নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
sometimes blue sometimes white sometimes black even red, even golden ! yes dear - its me - i am sky ! color your life, than your life will be colorful
পর্ব: - ০১
ডিসেম্বর, ১৯৬৮। যেমন কনকনে শীত তেমন ঘন কুয়াশা, এমনও দিন যাচ্ছে সারা দিনে কোনো রোদের দেখা নেই! দিনে শীত আর রাতে সেই শীত বৈরি বিদ্রোহ হয়ে বিপদসীমা ছাড়িয়ে যেতো - আমরা বলতাম “জাড়, এবারের জাড়ের চোটে মানুষ পশুপাখি সব মারা যাবে”। দাদাজানের সাথে বড় চাচা, আব্বা, মেজো চাচা, ছোট চাচা খেজুরের গুড়ের চা আর টোষ্ট খেতেন আর বলাবলি করতেন - “বাজান বরফ যুগ চলে আসবে নাকি?”! সন্তানদের কাছে এমন কথা শুনে বৃটিশ সরকারের প্রতাপশালী অবসরপ্রাপ্ত সাব রেজিস্ট্রার দাদাজান আরো চিন্তিত হতেন, তিনি কথার বিষয় অন্যদিকে মোড় নিয়ে ডোবা পুকুরের মাছ আর বিভিন্ন ফলমূল নিয়ে গল্প শুরু করতেন।
আমাদের জমির ক্রমশ ফসল উঠছে - গম, সরিষা, মাষকলাই, পেঁয়াজ, গোলআলু। বাড়ি ভর্তি ফসলের স্তূপ। - রোদের দেখা নেই। জমিতে মরিচ টমেটো শীতে জমে গেছে - পাকার নাম নেই। মা চাচীরা বাড়তি নফল নামাজ পড়ছেন, আল্লাহর কাছে দোয়া করছেন, মানত করছেন - গরিব মিসকিন খাওয়াবেন। কোনো এক ফাকে আমাদের হাতে মসজিদে লোহার সিন্দুকে খুচরা পয়সা দিচ্ছেন আমরা এক দৌড়ে লোহার সিন্দুকে পয়সা রেখে আসি, রাস্তায় কোথাও দম নিতেও দাড়াই না - যেনো দৌড়ে না গেলে শত শত বছর একই জায়গায় পরে থাকা লোহার সিন্দুক চলে যাবে অন্য কোনো দেশে! - তারপরও রোদের দেখা নেই! দাদাজান রেডিও শোনে জানান “গ্রাম, থানা, জেলা এমনকি সমগ্র বাংলাদেশে একই অবস্থা”। দাদীজান যথারিতি সবাইকে ধমক দিচ্ছেন “জমিতে ফসল ছিলো - জীবিত থাকতো, এখন সব কাটা ফসল! আমার বাড়িতে কাজের মানুষ নাই - মানুষ নামের সব কলাপাতা জমা অইছে (দাদীজানের একটি বকা বিশেষ, কলাপাতা = যা শুধু শিরনি নেওয়ার কাজে ব্যাবহৃত হয়), আল্লাহর নাম লও, আল্লাহর নাম লও”। আমরা সবাই আল্লাহর নাম লই - আল্লাহ শুনছেন কি না জানিনা!
সত্যি সত্যি এক মঙ্গলবার ভোরে আল্লাহ সবার ডাক শোনেন, সেই মঙ্গলবার ভোর থেকে শুরু হয় বাড়িতে ব্যস্ততা, আমাদের থানায় হাতেগোনা কয়েকটি টেলিফোন ছিলো। সেদিন দাদাজান টেলিফোন এক্সচেঞ্জে অনেক চেষ্টা করেও বড় চাচা ও আব্বার সাথে ফোনে যোগাযোগের লাইন না পেয়ে টেলিগ্রাম করে দেন GOOD NEWS SUNRISE. EVERYBODY WORKING. DO NOT WORRY FOR HOME, DO YOUR DUTY, I RECEIVED YOUR MONEYGRAM. দাদাজানের পছন্দের একটি কাজ ছিলো বিশেষ কোনো প্রয়োজন বা সংবাদ হলেই টেলিগ্রাম করে দেওয়া। প্রতিটি অক্ষরের জন্য পয়সা গুনতে হতো। টেলিগ্রাম অর্থ “জরুরী, অতি জরুরী” এবং খরচাবহ একটি যোগাযোগ মাধ্যম যা ২৪ ঘন্টার মধ্য ডেলিভারি নিশ্চিত করা হতো। - এই সামান্য কথায় এই বিশাল হৃদয়ের মানুষটি তাঁর সন্তানদের তাঁর আশা ভরসা স্নেহ মায়া মমতা ভালোবাসা কতোটুকু বোঝাতে পারতেন জানিনা, কিন্তু তাঁর সন্তানরা পরের সপ্তাহে চিটাগাং মেইল ট্রেন ধরে মধ্যরাতে বাড়িতে উপস্থিত হতেন, সাথে সবার হাতে দাদাজানের প্রিয় মাটির পাতিলে রসগোল্লা। সারারাত চলতো মজাদার গল্প। দাদাজান দাদীজান বটবৃক্ষ - আমরা তাঁর লতা পাতা মাত্র।।
চলবে . . . . . . . . . . .
কৃতজ্ঞতা: - সামহোয়্যারইন ব্লগ কর্তৃপক্ষ। নির্বাচিত পোস্টে “টেলিগ্রাম” ১ম পর্ব লেখাটি স্থান দেওয়াতে সামহোয়্যারইন ব্লগ কর্তৃপক্ষকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।।
২৮ শে অক্টোবর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:১৯
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: DACCA TO BRAHMANBARIA
চাঁদগাজী ভাই আমার কাছে এখনো মনে হয় বেশী দিন আগের কথা নয়, এই তো সেদিন - সময় কতো দ্রুত চলে যায়।
২| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:২৩
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: ভালো লাগলো
২৮ শে অক্টোবর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:২৬
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: গল্প পড়ার জন্য ধন্যবাদ ছবির জাদুকর। ধন্যবাদ।
৩| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৩৯
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: মোর্স কোড।
২৯ শে অক্টোবর, ২০১৯ রাত ১০:৫৫
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
TOP URGENT TELEGRAM
---------------------------------------------------
লাল কালি’তে টাইপকৃত
ACCIDENT. YOUR MOTHER SERIOUS COME SHARP.
অথবা
YOUR WIFE SERIOUS COME SHARP.
---------------------------------------------------
পাকিস্তান পিরিয়ডে সরকারী চাকুরী সহ ইষ্ট বেঙ্গল, ইপিআরে চাকুরীরত সৈনিকরা এই টেলিগ্রাম পেয়ে তাৎক্ষনিক ছুটি নিয়ে বাড়ির দিকে পাড়ি দিতেন বলা যায় দৌড় দিতেন। আর মনে মনে দোয়া করতো এবারের জন্য যেনো মা বেঁচে যান।
মোর্স কোড অন্য ব্যাপার। সামরিক বাহিনী ও জাহাজে ব্যাবহার হয়।
৪| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৪৩
মিথী_মারজান বলেছেন: দারুণ তো!
এখনো সেই টেলিগ্রামের কপিটা সংগ্রহেে আছে!
