নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

রাজনীতির কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে আলোকচিত্র

মমানুষ মানুষের জন্য

েমাহাম্মদ েমাজােম্মল হক

সাংবাদিক

েমাহাম্মদ েমাজােম্মল হক › বিস্তারিত পোস্টঃ

নাস্লিক ও অন্যান্য প্রসঙ্গ: জননিরাপত্তা, গণতাšিস্লক মহৃল্যবোধ ও মানবাধিকার লঙ্ঘন

২৫ শে মার্চ, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:২৮



সম্প্রতি বি এন পি সভানেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও কতিপয় ধর্মান্ধ গোষ্ঠী বাংলাদেশের জনগণের একাšø চিšøা-ধারণা ও ব্যক্তিগত বিশ্বাস বিষয়ে যত্রতত্র বিকৃত বক্তব্য রাখছেন। এরা বাংলাদেশের নবীন-প্রবীণ বিশাল জনগণকে অসম্মান করে এমনভাবে “নাšিøক” এবং প্রজন্ম চত্বরকে “নাšিøক চত্বর” বলেছেন (ভাষণ ১৫.০৩.২০১৩, যুগাšøর ১৬.০৩.২০১৩ দ্রষ্টব্য) যেন নাšিøকতা কোন অন্যায়-অপরাধ বিশেষ।

আস্লিক-নাšিøক বিষয়:

এরা জানেন না যে, মানুষের জ্ঞান চর্চা ভুবনে এবং উচ্চমার্গীয় শিাক্রমে ‘আস্লিকতা’ ও ‘নাস্লিকতা’ বহু পুরোনো দর্শনগত বিষয়।

অভিধানসহৃত্রে, অতি সংেেপ, যারা সৃষ্টিকর্তার অস্লিত্বে বিশ্বাস করেন তাদেরকে ‘আস্লিক’ এবং যারা এমত বিশ্বাস করেন না তাদেরকে ‘নাস্লিক’ বলা হয়। এটি মানব সমাজের জ্ঞানী ব্যক্তিবর্গের গভীর চিšøা-ভাবনা-বিতর্কের বিষয় এবং আস্লিক বা নাস্লিক কোন পরেই ধারণা বা বিশ্বাস কোন ‘অপরাধ’ নয়।

বাংলা ভাষায় ধৃ-ধাতু থেকে ধর্ম শব্দের উদ্ভব এবং তা বি¯তৃত অর্থবোধক। যে যেহৃপ বিশ্বাস ও জীবন পদ্ধতি ধারণ করে সেটি তার ধর্ম। এই দৃষ্টিকোণ থেকে স্থলজ পশুপাখির ধর্ম, জলজ প্রাণীর ধর্ম ইত্যাদিও বলা হয়।

মানব সমাজে কে সৃষ্টিকর্তার অস্লিত্বে বিশ্বাস করবেন কি করবেন না, কে ইসলাম, হিন্দু, বৌদ্ধ, খৃষ্টান ইত্যাদি কোন্ ধর্মকে গ্রহণ করবেন কি করবেন না সেটি তার পরম মানবাধিকার। আস্লিকতা-নাস্লিকতা উভয় ত্রেই সম্পহৃর্ণহৃপে মানুষের “বিশ্বাস নির্ভর” বিষয়। সুতরাং কোন পকেই গালিগালাজ বা হেয় প্রতিপন্ন করে কথা বলার অধিকার কারো দাঁড়ায় না।

মানবাধিকার ও গণতাšিস্লক মহৃল্যবোধ লঙ্ঘন:

