নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

তুমি কেমন করে গান করো হে গুনী, আমি অবাক হয়ে শুনি, কেবল শুনি ।।

ঠাকুরমাহমুদ

sometimes blue sometimes white sometimes black even red, even golden ! yes dear - its me - i am sky ! color your life, than your life will be colorful

ঠাকুরমাহমুদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

সংবাদঃ বাজারে লেবু সঙ্কট ও তাঁর কারণ

৩০ শে মার্চ, ২০২১ রাত ৯:৫২



ভাতের সাথে লেবু পছন্দ করেন না এমন বাঙালী পাওয়া বিরল বিষয়। আর এই উষ্ণ গরমে এক গ্লাস লেবুর শরবত যে কোনো মানুষের সকল ক্লান্তি দূর করে দিতে পারে নিমিষে। একসময় গ্রাম এলাকায় প্রায় প্রতিটি বাড়িতে দুই চারটি লেবু গাছ ছিলো। গ্রামের বাড়ির লেবুর মধ্য অন্যতম ছিলো কাগজি লেবু আর বাতাবি লেবু। কারোও কারোও বাড়িতে এলাচি লেবুর গাছও ছিলো। যার ফলে বাড়ি ঘরের প্রয়োজন সহ মেহমান আপ্যায়নে বাড়ির লেবুই যথেষ্ট ছিলো। জনসংখ্যা বাড়ার সাথে সাথে বেড়েছে বাড়িঘর দালানকোঠা আর নির্বিচারে কাটা পরেছে ফলের গাছ, ঔষধি গাছ সহ পরিবেশ বান্ধব মমতাময়ী বিশাল বিশাল বৃক্ষ।

বৃক্ষ নিধনের পাশাপাশি জীবন ও জীবিকার প্রয়োজনে লেবু চাষ শুরু হয়েছে, বলতে হবে বেশ ভালোভাবেই চাষ হচ্ছে। বর্তমানে বাংলাদেশে যে লেবুগুলো পাওয়া যাচ্ছে তার মধ্য অন্যতম হচ্ছে “কাগজি লেবু, বারি জাত কাগজি লেবু, বাতাবি লেবু, সিলেটি লেবু (পাহাড়ি লেবু নামে পরিচিত) পাতিলেবু, শরবতি লেবু, এলাচি লেবু, কলম্বো লেবু” এবং বিদেশী জাতের লেবুর মধ্যে আছে “জামির লেবু বা জারা লেবু, ও বর্মা লেবু”। জারা লেবুর জাতটি সিলেটে যদিও তবে এটির মূল আবাসভূমি আসাম। সিলেটের যে কোনো বাজার থেকে শুরু করে দরগাহ গেটের সামনে ফেরি করে জারা লেবু বিক্রয় হয়। বর্মা জাতের লেবু বাংলাদেশে আসার অন্যতম কারণ বৃটিশ শাসনামলে বাংলাদেশের প্রচুর লোকজন বার্মাতে ব্যবসা ও চাকরি করতেন। সে সুবাদে বর্মা লেবুর আগমন ঘটে বাংলাদেশে। আর কলম্বো লেবুর নামে অনেকে হয়তো ভাবতে পারেন এটি শ্রীলংকান জাতের তাই এর নাম কলম্বো লেবু! আসলে তা নয়। কলম্বো লেবুর নামকরণের কারণ এটি কলম করে তৈরি করা হাইব্রিড জাতিয় লেবুর একটি জাত উৎপাদন করা হয়েছে। যার আসল মাতাপিতা “বাতাবি লেবু ও এলাচি লেবু”। আর এই কলম্বো লেবুর জাত তৈরির পেছনে আছেন আমাদের দেশের বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ময়মনসিংহ এর একদল মহান পাগলা শিক্ষক ও তাঁদের একদল ছাত্রছাত্রী (এরাই আমাদের দেশের সম্পদ)। বাতাবি লেবু ফলন কম হওয়ার কারণে বাতাবি লেবু বানিজ্যিকভাবে চাষ করা হয় না। তবে গ্রামের বাড়িতে শখ করে বাতাবি লেবু গাছ রোপণ করে থাকেন অনেকে। দেশের মাটি পানি ও আবহাওয়া ভেদে প্রতিটি লেবুর এলাকা ভেদে আকারে রঙে ও স্বাদে ভিন্নতা আছে।

লেবু সঙ্কট ও তাঁর কারণঃ আপনারা হয়তো লক্ষ্য করেছেন বর্তমানে সমগ্র বাংলাদেশে লেবু সঙ্কট দেখা দিয়েছে। বাজারে যে সকল লেবু আছে তাতে রস বলতেই নেই বা শুকনো মনে হবে এমন কিছু। মূল সমস্যা হচ্ছে বৃষ্টি। এ বছর শীত সিজন শেষে এখন পর্যন্ত পর্যাপ্ত পরিমাণ দূরের কথা! নূন্যতম বা যতোটুকু বৃষ্টি না হলেই না তেমন কোনো বৃষ্টি আমরা পাইনি। আর লেবু চাষ হয় সাধারণত অসমতল জমিতে যেখানে সেচের ব্যবস্থা করা মোটামোটি ব্যায় সাপেক্ষ। তারপরও আমরা যারা লেবু চাষের সাথে কমবেশী সম্পৃক্ত আছি - লেবু ক্ষেতে ও লেবু বাগানে টিউবওয়েলে মটরপাম্প ফিট করে রাবার পাইপ দিয়ে পানি সরবরাহ করে যাচ্ছি। তাতে করে গাছগুলো বেঁচে থাকার জন্য, জীবনের জন্য সামান্য পানি পেয়ে যাচ্ছে মাত্র। আর এই পানির অভাবে বিশেষকরে বৃষ্টির পানির অভাবে লেবু এখনও রসালো হয়ে উঠতে পারেনি। লেবুর জমি সাধারণত ধানের জমি থেকে বেশ দূরে ও অসমতল হওয়াতে পানির ব্যবস্থা করা দূরহ ও ব্যয়বহুল ব্যাপারও বটে। আশা করছি আগামী কয়েক দিনের মধ্য বৃষ্টি হবে তাতে করে বৃষ্টির পাঁচ থেকে সাত দিনের মধ্য লেবু রসালো হয়ে যাবে এবং পুরোদমে চাহিদা অনুযায়ী মানসম্মত ও পর্যাপ্ত পরিমাণ লেবু বাজারে সরবরাহ হতে থাকবে।

রপ্তানি খাতঃ বর্তমানে বাংলাদেশে লেবু একটি রপ্তানি পণ্য। আশার বিষয় বাংলাদেশ থেকে প্রচুর লেবু মধ্যপ্রাচ্য, যুক্তরাজ্যে সহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশে বেশ সুনামের সাথে রপ্তানি হচ্ছে।

লেবুর তৈলঃ বাংলাদেশে লেবু থেকে তৈল তৈরির প্রক্রিয়া এখনো বানিজ্যিকভাবে শুরু হয়নি। আশা করছি অদূর ভবিষ্যতে লেবুর বাকল থেকে অত্যন্ত প্রয়োজনীয় ও মূল্যবান এই তৈল তৈরি হবে যা ঔষধি গুণে ও মানে ভরপুর। ঔষধ, সাবান, বেকারি পেস্ট্রি এবং অন্যান্য সুগন্ধি প্রসাধনী তৈরিতেও সুগন্ধি উপাদান হিসেবে ব্যবহার করা হয়ে থাকে লেবুর তৈল।



রেসিপিঃ সামান্য পরিমাণ লেবু পাতা, লেবুর বাকল যে কোনো মাছের তরকারি ও মাংসের তরকারিতে খুব মজাদার স্বাদ তৈরি করতে সাহায্যে করে। তাছাড়া পাকা পেপের ফালিতে সামান্য লেবুর রস দিলে পেপে খাবারের স্বাদ মনে রাখার মতো।

উপসংহার ও আত্মকথাঃ গাছ অক্সিজেন হিসেবে শুধু মানুষের জীবন দানই করে না, জীবন জীবিকার জন্য বানিজ্যিকভাবে সহযোগিতা ছাড়াও আপনার বাড়ির বিছানার পাশের জানালার কাছে যদি একটি লেবু গাছ থাকে রাতে আপনার ঘুম হবে খুবই আরামদায়ক ও শান্তিময় (এটি পরিক্ষিত সত্য)। ***বুদ্ধিমান ব্লগারগণের কাছে প্রশ্ন থাকবে লেবু গাছ জানালার পাশে থাকলে ভালো ঘুম হবার কারণ কি?