খুব ভাল লাগলো টেলিগ্রামটির পেছনের গল্পটা।
দাদা, দাদী, চাচা চাচী সকলে মিলে কি সুন্দর এক পরিবার।
আপনার দাদা দাদির প্রতি শ্রদ্ধা রইল।
২৮ শে অক্টোবর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৫৯
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
মিথী আপা,
পুরোনো দিনের কথা স্বরণ করে আমার বানানো, অরিজিনাল টেলিগ্রাম নয়। ১৯৭১ এ বাড়ির এসব কাগজ পত্র কোথায় গেছে তার কোনো ঠিক ঠিকানা নেই। আমরা সবাই ছিলাম দৌড়ের উপর। আমাদের বাড়ী এক সময় কুপি আর হারিকেনের আলোতেও স্টেডিয়ামের আলোর মতো আলোকিত ছিলো। কারণ মানুষগুলো আলোর বন্যা ছড়াতো। এখন আমরা কাজের জন্য জীবনের জন্য ব্যস্ত ! ঈঁদ ব্যাতিত দুই তিন মাস অন্তর একবার বাড়িতে যাই।
৫| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১৯ রাত ৮:০৫
ইসিয়াক বলেছেন: প্রিয় মাহমুদ ভাই
দারুণ সুখময় স্মৃতি । শেয়ার করাতে অনেক ভালো লাগলো।
আমি ছোটবেলায় দেখেছি আমার আব্বাও গ্রামে দাদীর কাছে জরুরী প্রয়োজনে টেলিগ্রাম পাঠাতো মোহাম্মদপুর পোস্ট অফিস থেকে।
ধন্যবাদ
২৮ শে অক্টোবর, ২০১৯ রাত ৯:০৫
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
আপনি ভাগ্যবান মানুষ টেলিগ্রামের যুগ দেখেছেন।
আমি টেলিগ্রাম নিয়ে আরো লেখা লিখবো সাথে থাকুন।
৬| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১৯ রাত ৯:২৫
প্রামানিক বলেছেন: সেই সময় টেলিগ্রামের যে কত মূল্য ছিল তা বলে বুঝানো যাবে না।
২৮ শে অক্টোবর, ২০১৯ রাত ৯:৪৬
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: প্রামানিক ভাই, মৃত্যুশয্যায় পাশে এসে দাড়িয়েছেন একটি টেলিগ্রামে, আজ অসংখ্য ফোনেও হাসপাতালে রোগী দেখতে আত্মীয় পরিজন আসেন না! সময়ে সেই গল্পও আসবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ। আশা করবো সাথে থাকবেন।
৭| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১৯ রাত ৯:৩৬
রাজীব নুর বলেছেন: টেলিগ্রামের যুগ ভালো না আজকের মোবাইলের যুগ ভালো??
আপনি কোনটা চান??
২৮ শে অক্টোবর, ২০১৯ রাত ৯:৪২
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
অবস্যই মোবাইল বিজ্ঞান যুগ। তবে মানবিক দিক বিবেচনা করলে টেলিগ্রামের যুগ মোবাইল বিজ্ঞান থেকে অনেক অনেক উঁচুতে অবস্থান করে। এখন পর্যন্ত এমন কোনো মোবাইল আবিস্কার হয়নি যা টেলিগ্রামকে চ্যলেঞ্জ করতে পারে। সময়ে সেই গল্পও আসবে।
৮| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১৯ রাত ১০:০৩
আহমেদ জী এস বলেছেন: ঠাকুরমাহমুদ,
টরে...টক্কা...টরে..................
আহা ! কই গেলো সেই দিনগুলো!
২৮ শে অক্টোবর, ২০১৯ রাত ১০:১২
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
আমার ভাই আহমেদ জী এস আছেন যিনি টরে টক্কা টরে যুগের মানুষ। একটি টেলিগ্রামের মূল্য বোঝার মানসিক দিক এখনকার মানুষের নেই। হাসপাতালে টেলিফোন করে আত্মীয় পরিজন আসেন না। সবার ফোন রিসিভ করতে করতে মনে হয় - ফোন ফ্লোরে ছুড়ে ফেলে ভেঙ্গে দিই - ধুর ফোন।
৯| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১৯ রাত ১০:২৭
আহমেদ জী এস বলেছেন: ঠাকুরমাহমুদ,
প্রতিমন্তব্যের জন্যে ধন্যবাদ।
"একটি টেলিগ্রামের মূল্য বোঝার মানসিক দিক এখনকার মানুষের নেই।"
সময়ের পালাবদলে মানব থেকে অমানবিক হয়ে যাওয়ার এক সর্বগ্রাসী সময়ের সিঁড়ি বেয়ে উঠতে গিয়ে কোনও কিছুই আজ আর মানুষের মনে দাগ কাটেনা। যেখানে আকাশ সীমিত করে মাথা তোলে কংক্রীট দেয়াল, সবুজের শ্যামলীমা যেখানে ধূসরতার পান্ডুলিপি লেখে সেখানে মানবিক অনুভূতিগুলো মরচে ধরে যায়............
২৮ শে অক্টোবর, ২০১৯ রাত ১০:৩৯
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
আহমেদ জী এস ভাই আপনি মন্তব্য করবেন আর প্রতিমন্তব্যে পাবেন না এটি হতে পারে না।
সমস্যা হচ্ছে কি আমরা হয়ে গেছি আল্ট্রা মর্ডান। দেশের মন্ত্রী সন্ত্রীগণ বলেন দেশ সিঙ্গাপুর জাপান চীন মালয়েশিয়া হবে। আসলে দেশ আরো গড্ডায় যাবে তবে মানুষ হবে এক একজন নরপিশাচ। মোবাইল ফোনের কারণে এতো মিথ্যাচার বেড়েছে যা ভাষাহীন হয়ে গেছে।
১০| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১৯ রাত ১০:৩১
কবীর হুমায়ূন বলেছেন: টেলিগ্রাম নিয়ে যৌথ পরিবার জীবনের আনন্দবেদনার ছবিটি সুন্দর করে এঁকেছেন। ভাল লাগলো। তবে, আমার মনে হয়, টেলিগ্রামে (.) ফুলস্টপটি প্রথম বন্ধনীতে আবরিত থাকতো। আমাদের যৌথ পরিবারের সুখগুলো এখন আর আমাদের সন্তানেরা অনুভব করতে পারে না।
শুভ কামনা।
২৮ শে অক্টোবর, ২০১৯ রাত ১০:৪৮
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
কবীর হুমায়ূন ভাই, আপনি সঠিক বলেছেন। ফন্ট ও টাইপে কিছু উঁচু নিচু ছিলো টেলিগ্রামের স্টান্ডার্ড। আমি ফটোশপে একটি কপি তৈরি করেছি জীবন গল্পের প্রয়োজনে। খুব সম্ভব গত ত্রিশ বছর ধরে চলছে সংসার পরিবার ভাঙ্গার পারিবারিক আন্দোলন! এখন সবাই ছোট পরিবার পছন্দ করেন, পছন্দ করেন শশুরবাড়ী ভক্ত হতে। তাই নিজ পরিবারের সাথে দ্বন্দ্ব কলহ বিবাদ সহ পরিবার ভাঙ্গার ঘটনা নিত্য ঘটছে।
শুভ কামনা।
১১| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১৯ রাত ১১:১০
শুভ্রনীল শুভ্রা বলেছেন: চমৎকার স্মৃতিচারণ ! টেলিগ্রামের সেই যুগটা মনে হয় সুন্দর ছিল। ভাইয়া, আপনি কি উত্তরবঙ্গের ? শীতকে ''জাড়'' বলা ওদিকটাই তো প্রচলিত।
২৮ শে অক্টোবর, ২০১৯ রাত ১১:১৫
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
আমার বাড়ী বৃহত্তর কুমিল্লা ব্রাক্ষণবাড়িয়া জেলাতে। টেলিগ্রামের যুগে একটি হাতের লেখা বা ছাপার লেখার অনেক গুরুত্ব ছিলো, একটি টেলিগ্রাম অর্থ অনেক কিছু। অনেক অনেক - সেই গল্প ধারাবাহিক ভাবে আসবে।
১২| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১৯ রাত ১২:০০
অনন্ত আরফাত বলেছেন: পুরাতন সময়ের গল্প চলুক.।
২৯ শে অক্টোবর, ২০১৯ রাত ১২:১৩
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
এক কালে টেলিগ্রামই সবচেয়ে জরুরি যোগাযোগের মাধ্যম ছিল। কোনও বাড়িতে টেলিগ্রাম এলে পরিবারের সবাই শ্বাসরুদ্ধ হয়ে টেলিগ্রামের খবরের জন্য দাড়াতো।
১৩| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১৯ রাত ১:০৯
মাআইপা বলেছেন: প্রযুক্তির মস্তানীতে আরেক প্রযুক্তি কোণঠাসা যে শব্দের আস্তানা এখন যাদুঘরে।
ভাল লাগলো এবং পরের পর্বের অপেক্ষায় রইলাম
২৯ শে অক্টোবর, ২০১৯ রাত ১:২৫
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
প্রযুক্তি আমাদের কতো ভয়ঙ্কর দিকে নিতে পারে তাও একটি দেখার বিষয়। মন্তব্যর জন্য ধন্যবাদ। সাথে থাকুন - আশা করি আপনাদের অপেক্ষা বিফল হবে না। আবারো ধন্যবাদ।
১৪| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১৯ রাত ১:১০
সোহানী বলেছেন: চলুক........