কাউকে জোরপহৃর্বক ধর্মাšøরিত করা, কারো উপর কোন বিশ্বাস চাপিয়ে দেয়া, কারো ধর্ম-বিশ্বাস ও জীবনবিশ্বাসকে হেয় করা, এই সহৃত্রে কাউকে অসম্মান করা চরম মানবাধিকার লঙ্ঘন বৈ নয়। গণতাšিস্লক মহৃল্যবোধ সহৃত্রে এটি ”খরনবৎঃু” ও ”ঊয়ঁধষরঃু” এর মহৃল স্লম্ভদুটিকে আঘাত করা শুধু নয় জনজীবনে উস্মা-বিদ্বেষ উস্কে দেয়ার প্রবণতা যা অনভিপ্রেত এবং তিকর বিবেচনায় চরম অপরাধ। এইহৃপ অহিতকর বক্তব্য-বিবৃতি গণতšেস্লর জন্য হুমকিস্বহৃপ। কেননা তা পরমত/পরধর্ম সহিষ্ণুতার মহৃল্যবোধ লঙ্ঘন করে।

সমাজে শাšিøর জন্য এ অবস্থায় মহামান্য আদালতের হস্লপে কামনা করে মানবাধিকার বিষয়ক সংগঠন ও ‘প্রকৃত’ রাজনৈতিক দল সমহৃহের ভহৃমিকা এখন বোধকরি সময়ের দাবী।

বেগম জিয়া ও ধর্মীয় চরমপন্থি কতিপয় আস্লিক ব্যক্তিবর্গ অনেকে হয়তো জানেন না যে, সমগ্র বিশ্বে অগণিত প্রথিতযশা দার্শনিক, বিজ্ঞানী, শিল্পী-সাহিত্যিক, সমাজ বিজ্ঞানী, সমাজ সংস্কারক, রাজনীতিক ছিলেন ও আছেন, যারা নাস্লিক। মানব সমাজে শ্রদ্ধাভাজন ঐ সকল ব্যক্তির জীবন ও কর্মকান্ড নিয়ে ভ্রুকুটি করার দুঃসাহস কেউ কোথাও করেন না। তাঁদের জাগতিক কল্যাণকর কর্মকান্ডের জন্য মানবসমাজ তাদের কাছে চিরঋণী। বিশ্বের সকল বিশ্ববিদ্যালয়ের উচ্চপর্যায়ের শিা ও গবেষণায় তাদের অনেকের চিšøা-ধারণা, যুক্তিতর্ক, দর্শন ও কর্মকান্ড নিয়ে লেখাপড়া-গবেষণা করছেন শিাবিদ-শিার্থীবৃন্দ। হিন্দু-মুসলমান কারো সাধ্য কি ঐ সকল ব্যক্তিবর্গের কাউকে “নাস্লিক” বলে হেয় করেন।

এখানে বলার কথা এই যে, আস্লিকতা বা নাস্লিকতা নয়, সমাজের জন্য তিকর হচ্ছে চুরি-ডাকাতি-খুন-ধর্ষণ-ছিনতাই-সšস্লাস-দুর্নীতি ইত্যাদি। নাস্লিক-আস্লিক নির্বিশেষে অনেক মুসলমান, হিন্দু, বৌদ্ধ, খৃষ্টান দ্বিধাহীন খুন-ছিনতাই, দুর্নীতি ইত্যাদি যখন করে, আইনের চোখে তা চরম অপরাধ।

