![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সবাই বলে আমাকে দিয়ে কিচ্ছু হবে না
মানুষ স্বাধীন নাকি পরাধীন?
আপনার কি মনে হয় আপনি স্বাধীন নাকি পরাধীন? আরেকটু ভাবুন উত্তরটা একটু পরে দিলেও হবে। মানুষের প্রবৃত্তি হল কারো দাসত্ব স্বীকার না করা। প্রতিটি মুহূর্তে সে কারো না কারো দাসত্ব করে যাচ্ছে, শুধু মাত্র নিজের অহংবোধ এর কারণে স্বীকার করতে রাজি নয়। এবার আসি আমার প্রশ্নে, আপনি কি স্বাধীন নাকি পরাধীন। আমার দ্বিতীয় প্রশ্ন হল আপনি কার আধীনে বা কার দাসত্ব করছেন। কার কথাকে আপনি বিনা বাক্য ব্যায়ে মেনে নিচ্ছেন। কার ইচ্ছার উপর টু শব্দটুকু পর্যন্ত আপনি করতে পারেন না। এমন এক বা একাধিক সত্তা অবশ্যই আছে। হয়ত আপনার আফিসের বস, আপনার পরিবারের কেউ বা রাজনৈতিক বা অর্থনৈতিক যে কারই হোক না কেন আপনি অবশ্যি পরাধীন, কারো দাসত্ব করছেন ।
মানুষের প্রবৃত্তি মাথা নত করা?
দ্বিমত পোষণ না করলে আপনাকে মানুষ ভাবা কঠিন। আপনি অতিমানব বা ফেরেস্তার পর্যায়ে না হলে আপনি মাথা নত করতে চাইবেন না। কিন্তু দাঁড়ান আপনি কি সত্যিই মাথা নত করেন না? আপনি কি কোন জরুরি ফাইল উপরস্থ কোন কর্মকর্তার চাপে বা আর্থিক লোভে পারে আটকে রাখেন নি? প্রথম ক্ষেত্রে আপনি মাথা নত করলেন আপনার মতই একজন মানুষের কাছে আর দ্বিতীয় ক্ষেত্রে নিজের লোভ লালসা আর চাহিদার কাছে। চলুন দেখে নেই আমরা আর কার কার কাছে মাথা নত করে থাকি
১. আমরা আমাদের জৈবিক, মানসিক কামনার কাছে মাথা নত করি, তার দাসত্ব করি
২. কল্পিত কারো কাছে মাথা নত করি (আল্লাহ, ভগবান ইত্যাদি)
৩. জাতির ইচ্ছা, চাহিদার কাছে মাথানত করি (সব আমেরিকান যুদ্ধ পছন্দ করেন না, কিন্তু জাতির চাহিদার কথা ভেবে সম্মতি দেন)
৪. রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা, ধন দৌলতের কাছে মাথা নত করি
মাথানত করব না কারো দাস হব না
খুব সুন্দর ভাবনা কিন্তু বাস্তবতা বিবর্জিত। আপনি আপনার বসের অনৈতিক ইচ্ছাগুলো পূরন না করলে আপনাকে চাকরিতে রাখবে না। আপনি আপনার দৈহিক, জৈবিক কামনার কাছে সদাবনত। সুতরাং আপনি আপনার কামনা আকাঙ্ক্ষা পূরণ করতে গিয়ে বসকে রাগাতে চাইবেন না। আরেকটু অগ্রসর হই। আপনার এলাকার এক চাঁদাবাজ ১০০০০টাকা চাদা চাইল। আপনি যদি বড় কেউ না হয়ে থাকেন তাহলে কিন্তু মাথানত করে টাকাটা দিয়ে আসবেন। অবশেষে বর্তমান সমাজের শক্তিগুলো। আপনি