২৯ শে অক্টোবর, ২০১৯ রাত ১:৩১
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
সোহানী আপা,
প্রযুক্তি এতো দ্রুত ভাগবে কখনো কল্পনাও করিনি। সত্যি সত্যি কখনো কল্পনাও করিনি, মনে হয় এইতো সেদিনের কথা। পাশে থাকার জন্য ধন্যবাদ আপা। লেখা কতোটা সিরিয়াস পর্যায়ে আর কোথা্য় যায় - পড়ার জন্য অনুরোধ রইলো।
১৫| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১৯ রাত ১:২৩
ল বলেছেন: বিমুগ্ধ বার্তা।।।
আপনার সংগ্রহশালাতে বিনম্র শ্রদ্ধা।।।।
২৯ শে অক্টোবর, ২০১৯ রাত ১:৪২
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
ল ভাই,
ব্লগে অপব্লগারদের ধারনা হয়ে গেছে রাজনৈতিক লেখায় আঘাত করে আমার লেখা যদি বন্ধ করে দিতে পারে তাহলে তারা স্বার্থক, আমার লেখালেখির ইতি হয়ে যাবে। ল ভাই, আমি আগেই বলেছি আমার লেখার জন্য আমার জীবনের ঘটনা উপঘটনার অভাব নেই। শেখ সাহেব আর জিয়াউর রহমান নিয়ে আমি যদি না লিখি তাতে আমার কিছুই আসে যায় না। - শেখ সাহেব আর জিয়াউর রহামন নিয়ে মজাদার কিছু ঘটনা আছে যা লিখতে চেয়েছিলাম - ব্লগে উন্মাদনা বেড়ে গেছে। তাই আপাতত অফ। ল ভাই আপনার নতুন লেখা কবে পাবো জানাবেন।
১৬| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১৯ রাত ৩:২৫
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
টেলিগ্রাম ট্রান্সমিট হতো মোর্স কোডেই। রিসিভার টরে টক্কা শুনে ম্যানুয়ালি টাইপ করে টেলিগ্রাম লিখে বিলি করতো।
পরবর্তীতে টেলিপ্রিন্টার আসার পর ২য় জেনারেশন টেলিগ্রাম, যা আমরা ৯০ দশকেও দেখতাম।
২৯ শে অক্টোবর, ২০১৯ ভোর ৪:০৩
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
হাসান কালবৈশাখী ভাই, টেলিগ্রাম ট্রান্সমিট হতো মোর্স কোডেই। মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: মোর্স কোড - আমি এটি সামরিক বাহিনী ও জাহাজের সাংকেতিক বিষয় ধরেছি। রিসিভার রিসিভ করে ম্যানুয়ালি টাইপ করে রানার দিয়ে দৌড় পাঠাতেন।
১৭| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১৯ রাত ৩:২৮
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
টেলিগ্রাম’ শব্দটার সঙ্গে পরিচয় সেই ছোটবেলা হতেই । ‘টেলিগ্রাআআম’ বলে সাইকেলের ক্রিংক্রিং শব্দের সঙ্গে পিয়নের আগমনে বাড়ীতে একটা চাঞ্চল্য তৈরি হত। বাড়ীর বয়স্করা উদগ্রীব হয়ে অপেক্ষা করত কখন টেলিগ্রামের খবরটা শুনবে। তারপরই দেখতাম হয় কান্নার রোল নয়তো মুখেচোখের ভাবে গুরুতর কিছু একটা ঘটনা ঘটার আশঙ্কা। সুতরাং টেলিগ্রাম ভাল কোন খবর বয়ে আনতে পারেনা , এই ছিল মোর ধারণা । রেডিওতেও একটা গানও শুনতাম মাঝে মাঝে ,গানের কলিটা ছিল
খবর এসেছে, ঘর ভেঙ্গেছে, দারুন ঝড়ে
তারের ভাষায় সঙ্কেতে
কলের ঘরে, টক্কা টক্কা টরে ।
telegraphic-receiver
বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে দেখলাম আমার ধারণাটা ছিল একপেশে। জানলাম টেলিগ্রামে তো আরও অনেক রকম খবরই থাকে! কালের রত্নভান্ডারে খোঁজ করলে এমনি কত শত ঘুমন্ত টেলিগ্রাম হঠাৎ যেন ঘুম ভেঙ্গে জেগে ওঠে প্রচন্ড ঝঙ্কারে আর পুরনো দিনের স্মৃতিতে ঝলমল করে ওঠে। ঝরে পড়ে সুখ, দুঃখ ও আনন্দের ছোট ছোট মূর্ছনা। আপনার পোষ্টেও দেখা গেল সেই রকম পুরানো দিনের টেলিগ্রামের একটি বাস্তব নমুনা ।
বিজ্ঞানের উন্নতির সঙ্গে সঙ্গে প্রযুক্তিগত বিদ্যার অবিশ্বাস্য অগ্রগতি বিশেষ করে মুঠো ফোনের প্রচরণ এই সব ব্যবস্থার আমূল পরিবর্তন এনেছে। তবে পুরনোকে অবজ্ঞায় সরিয়ে রেখে নতুনের আবাহন নয়। যা কিছু পুরনো, তার ভিত্তির উপরই তো দাঁড়িয়ে আছে নতুনের ইমারত। অতীতকে বাদ দিয়ে যেমন বর্তমানের প্রকাশ হয় না বিকাও হয়না তেমন পুরনো কৃষ্টি,সভ্যতা,প্রযুক্তি ব্যতিরেকে নতুনের আবির্ভাব হতে পারে না।পুরানো টেলিগ্রাম ব্যবস্থার প্রতি রইল পরম ভালবাসা ও শ্রদ্ধা । ধন্যবাদ এমন একটি পোষ্ট উপহার দেয়ার জন্য ।
২৯ শে অক্টোবর, ২০১৯ রাত ১০:৫৩
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
ডঃ এম এ আলী ভাই,
টেলিগ্রাম দুঃসংবাদ বহন করতো বেশী। কিছু মানুষ সুখবরও বিলি করতেন তার মধ্য আমার দাদাজান একজন। টেলিগ্রাম টাইপে দুটো কালি ব্যবহার হতো, লাল আর কালো, লাল কালির টেলিগ্রাম অর্থ সিরিয়াস / টপ আর্জেন্ট। তবে তৎকালীন সামরিক বাহিনীতে নীল কালিও ব্যবহার হতো।
ব্লগার রাজীব নুর বলেছেন: টেলিগ্রামের যুগ ভালো না আজকের মোবাইলের যুগ ভালো?? আপনি কোনটা চান??
আমার উত্তর: - অবস্যই মোবাইল বিজ্ঞান যুগ। তবে মানবিক দিক বিবেচনা করলে টেলিগ্রামের যুগ মোবাইল বিজ্ঞান থেকে অনেক অনেক উঁচুতে অবস্থান করে। এখন পর্যন্ত এমন কোনো মোবাইল আবিস্কার হয়নি যা টেলিগ্রামকে চ্যলেঞ্জ করতে পারে। সময়ে সেই গল্পও আসবে।
ডঃ এম এ আলী ভাই, আমার নিজের অভিজ্ঞতা থেকে বলি টেলিগ্রামের যেই শক্তি ছিলো, মোবাইল ফোনের সে শক্তি নেই।
TOP URGENT TELEGRAM
---------------------------------------------------
লাল কালি’তে টাইপকৃত
ACCIDENT. YOUR MOTHER SERIOUS COME SHARP.
অথবা
YOUR WIFE SERIOUS COME SHARP.