ছবিঃ লেবুর রস দিয়ে পেপে খাবারে অতুলনীয় স্বাদ

কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ সামহোয়্যারইন ব্লগ। নির্বাচিত পোষ্টে “উক্ত লেখাটি” স্থান দেওয়াতে সামহোয়্যারইন ব্লগ কর্তৃপক্ষকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।








মন্তব্য ৬০ টি রেটিং +১৩/-০

মন্তব্য (৬০) মন্তব্য লিখুন

১| ৩০ শে মার্চ, ২০২১ রাত ১০:০২

শাহ আজিজ বলেছেন: আমার খাদ্য পুষ্টি বিশেষজ্ঞ বললেন লেবু চটকে ভাতের সাথে আগে মেখে নেবেন । আহা কি দুর্দান্ত স্বাদ হয় ভাত আর তরকারির । আজ রাতে পেপে খাব লেবুর রস দিয়ে , ভাল বুদ্ধি দিয়েছেন । লেবু গাছ ৬০এর দশকে বাঙালি গৃহস্থ বাড়ির অপরিহার্য অংগ ছিল । কাল আবার লেবু কিনতে হবে , লেবু শেষ প্রায় ।

৩০ শে মার্চ, ২০২১ রাত ১০:৫৪

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:



গ্রামের বাড়িতে লেবু গাছ, হুলুদ গাছ, আদা গাছ, মরিচ গাছ খুবই প্রয়োজনীয় হিসেবে রোপণ হতো তখনকার সময়ে। লেবুর জন্য কেউ বাজারে দৌড় দিয়েছে এটি ভাবাই যায় না। বরং নিজের গাছে কচি লেবু হলে পাশের বাড়িতে চাইলেই পাঁকা পোক্ত লেবু নিজ হাতে নিয়ে নেওয়া যেতো।

আপনি কচু শাক, কচু, কচুর মুখি খান কিনা জানিনা, কচুর মুখির ঝোলের সাথে লেবুর রস মেখে সাদা ভাত অমৃতসম স্বাদ।


২| ৩০ শে মার্চ, ২০২১ রাত ১০:১৫

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: লেবুর ব্যাপারে মহাজ্ঞানী গুগলের কাছ থেকে ৬ টা কারণ জানতে পারলাম যা আমাদের ঘুমের জন্য অনুকুল। অনিদ্রার ক্ষেত্রে মনে হয় এই থিউরি কাজ করবে না। ঘুমানোর পরে লেবুর কার্যকারিতা শুরু হয় মনে হয়। লেবুর ভিতর এসিড থাকে এটাই আমাকে বিস্মিত করে। আমাদের পেটের মধ্যেও এসিড থাকে। এটা আরও বিস্ময়কর। সব সময় এসিড সাথে নিয়ে ঘুরছি।

৩০ শে মার্চ, ২০২১ রাত ১১:০০

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




যাদের এসিডিটি সমস্যা আছে তাদের জন্যতো অবশ্যই সমস্যা তবে যারা এসিডিটি মুক্ত তাদের জন্য লেবু একটি মহৌষধ। লেবু পাতা ও লেবু ফুলের ঘ্রাণে খুব ভালো ঘুম হয়। (এটি পরিক্ষিত সত্য) গত এক বছর দেশের জনগণ সহ সমগ্র বিশ্বের মানুষ কি পরিমান লেবুর রস (সরবতের সাথে, চায়ের সাথে) পান করেছেন তা হিসাব করে কূল-কিনারা করা সম্ভব না।

আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।

৩| ৩০ শে মার্চ, ২০২১ রাত ১০:২৩

ইসিয়াক বলেছেন: লেবুর সাতকাহন ভালো লাগলো।

৩০ শে মার্চ, ২০২১ রাত ১১:০৪

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




আমি বেশ কিছু ঝামেলাতে ছিলাম। কোল্ড স্টোরেজের ব্যবস্থা করতে না পারায় টমেটো অনেক কম মূল্যে বাজারে ছেড়ে দিতে হয়েছে। তারপরও আশার বাণী দেশের মানুষ এবার ৭ - ১০ টাকা কিলো টমেটো খেতে পেরেছেন।

বৃষ্টি হলেই মনের মতো মানসম্মত লেবু বাজারে পেয়ে যাবেন।

৪| ৩০ শে মার্চ, ২০২১ রাত ১০:২৪

নেওয়াজ আলি বলেছেন: ছোট লেবু আর পুদিনা পাতা দিয়ে জুস বানিয়ে খেলে উপকার হয়। আমি লেবু চা পান করি কারণ ডায়াবেটিসের উপকার নাকি

৩০ শে মার্চ, ২০২১ রাত ১১:০৬

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




আপনার এসিডিটি সমস্যা না থাকলে লেবুর রস সরবত চা যেমন ইচ্ছা পান করতে পারেন তারপরও চিকিৎসক বা পুষ্টি বিশেষজ্ঞদের সাথে কথা বলে নিতে পারলে ভালো।

আশা করছি আগামী কয়েকদিনের মধ্য বৃষ্টি হবে। বৃষ্টি হলেই মনের মতো মানসম্মত লেবু বাজারে পেয়ে যাবেন।

৫| ৩০ শে মার্চ, ২০২১ রাত ১০:২৫

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: কিছু দিন আগ থেকে হঠাত করেই দেখলাম লেবু বিশাল দামি জিনিস হয়ে গেছে। তবে দাম দিয়ে কিনলেও কাঙ্খিত রস কিন্তু কম।

৩০ শে মার্চ, ২০২১ রাত ১১:০৮

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




গত এক বছর দেশের জনগণ সহ সমগ্র বিশ্বের মানুষ কি পরিমান লেবুর রস (সরবতের সাথে, চায়ের সাথে) পান করেছেন তা হিসাব করে কূল-কিনারা করা সম্ভব না। শীত যাবার পর এখন পর্যন্ত আমরা বৃষ্টির নাগাল পাইনি তাই লেবু (রস বিহীন) চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে।

আশা করছি আগামী কয়েকদিনের মধ্য বৃষ্টি হবে। বৃষ্টি হলেই মনের মতো মানসম্মত লেবু বাজারে পেয়ে যাবেন।

৬| ৩০ শে মার্চ, ২০২১ রাত ১০:২৯

শাহ আজিজ বলেছেন: পাকা পেপের সাথে লেবুর রস অসাধারন । খাচ্ছি এখন । এখন প্রতিদিনের পেপেতে লেবুর রস দেব । পেপে আমার ঘুমের আগের স্নাক্স ।