‘ঊসঢ়ড়বিৎসবহঃ রিঃযড়ঁঃ ঙৎরবহঃধঃরড়হর্

সত্য এই যে, বাংলাদেশের রাজনীতিতে “অল্প শিা (অপরিণত শিা) ভয়ংকরী”Ñ এর এই প্রভাব প্রতিপত্তির আশু প্রতিকার আবশ্যক। বস্লুত: বাংলাদেশের সমাজে, রাজনীতিতে, সংস্কৃতিতে ভহৃমিকাপালনকারী অনেকের অসংগত মতায়ন ঘটেছে (‘ঊসঢ়ড়বিৎসবহঃ’ -মরারহম ঢ়ড়বিৎ ড়ৎ ধঁঃযড়ৎরঃু ঃড় ংড়সবনড়ফু ঃড় ফড় ংড়সবঃযরহম) কিšøু যথার্থ অংশগ্রহণের দৃষ্টিভঙ্গি গড়ে উঠে নাই (‘ঙৎরবহঃধঃরড়হ’ -নৎরহমরহম রহঃড় পষবধৎষু ঁহফবৎংঃড়ড়ফ ৎবষধঃরড়হং, ফবঃবৎসরহরহম যড়ি ড়হব ংঃধহফং রহ ৎবষধঃরড়হ ঃড় ড়হব’ং ংঁৎৎড়ঁহফরহমং)।(এককথায়, যথার্থ দৃষ্টিভঙ্গি ব্যাতিত একটি উলেল্গখ্যযোগ্য অংশে মতায়ন ঘটেছে যা বাংলাদেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতির বর্তমান ও ভবিষ্যৎকে তছনছ করে ফেল্ছে। (খুরশীদা বেগম, ইধহমষধফবংয চড়ষরঃরপং: ঊসঢ়ড়বিৎসবহঃ রিঃযড়ঁঃ ঙৎরবহঃধঃরড়হ, প্রকাশিতব্য গবেষণা)

এর অপর একটি দৃষ্টাšø, গত ১৫.০৩.২০১৩ বেগম জিয়া বলেছেন, বর্তমান সরকার নাšিøকদের সরকার। বর্তমান চৌদ্দ দলীয় সরকারের সমর্থক সকল নেতাকর্মী ও কোটি কোটি ভোটার জনগণের অধ্যাত্ম বিষয়ক চিšøা-ধারণা-বিশ্বাস নিয়ে কবে তিনি কোন্ গবেষণা-সমীা সম্পন্ন করেছেন? তার সমীার ফলাফল প্রকাশ করা হোক অন্যথায় তা “অন্যায়” বলে পরিগণিত হবে। কেননা এইহৃপ আবোল-তাবোল ভিত্তিহীন তথ্য প্রদানপহৃর্বক জনগণের বিজ্ঞান মনস্কতার বিনষ্টকরণ বা জনগণের রাজনৈতিক শিা-দীা শোষণ অপরাজনীতি। এটি রাজনৈতিক দুর্নীতি।

বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধ, ১৯৭১ বিষয়ে সচেতন নিখাদ দেশপ্রেমী নাগরিক সমাজের একাংশ আজ শাহবাগে সমেবত হয়েছেন। দেশের ভবিষ্যৎ কর্ণধার, প্রধানত উচ্চ শিতি এই নতুন প্রজন্মকে কটা ও কটহৃক্তি করে প্রদত্ত বেগম জিয়ার বক্তব্য সহৃত্রে নাগরিক সমাজে বহুল আলোচিত এ প্রশ্ন এখন সঙ্গত যে, তিনি কোন্ রাজনৈতিক বিশ্বাস, ধর্ম নির্দেশিত ঈমানের কারণে স্বদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের শত্র“ পাকিস্লানী হানাদার বাহিনীর সাথে ঢাকা ক্যান্টনমেন্টে ০২.০৭.১৯৭১ থেকে রক্তয়ী যুদ্ধ চলাকালীন সময়ে (এস আব্দুল হাকিম, আন্দোলন ও দেশ পরিচালনায় বেগম জিয়া, পৃ. ০৬ দ্রষ্টব্য) কিভাবে নিরাপদ ছিলেন? কেননা যতটুকু তথ্য সংগ্রহ করা গেছে তাতে জানা যায়, ঐ সময়কালে বাংলাদেশের প্রায় সাড়ে চার ল মা-বোন পাকিস্লানী সেনা সদস্য দ্বারা নির্বিচারে নির্যাতিত/নিহত হয়েছিলেন যার মধ্যে ৫৬.৫০% মুসলমান, ৪১.৪৪% হিন্দু এবং ০২.৬% ছিলেন অন্যান্য ধর্মাবলম্বী নারী (ডা. এম. এ. হাসান, যুদ্ধ ও নারী, প্রচ্ছদের ভেতর পাতা দ্রষ্টব্য)। আর যদি তিনি ‘নিরাপত্তাহীন’ ছিলেন তাহলে তিনি কেন শাহবাগ চত্বরে যেয়ে তরুণ প্রজন্মকে প্রাণভরে দোয়া করে অপরাধীদের বিচার চাইছেন না? জানা যায় যে, যুদ্ধ চলাকালে কর্ণেল জিয়া তার উপর ুব্ধ ছিলেন এবং যুদ্ধ শেষে তাদের “মনোমালিন্যের সমস্যা নিরসনে সাহায্য করার জন্য বঙ্গবন্ধুকে ঐ সময় অনেক অনুরোধ করেছিলেন বেগম খালেদা জিয়া”। (এম এ ওয়াজেদ মিয়া: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে ঘিরে কিছু ঘটনা ও বাংলাদেশ, পৃ: ১৩৪ দ্রষ্টব্য)। এবং তার দাম্পত্য জীবনের সমস্যা সমাধান বঙ্গবন্ধুই করেছিলেন। পর্যবেণ এই যে, এই মহান নেতার মর্মাšিøক হত্যা দিবসে, ১৫ আগ¯দ্ব বেগম জিয়া সাম্প্রতিককালে জন্মদিন পালন করেন। যা হোক, যেহেতু বেগম জিয়া আ¯িত্ক মুসলমান, নিভৃত গৃহবাসিনী নন(চঁনষরপ ঋরমঁৎব), জনজীবনে রাজনীতি করছেন, জনগণের ধর্ম-অধর্ম নির্দেশ করছেন, কটহৃক্তি-কটা করছেন সেহেতু উপরোক্ত উরষবসসধ নিরসনে তার অবস্থান বিষয়ে জনগণকে স্পষ্ট ভাষায় জানানো তার কর্তব্য যা গণতšিস্লক শাসনব্যবস্থায় অনিবার্য।

মনে রাখা প্রয়োজন, বাংলাদেশের রাজনীতিতে মার্চ-ডিসেম্বর, ১৯৭১ সময়কাল অত্যšø স্পর্শকাতর ও গুরুত্বপহৃর্ণ। বাংলাদেশের শতশত বছরের ইতিহাসে ঐ মাত্র ৯ মাস সময়কালে কার কিহৃপ অবস্থান ছিল সেই বিচারেই জনগণ মুক্তিযুদ্ধের প-বিপ, যুদ্ধাপরাধ, রাজনীতির বৈধতা-অবৈধতা নির্ণয় করে থাকেন। নতুন প্রজন্ম সেই ইতিহাসের প্রোপটেই শাহবাগে সমবেত হয়েছেন। সম্ভবত: অষ্ট্রিয়ায় প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী কুর্ট ওয়াল্ডহেইমের দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধকালে নাৎসী সম্পৃক্ততা নাগরিক সমাজে প্রশ্নবিদ্ধ ছিল।