---------------------------------------------------
পাকিস্তান পিরিয়ডে সরকারী চাকুরী সহ ইষ্ট বেঙ্গল, ইপিআরে চাকুরীরত সৈনিকরা এই টেলিগ্রাম পেয়ে তাৎক্ষনিক ছুটি নিয়ে বাড়ির দিকে পাড়ি দিতেন বলা যায় দৌড় দিতেন। এখন ফোন করে বারংবার খোঁজ নেন, মৃত্যুর পরে শুধু হাজিরা দেওয়ার জন্য মনে হয় কেউ কেউ হাজিরা দেন মাত্র।
আমি “টেলিগ্রাম” শুরু করেছি আশা করি আমার আপনার সহ অনেকের পুরোনো স্মৃতি নিয়ে কিছু কথা কিছু ভুলে যাওয়া ঘটনা মনে করতে পারবো। চিঠি, টেলিগ্রাম, মানি অর্ডার আমাদের জীবনের বড় অংশ দখল করে রেখেছে - যা কখনো ভুলে যাওয়ার নয়, ভুলে যাওয়া সম্ভবও নয়।
আপনার সাথে আমিও বলছি পুরোনো টেলিগ্রাম ব্যবস্থার প্রতি রইলো পরম ভালোবাসা ও শ্রদ্ধা ।
১৮| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১৯ ভোর ৪:১৫
ভুয়া মফিজ বলেছেন: আপনার স্মৃতিচারণমূলক লেখাটা ভালো লাগলো।
আমি মাঝেমধ্যেই ভাবি, আমাদের জীবনে প্রযুক্তির যে পরিবর্তন আমরা দেখেছি, সেটা না আমাদের আগের জেনারেশান দেখেছে, না আমাদের পরের জেনারেশান দেখবে।
আমরা সত্যিই ভাগ্যবান।
২৯ শে অক্টোবর, ২০১৯ ভোর ৪:৫৭
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
আমাদের জীবনে প্রযুক্তির যে পরিবর্তন আমরা দেখেছি, সেটা না আমাদের আগের জেনারেশান দেখেছে, না আমাদের পরের জেনারেশান দেখবে। তবে ভুয়া মফিজ ভাই, আমরা পরে গেছি গড্ডায় অর্থাৎ জলে কুমির ডাঙ্গায় বাঘ, অবস্থায়। আমার কেনো জানি মনে হয় বাংলাদেশে সবচেয়ে ষ্টেবল সময় ছিলো হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ সরকারের সময়। এর আগেও আনষ্টেবল ছিলো আর এখন তো মহাকাল রাত চলছে। আমি “টেলিগ্রাম” শুরু করেছি আশা করি আমার আপনার সহ অনেকের পুরোনো স্মৃতি নিয়ে কিছু কথা কিছু ভুলে যাওয়া ঘটনা মনে করতে পারবো। প্রযুক্তি আমাদের কোন শিখরে নিয়ে পৌছাবে তা একমাত্র অলমাইটি জানেন।
আমরা সত্যিই ভাগ্যবান।
১৯| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১৯ ভোর ৪:৩৬
অন্তরন্তর বলেছেন: টেলিগ্রাম আহা টেলিগ্রাম। অনেকেই আছেন দেখা যাচ্ছে আমাদের সময়ের যারা টেলিগ্রাম কি উত্তেজনাকর ছিল সে সময়ের। সময়ের সাথে সব হারিয়ে যাচ্ছে ঠাকুর ভাই। আমাদের সময়ের অনেক কিছুই আজকের প্রজন্মের জন্য গল্প কথা মনে হয় ঠিক তেমনি আরও ৫০ বছর পর কি হবে তা কল্পনা করতে আমি পারিনা। নস্টালজিক পোস্ট। জাড় কি পড়া শুরু হয়েছে? অনেকদিন পর আপনার পোস্টে আমাদের অঞ্চলের জাড় শব্দটি শুনলাম। আপনার আর আমার বাড়ির অনেক অনেক মিল আছে ঠাকুর ভাই। সেই দিন, সেই সময়গুলো আর ফিরে আসবে না ।আফসুস।
২৯ শে অক্টোবর, ২০১৯ ভোর ৪:৫০
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
টেলিগ্রাম, চিঠি, মানি অর্ডার। আহারে জীবন, কতো দ্রুত সময় চলে যায়। এই ধরনের টেলিভিশন, মোবাইল ফোন, কম্পিউটার, ল্যাপটপ কল্পনাও করিনি কোনোদিন। স্বপ্নেও ভাবিনি। ৮০’র দশকে যখন সৌদি কুয়েত প্রবাসী আত্মীয় পরিজন সনি কালার টিভি আর ভিসিআর নিয়ে হাজির হলেন সেটাই ছিলো পৃথিবীর সপ্তাশ্চর্য!
এখন কিছু ঠান্ডা পড়েছে আর সন্ধ্যায় কুয়াশা, নভেম্বরে শীত পড়বে আর ডিসেম্বরে জাড়। সময় ফিরে আসে না। এটি আসার নয়। প্রযুক্তি উন্নত হতে হতে ভয়ঙ্কর পর্যায়ে যাবে এক সময় ঘরে ঘরে মোবাইল ফোন হয়েছে ভবিষ্যতে ঘরে ঘরে অস্ত্র হবে।
আমি “টেলিগ্রাম” শুরু করেছি আশা করি আমার আপনার সহ অনেকের পুরোনো স্মৃতি নিয়ে কিছু কথা কিছু ভুলে যাওয়া ঘটনা মনে করতে পারবো।
২০| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১৯ ভোর ৫:০২
ভুয়া মফিজ বলেছেন: আমি “টেলিগ্রাম” শুরু করেছি আশা করি আমার আপনার সহ অনেকের পুরোনো স্মৃতি নিয়ে কিছু কথা কিছু ভুলে যাওয়া ঘটনা মনে করতে পারবো। আপনি সামু ছেড়ে যাচ্ছেন না দেখে ভালো লাগলো। সুখে দুখে একসাথেই থাকি.....কি বলেন!!
২৯ শে অক্টোবর, ২০১৯ ভোর ৫:১৯
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
ভুয়া মফিজ ভাই,
বিষয়ের বাইরে কেউ যখন আঘাত করেন তখন মনে হয় এটি লেখার জন্যও তো তাকে পড়ালেখা করতে হয়েছ! কিসের পড়া পড়েছেন? যাক সেসব। টেলিগ্রাম চিঠি মানি অর্ডার আমাদের জীবনের এক বিশাল আবেগময় সময় পার করেছি। যা এখন ভাষায় বোঝানো যাবে না, প্রকাশ করাও যাবে না। একটি চিঠি বদলে দিয়েছে জীবন - এমন ঘটনা অহরহ হয়েছে। একটি মানি অর্ডার বাড়ি ক্রোক করা থেকে বাঁচিয়ে দিয়েছে, একটি টেলিগ্রামে সৈনিক ছুটি নিয়ে দৌড় দিয়েছেন প্রিয়জনের পাশে শেষ মুহুর্তে থাকার জন্য। এমন আরো অসংখ্য ঘটনা নিয়ে আসছি আগামীতে পাশে থাকুন। ধন্যবাদ।
২১| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১৯ ভোর ৫:১২
ল বলেছেন: লেখা বন্ধ করা যাবো না।।।
তাহলে -- বরফ যুগের বরফের স্তুপ সরবে কিভাবে???
দুষ্টদের কে ছাকনি দিয়ে ছেঁচে বিশুদ্ধতায় ফিল্টারিং করতে হবে,
নিন্দুক থাকবেই তাই বলে নান্দনিকতা নষ্ট করা যাবে না।।
আইন মাস্ট সে - আপনার লেখা ও ধারালো মন্তব্য তিক্ত হ'লেও শেখার ও ভাবার।।।
ড্রাফটে প্রায় দেড়শো লেখা আছে - আগামী বছর থেকে একে একে পোস্ট করবো।।
অনেকদিন পর ব্লগ খুললো, সবাই মিছিল দিক।।। আমরা মিছিলে শরিক হই।।।
২৯ শে অক্টোবর, ২০১৯ ভোর ৫:২৭
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
! কোপা শামসু কোপা আমেরিকা !