৩০ শে মার্চ, ২০২১ রাত ১১:১২

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




আমি তামিল নাডুতে প্রথম দেখি পাকা পেপের সাথে লেবুর রস দিয়ে খেতে। নিজে খেয়ে বুঝতে পারি অসাধারণ স্বাদ। তামিল নাডুর মানুষ দেখতে ভয়ংকর মনে হলেও তাদের মন মোমের মতো নরম দেখেছি। পেপে আমারও খুব প্রিয় ফল।

আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাই।

৭| ৩০ শে মার্চ, ২০২১ রাত ১০:৪৬

রাজীব নুর বলেছেন: সেদিন এক ডজন লেবু কিনেছি, ৬০ টাকা দিয়ে। তাও লেবু গুলো ভালো হয়নি।
অন্য সময় এক ডজন কিনি ২৫ টাকা দিয়ে।

৩০ শে মার্চ, ২০২১ রাত ১১:১৯

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




সমগ্র বাংলাদেশে এখন লেবু সঙ্কট চলছে আর তার অন্যতম কারণ বৃষ্টি। আশা করছি আগামী কয়েকদিনের মধ্য বৃষ্টি হবে। বৃষ্টি হলেই মনের মতো মানসম্মত লেবু বাজারে পেয়ে যাবেন। আর পর্যাপ্ত পরিমাণ বৃষ্টি হলে আশা করছি রমজান মাসে লেবুর দাম পরে যাবে।

আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।

৮| ৩০ শে মার্চ, ২০২১ রাত ১১:০১

চাঁদগাজী বলেছেন:



দেশে লেবুর হালির গড় মুল্য কত? কলমের গাছে কত সয়ের মাঝে লেবু দেয়?

৩০ শে মার্চ, ২০২১ রাত ১১:৩২

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




দেশে লেবুর সিজনে লেবু ভেদে খুচরা বাজারের মূল্য।

বাতাবি লেবু = ১০০ - ১২০ টাকা হালি
কলম্বো লেবু = ৬০ - ৮০ টাকা হালি (বড়)
কলম্বো লেবু = ৩০ - ৪০ টাকা হালি (মাঝারি)
এলাচি লেবু = ২০ - ৩০ টাকা হালি
কাগজি লেবু = ২০ - ৩০ টাকা হালি
বারি জাত কাগজি লেবু = ১০ - ১২ টাকা হালি
সিলেটি লেবু/পাহাড়ি লেবু = ১০ - ১২ টাকা হালি

এছাড়া বৃষ্টি বাদলা ও ডাউন সিজনে সিলেটি ও পাহাড়ি লেবু ১০ টাকায় দুই হালি পাওয়া যায়। লেবু গাছে ফলন আসে সাধারণত ছয় মাস থেকে নয় মাসে। এবং একটি পূর্ণ বয়স্ক লেবু গাছে (দুই বছর বয়স) সিজনে ১৫০-২০০ লেবু ধরে।


৯| ৩০ শে মার্চ, ২০২১ রাত ১১:০৮

শাহ আজিজ বলেছেন: আপনি কচু শাক, কচু, কচুর মুখি খান কিনা জানিনা, কচুর মুখির ঝোলের সাথে লেবুর রস মেখে সাদা ভাত অমৃতসম স্বাদ।

এসব ছোটবেলা থেকেই খাই । কচুর মুখি ভর্তা দারুন , পাতার শিল পাটায় ভর্তা । কচুর সব খাই তবে -------------- একা ।

৩০ শে মার্চ, ২০২১ রাত ১১:৫৩

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




শাহ আজিজ ভাই, আমি নিরামিষভোজী মানুষ। পাট শাক, সজনে পাতা থেকে শুরু করে খাবার যোগ্য সকল শাক সবজি আমি খাই। আর কচু আমার খুবই প্রিয়। পার্বত্য চট্টগ্রাম এলাকায় কচুর ওল পাওয়া যায়। এই কচুর ওল আর মুখি খেলে আজীবন মনে থাকে এতোটাই স্বাদ।

সমগ্র বাংলাদেশে এখন লেবু সঙ্কট চলছে আর তার অন্যতম কারণ বৃষ্টি। আশা করছি আগামী কয়েকদিনের মধ্য বৃষ্টি হবে। বৃষ্টি হলেই মনের মতো মানসম্মত লেবু বাজারে পেয়ে যাবেন। আর পর্যাপ্ত পরিমাণ বৃষ্টি হলে আশা করছি রমজান মাসে লেবুর দাম পরে যাবে।

আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাই। শুভেচ্ছা নেবেন।


১০| ৩১ শে মার্চ, ২০২১ রাত ১:০৫

ওমেরা বলেছেন: আমার দুইটা লেবু গাছ আছে কিন্ত এখনো লেবু ধরেনি ।
লেবু কথন ভালো লাগলো ।

৩১ শে মার্চ, ২০২১ রাত ১:২৩

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




লেবু গাছ খুবই উপকারী। শুধু ভাতের সাথে খাবারের জন্য নয়, লেবু গাছের পাতা লেবুর বাকল আপনি মাছ মাংসের তরকারিতে দিতে পারেন তাতে তরকারিতে স্বাদ ও ঘ্রাণ ভালো হয়। আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।

১১| ৩১ শে মার্চ, ২০২১ রাত ৩:১২

রোকসানা লেইস বলেছেন: অনেক লেবুর নাম দেখলাম। আমার প্রিয় একটা লেবু আছে ঠিক নাম জানি না। খুব সুন্দর ঘ্রাণ। আমি বলি গন্ধ লেবু। চামড়াটা একটু মোটা বেশ বড় সাইজ হয়। আমিত চামড়ও খেয়ে ফেলি।
দেশে যখন ঢাকায় ছিলাম তখন এই লেবুটার সাথে পরিচয়। বাতাবি বা কাগজী নাকি খুব বিখ্যাত আমার তেমন পছন্দ না। বাড়ি থাকতে আমাদের গাছের লেবু খেতাম। কেনা লাগত না।
গরম কালে বিদেশের বাংলা দোকানে পাওয়া যায় এই গন্ধলেবু। কিন্তু দাম রাখে আকাশ চুম্বি । আগে বিচি পেতাম লেবুর ভিতর।অনেক কয়টা গাছ করেছিলাম বেশ বড় হয়ে ছিল। কিন্তু আমি দেশে গেলে অযত্নে আর ঠাণ্ডায় ঘরে থেকেও গাছগুলো মরে গেলো। সে এক বিশাল দুঃখ। আর তিনচার বছর হলে, মানে এখন হয়তো ফল ধরত বেঁচে থাকলে। শুধু বিচি পাওয়ার জন্য লেবু কিনতে যাই বাংলা দোকানে কিন্তু এখন বিচি পাইনা আর বেশ বড় লেবুর ভিতরও।
আপনার কি নাম জানা আছে সে লেবুর । সঠিক নামটা জানাবেন।

৩১ শে মার্চ, ২০২১ ভোর ৪:৪৭

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




বোনরে, আপনার লেবুটির নাম জারা লেবু। কাগজি লেবু বাদে মোটামোটি সকল লেবুর বাকল খাওয়া যায় তবে জারা লেবুর বাকল ভাতের সাথে রুটির সাথে খেতে বেশ স্বাদ ও ভালো লাগে। জারা লেবুতে একটি আলাদা ঘ্রাণ আছে যা মনে টানে। ডাইনিং টেবিলের এক কোনেও যদি জারা লেবু কেটে রাখা হয় ঘ্রাণে মনে হবে এই লেবু খেতেই হবে।