মহানবী হযরত মুহম্মদ (সাঃ) এর নির্দেশনা

আমরা মহানবী হযরত মুহম্মদ (সাঃ) এর নির্দেশনা জানি যে, স্বদেশপ্রেম ঈমানের অঙ্গ। তিনি ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি না করারও নির্দেশ দিয়েছেন। এই অমোঘ নির্দেশ-নির্দেশনার আলোকে প্রজন্ম চত্বরের অগুনিত তরুণ-তরুণীর ঈমান প্রশ্নাতীত বিষয়। এই দৃষ্টিকোণ থেকে হিন্দু-মুসলমান-বৌদ্ধ-খৃষ্টান, আস্লিক-নাস্লিক, ধনী-দরিদ্র, নারী-পুরুষ নির্বিশেষে তারা সবাই মুসলমানদের প্রিয় নবীজীর (সাঃ) আদর্শেরই অনুসারী। তারা কেউ ‘বেঈমান’ নন। তারা জয়বাংলা অর্থাৎ বাংলাদেশ বা স্বদেশের জয় হোক মর্মে নাগরিক অধিকারে নিজেদের কঠিন দেশপ্রেম ও প্রত্যয় অহিংস অবস্থান থেকে ব্যক্ত করেছেন। মতপ্রকাশের এই স্বাধীনতা তাদের গণতাšিস্লক অধিকার তা বন্ধ করে দেয়ার দাবী বেগম জিয়া কেন তুলেছেন সেইটি প্রশ্নবিদ্ধ বিষয় এখন (যুগাšত্র, ১৩.০৩.২০১৩ দ্রষ্টব্য)। এই প্রেম ও প্রত্যয় দেখে কোন দেশপ্রেমী নাগরিক ভীত-সšস্লস্ল হয়ে পড়েন নাই বরং খুশি হয়েছেন, তৃপ্টø হয়েছেন, আশান্বিত হয়েছেন দেশের ভবিষ্যৎ ভেবে। বেগম জিয়া কেন বিচলিত? তিনি বলেছেন, “নাšিøক চত্বর” বন্ধ করুণ, নইলে সরকারকে বিদায় নিতে হবে। স্বদেশের স্বাধীনতার সপে অহিংস নাগরিক সমাবেশ স্বীকার করে নিলে সরকারকে কেন বিদায় নিতে হবে? হিসেবটা এখানে মিলছেনা।

ধর্ম নিয়ে রাজনীতি- সাইবার ক্রাইম, অনুপ্রবেশ কিনা

অবস্থাদৃষ্টে মনে হয় যে তরুণ প্রজন্মের এই প্রেম ও প্রত্যয়কে প্রতিহত করার জন্যই দেশের অগুনিত মুসলমান জনগণের পরম শ্রদ্ধা ও ভক্তির পাত্র প্রিয় নবীজীর (সাঃ) নাম ও ইসলাম ধর্মকে রাজনৈতিক ‘কার্ড’ হিসেবে জনসম্মুখে চালাচালি করা হচ্ছে যা কোনমতেই সমর্থনযোগ্য নয়। বলার কথা এই যে, বিশ্বব্যাপি কোটি কোটি মানুষের ধর্ম ইসলাম তার নিজস্ব শক্তির মাহাত্মেই টিকে আছে এবং টিকে থাকবে। ইসলাম ধর্ম এত দুর্বল নয় যে তা হেফাজত করার জন্য বাংলাদেশের একটি ুদ্রাংশের অকস্মাৎ বাড়তি কোন তৎপরতার আবশ্যকতা আছে।

প্রজন্ম চত্বরের সমর্থক নবীন-প্রবীন অনেককেই ধর্মপ্রাণ মুসলমান বলে জানা যায়। তাদের সমাবেশের উদ্দেশ্য মানবতা বিরোধী অপরাধ ও তার বিচার যা ইসলাম ধর্মবিরুদ্ধ কোন কিছু নয়। তারা কেন মহানবী (সাঃ) এর বিরুদ্ধ বক্তব্য উক্ত সমাবেশে তুলতে যাবেন? হিসাবটা এখানেও মিলছেনা। সুতরাং সন্দেহ, ঐ সমাবেশে কেউ অনুপ্রবেশ করেছে কিনা এবং সাইবার ক্রাইম ঘটেছে কিনা? অর্থাৎ মুখোশের অšøরালে টাকা পয়সার লেনদেনে ধর্ম নিয়ে রাজনীতির কোন অধর্মের খেলা শুরু হয়েছে কিনা?