দ্য শো মাস্ট গো অন - দেখি সামনে কে আসে, বুলডোজার দিয়ে স্ক্র্যাপ করে পলাশীর রদ্দি বাজারে বিক্রি করে দিবো। লেখা চলবে - দ্য শো মাস্ট গো অন। শেখ মুজিবুর রহমান, জিয়াউর রহমান, উস্তাদ হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ সবার বীরত্ব নিয়ে লেখা হবে। তাদের সম্পর্কে আজেবাজে প্রচার অনেক হয়েছে। এখন শুধু ভালো প্রচার হবে। যার যা ভালো শুধু তা লেখা হবে। দ্য শো মাস্ট গো অন।।
২২| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১৯ ভোর ৫:৪০
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
আপনি ঠিকই বলেছেন টেলিগ্রামের যেই শক্তি ছিলো, মোবাইল ফোনের সে শক্তি নেই।
আমার মনে পরে খুব বেশীদিন আগের কথা না মাত্র প্রায় অর্ধ শতাবদি আগে ১৯৭৩ সনে অআমার চাচী তার পিত্রালয়ে খুলনায় গিয়েছিলেন মাত্র ৭ দিনের জন্য বেড়াতে । সাতদিন পরেও তাঁর বেড়ানো শেষ হয়নি তাই তিনি ফিরতে দেরি করছিলেন । তিনদিন অপেক্ষা করে কাকা একটি কাজগের উপরে মাত্র ৮টি শব্দ COME NEXT AVAILABLE TRAIN OR STAY FOR EVER লিখে আমার হাতে দিয়ে টেলিগ্রাম করে দিয়ে আসার জন্য বলেছিলেন । নির্দেশ মত আমি টেলিগ্রাম অফিসে গিয়ে টেলিগ্রামটি পাঠিয়ে দিয়ে আসলাম। টেলিগ্রাম পাওয়ার পরের দিনই দেখি চাচী এসে হাজির । বুজুন টেলিগ্রামের ক্ষমতা । মোবাইল ফোনের যুগ হলে ধানাই পানাই ও নানান টাল বাহনা করে বা কারণ দর্শিয়ে তিনি হয়তো আরো কয়েকদিন নীজ পিত্রালয়ে যেতে পারতেন ।
আরো একটি শক্তিশালী টেলিগ্রামের কথা বলি , আমাদের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম যখন কারাগারে অনশন ধর্মঘটে ছিলেন ( একাধারে চল্লিশ দিন ) তখন কোন ভাবেই তাকে অনশন ভাংগানো যাচ্ছিল না তখন কবিগুরু রবিন্দ্রনাথ ঠাকুর
তাঁর কাছে GIVE UP HUNGER STRIKE OUR LITERATURE CLAIMS YOU লিখে একটি টেলিগ্রাম পাঠিয়েছিলেন । যদিও কারা কতৃপক্ষ নজরুলের কাছে ঐ ঠেলিগ্রামটি হস্তান্তর করেনি , খামের উপরে ADDRESSEE NOT FOUND লিখে কবি গুরুর কাছে ফেরত পাঠিয়েছিল। তবে এর গুরুত্ব ছিল অপরিসীম, কবিগুরুর টেলিগ্রামটি পেয়ে বৃটিশ কারা কতৃপক্ষের টনক নড়ে গিয়েছিল। তারা কবি নজরুলের অনশন ভাঙ্গার জন্য বেশি মাত্রায় সচেষ্ট হয়েছিল । নজরুলের কাছে কবিগুরুর ঐ টেলিগ্রামটির আরো অনেক প্রকারের মহাত্ন ছিল । তাই বলা চলে টেলিগ্রামের ক্ষমতা অনেক । এখনো অনেক রাজনৈতিক বিষয়ে অনেক নামী দামী লোকজন দুনিয়ার অনেক দেশেই দেশের সরকার প্রধান বা রাস্ট্র প্রধানদর কাছে আপেন টেলিগ্রাম পাঠান , যার গুরুত্ব ও প্রভাব মোবাইল টেলিফনের চেয়ে অনেক অনেক বেশী ।
২৯ শে অক্টোবর, ২০১৯ ভোর ৬:০২
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
ডঃ এম এ আলী ভাই,
মন্তব্যে একাধিক লাইক দেওয়ার ব্যবস্থা নেই - নয়তো আমি নিজে আপনার গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্যে হাজার লাইক বাটন চেপে ধরে রাখতাম। একজন লৌহ মানবের টেলিগ্রাম আজ পড়লাম “COME NEXT AVAILABLE TRAIN OR STAY FOR EVER” এমন টেলিগ্রামের গল্প আসবে আমার আগামী লেখায়, আশা করি আপনি পাশে থাকবেন।
১৯৭১ যুদ্ধ শেষে পাকিস্তান মিলিটারিকে একটি মেসেজ ওয়্যারলেসে দেওয়া হয়েছিলো “IT IS AN URGENT MESSAGE FIND INDIAN ARMY FOR SURRENDER RIGHT NOW QUICK, OVER AND OUT” এই মেসেজ টি জরুরী টেলিগ্রাম হয়ে আসে ঢাকা ক্যান্টনমেন্টেও! দুঃখজনক আজ তা ভারত সেনাবাহিনীর সম্পদ!
ডঃ এম এ আলী ভাই, কবিগুরুর নোবেল জয়ের খবরও টেলিগ্রামের মাধ্যমেই আসে কবিগুরুর কাছে। সময়ে সে গল্পও হবে। আজ আপনার সম্মানে সেই টেলিগ্রামের কপি উপস্থাপন করছি।
আপনার জন্য রইলো অনেক অনেক দোয়া ও শুভ কামনা।
২৩| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১৯ ভোর ৫:৪৪
ল বলেছেন: টেলিগ্রামে যে জিনিসটা অনেকেই খেয়াল করেনি তা হলো
"ঢাকা" বানান DHAKA ------, DACCA
এভাবেই অনেক কিছু বদলে যায় - সময়ের সাথে পালাবদলে
তাই ফেলে আসা দিনগুলো যে দেখেছে সেই ভালো জানে।
গেইম মাস্ট অন.......
যারা জানে আমার যারা জানেনা তারা সমকক্ষ নয়।।
২৯ শে অক্টোবর, ২০১৯ ভোর ৬:২৪
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
১৯৬৮ DACCA, EAST PAKISTAN ছিলো, দেশের সম্মানে আমি টেলিগ্রামে EAST PAKISTAN লেখা থেকে বিরত থেকেছি। রাষ্ট্রপতি লেফট্যানেন্ট জেনারেল জিয়াউর রহমান DACCA স্পেলিং কে DHAKA রূপান্তর করেন। এবং ১৯৮২ সনে রাষ্ট্রপতি আবদুস সাত্তার কাগজে পত্রে সমগ্র দেশে তা বাস্তবায়ন করেন। সময়ে এ সকল লেখা আসবে।
২৪| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১৯ ভোর ৫:৪৮
ল বলেছেন: GIVE UP HUNGER STRIKE OUR LITERATURE CLAIMS YOU......
DO NOT GIVE UP WRITING, THIS GENERATION HUNGRY TO KNOW FROM YOU ....
২৯ শে অক্টোবর, ২০১৯ ভোর ৬:৩৩
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
হাহঃ কি যে করেন। গরম গরম লুচি হালুয়া টাইপ পোষ্ট দিন, ব্লগ ঝিমিয়ে গেছে। ব্লগ ওপেন হয়েছে এই পোষ্ট দেখতে আর ভালো লাগে না। কাজের কাজ নাই “স্কুল খুইলাছে রে মাওলা স্কুল খুইলাছে” পোস্ট দিয়ে ব্লগ ভরপুর লাতাপাতা। স্কুল খুইলাছে ভালো কথা এখন ভালো ভালো পোষ্ট দিন - তা না একই গান বাজতেছে ভাঙ্গা টেপ রেকর্ডারে ক্যাসেট আটকে গেছে “স্কুল খুইলাছে রে মাওলা স্কুল খুইলাছে” - পা ব লি ক!