জারা লেবুতে সাধারণত দুই থেকে চারটি বিচি হয় আবার কিছু কিছু জারা লেবুতে বিচি থাকে না, প্রাকৃতিকভাবেই সিডলেস। জারা লেবুর জাতটি সিলেটে যদিও তবে এটির মূল আবাসভূমি আসাম। সিলেটের যে কোনো বাজার থেকে শুরু করে দরগাহ গেটের সামনে ফেরি করে জারা লেবু বিক্রয় হয়।

শখের গাছের মৃত্যু মানা যায় না। আমি মানুষকে যতোটা ভালোবাসি গাছকেও ততোটা।
শুভ কামনা রইলো।



১২| ৩১ শে মার্চ, ২০২১ রাত ৩:৩১

অনল চৌধুরী বলেছেন: আমি গত ১২ বছর ধরে নিয়মিত রাতের খাবারের পর গরম পানিরে সাথে লেবুৃর রস খাই।
এর ফলে কিডনি ভালো থাকে আর ঠান্ডার সমস্যাও নিয়ন্ত্রনে থাকে।

৩১ শে মার্চ, ২০২১ ভোর ৪:৫৬

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




আপনার মূল্যবান তথ্য আমার মনে থাকবে আমিও এখন থেকে এভাবে লেবু পানি খাবো অবশ্যই। আমি নিরামিষভোজী মানুষ তাই আমার এসিডিটি সমস্যা নেই এবং এ কারণে লেবু যতোই খাই তাতে আমার সমস্যা নেই বরং উপকার আছে।


১৩| ৩১ শে মার্চ, ২০২১ ভোর ৬:২৩

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:

প্রতিটি বাড়িতে লেবুর গাছ লাগানো ও পরিচর্যা করা দরকার।
লেবু এমন একটা জিনিস যা কিনে খাওয়ার কোন দরকারই পরে না।
প্রচুর লেবু ঘরে ঘরে উৎপাদন করা সম্ভব।

৩১ শে মার্চ, ২০২১ রাত ৯:৪২

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




দেশে কৃষি কাজের প্রতি আগ্রহী লোকজনের ব্যাপক অভাব। এটি লিখে বোঝানো মুশকিল। আপনি প্রবাসে আছেন বাংলাদেশী লোকজনের কাজের প্রতি অবহেলা সম্পর্কে আপনি ভালো জানেন। যাই হোক একবার কৃষিকাজের প্রতি আগ্রহী করে তুলতে পারলে বাংলাদেশে খাদ্যপণ্যতে আর সমস্যা থাকতো না।

১৪| ৩১ শে মার্চ, ২০২১ ভোর ৬:২৪

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:


মালয়েশিয়াতে এখন প্রতি কেজি লেবু ৯/১০ রিঙ্গিতে পাওয়া যায়। মাঝে মাঝে আরো কমেও পাওয়া যায়।

৩১ শে মার্চ, ২০২১ রাত ৯:৩৯

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




আশা করছি করোনা প্রকোপ যদি কোনো দিন শেষ হয় তাহলে থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া, চীন থেকে পাকা লেবু দেশে নিয়ে আসবো বিচি থেকে গাছের চারার ব্যবস্থা। কারণ আস্ত চারা বা কলম করা ডাল আনা সম্ভব না। এটি সরকারিভাবে নিষিদ্ধ তবে ফল আনতে মানা নেই।

ভাই আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।

১৫| ৩১ শে মার্চ, ২০২১ ভোর ৬:৪৪

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:



তথ্যমুলক লেবু কথন সুন্দর হয়েছে । লেবুর উপকারীতার কোন সীমা পরিসীমা নেই ।
লেবুর পাতা , লেবুর রস , লেবুর খোসা সবই উপকারী । এই করোনাকালীন সময়ে
লেবু ও লেবুর সরবতের চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় লেবুর চাষ আর টাকার গাছ লাগানো
সমান কথা । দোয়া করি অচিরেই বৃস্টি হয়ে রসালো লেবুর ফলন বৃদ্ধি পাক ।

নরসিংদি ও গাজীপুরের ভাউয়াল এলাকায় এক ধরনের লেবু জন্মে যা স্বাদে গন্ধে অতুলনীয় ।
আমার কাছে সেই লেবুটি খুবই প্রিয় ।

মনে পড়ে বাল্যকালে আমাদের বাড়ীর পিছনে থাকা লেবু বাগানে
মাটির সাথে লেগে থাকা শিকর গজানো শত শত লেবুর ডাল গ্রামে যাদের বাড়ীতে লেবু গাছ নেই
তাদের বাড়ীতে গিয়ে সুবিধামত জায়গায় লাগিয়ে দিয়ে আসতাম । বছর দুয়েক পরে সেগুলি
বড় হয়ে লেবু ফলত , তা দেখে আমার যে কি আনন্দ হতো । আমার দাদাজান এ কাজে
আমাকে খুবই উৎসাহ দিতেন । মানুষের বাড়ীতে গিয়ে লেবুর চাড়াগাছ লাগিয়ে দেয়ার জন্য
চাড়া প্রতি তিনি দুই পয়সা দিতেন । সে সময় চারকোনা দুই পয়সার এলুমনিয়ামের কয়েন
বাজারে প্রচলিত ছিল । দুই পয়সা দিয়ে সে সময় হাফ পেন্টের দুই পকেট ভর্তি বাদাম
বাজা কিনা যেতো । মানুষের বাড়ীতে লেবুর চাড়া লাগিয়ে বিনিময়ে দাদার কাছ হতে
পাওয়া দু পয়সা দিয়ে বাদাম খাওয়ার মঝার কথা মনে পড়ে গেল আপনার লেবুর পোষ্ট
পাঠে ,আহা সেই দিন গুলিতে যদি ফিরে যেতে পারতাম ।

এ প্রসঙ্গে লেমন পিকলের কথাও মনে পড়ে গেল ।
আমাদের দেশের বাড়ীতে একটি লেবু গাছে সারা বছরই ছোট গোলাকার প্রায় হাজার
খানেক লেবু ধরত । সারা গায়ের মানুষ সে লেবু খেয়ে শেষ করতে পারতনা । ঐ লেবু
ছিল খুবই রসালো ও টক । আমার মা ঐ লেবুকে পাটায় ঘসে উপরের সবুজ অংশ তুলে
নিয়ে কাচের বয়মে ভরে রোদে শুকিয়ে তার পর জামির বা নারীকেলী লেবুর ( প্রতিটি
জামির লেবুর ওজন প্রায় আধা কেজির মত ছিল ) রস দিয়ে বয়মে সংরক্ষন করে রাখতেন ।
এখন বাজারে বিভিন্ন ধরনের লেমন পিকল পাওয়া যায় তবে সে সময় মায়ের হাতে তৈরী
ঐ লেমন পিকলের মত স্বাদ আর কোনটাতেই এখনো পায়নি ।
সেই বড় আকারের জামির বা নারিকেলি লেবু এখন দেশে সচরাচর দেখা যায়না ।
বছর কয়েক আগে ঈডেন গার্ডেনে নীচের মত বড় নারিকেলী লেবু দেখতে পাওয়া গেছে
যার এক একটির ওজন প্রায় আড়াই কেজির মত । তবে এর চামড়া মোটা রস কম ।
নারিকেলী লেবুর ছবি ।