সেই পাকিস্লান আমল থেকে অতঃপর বাংলাদেশে অবৈধ সৈনিক শাসকগণ ও তাদের অনুগামিবৃন্দ বিশাল মুসলমান জনগণকে অনেকবার অনেকভাবে “হ্যান্ডস আপ” করেছেন যার অন্যতম উদ্দেশ্য ছিল মুসলমানদের হেফাজতে থাকা ইসলামকে হেফাজত করা। ওদিকে সৈনিক, অ-সৈনিক সব শাসনামলে যখন খুন-নির্যাতন, দুর্নীতি-দুরাচারে ভেসে গেছে দেশ যা কিনা ইসলামসহ কোন ধর্মই সমর্থন করে না, তখন কিšøু কেউ লেফট-রাইট, রোডমার্চ, কারমার্চ, লংমার্চ করে ধর্ম হেফাজত করতে আসেন না। চাঁদে যারা যুদ্ধাপরাধী সাঈদীকে দেখতে পান তারা কি আসলেই আস্লিক? তারা কি আসলেই আলল্গাহকে ভয় পান?

জনগণ কিšøু সবই দেখেন এবং এক পর্যায়ে তেড়ে আসেন। বাংলাদেশের ইতিহাসে ১৯৫২, ১৯৬২, ১৯৬৯, ১৯৭১, ১৯৭৯/৮০, ১৯৯০, ১৯৯৬, ২০০৭ ইত্যাদি অনেকগুলো ছোট-বড় “গণতাড়া” এর ইতিহাস আছে। বঙ্গবন্ধু জনগণকে বলেছিলেন, “আপনারা সবই জানেন এবং বোঝেন”। সত্য কিšøু সেইটেই।

পর্যবেণে ধরা পড়ে বাংলাদেশের কোটি কোটি মুসলমান জনগণ নির্বিঘেœ ধর্ম পালন করছেন। বাংলাদেশে কোন দৃষ্টিকোণ থেকেই ইসলাম বিপন্ন নয়। সুতরাং ইসলাম ধর্মের নিরাপত্তা বিষয়ে এই ‘কল্পিত’ উদ্বেগ নিঃসন্দেহে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। জনজীবনে পরম বিশ্বাসে ও আবেগে হেফাজতে পালিত ইসলামকে হেফাজত করার নামে অহেতুক উত্তেজনা সৃষ্টি করা হলে আইন শৃংখলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটতে পারে, সমাজের সম্প্রীতি নষ্ট হতে পারে যা কাম্য নয়।

পুলিশ বাহিনী বিষয়:

আইন শৃংখলা পরিস্থিতি সহৃত্রে উলেল্গখ্য যে, রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থাপনার একটি অনিবার্য গুরুত্বপহৃর্ণ শৃংখলা, পুলিশ বাহিনী সম্পর্কে খালেদা যে বিষোদগার করেছেন তা গণস্বার্থ বিরোধী। বিপদে-আপদে আমরা জনগণ চিরকাল প্রথমেই ছুটে যাই পুলিশের কাছে এবং নিশ্চয়ই সাহায্য পাই। পুলিশ বাহিনীর স্খলিত চরিত্র সদস্য অংশ বাদে সঠিক বিচারে বাংলাদেশের পুলিশ যথেষ্ট কর্মতৎপর ও দ এবং কর্মকর্তাগণ আজ উচ্চশিতি। পুলিশ ছাড়া দেশটি কি বসবাস উপযোগী থাকতো? আইন শৃংখলা রায় হাটে-মাঠে-ঘাটে-রাজপথে পুলিশ কি কিছুই করছে না? পুনরায় পর্যবেণ, গণমাধ্যমে পুলিশের ত্র“টি-বিচ্যুতি যেভাবে উঠে আসে, প্রসংশনীয় কাজ সেভাবে উঠে আসে না। অন্ন রোজগারের জন্যে পুলিশ নির্দেশ পালনকারী চাকুরিজীবী হলেও এই বাহিনী দেশপ্রেমের দৃষ্টাšেøও সমুজ্জল। আসলে সমস্যা পুলিশ নয়, সরকার পে ব্যক্তি/গোষ্ঠীর হীনস্বার্থে এই বাহিনীর অপব্যবহার এবং প্রতিপ থেকে এর উপর আগ্রাসন। ‘শাঁখের করাতে’ যেন পতিত এই বাহিনী। বি এন পি শাসনামলে এই অপব্যবহারের বহু দৃষ্টাšø রয়েছে। কানসাটে আন্দোলনরত জনগণের উপর গুলি, সার কেলেঙ্কারী সহৃত্রে কৃষক হত্যা ইত্যাদি স্মরণ করা যেতে পারে। তবে বাংলাদেশে এবার (২০১৩) যে ঔদ্ধত্যে একের পর এক পুলিশ হত্যা করা হয়েছে, গণতাšিস্লক বিশ্বে এর নজির বিরল। এ হত্যা একদিকে মর্মাšিøক অন্যদিকে রাষ্ট্রের গায়ে হাত তোলার নামাšøর। এেেত্র নিন্দার দায়ভার এই পরিস্থিতির নির্ধারকগণের উপরই বর্তায়। একটি চরম অহিতকর রাজনৈতিক কর্মসহৃচির মধ্যে পুলিশ ও জনজীবনে কোন একজনের মৃত্যুই কম মর্মাšিøক নয় এবং তা দায়মুক্তির আওতায় রাখা যাবে না। প্রতিটি েেত্র সুষ্ঠু তদšø ও বিচার অত্যাবশ্যক এবং সরকার পে তা করণীয়। জবাবদিহি সরকার বিরোধী পকেও করতে হবে।