২৫| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১৯ সকাল ৭:২২
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় ঠাকুর মাহমুদ ভাই,
একসময়ের শক্তিশালী যোগাযোগ মাধ্যম অথচ সময়ের ঘূর্ণাবর্তে আজ তা সুখময় স্মৃতির অতলে তলিয়ে গেছে। পোস্টে ভালোলাগা।
শুভকামনা জানবেন।
২৯ শে অক্টোবর, ২০১৯ বিকাল ৩:৫৯
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
পদাতিক চৌধুরি ভাই,
এক সময়ের শক্তিশালী যোগাযোগ মাধ্যম তবে তাঁর সাথে মিশে আছে অসংখ্য ভালো রাগা, দুঃখ কষ্ট, অতীত স্মৃতি। যা ভুলে যাওয়া সম্ভব নয় - সময়ে সবগুলো গল্পে আসবে ধারাবাহিকতায়। আপনি পাশে থাকবেন। শুভ কামনা রইলো।
২৬| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১৯ সকাল ৮:০৯
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
কবিগুরুর নোবেল পুরস্কার প্রাপ্তি সংক্রান্ত ঐতিহাসিক টেলিগ্রামের কপি দেখার সৌভাগ্য দানের জন্য কৃতজ্ঞতা জানবেন ।
টেলিগ্রাম নিয়ে চলুক লেখা । আমার স্টকে আরো কিছু ঐতিহাসিক টেলিগ্রামের ভাষা জমা হয়ে আছে । সেগুলির কিছু কিছু শেয়ার করা যাবে ।
২৯ শে অক্টোবর, ২০১৯ বিকাল ৫:২৭
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
ডঃ এম এ আলী ভাই,
স্মৃতি আসলেই মজার চেয়ে মজাদার এক ভান্ডার! এখন যখন মনে করি সেই অতীতের কথা। মনে হয় আহারে আমাদের সময়টা হয়তো সাদাকালো ছিলো তবে এখনকার রঙিনের চেয়েও রঙিন ছিলো। পুরো পরিবার মিলে একটি কাঁঠাল খাওয়ার যে আনন্দ পেয়েছি আজ বিদেশী দামী ফল খেয়েও সেই আনন্দ শান্তি খোঁজে পাই না। নাহ - নেই তো।
টেলিগ্রাম চলবে - সাথে চলবে সময়ের ঘড়ি, কারণ আমার সাথে আছে সময়ের ব্লগার ডঃ এম এ আলী ভাই। আমি কৃতজ্ঞ আপনার কাছে, আমি কৃতজ্ঞ আপনার লেখায় ও মন্তব্যে। দোয়া নিবেন, ভালো থাকুন - সুস্থ থাকুন - ব্যস্ত থাকুন।
২৭| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১৯ সকাল ৯:১৭
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: তাই তো রসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেন, ‘তোমাদের কেউ মুমিন হতে পারবে না, যতক্ষণ না আমি তার কাছে তার পিতা-মাতা, সন্তান ও সব মানুষের চেয়ে বেশি প্রিয় হই। ’ বুখারি। হাদিসের এ দাবি প্রতিফলিত হয়েছিল সাহাবিদের বাস্তব জীবনে। রসুলুল্লাহ (সা.) ছিলেন সাহাবিদের কাছে তাঁদের জীবনের চেয়েও প্রিয়। হজরত ওমর (রা.) রসুল (সা.)-কে বললেন, ‘হে রসুল! আমি আপনাকে সবচেয়ে বেশি ভালোবাসি তবে আমার নিজের চেয়ে বেশি নয়
রসুল (সা.) বললেন, আল্লাহর শপথ! তোমার নিজের চেয়েও আমাকে বেশি ভালোবাসতে হবে। তখন ওমর (রা.) বললেন, এখন আমি আপনাকে নিজের চেয়েও বেশি ভালোবাসি। অতঃপর রসুল (সা.) বললেন, হে ওমর! তাহলে এখন ঠিক আছে। ’ বুখারি।
২৯ শে অক্টোবর, ২০১৯ বিকাল ৫:৩৫
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
শ্রষ্টা আমাদের প্রথম, শেষ ও একমাত্র ঠিকানা
তাই তাঁকে ভালোবাসতে হবে। তাঁর শত সহস্র লক্ষ কোটি নাম হতে পারে কিন্তু তিনি এক ও অদ্বিতীয় - তিনি আমাদের প্রথম, শেষ ও একমাত্র ঠিকানা।
২৮| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১৯ সকাল ৯:৫৩
রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন:
অবস্যই মোবাইল বিজ্ঞান যুগ। তবে মানবিক দিক বিবেচনা করলে টেলিগ্রামের যুগ মোবাইল বিজ্ঞান থেকে অনেক অনেক উঁচুতে অবস্থান করে। এখন পর্যন্ত এমন কোনো মোবাইল আবিস্কার হয়নি যা টেলিগ্রামকে চ্যলেঞ্জ করতে পারে। সময়ে সেই গল্পও আসবে।
টেলিগ্রামের যুগটা ভীষন কষ্টের ছিল। টেলিগ্রাম সবাই পাঠাতে পারতো না। তাছাড়া একটা টেলিগ্রাম পাঠানোর জন্য বড় শহরে আসতো হতো। তখন যাতায়াত ব্যবস্থা ভালো ছিল না।
২৯ শে অক্টোবর, ২০১৯ বিকাল ৫:৫০
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
রাজীব নুর ভাই,
এখন কি খুব আরামের সময়? বনানী থেকে মতিঝিল যেতে সময় নেয় মাত্র দুই ঘন্টা! ঢাকা থেকে নরসিংদী বাইরোডে যেতে হলে মাথা চক্কর দিয়ে উঠে - মনে হয় আজকে নয় আগামী সপ্তাহ যাবো, এভাবে আগামী আগামী করে আর যাওয়াই হয় না। সময়ে দুঃখ কষ্ট বেদনা নিয়েই আমাদের জীবন। আপনার আজকের পোষ্ট খুবই মনে ধরার মতো লেখা - আপনার পোষ্টে মন্তব্য করে এসেছি। ধন্যবাদ।
২৯| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১৯ সকাল ১১:২২
সাইন বোর্ড বলেছেন: প্রযুক্তির উন্নতি হয়েছে, কিন্তু সেই পুরানো দিনগুলো এখনো আমাদের হাতছানি দিয়ে ডাকে মাঝে মাঝে...
২৯ শে অক্টোবর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:২২
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
সাইন বোর্ড ভাই,
সবচেয়ে বড় দুঃখজনক ব্যাপার হচ্ছে প্রযুক্তির উন্নতি হয়েছে তবে অবনতি হয়েছে মানুষের মন মানসিকাতর। অতীতে ফিরে যাওয়া কোনো ভাবেই সময় সম্ভব নয়। তাই অতীত আমাদের ভারাক্রান্ত করে বারংবার।
৩০| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১৯ দুপুর ১২:২১
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: হারিয়ে যাওয়া টেলিগ্রাম দেখে ভাল লাগলো সাথে স্মৃতিময় কথা।
২৯ শে অক্টোবর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:২৪
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
মোঃ মাইদুল সরকার ভাই,
আপনার ভালো লেগেছে জেনে আমি আনন্দিত যে আমি একটি ভালো লেখা উপহার দিতে পেরেছি। আগামীতে আরো ভালেঅ লেখা নিয়ে আসবো এই প্রত্যাশায় আছি। পাশে থাকার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।
৩১| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১৯ দুপুর ১:০৫
কিরমানী লিটন বলেছেন: অনেক ভালোলাগা, চলুক......
২৯ শে অক্টোবর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:২৭
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
কিরমানী লিটন ভাই,
ভালোলাগার লেখা উপহার দিতে পেরেছি এটি আমার আনন্দের বিষয়। আগামীতে আরো লেখা নিয়ে আসবো “টেলিগ্রাম” পর্বে ধারাবাহিকতায় - আশা করি পাশে থাকবেন। ধন্যবাদ।
৩২| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১৯ বিকাল ৩:২৬
নীল আকাশ বলেছেন: টেলিগ্রামের কপিটা সংগ্রহে আছে দেখে অবাক হলাম। লেখা চলুক, সাথেই আছি। যেই জেনারেশনের কথা লিখেছেন সেটা নিয়ে আমাদের ধারনা নেই। পড়তে ভালোই লাগছে।
ধন্যবাদ।
২৯ শে অক্টোবর, ২০১৯ বিকাল ৪:৩৬
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
নীল আকাশ ভাই,
আমি অতীত স্মৃতি মনে করে টেলিগ্রামের একটি কপি ফটোশপে তৈরি করার চেষ্টা করেছি জীবন গল্পের প্রয়োজনে। এই সকল কাগজ পত্র এখন নেই, ১৯৭১ যুদ্ধে আমরা ছিলাম দৌড়ের উপর, মানুষজন থাকার কথা না আর কাগজ পত্র! ভালো লাগার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ। আগামীতে আরো লেখা নিয়ে আসছি। শুভ কামনা।
৩৩| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১৯ বিকাল ৫:৫৯
রাজীব নুর বলেছেন: আমার মন্তব্যের খুব সুন্দর উত্তর দেওয়ার জন্য আপনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ।
২৯ শে অক্টোবর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৫৪
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
রাজীব নুর ভাই,
সময় নিয়ে আমার লেখার ইচ্ছে ছিলো তা শুরু করেছি “টেলিগ্রাম” পর্ব দিয়ে আশা করি পাশে থাকবেন। আর আমি নিষ্চয়তা দিচ্ছি পড়ে অবস্যই আনন্দ পাবেন। পরিবার পরিজন সমাজ দেশ সম্পর্কে অনেক অনেক লেখা উঠে আসবে এখানে পর্যায়ক্রমে। আপনাকেও ধন্যবাদ।
৩৪| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১৯ রাত ৮:০৪
ইজ্জত উল্লাহ বলেছেন: ঠাকুর,,,
নাই টেলিফোন নাইরে পিয়ন,
নাইরে টেলিগ্রাম ,
বন্ধুর কাছে মনের খবর ,
কেমনে পৌঁছাইতাম ???