বাংলাদেশে জন্মায় এমন অনেক লেবুর জাতের কথাই পোষ্টে উঠে এসেছে ।
সবগুলির সাথেই মোটামুটি পরিচয় আছে । তারপরেও লেবুর জাতের কোন শেষ নেই ।
ফ্রান্সের Val Rahmeh botanical gardenএ আঙুলযুক্ত
অস্বাভাবিক আকারের একটি লেবু প্রজাতি দেখা গেছে যার ফলগুলি আঙুলের
মতো অংশে বিভক্ত । এটাকে নাকি বুদ্ধের উপস্থাপনায় দেখা যায় । এটিকে তাই
চীনা, জাপানি, কোরিয়ান এবং ফরাসি ভাষায় বুদ্ধের হাত বলা হয়।


লেবু নিয়ে রচিত মুল্যবান পোষ্টটি প্রিয়তে গেল ।

লেবুর রস মাখিয়ে পাকা পেপে খাওয়ার ইচ্ছা রাখি ।

শুভেচ্ছা রইল ।

০১ লা এপ্রিল, ২০২১ রাত ১২:০৩

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




ডঃ এম এ আলী ভাই,
আমার সালাম নেবেন। আমার সৌভাগ্য আমার জীবনে আমি লেখালেখির পাশে আপনার মতো একজনকে পেয়েছি। যার সাথে মজাদার স্মৃতিকথা স্মরণ করতে পারি। অতীতের সুখ দুঃখের গল্প করতে পারি।



ভাই সাহেব, আপনি আম্মার কথা বলেছেন তিনি বাড়ির ছোট ছোট আকারের লেবু পাটায় ছিলে আচার দিতেন বাড়িতে তিনি লেবুর রসের ভিনেগার তৈরি করতেন। এই লেবু এখন বাংলাদেশে বিরল পর্যায়ে আছে তার কারণ ব্যাখ্যা করছি - লেবু গাছ অতি বৃষ্টি জলাবদ্ধতা ও বন্যার পানিতে বাঁচতে পারে না, খুব সম্ভব এমন কিছু কারণে বাড়ির লেবু গাছটি মারা গিয়ে থাকতে পারে। এটির নাম ছিলো “করমচা লেবু” করমচার মতো টক আর আকারেও একই রকম ছোট ছোট হওয়ার কারণে এই লেবুর নামকরণ। ইংরেজীতে Key Lime নামে পরিচিত। ভাইসাহেব এই লেবুর বাড়ি সাউথইস্ট এশিয়া তথা বার্মা, মালয়েশিয়া, চীন ও জাপান এছাড়া পশ্চিমের দেশেও পাওয়া যায়। এই লেবু কিভাবে বাংলাদেশে এসেছিলো আর কিভাবে আমাদের বাড়িতে এর ফলন তা আসলেই এক মহা রহস্য। আপনি করমচা লেবুর কথা না বললে আমার মনেই পড়তো না এই লেবু এক সময় আমাদের দেশেও ছিলো যা এখন বিলুপ্ত প্রায়।

নারকেলি লেবু ও জামির বা জারা লেবুর আকার আগের মতো এতো বড় এখন সচরাচর দেখা যায় না, পাওয়াও যায় না। তবে সিলেট দরগাহ গেটে বিশেষ করে শুক্রবার আপনি জারা লেবু পাবেন মনে রাখার মতো বড় বড় সাইজ। লেবু সহ যে কোনো ফল পানি, আবহাওয়া ও মাটির কারণে স্থানভেদে ভিন্ন ভিন্ন স্বাদ গন্ধ হয়। আপনি গাজিপুর ও ভাওয়াল অঞ্চলের যে লেবুর কথা বলেছেন এগুলোও জামির/জারা লেবু শুধু মাটির কারণে স্বাদ ভিন্ন হয়েছে।

ছোট বেলায় পায়ে কাঁটা জাতিয় কিছু বিধলে আম্মা লেবু কাটা কুপির আগুনে সামান্য পুড়ে পা থেকে সেই কাঁটা উদ্ধার করতেন। লেবু পাতা পকেটে রাখতাম সুঘ্রাণের জন্য। ভাই সাজেব সময় চলে যায় অতীত কখনো ফিরে আসে না - ফিরে আসারও নয় তবে অতীত মনে করে ভালো লাগে মন খারাপও লাগে। সময় কতো দ্রুত চলে যায় - অথচ মনে হয় এই তো সেদিনের কথা মাত্র।

অনেক অনেক ভালোবাসা সহ দোয়া নেবেন। পোস্টটি প্রিয়তে রেখেছেন জেনে কৃতজ্ঞতা স্বীকার করছি। ভালো থাকুন।



১৬| ৩১ শে মার্চ, ২০২১ সকাল ১১:০৭

পুলক ঢালী বলেছেন: আমাদের দেশের বাড়ীতে অনেক লেবু গাছ ছিলো ওগুলো এখন মিস করি।
একটা লেবু ছিলো ছোলা অনেক মোটা সুন্দর গন্ধ। আমরা কাঁচা মরিচ চিবিয়ে খাওয়ার মত করে ঐ লেবু ছোলা সহ ভাতের সাথে চিবিয়ে খেতাম, নাম ছিলো গোড়া লেবু ওটার পোষাকি নাম কি জানিনা, আপনার জানা থাকলে জানাবেন।
আপনার লেবু কথন বেশ ভাল লাগলো বৃষ্টির অভাবে যে এই দুর্ভোগ তা জানা ছিলোনা।
সুযোগ পেলে পেঁপে+লেবু ট্রাই করবো।
বাজারে একদিন দেখি এক হালি ১০০ টাকা তাও আবার শুটকা, এখন ৬০ টাকা, এত দামী শুটকা লেবু কেনার মত সামর্থ নেই। ৩০ টাকায় নামলে ভাবছি লেবু খাওয়া শুরু করবো :D
ড: আলী ভাই অনন্য, ওনার দেওয়া বুদ্ধের হাতের ছবি দেখে প্রথমে ভেবেছিলুম বেলুম্বু পরে দেখি না এটা অনেকটা ফুলের মত।
পৃথিবীতে কত কিই না আছে আমরা আর কতটুকুই বা জানি !!
ভাল থাকুন ঠাকুর ভাই।

০১ লা এপ্রিল, ২০২১ রাত ১২:৪৩

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




পুলক ঢালী ভাই,
লেবু নিয়ে পোস্ট দিয়ে আমি বুঝতে পারছি সবাই জারা লেবু খুব ভালোবাসেন। আপনার প্রিয় লেবুটির নাম “জারা লেবু”। জারা লেবু জাতের মধ্য সবচেয়ে উত্তম জারা লেবু পাবেন সিলেট অঞ্চলে। কখনো সিলেট বেড়াতে গেলে দরগাহ গেটে আপনি আপনার পছন্দের লেবুটি পেয়ে যাবেন। নিজে দুই চারটি নেবেন এবং উপহার দেওয়ার জন্যও জারা লেবু বিশেষ উপহার হিসেবে বিবেচ্য। যাকে দেবেন সে আপনাকে লেবুর কারণেই মনে রাখবেন দীর্ঘদিন।


