতে বের হই, কখনো রাতে বাসায় ফিরি আবার কখনোবা রস্তায় রস্তায় ঘুরে বেড়াই। আসলে রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে বেড়ানোর কিছু কারন রয়েছে, সেগুলা হলো অন্যের কষ্ট খুব কাছ থেকে দেখা, যাতে নিজের কষ্টগুলাকে খুব সামান্য মনে হয়। ঠিক তাই আমি আসলে অনেক সুখে আছি, যারা রাস্তায় পাশে আবর্জনার মধ্যে রাত পার করে তাদের থেকে অনেক অনেক ভালো আছি যার জন্য আল্লাহর কাছে লাখ লাখ শুক্রিয়া।
রাস্তায় ঘুরতে ঘুরতে যে সকল বেপারগুলা চোখে পড়ে তার মধ্যে কয়েকটি উল্লেখ করছি।
০১. বেশির ভাগ পথশিশু মাদকের সাথে জড়িত আর সেই মাদকের মধ্যে রয়েছে ড্যান্ডি, গাজা। ছোট বড় কোন বাদ বিচার নেই, ৫ বছর বয়স থেকে শুরু করে বৃদ্ধপর্যন্ত এই নেশাগুলার সাথে খুব ভালো ভাবেই জাড়িত।
০২. অনেক শিশু আবার ভিক্ষাবৃত্তির সাথে জড়িত আবার কেউ ময়লা আবর্জনা থেকে সংগ্রহ করে বিভিন্ন পদার্থ যা বিক্রি করে দিনে ৬০-৭০ টাকা উপার্জন করে, আর এই উপার্জিত টাকা দিয়ে রাতে নিজের খাবার কিনে আনে সাথে মাদক তো রয়েছে। কোন কোন শিশুকে তার উপার্জিত অর্থের কিছু অংশ দিতে হয় দালালদের হাতে তা না হলে শিশুরা স্বাভাবিক ভাবে তারা ভিক্ষাবৃত্তি বা টোকাইয়ের পেশার সাথে থাকতে পারবে না।
০৩. দেহ ব্যবসা মেয়ে শিশুদের অনেক অংশে জিবীকার প্রধান অংশ হয়ে দাড়ায়, আর এই দেহ ব্যবসার সাথে যারা জড়িত থাকে তাদের বয়স ১২ থেকে ৩০ এর মধ্যে দেখেছি। আমার এই কথাগুলা অবাস্তব হলেও সত্যি। পথম দিকে আমার নিজেরও বিশ্বাস করতে হয়েছিলো। আমার একবার ইচ্ছে হলো কোন এক পতিতার সাথে কথা বলবো তাই কোন এক রাতেই খুব সাবধানে কোন একজনের সাথে কথা বললাম, জানতে পারলাম তার করুন কাহিনী। ওদের কথা অনুসারে বুঝতে পারলাম, দেহ ব্যবসা প্রথম দিকে তারা বাধ্য হয়েই শুরু করে। কেউ পেটের দায়ে ইচ্ছা করেই শুরু করে। কেউবা দালালের শারিরীক অত্যাচারে বেছে নেয় এই পথ।
০৪. রাস্তায় পরে থাকা বেশিরভাগ বৃদ্ধ কোন কোন না কোন বড় ধরনের রোগের সাথে পরিচিত। কারো ক্যানসার, কারো জক্ষা, কারো অজানা কিছু রোগ।
০৫. শিশুরা দিনের বেলায় বিভিন্ন রেস্টুরেন্টের সামনে গিয়ে কুড়িয়ে খায় অন্যদের ফেলে দেওয়া খারাপ। আমার চোখের সামনে এক ঘটনা, একজন শিশুকে দেখলাম ময়লার ঝুড়ি থেকে কুড়িয়ে খাচ্ছে ফেলে যাওয়া ময়লা খাবার। খুব আনন্দ নিয়েই খেতে দেখলাম যা আমারা চাইনিজ খেয়েও পাইনা।
যাই হোক, বেশ কিছু নাটকীয় কথা ইতিমধ্যে বলে ফেল্লাম, এখন আর নিজের কথা বলি, ২০১৪ সালের প্রথম দিকে আমার ফেসবুকে পরিচিত কিছু বন্ধুদের নিয়ে সিদ্ধান্ত নেই পথমিশুদের জন্য কিছু একটা করবো , আমি জানি আমার সাধ্যের মধ্যে হয়তো খুব বেশি কিছু করতে পারবো না, তবুও যতটুকু পারি করে যাবো। তাই গত ১লা বৈশাখে প্রায় ৫০০ শিশুর জন্য ঢাকা মিরপুর সরকারী প্রাইমারী স্কুলে আয়োজন করি "পথশিশুদের সাথে বর্ষবরন" এর পর গত ১২ই সেপ্টেম্বর ধানমন্ডি রবীন্দ্র সরোবর আয়োজন করি "পথশিশুদের সাথে ফুসকা উৎসব" । আমার এই ক্ষুদ্র চেষ্টা যদিও দেশের তেমন কোন উপকার হয়নি তবে একটা মানুষিক শান্তি পেয়েছি। ৪০ টাকার ফুসকা দিয়ে একজন পথশিশু যতটুকু খুশি হয় ও মুখের কোনে মৃদু হাসি দেখতে পাওয়া যায় তা লক্ষটাকা দিয়েও সম্ভব হবে না।