যে কোন প্রকার রাজনৈতিক সুবিধা আদায় করার জন্য বিশেষ কোন রাজনৈতিক গোষ্ঠীর সাপোর্ট করতে পারেন আর্থিক বা সামাজিক ভাবে। সবগুলো ক্ষেত্রেই আপনি কারো না কারো কাছে মাথা নত করছেন। কারো কেনা গোলাম হচ্ছেন। আপনি সরকারের বেধে দেওয়া আইনানুসারে জীবনযাপন করছেন কারণ সরকারকে সর্বভৌম স্বীকার করেন। অথবা সর্বশক্তিমান কোন খোদার শরণাপন্ন হচ্ছেন। তার সকল আদেশ উপদেশ অন্য নিয়ম নীতিগুলোর(যেমন পারিবারিক, সামাজিক, সরকারের) উপর প্রাধান্য দিচ্ছেন। সুতরাং বলার সুযোগ নেই আপনি কারো কাছে মাথা নত করেন না বা আপনি কারো দাস না।
১১ ই আগস্ট, ২০১২ সকাল ৭:২৬
আধারের কবি বলেছেন: আপনার মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। লিখতে অনেক সময় লেগেছে। আপনার কমেন্ট পরে কষ্টটা আর অনুভব হচ্ছে না।
আমার ধারণা আপনি চাইলেই আপনার ইচ্ছাধীন চলতে পারবেন না। আপনি যদি আপানার সৃষ্টিকর্তার প্রতি আত্মসমর্পন করেন তাহলে আপনার অন্য ইচ্ছেগুলোও সৃষ্টিকর্তার বেঁধে দেওয়া নিয়ম অনুসারে করতে হবে। যেমন আপনি যদি আপানার সৃষ্টিকর্তার প্রতি আত্মসমর্পন করে থাকেন তাহলে আপনি চাইলেই একটা গান শুনতে পারবেন না। আপনাকে যাচাই করতে হবে এটা আপনার সৃষ্টিকর্তার নিষিদ্ধ কাজগুলোর তালিকায় নেই তো।
অন্যদিকে আপনি যদি পশ্চিমা বস্তুবাদী সভ্যতার দিকে তাকান তাহলে আপনাকে রাষ্ট্রের শাসকগোষ্ঠীকে প্রভু মানতে হবে, যে কোন কাজ করার পুর্বে দেখতে হবে শাসকগোষ্ঠী কি এই কাজ আপনার জন্য জায়েজ করেছে?
আপনি যে কোন একটিকে আপনার প্রভু বানাতে পারবেন। যুগপৎ ভাবে দুইটা সত্তার দাসত্ব সম্ভব নয়। কারন প্রভু স্বত্বা মানেই দাসের উপর পরিপূর্ন কর্তিত্বের হকদার। যদি এরকম একাধিক স্বত্বার দাসত্ব করা হয় তাহলে কোন প্রভুরি মন জয় করা সম্ভবপর হয়ে উঠে না।
২| ১১ ই আগস্ট, ২০১২ ভোর ৬:১৩
উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: ভাই, প্রথমে খোদার কাছে, তারপর মা বাপের কাছে, তাগো মন রাখতে গিয়া আত্মীয় স্বজনের কাছে, আবার একখান বৌ আছে, পড়ালেখা করি বইলা ইউনির টীচারের কাছে আবার বৈদেশ থাকি বইলা বৈদেশী সরকারের কাছে, আবার গরীব ঘরের পোলা বইলা কামলা দিতে যাই সেই মালিকের কাছে, আবার কামলা খোজার জন্য যাগো তেল দেই তাগো কাছে!
আপাতত এতগুলাই মনে আসতেছে। বাকী আর কার কার কাছে আত্মসমর্পন করতে হইতেছে সেইটা আরেকটু ভাবতে হবে!