সšস্লাসবাদিতার কবলে জনজীবন:

এণে জনস্বার্থে নির্দেশ করা বাঞ্ছনীয় যে, বাংলাদেশে এখন হরতাল-বিােভ ইত্যাদি যেভাবে যা চলছে তা প্রত্য সšস্লাসবাদ। মানুষের ব্যক্তিগত চিšøা-বিশ্বাস-ধারণাকে না জেনে ও বুঝে আক্রমণ করা, গাড়ি ভাংচুর, অগ্নিসংযোগ, অ¯েস্লর ব্যবহার, মারপিট, খুন, মানুষের রক্ত চাওয়া, ইত্যাদি সহৃত্রে বলা প্রয়োজন যে, অতিশয় ত্রাশ বা ভয়ের পরিস্থিতি সৃষ্টি করাকে আভিধানিক অর্থে “সšস্লাস” বলা হয়। রাজনৈতিক মতা লাভের জন্য হিংসাত্মক ও ত্রাসজনক কর্মপন্থা অবলম্বন হচ্ছে সšস্লাসবাদ। ইংরেজিতে ঞবৎৎড়ৎরংস হচ্ছে “টংব ড়ভ ঃবৎৎড়ৎ ভড়ৎ ঢ়ড়ষরঃরপধষ ঢ়ঁৎঢ়ড়ংব”.

এই সšস্লাসবাদ প্রতিহত করতে জনগণকে ফিরে দাঁড়াতে হবে সংগ্রামের মহতী নিবেদনে। “সšস্লাস” ও “সংগ্রাম” এক নয়। সংগ্রাম হচ্ছে পেশী শক্তি নির্ভর অপরাজনৈতিক মতা ও তৎপরতা উপড়ে ফেলতে স্বচ্ছ/সুস্পষ্ট দর্শনে নির্মিত জনরাজনৈতিক নেতৃত্বে গণমানুষের চেতনা ও শক্তির মহান প্রয়াস।

শাহবাগের প্রজন্ম চত্বর থেকে চেতনার অগ্নিপ্রবাহ সঞ্চারিত হয়েছে গণজীবনে। এখন প্রয়োজন স্বচ্ছ-সুস্পষ্ট রাজনৈতিক দর্শন ও নির্দেশনা, কৌশল ও কুশলী নেতৃত্ব এবং অত্যাবশ্যক জনজীবনে, বিশেষত তরুণ প্রজন্মে দহৃর্নীতিমুক্ত দেশপ্রেম, রাজনৈতিক শিা-দীা-সুনীতি পুনরুদ্ধার। শেষ সমাধান জনগণেরই হাতে।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.