৩৫| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১৯ রাত ১০:৪৭
কলাবাগান১ বলেছেন: SERIOUS not SIRIUS
২৯ শে অক্টোবর, ২০১৯ রাত ১০:৫৮
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
SERIOUS স্পেলিং কারেকশান করে দিয়েছি। ধন্যবাদ কলাবাগান১ ভাই। ধন্যবাদ।
৩৬| ৩০ শে অক্টোবর, ২০১৯ ভোর ৪:১৬
জুনায়েদ বি রাহমান বলেছেন: পুরানো দিনের স্মৃতিকথা, পড়ে ভালো লাগছে।
চলুক
৩০ শে অক্টোবর, ২০১৯ দুপুর ১:৩২
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
জুনায়েদ বি রাহমান ভাই,
আমি আপনার মন্তব্যর জন্য অপেক্ষা করছিলাম, টেলিগ্রাম নিয়ে লেখা হবে বেশ কয়েকটি পর্ব সাথে থাকুন আশা করি লেখায় অনেক তথ্য পেয়ে যাবেন। ধন্যবাদ জুনায়েদ বি রাহমান ভাই।
৩৭| ৩০ শে অক্টোবর, ২০১৯ দুপুর ১২:৫৩
রক বেনন বলেছেন: চমৎকার একটি লিখা পড়লাম মাহমুদ ভাই। নস্টালজিক হয়ে গেলাম। আগের সেই দিনগুলো নেই। একটি টেলিগ্রাম, হলুদ অথবা সাদার উপর ডোরাকাটা লাল নীল রঙের খামে আসা চিঠি কিংবা টেলিফোন সেটের মাউথ স্পিকার তুলে গোলাকার ডায়ালে তর্জনী দিয়ে ঘুরানো দিনগুলো হারিয়ে গিয়েছে। তার বদলে এসেছে ইন্টারনেট ব্যবস্থা, দ্রুততম চিঠি 'ই-মেইল' আর হালের আধুনিক মোবাইল। হারিয়ে গিয়েছে মানবিকতার দিনগুলো আর তার জায়গা করে নিয়েছে 'পাশবিকতা'।
ভাল থাকবেন ভাই। শুভ কামনা রইল।
৩০ শে অক্টোবর, ২০১৯ দুপুর ১:৪৪
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
রক বেনন ভাই,
সময় চলে যায় দ্রুত, সময়ের সাথে প্রযুক্তিও পাগলা ঘোড়ার মতো এগুচ্ছে, জানিনা প্রযুক্তি আমাদের কোথায় কোন শিখরে নিয়ে পৌছাবে। টেলিগ্রামরে যে গুরুত্ব ছিলো তা মোবাইল ফোনে নেই, একটি টেলিগ্রামের খবরে বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল হতে কোন এক সৈনিক বাড়ীর দিকে পাড়ি দিতেন তার মাতাপিতার শেষ সময়ে পাশে থাকার জন্য - সে অনেক কান্নার গল্প। কখনো কখনো সেই সৈনিক হাসি মুখে ফিরে যেতেন কারণ বৃদ্ধ মাতাপিতা এবারের মতো বেঁচে গেছেন সন্তানের হাত ধরে দোয়া করে দিতেন।
পাশে থাকুন সময়ে অনেক গল্প আসবে।
৩৮| ৩০ শে অক্টোবর, ২০১৯ দুপুর ১:০৮
ঢাবিয়ান বলেছেন: দারুন একটা পোস্ট । টেলিগ্রাম দেখার সুযোগ হয় নি কখনও।সুযোগ করে দেয়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। আমাদের ছোটবেলায় ডায়াল ঘুরিয়ে ঘুড়িয়ে টেলিফোনের প্রচলন শুরু হয়েছিল।
৩০ শে অক্টোবর, ২০১৯ দুপুর ১:৫৩
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
ঢাবিয়ান ভাই,
দেশের পরিস্থিতি নিয়ে আমি পোস্ট দিতে পারি না, রাজনৈতিক ব্যাক্তি নিয়েও না। ফেইক আইডি থেকে আক্রমণ শুরু হয়। তাদের ধারণা আমার লেখার গন্ডি শুধু মাত্র রাজনীতি! - আক্রমণ করে আমার লেখা বন্ধ করতে পারলে আমি হয়তো সাকিব আল হাসানের মতো অফ হয়ে যাবো।
ঢাবিয়ান ভাই, একটি বিষয় কি আমি অনেক পুরাতন মানুষ আমার স্মৃতি তার চেয়েও পুরাতন - আমার কাছে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আর লেঃ জেনারেল জিয়াউর রহমান ছাড়াও লক্ষ লক্ষ গল্প আছে। তাঁদের কথা না লিখলে আমার কিছুই যায় আসে না। তাদেরও কিছু আসে যাওয়ার কথা না! - কারণ তারা মৃত, পৃথিবীর সাথে তাদের হিসাব নিকাশ শেষ।
পাশে থাকার জন্য ধন্যবাদ। ধন্যবাদ ঢাবিয়ান ভাই।।
৩৯| ৩০ শে অক্টোবর, ২০১৯ রাত ৮:৫৩
এমজেডএফ বলেছেন: ঠাকুর মাহমুদ ভাই, ব্যক্তিগত কারণে ব্লগে বেশ কয়েকদিন আসতে পারি নাই। এরমধ্যে ব্লগ উন্মুক্ত হওয়ায় হঠাৎ করে বাঁধভাঙ্গা বন্যার মতো এত বেশি পোস্ট আসতেছে যে আপনাদের সাম্প্রতিক লেখাগুলো খুঁজে বের করতেই সমস্যা হচ্ছে!
যাই-হোক, টেলিগ্রাম নিয়ে আপনার স্মৃতিবিধুর লেখাটি পড়ে নিজের একটি স্মৃতিও মনে পড়লো। আশির দশকে ঢাকায় একটি প্রাইভেট কোম্পানীতে প্রথম চাকুরি শুরু করি। আমাদের সাথে বরিশালের এক লোক ছিল, সে কয়েক মাস পরপর এরকম টেলিগ্রামের একটি কাগজ নিয়ে এসে মালিকের কাছে দিতেন আর ছুটি চাইতেন। সেই টেলিগ্রামে সব সময় লেখা থাকতো - WIFE SERIOUS COME SHARP. পরে মালিক বিরক্ত হয়ে ওকে বলেছিল, 'তোমার ওয়াইফ এত ঘন ঘন সিরিয়াস হয় কেন? তাকে জানিয়ে দিও সামনে সে সিরিয়াস হলেও ছুটি পাওয়া যাবে না।'
অতীতের অনেক গল্প-কাহিনী এই টেলিগ্রামের সাথে জড়িত। পর্ব চালিয়ে যান। সাথে আছি।
৩০ শে অক্টোবর, ২০১৯ রাত ৯:৩১
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
এমজেডএফ ভাই,
টেলিগ্রাম নিয়ে এরকম ঘটনা অনেক ঘটেছে এগুলো লেখার ধারাবাহিকতায় আসবে, আপনি অবস্যই সৌভাগ্যবান আপনি টেলিগ্রাম যুগের মানুষ। টেলিগ্রাম, চিঠি, মানি অর্ডার সেসব যুগ আমরা ফেলে এসেছি অতীতে। এখন প্রযুক্তি আমাদের ভয়ঙ্কর দিকে নিয়ে যাচ্ছে। লেনদেন যতো সহজ হচ্ছে ক্রাইম পাল্লা দিয়ে ততো বাড়ছে। মাঝে মাঝে মনে হয় পৃথিবী ধ্বংসের দিকে প্রবল গতিতে ধাবিত হচ্ছে।
৪০| ৩১ শে অক্টোবর, ২০১৯ রাত ১২:৩৪
শায়মা বলেছেন: পাপিয়া সারওয়ারের গান মনে পড়ে গেলো
নাই টেলিফোন নাইরে পিওন নাইরে টেলিগ্রাম!
৩১ শে অক্টোবর, ২০১৯ রাত ৮:০৫
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
শায়মা আমার বোন,
কোথায় সুন্দর বড় একটা মন্তব্য করবা! মন্তব্য করেছো এমন এক গান যা এক সময়ের লাইলী মজনুদের প্রিয় গান ছিলো। আম্মা তোমাকে হরলিক্স খাওয়ায় নাই?
৪১| ৩১ শে অক্টোবর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৫৬
মুক্তা নীল বলেছেন:
ঠাকুর দা ,
অত্যন্ত মূল্যবান ও নস্টালজিক পোস্ট । ছোটবেলায়
এই নামটির সাথে পরিচিতি ছিলাম। আপনার লেখার প্রতি
আমার ভালোলাগা ও শ্রদ্ধা রইলো ।
৩১ শে অক্টোবর, ২০১৯ রাত ৮:১১
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
মুক্তা নীল বোন রে,
টেলিগ্রাম লেখা শুরু হয়েছে। পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ, আগামীতে আরো লেখা আসবে আশা করি পড়ে আনন্দ পাবেন। টেলিগ্রাম, চিঠি, মানি অর্ডার। আমি বড় একটি সময় পার করে এসেছি, যদিও এখন মনে হয় এই তো সেদিনের কথা তারপরও সময় বসে থাকে না। সময়ের গল্প ধারবাহিকতায় আসবে আশা করি ব্লগে থাকবেন। শুভ কামনা রইলো।
৪২| ৩১ শে অক্টোবর, ২০১৯ রাত ৮:১৩
শায়মা বলেছেন: লাইলী মজনুরা কি খারাপ ছিলো নাকি!