১১ ই আগস্ট, ২০১২ সকাল ৭:০৬
আধারের কবি বলেছেন: ভাইয়া আমার মনে হয় একসাথে কয়েকটা সত্ত্বার দাসত্ব সম্ভব নয়। যেমন ধরুন সুদ ইসলামে নিষিদ্ধ এমনকি বলা হয়েছে সুদ জায়েজ করা আর আল্লাহর সাথে যুদ্ধ করা একি কথা। কিন্তু বাংলাদেশে সুদ জায়েজ। সরকারের জায়েজ করা সুদকে আপনি নাজায়েজ বললে আপনাকে রাস্ট্রদ্রোহি আখ্যায়িত করা হবে। আপনার সামনে দুইটা রাস্তা হয়ত ধর্মীয় বিধান মোতাবেক সুদের বিরুদ্ধে জনমত গড়ে তুলতে হবে অথবা আপাত সর্বভৌম ক্ষমতাশীল শাসকগোষ্ঠীর সাথে তাল মিলিয়ে চলতে হবে।
এটা আমার ব্যাক্তিগত ধারণা, আপনার মতামত আশা করছি।
ধন্যবাদ
৩| ১১ ই আগস্ট, ২০১২ সকাল ৯:৪৬
হাবিব০৪২০০২ বলেছেন: পরাধীন
১৩ ই আগস্ট, ২০১২ রাত ১:৪৬
আধারের কবি বলেছেন: আমার তাই মনে হয়
৪| ১৩ ই আগস্ট, ২০১২ রাত ১২:৪০
চানাচুর বলেছেন: মানুষকে মানুষের প্রকৃত সন্মান বা মর্যাদা দিলে বা সন্মানীয় ব্যক্তির নিকট মাথানত করলে আমি পরাধীন এরকম মনে করিনা।
৫| ১৩ ই আগস্ট, ২০১২ রাত ২:০৪
আধারের কবি বলেছেন: অবশ্যই নয়। বাঁচতে হলে একে আপরের উপর নির্ভর করতে হবে।
তবে নির্ভরতা যদি ভয়ের দিকে যায় তাহলে কি সেটা পরাধীনতা বা খানিকটা দাসত্ব নয়?
এই ভয়ের কারণেই আমরা চাঁদাবাজকে চাদা দেই। কোন কল্পিত ( বা সত্যি ) সৃষ্টিকর্তা কে মেনে চলি। এই ভয়ের কারণেই আমরা দেশের সরকারের বেঁধে দেওয়া আইনগুলি মেনে চলি। আমরা যদি নিজেদের সৃষ্টিকর্তার দাস বলি তাহলে এটাও বলতে হবে আমরা সরকারেরও দাস।
আমরা সরকারের দাস হওয়ার থেকে রেহাই পেতে পারি যদি সরকারের বিধানগুলো আমরা মেনে না নেই। আমরা চাঁদাবাজের দাসত্ব থেকে বাঁচতে পারব যদি আমরা চাঁদাবাজের কথামত তাকে টাকা না দেই।
তাহলে প্রশ্ন আসতে পারে আমরা যদি বাবা মায়ের কথা মত চলি তাহলে কি আমরা বাবা মায়ের দাস? আমরা যদি আল্লাহর দাস হই তাহলে আল্লাহর কথা মোতাবেক বাবা মায়ের নির্দেশ মেনে চলতে হবে। সুতরাং এক্ষেত্রে আমরা আল্লাহর নির্দেশ মানছি। বাবা মায়ের নির্দেশ নয়।
আবার আল্লাহ বলেছেন সমাজের প্রচলিত নিয়ম মেনে চলতে। শালিন পোশাক পরা সামাজিক নিয়ম হলেও আমরা যদি শালীন পোশাক পরি তাহলে সেটা হবে আল্লাহর দাসত্ব, সমাজের দাসত্ব নয়। আবার আল্লাহ বলেছেন অশ্লীল পোশাক না পরতে। যদিও আমেরিকায় অশ্লীল পোশাক পরা অসামজিক নয় তবু কেউ ওই পোশাক পরলে আল্লাহর দাস হতে হতে পারবে না। আবার কোন সমাজ যদি অশালীন পোশাক পরতে বাধা দেয় আর যদি আমরা অশ্লীল পোশাক পরি সেটা হবে ঐ সমাজের দাসত্ব(যেমন ফ্রান্সে শালীন পোশাক পরা নিষিদ্ধ)।
৬| ১৪ ই আগস্ট, ২০১২ রাত ১:৪১
রুদ্রাক্ষী বলেছেন: মানুষ আসলে দাস ।সবসময় কোথাও না কোথাও আত্মসমর্পন করেই আছে।এটাই মানুষের প্রবৃত্তি।উদাসী র সাথে একমত।পোস্টে প্লাস,দাসত্বের কথা মনে করিয়ে দেবার জন্য।
১৪ ই আগস্ট, ২০১২ ভোর ৫:০২
আধারের কবি বলেছেন: আপনাকে ধন্যবাদ ভাইয়া
©somewhere in net ltd.
১|
১১ ই আগস্ট, ২০১২ ভোর ৬:০৭
চ।ন্দু বলেছেন: আমি মুসলিম তাই অবশ্যই আত্মসমর্পণকারী সৃষ্টিকর্তার নিকট। অন্যগুলি আমার ইচ্ছেধীন।