প্রতিটা কাজের পিছনে দরকার শুধু নিজের সৎ ইচ্ছা। এখন বলবেন আমার অনেক টাকা তাই এমন অনুষ্ঠান করতে পারি আপনার নাই তাই করতে পারেন না, একটু নিজেকে প্রশ্ন করেনতো আপনার কি পথশিশুদের জন্য কিছু করার ইচ্ছা আছে কিনা? যদি থেকে থাকে তাহলে আপনি পারবেন। আমি কোন ধনি পরিবারের ছেলে না, ঢাকাতে কোন রকম দু বেলা খেয়ে পরে বেচে আছি। আর যখন কোন প্রাগাম আয়োজন করি তখন ফেসবুকে ইভেন্ট করি, বন্ধু বান্ধব, আত্নিয় স্বজনদের কাছে গিয়ে বলি টাকা লাগবে, যেহেতু আমি পথশিশুদের জন্য কাজ করি তাই কেউই খালি হাতে ফেরায় না। আপনিও একবার চেষ্টা করে দেখেন। অথবা আমাদের সাথে যোগাযোগ রাখেন, আপনি আমি দুজন মিলে না হয় কাজ করবো।
এবছরই পথশিশুদের জন্য একটা স্কুল করার চেস্টা করবো যদিও নিজের পকেটে তেলাপোকা ঘোরে তবুও স্কুলটা করে ফেলবো ইনশআল্লাহ। কিভাবে? নিজের মনের জোর দিয়ে।
আমাদের কর্মকান্ডের আর একটা অংশ হলো, বিনামূলে মূমুর্ষ রোগীকে রক্তের বেবস্থা করে দেওয়া। প্রতিমাসে আমরা কমপক্ষে ৬০ ব্যাগ রক্ত যোগান দিতে সক্ষম। কয়েক দিন একটা ওয়েব সাইট ওপেন করছি এখান থেকেও যে কেউ রক্ত সংগ্রহ করতে পারবেন। লিংক Blood Donors । কারো রক্তের দরকার হলে আমাদের সাইটে গিয়ে দেখুন অনেক ডোনার আছেন। আপনি চাইলে আমাদের সাইটে রেজিট্রেশন করে নিজে একজন ডোনার হতে পারবেন। অনেক কথা বললাম, ভালো থাকবেন সবাই। আমার পোস্টটি যদি কারো মনে একটুখানি জায়গা করে নেয় তাহলে আজই প্রতিজ্ঞা করুন পথশিশুদের জন্য কিছু না কিছু আপনি নিজে থেকেই করবেন। হয়তো তেমন কোন লাভ হবে কিন্তু যতটুকু মানুষিক শান্তি পাবেন তা বলে বোঝানো সম্ভব না। আল্লাহ হাফেজ।
২| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১২:৪৫
রাফা বলেছেন: সংশয় কেনো...! পথ শিশুরা অবশ্যই মানুষ কোন সন্দেহ নেই।
৩| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১:১৩
সোহানী বলেছেন: আমি আপনি এক হয়েও বিচ্ছিন্নভাবেই কাজ করতে হবে যতক্ষন না সরকার এদেকে তাকায়। তারপর ও আপনার উদ্যোগ প্রশংসার দাবী রাখে। সবসময় না হলে সাথে আছি। ধন্যবাদ
৪| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১:৪১
জোবায়ের রহমান বলেছেন: ধন্যবাদ সকলকে, আসলে আমি সরকারে বিশ্বাসি নই, সরকার কাজ করবে সরকারের মতো করে আর আমরা করবো আমাদের মতো, সরকারের অপেক্ষায় থাকলে দেশ যেমন আছে ঠিক তেমনি থাকবে। আমি এই পোস্টের মাধ্যমে সকলকে ব্যক্তিগত ভাবে এগিয়ে আসার প্রস্তাব রাখছি।
©somewhere in net ltd.
১|
১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১২:১৫
গুলশান কিবরীয়া বলেছেন: অনেক ভালো লেগেছে আপনার চিন্তাধারা । এরকম কোরে সবাই ভাবলে দেশে আর কোন কষ্ট থাকবে না । ভালো লিখেছেন।