ছবিঃ - Calamansi Lime

The Association of Southeast Asian Nations (ASEAN) Brunei, Cambodia, Indonesia, Laos, Malaysia, Myanmar, Philippines, Thailand, Vietnam. দেশগুলোতে কালামানষি লেবু নামের ছোট ছোট লেবু গ্রামের আঞ্চলিক বাজারগুলোতে পাওয়া যায়। এই লেবুর স্বাদ টকমিষ্টি। শরবতের জন্য যেমন মজা তেমনি আপনি শুধু লেবু দিয়ে পোলাও খেতে পারবেন সাথে কোনো তরকারি বা সালাদের প্রয়োজন হবে না।

সমগ্র বাংলাদেশে এখন লেবু সঙ্কট চলছে আর তার অন্যতম কারণ বৃষ্টি। আশা করছি আগামী কয়েকদিনের মধ্য বৃষ্টি হবে। বৃষ্টি হলেই মনের মতো মানসম্মত লেবু বাজারে পেয়ে যাবেন। আর পর্যাপ্ত পরিমাণ বৃষ্টি হলে আশা করছি রমজান মাসে লেবুর দাম পরে যাবে।

আপনাকেও অনেক অনেক ধন্যবাদ। ভালো থাকুন ঢালী ভাই।


১৭| ৩১ শে মার্চ, ২০২১ সকাল ১১:৩৩

নীল আকাশ বলেছেন: লেবুর এখন আকাশচুম্বী দাম। ক্রয় ক্ষমতার অনেকেরই বাইরে চলে গেছে।

০১ লা এপ্রিল, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৫১

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




আমাদের দেশে যে পরিমাণ গরম পরছে দিনকে দিন এর কারণ ও ব্যাখা আমরা কোনোদিন সঠিকভাবে কোনো পক্ষ থেকে জানতে পারছি না। আর গরমের সাথে পাল্লা দিয়ে আমাদের দেশে খাদ্যশষ্য ফসল কি পরিমাণ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে তা নজির বিহীন। যাইহোক দেশে অনাবৃষ্টিতে লেবুর বর্তমান অবস্থা বলা বাহুল্য যে ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে। গতকাল ও আজ সন্ধ্যায় আকাশর অন্ধকার ছিলোেএবং বৃষ্টি হবে এমন একটি প্রভাবও মনে হচ্ছিলো।

- আশা করছি আগামী কয়েকদিনের মধ্য বৃষ্টি হবে। বৃষ্টি হলেই মনের মতো মানসম্মত লেবু বাজারে পেয়ে যাবেন। আর পর্যাপ্ত পরিমাণ বৃষ্টি হলে আশা করছি রমজান মাসে লেবুর দাম পরে যাবে।

১৮| ৩১ শে মার্চ, ২০২১ সকাল ১১:৪৮

রানার ব্লগ বলেছেন: গতকাল লেবু কিনতে গিয়ে তো আক্কেল গুড়ুম হালি ৫০ টাকা।

০১ লা এপ্রিল, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:০২

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




আমাদের দেশে এই এক কষ্টের ইতিহাস। এমন এমন সময় আসে আদা গত বছর করনো লকডাউনে ৩৫০ টাকা কিলো ছিলো, কাঁচা মরিচ ছিলো ২০০ - ২৫০ টাকা কিলো। এখন লেবুর উপর এমন চাপ তৈরি হয়েছে কাঁচা শুকনো লেবু ৫০-৬০ টাকা হালি বিক্রি হয়ে যাচ্ছে বাজারে। অথচ লেবু আমাদের মূল খাদ্য নয়।

সমগ্র বাংলাদেশে এখন লেবু সঙ্কট চলছে আর তার অন্যতম কারণ বৃষ্টি। আশা করছি আগামী কয়েকদিনের মধ্য বৃষ্টি হবে। বৃষ্টি হলেই মনের মতো মানসম্মত লেবু বাজারে পেয়ে যাবেন। আর পর্যাপ্ত পরিমাণ বৃষ্টি হলে আশা করছি রমজান মাসে লেবুর দাম পরে যাবে।

আপনাকেও অনেক অনেক ধন্যবাদ।

১৯| ৩১ শে মার্চ, ২০২১ দুপুর ১:২৭

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: খাবারের সাথে লেবুর উপস্থিতি অন্যরকম একটা আবহ তৈরী করে । এর গ্রাণ এবং স্বাদ দুটাই খাবারে ভিন্নমাত্রা এনে দেয়। আর তা যদি কাগজি লেবু হয় তাহলে ত কথাই নেই।

তবে রসনাবিলাস প্রিয় বাংগালীদের জন্য আগামী কিছুদিন এ লেবু বিড়ম্ভনার কারন হয়ে দাড়াবে (কারন সামনে রোজা আর এসময় রোজার/ইফতার/শরবতের আইটেম হিসাবে লেবুর চাহিদা অনেক বেড়ে যায় ।আর চাহিদা বৃদ্ধির সুবাধে আমরা ;) সাধু'রা এর দাম বাড়িয়ে কিছুটা হলেও আর্থিক লাভের চেষ্টা করব নৈতিকতা বির্সজন দিয়ে ) । আর তারই রির্হাসেল এখন চলতেছে ।মাহে রমজানের সময় সারা দিন রোজা রেখে এক গ্লাস ঠান্ডা লেবুর শরবত রোজাদারের দেহ-মনে প্রশান্তির প্রলেপ বুলিয়ে দিবে সত্যি তবে তার দামে ক্রেতার গায়ে ফোস্কা পড়ার অবস্থা হবে যার মহড়া অলরেডি শুরু হয়ে গেছে।

০১ লা এপ্রিল, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৪৬

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




দুই বেলা ডাল ভাতের জন্য আমাকে বারবার দেশ বিদেশে যেতে হয়েছে। সমগ্র মুসলিম বিশ্বে দেখেছি রমজান মাস নিয়ে আসে শান্তি প্রশান্তি আর আমাদের দেশে নিয়ে আসে অশান্তি আর নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্যপণ্যর অগ্নিমূল্য, ভেজাল, খাদ্যে বিষ, ফরমালিন। জাতি হিসেবে আমরা বড়ই অভগা জাতি। তারপরও আশা করি - আশায় বেঁচে আছি দেশে ভালো কিছু হবে, হতেই হবে। এখনও দেশে ভালো মানুষের সংখ্যাই বেশী।

মোহামমদ কামরুজজামান ভাই আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।




২০| ৩১ শে মার্চ, ২০২১ বিকাল ৪:১৬

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
অতিরিক্ত কোন কিছুই ভালোনয,
অধিক লেবুতে সুস্বাস্থ্য নয়, হচ্ছে শরীরের ক্ষয়!
লেম্বু পানি পান করা ভােলো তবে বেশি করে
লেবুর রস পান করলে হিতে বিপরীত হতে পারে। যেমনঃ

১। অতিরিক্ত লেবুর রস অ্যাসিডিটি, বুক জ্বালা বাড়িয়ে দিতে পারে।

২। লেবুর রসের অ্যাসিড অতিরিক্ত পরিমাণে শরীরে গেলে আলসার হতে পারে।
৩। মাঝে মাঝে লেবুর রস হজমে সাহায্য করলেও বেশি খেলে অ্যাসিডিটি হতে পারে।
যার ফলে বমি বমি ভাব, পেট ব্যথার সমস্যা হতে পারে।

৪। লেবুতে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন সি থাকে, যা ইউরিনেশনের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়।
ফলে অতিরিক্ত লেবুর রস পান করলে ইউরিনেশন হতে পারে। এর ফলে ডিহাইড্রেশনের
সমস্যায় ভুগতে পারেন।