একজন লাইলীর মনের মাঝে কি বেদনা বা বিরহের সূর বাঁজলেই এমন ফোন পিওন আর টেলোগ্রামের রাগিনী বাজে তা তুমি কেমনে বুঝবে!
৩১ শে অক্টোবর, ২০১৯ রাত ৮:২৭
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
আমি হাসতেছি তোমার মন্তব্যে পড়ে পড়ে। নাহঃ আমাদের সময়ের লাইলী মজনু খারাপ ছিলো না, তবে তাদের চিঠি চালাচালির অত্যাচারে পাড়া মহল্লার মা চাচীদের ফিসফাস কথা মনে করে এখন মনে হচ্ছে একটি পোস্ট দেওয়া যায় তিন পর্বে। ৬০, ৭০ ও ৮০ দশকের লাইলী মজনু কাহিনী - নাকি বলো?
৪৩| ৩১ শে অক্টোবর, ২০১৯ রাত ৮:৩৭
শায়মা বলেছেন: তুমি যে বেরোমান্টিক তা তোমার প্রথম মন্তব্যের উত্তরেই বুঝেছি !
আর তুমি দেবে লাইলী মজনু পোস্ট তাইলে তো আকাশে চন্দ্র তারকার বদলে ফুল্ল চন্দন পড়িবেক!
৩১ শে অক্টোবর, ২০১৯ রাত ৮:৫০
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
তোমার ভাইকে তুমি ভালো চিনো। তবে আমি লাইলী মজনু গল্প লিখবো এবং উৎসর্গ করবো আমার পাগলা বোন শায়মাকে। দেখি ব্লগে গল্পের দৌড় কি হয়। আগামী ০৩-১১-২০১৯ রবিবারের গল্প আমার বোন শায়মার নামে। দেখি আমার পাগলা বোনকে খুশি করতে পারি কিনা?
৪৪| ৩১ শে অক্টোবর, ২০১৯ রাত ৮:৫৩
শায়মা বলেছেন: হ্যাঁ লেখো লেখো বেরোামান্টিক লাইলা মজনু কাহানী!
তুমি ছাড়া কে আর পারবে!!!!!!!!!
৩১ শে অক্টোবর, ২০১৯ রাত ৯:০৪
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
তোমার পোষ্ট আমি পড়ি, মন্তব্য করা হয় না, অনেক অনেক মন্তব্যর ভিড়ে আমি না হয় দুরেই থাকি। তুমি কি আমার উপর রাগ করে আছো নাকি? এখন থেকে তোমার পোষ্টে আমি মন্তব্য করবো - বোন রে প্লিজ রাগ করো না। আর হ্যা তোমার জন্য লাইলী মজনু গল্প পোষ্ট আসছে আগামী রবিবার। - মনে থাকবে?
৪৫| ৩১ শে অক্টোবর, ২০১৯ রাত ৯:১৫
শায়মা বলেছেন: রাগ করেছি আর সেটা বুঝিয়েও দিলাম। শান্তি পেলাম সেটা বুঝে আর এটা বুঝেও তুমি যে নাম্বার ওয়ান বেরোমান্টিক!!!!!!!!
৩১ শে অক্টোবর, ২০১৯ রাত ৯:২৮
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
ঐ আমার পোষ্টে তুমি লাইক দাও তারাতারি !!! শায়মা আমার বোন তুমি ঠিকই বলেছো। তোমার কি মনে হয় আমাদের স্কুলের সামনের গোল্লা আইসক্রিমের চেয়ে বর্তমান ব্রান্ডেড আইসক্রিম বেশী মজা? - আমার একবারও মনে হয় না। “রবিবার” মনে থাকে যেনো।।
৪৬| ০১ লা নভেম্বর, ২০১৯ সকাল ৭:৩৮
আনমোনা বলেছেন: মগ্ন হয়ে পড়ছিলাম। হঠাৎ 'চলবে' সাইন দেখে ধাক্কা খেলাম। আরেকটু বড় করে পর্ব দেওয়া যায়না?
০১ লা নভেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৩৮
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
বোন রে,
আমি থামিনি গল্প তার নিজের প্রয়োজনে থেমেছে তবে কি বোর্ড আমার হাতে ছিলো। আগামীতে আরো সুন্দর গল্প আসছে - আশা করি পাশে থাকবেন। ধন্যবাদ। শুভ কামনা রইলো।
৪৭| ০২ রা নভেম্বর, ২০১৯ দুপুর ২:০৯
স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন: মোর্স কোড আর টরে টক্কার ফেলে আসা দিন !!
অসম্ভব সুন্দর পোস্ট।
০৭ ই নভেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১২:১৫
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
স্বপ্নবাজ সৌরভ ভাই,
অতীত যতোই মন্দ হোক তারপরও বর্তমানের চেয়ে ভালো হয়ে থাকে। আর ভবিষ্যত অজানা। তাই আমরা সমগ্র জীবন অতীত নিয়ে গল্প করি, আশা করি, স্বপ্ন দেখি, ভবিষ্যতের জন্য। যদিও ভবিষ্যত কখনো অতীত না আর তা হতেও পারে না।
৪৮| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ সকাল ১০:২৯
মিরোরডডল বলেছেন: পর্ব ২ কোথায় ?
অপেক্ষায় থাকলাম
০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১:১০
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
বছর শেষে বেশ কিছু কাজে লেখায় ঠিক মন দিতে পরাছিনা। তবে দ্রুত লেখা পাবেন ইনশাল্লাহ।
শুভ কামনা রইলো।
৪৯| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:১৩
অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: নেক্সট পার্ট কবে আসবে?
১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:৩৫
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
অপর্ণা মম্ময় বোন রে,
ডিসেম্বর মাস প্রচুর ব্যস্ততায় যাচ্ছি তাই পোষ্ট দিতে পারছি না, তবে কথা দিচ্ছি খুব তারাতারি টেলিগ্রাম ২য় পর্ব তথা নতুন পোষ্ট পাবেন। আমার ধারণা আমার ব্লগে আপনার এটি প্রথম মন্তব্য। ব্লগে আমার বোনের তালিকায় আরেকটি নাম আজ যুক্ত হলো তার নাম “অপর্ণা মম্ময়” আপনার প্রতি শুভেচ্ছা রইলো, ভালো থাকুন।
৫০| ১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১২:০৪
অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: আমি আসলে নিজে নিয়মিত না। তাই এখন কারা কারা নিয়মিত ব্লগিং করছে জানা নেই। তবে ব্লগিং না করলেও মাঝে মাঝে পুরোনো নেশাটা ফেরত আসে। সেই টানে আবারো টুকটাক কমেন্ট করি। কাজের ফাঁকে সময় বের করে সামনে যে পোস্ট আসে পড়ে ফেলি। যতদিন আছি এখানে, অবশ্যই আবারো কথা হবে ব্লগে। ধারাবাহিক লেখা আর তা মেন্টেইন করা কষ্টসাধ্য। বেশি গ্যাপ হলে লেখার গতিময়তা হারিয়ে যায়। দ্রুতই লিখে ফেলেন সময় বের করে।
২৭ শে জানুয়ারি, ২০২০ ভোর ৪:৩৯
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: বোন অপর্ণা মম্ময়,
আমি দ্রুত লিখবো। অবস্যই আগামীতে টেলিগ্রাম নতুন পোষ্ট পাবেন।
৫১| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০২০ রাত ৯:২৩
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
মেসেজগুলো কি যন্ত্রে পাঠাতো ?
না টেলিফোনে?
২৯ শে জানুয়ারি, ২০২০ রাত ৯:৪০
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন ভাই,
টেলিগ্রাম ও টেলিগ্রাফ যন্ত্র ছিলো। আমি প্রথমে আপনার মন্তব্য বুঝতে পারিনি তাই বলেছিলাম মোর্সকোডে সামরিক বাহিনীতে পাঠানো হয়। সামরিক ও সিভিল কোড ভিন্ন।
আসলে টেলিগ্রাম টেলিগ্রাফ মেশিনটাই মোর্সকোড ছিলো। চাইনিজ নিউ ইয়ারের শুভেচ্ছা নেবেন।
©somewhere in net ltd.
১| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:১৫
চাঁদগাজী বলেছেন:
চিটাগং মেইল ট্রেন ধরে উনার ছেলেরা কোথা থেকে কোথায় আসতেন?