৫। বেশি মাত্রায় লেবুর রস কিডনি বা গল ব্লাডারের সমস্যা সৃষ্টি করে৷
গরম পানিতে লেবু মিলালে তা ডিটক্সিফিকেশনে সাহায্য করে কিন্তু সাথে সাথে দেখা দিতে
পারে নানা সমস্যা। যেমন, পেট ফেঁপে যাওয়া, শরীর অতিরিক্ত শুকিয়ে যাওয়া, বারবার প্রস্রাব
হওয়া ইত্যাদি। বারবার বাথরুমে যতে হয় বলে শরীরে থাকা ইলেকট্রোলাইটস ও সোডিয়াম বের
হয়ে যায়। আর চাপ পড়ে ব্লাডারে। এছাড়াও পটাসিয়ামের অভাব দেখা দিতে পারে শরীরে।

৬। দাঁতের এনামেল ক্ষয়ে যায়
অতিরিক্ত খেলে লেবুতে থাকা সাইট্রিক এসিড থেকে দাঁত ক্ষয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
দাঁতের উপর সাদা এক ধরণের স্তর পড়ে যায়। ব্রাজিলের ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অফ ডেন্টাল
এন্ড ক্র্যানোফেসিয়াল রিসার্চ (National Institute Of Dental and Craniofacial Research)
থেকে প্রকাশিত এক গবেষণাপত্রে বলা হয়েছে, সফট ড্রিংক খেলে আমাদের দাঁতের যেমন ক্ষতি হয়,
অতিরিক্ত লেবুতেও ঠিক এমন ক্ষতি হয়। রোজ সকালে উঠে যারা লেবু পানি খান তাদের দিনে অ
ন্তত দু'বার ব্রাশ করা উচিত তাহলে সাইট্রিক এসিডের প্রভাব দাঁতের উপর থেকে কমে যাবে।
দীর্ঘদিন ধরে লেবু খেলে মুখের ভেতর থাকা নরম কোষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে সেখান থেকে ফোঁড়া
বা ফুসকুড়ি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। শুধু লেবু নয়, সাইট্রিক এসিড সমৃদ্ধ যে কোনও ফল
খেলেই এমন সমস্যা দেখা দিতে পারে।

৭। উৎসেচক ভেঙে যায়
রোজ সকালে খালি পেটে লেবু-পানি খাওয়াতে আমাদের শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় উৎসেচক
পেপসিন ভেঙে যায়। পেপসিন আমাদের হজম প্রক্রিয়াতে সাহায্য করে। আর লেবুতে থাকা
সাইট্রিক এসিড এই প্রয়োজনীয় পেপসিনকে ভেঙে ক্ষতিকর এক ধরণের এনজাইম তৈরি করে।
আর এই ক্ষতিকর এনজাইম খাবারকে সঠিকভাবে হজম হতে দেয় না। আর এর কারণে বেড়ে
যায় পেপ্টিক আলসারের সম্ভাবনা। লেবু ছাড়া যে কোনও অ্যাসিড সমৃদ্ধ ফলও পেপ্টিক
আলসারের জন্য দায়ী।

৮। বমির সম্ভাবনা বাড়ায়
শরীরের জন্য ভিটামিন ‘সি’ বেশ জরুরী। কিন্তু অতিরিক্ত লেবু কখনোই ভাল নয়। লেবুর রস বেশি
খেলে অ্যাসিডের পাশাপাশি বাড়তে পারে বমিভাব। আর বারবার বমিভাবে শরীরে দেখা দিতে
পারে নানা ধরনের সমস্যা। শুধুমাত্র লেবুই নয়, যে কোনো ধরণের ডিটক্স ডায়েট ড্রিংক
থেকেও এ সমস্যা হতে পারে।

৯। আয়রনের মাত্রা বাড়ায়
রক্তে আয়রনের প্রয়োজন রয়েছে কিন্তু তা যদি অতিরিক্ত বেড়ে যায় শরীরের ক্ষতি হয় তখনই।
লেবুতে থাকা ভিটামিন ‘সি’ রক্তে আয়রনের পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়। আর এতে ক্ষতি হয়
অভ্যন্তরীণ অঙ্গের।

১০।মাইগ্রেন বাড়ায় ঃ
লেবুতে থাকা সাইট্রাস মাইগ্রেনের সমস্যা বাড়ায়। যাদের মাইগ্রেনের সমস্যা রয়েছে
তাদেরকে লেবুজাতীয় ফল না খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়।

১১। সানবার্ন হয়ঃ
লেবু খেয়ে রোদে বের হলে অনেকের শরীরে লাল র‍্যাশ দেখা যায়। লেবুতে যে অনেকের
অ্যালার্জি রয়েছে এটা অনেকেই বুঝতে পারেন না। লাল র‍্যাশের পাশাপাশি শরীরে অনেক
সময় কালো ছোপও দেখা যায়। একে সানবার্ন হিসেবে জানা যায়। ডাক্তারি পরিভাষায়
এর নাম সাইটোফটোডার্মাটাইটিস। লেবুতে থাকা সাইট্রিক অ্যাসিডের সঙ্গে সূর্যালোকের
বিক্রিয়া হয়। সে বিক্রিয়াতেই সানবার্নের সমস্যা দেখা যায়। এমনকি অতিরিক্ত লেবুর
রসের কারণে স্কিন ক্যান্সারও হতে পারে।

ক্যালসিয়াম বা অন্য কোনো ওষুধের সঙ্গে লেবু বা সাইট্রিক অ্যাসিড জাতীয় কোনো ফল খাওয়া উচিত নয়।
এতে ভালোর চেয়ে খারাপ হবে বেশি। সম্প্রতি জাপানের এক সমীক্ষায় জানা যায়, ওষুধ চলাকালীন ফলের
জুস এড়িয়ে যেতে পারলে ভাল হয়। নইলে ফলের জুস আর ওষুধের বিক্রিয়ায় শরীরের ক্ষতি হতে পারে।

তাই ভালো যেনে কোন কিছুই অতিরিক্ত পান/খাওয়া যবেনা। বেশী রূপ থাকলে তা হয় অপরূপ আর অপ মানেই
খারাপ যেমন অপবাদ !!

৩১ শে মার্চ, ২০২১ রাত ১১:০৯

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




নূর মোহাম্মদ নূরু ভাই,
আপনি কি আমার পোস্ট অন্তত পক্ষে দুই চার লাইন পড়েছেন? আমার পোস্টে কোথাও কি আমি বলেছি “বেশী করে লেবু খান ভাতের উপর চাপ কমান”

পোস্টের বিষয়বস্তুঃ - বাজারে লেবু সঙ্কটের কারণ
লেবুর উপকার ও অপকার নয়! আশা করি আগামীতে পোস্ট পড়ে মন্তব্য করবেন।


২১| ৩১ শে মার্চ, ২০২১ বিকাল ৪:১৯

রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: সমগ্র বাংলাদেশে এখন লেবু সঙ্কট চলছে আর তার অন্যতম কারণ বৃষ্টি। আশা করছি আগামী কয়েকদিনের মধ্য বৃষ্টি হবে। বৃষ্টি হলেই মনের মতো মানসম্মত লেবু বাজারে পেয়ে যাবেন। আর পর্যাপ্ত পরিমাণ বৃষ্টি হলে আশা করছি রমজান মাসে লেবুর দাম পরে যাবে।
আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।

হ্যা শনিবার বৃষ্টি হবে।

০১ লা এপ্রিল, ২০২১ রাত ৮:৪০

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




বৃষ্টি বেড়ে গেলে এখনও ১০০ টাকায় শ লেবু পাওয়া যাবে। আমার প্রচুর পঁচা লেবু মাটিতে পুতে ফেলি। গতকাল ও আজ সন্ধ্যায় আকাশ অন্ধকার ছিলো, ভেবেছিলাম বৃষ্টি হবে - - -

২২| ৩১ শে মার্চ, ২০২১ বিকাল ৪:৩০

মনিরা সুলতানা বলেছেন: গতকাল আমি এ লেখায় মন্তব্য করে অফলাইনে গিয়েছিলাম :( কিন্তু মন্তব্য ই আসেনি দেখছি!

লেবুর খোসা আমার বেশ প্রিয় !! মোটামুটি বহুকিছুতেই আমি সেটা ব্যবহার করি। পোষ্টে ভালোলাগা।

০১ লা এপ্রিল, ২০২১ রাত ৯:২৬

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




আমার একজন চাচীজান ছিলেন (আল্লাহ চাচীজানকে বেহেস্ত নসীব দান করুন) তিনি পান সুপারি খাওয়ার জন্য সাথে লেবুর খোসা কমলার খোসা মসলা হিসেবে খেতেন। আমি দেশের বাইরে জর্দা পোলাও রান্নাতে সামান্য পরিমান লেবুর খোসা ও কমলার খোসা ব্যবহার দেখেছি বাংলাদেশে এর প্রয়োগ আছে কিনা আমার জানা নেই।

আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।

২৩| ৩১ শে মার্চ, ২০২১ বিকাল ৪:৫৬

মা.হাসান বলেছেন: লেবুর যা হয় হোক, বাতাবি লেবুর ফলন ভালো না হলে বিটিভির অসুবিধা হবে।

গোটা পৃথিবী জুড়েই আবহাওয়ার পাগলামি, মূল কারণ মানব সৃষ্ট। জাপানে এবছর চেরি ফোটার ক্যালেন্ডারে ১২০০ বছরের রীতির পরিবর্তন ঘটেছে।

এবছর বর্যা অস্বাভাবিক দীর্ঘায়িত ছিলো। অক্টোবরের শেষে দূর্গাপূজার সময় পর্যন্ত বৃষ্টি হয়েছে। যার কারণে জানুয়ারি এমনকি ফেব্রুয়ারিতেও রসালো লেবু পাওয়া গেছে , যা অন্যান্য বছর পাওয়া যায় না। দীর্ঘ বর্ষার কারণে এবছর স্ট্রবেরি মার্কেটে উঠেছে ফেব্রুয়ারীতে, মার্চেও পাওয়া গেছে। লেবুর মতোই, পানির কারণে খিরার মানেরও ভেদ হয়। ফেব্রুয়ারিতে ১৫টাকা কেজি খিরা কিনেছি, এখন চল্লিশ করে কিনতে হচ্ছে, কিন্তু স্বাদ কম, অনেক ক্ষেত্রেই তিতা।

গ্রামে আমার নিজের ফলের বাগানে বেড়া হিসেবে লেবু এবং সুপারি গাছ লাগানো আছে, প্রায় দুইশত লেবু গাছ। কিন্তু অর্থনৈতিক ভাবে লেবুতে লাভ করা কঠিন। বর্ষায় লেবুর দাম ২ টাকা হালিতে নেমে আসে।

স্বাভাবিক আবহাওয়ায় সেপ্টেম্বরের শেষে আর মার্চের মাঝামাঝি বাগানে সেচ দিতে হয়। এবছর শরতের শেষের সেচ দেয়া লাগেনি, তবে বসন্তের শেষে যে অস্বাভাবিক গরম পড়েছে তাতে সেচে অনেক খরচ হয়ে গেছে।

লেবুর রস আনারস এবং পাকা কাঠালের সাথেও খুব ভালো লাগে। লেবুর অভাবে লেবুর পাতা লাল চায়ে দেয়া যায়। জানালারপাশে লেবুর গাছ থাকলে সুঘ্রান হয়তো আসবে, তবে সাপের ভয়ও আছে। আমার বাগানে লেবু গাছের গোড়ায় মাঝে মাঝেই সাপ দেখি, তবে এটা লাল মাটির কারণেও হতে পারে।

০২ রা এপ্রিল, ২০২১ রাত ৯:২২

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




মা হাসান ভাই, পাকা কাঠাল ও আনারস লেবুর রস দিয়ে খেতে সত্যি সত্যি খুবই মজাদার। কাঠাল আনারস আম পেপে সহ সকল প্রকার ফলই আমার প্রিয় ফল। আপনি মজা পাবেন শোনে আমি খেজুরের রস আখের রস লেবুর রস মিশিয়ে খেতে পছন্দ করি। রাতে গোসল করে এক গ্লাস শরবত খাওয়া এক মজার তৃপ্তি। আমি অনেক সময় খানিকটা খেজুরের গুড় অথবা আখের গুড় আধা সের পানিতে রেখে ফ্রিজে রেখে দিতাম দেখা যেতো ঘন্টা খানেক পর গুড় পানিতে মিশে ঠান্ডা শরবত হয়ে থাকতো। - করোনা প্রকোপের কারণে ঠান্ডা খাওয়া বিসর্জন দিয়ে আমরা গত এক বছর কি পরিমান গরম পানি পান করেছি তা হয়তো লিখে শেষ করা যাবে না।

খিরা শষা আমারও প্রিয়। মাটি পানি আবহাওয়া এলাকাভেদে স্বাদ ভিন্নতা এটি সবাই ধরতে পারেন না। এটি আপনি জানেন জেনে ভালো লাগছে।

গতকাল আমাদের এলাকায় রাতে শিলাবৃষ্টি হয়েছে। শীতের সিজনের পর এই প্রথম বৃষ্টি।

২৪| ৩১ শে মার্চ, ২০২১ বিকাল ৫:২১

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: আপনার পোষ্ট গুরো পড়লে মনে হয় এক্ষুনি গ্রামে ফিরে যাই :)

হায়রে নাগরিক জীবন! শুধু কেড়েই নিলি সব
দিলিনা কিছু মনের মতন।।
দীর্ঘশ্বাসের ইমো কই ;)

লেবু কথন পড়তে পড়তে মূখে রস এসে গেছিল ! হা হা হা
আহা জারা লেবুর ঘ্রাণ!

++++

০২ রা এপ্রিল, ২০২১ রাত ৯:৩৩

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




বিদ্রোহী ভৃগু ভাই, আপনি শহর বলছেন ভাই! দুইটা ডাল ভাতের জন্য এমন এমন দেশে এমন এমন মাটিতে আমার যেতে হয়েছে বেঁচে ফিরে আসবো সেই আশা ছিলো না। আমরা পিপড়ার মতো খাদ্যর সন্ধানে একটু ভালো জীবনের সন্ধানে চলতে গিয়ে জীবনের অনেক আরাম আয়েশ বিসর্জন দিয়ে দেই। ঠিক তেমনি নাগরিক জীবনে আমরা সুযোগ সুবিধা খুঁজতে গিয়ে নিজের জীবনের সকল আনন্দ বিসর্জন দিয়েছি।

২৫| ৩১ শে মার্চ, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:২৪

আহমেদ জী এস বলেছেন: ঠাকুরমাহমুদ,



লেবুর কড়চা আপনার লেখায় আর কিছু কিছু মন্তব্যে। সবটাই জানার মতো।

লেবুর রস আমারও বেশ পছন্দের। মেডিটাররেনিয়ন এলাকায় লেবু জাতীয় ফলে রস থাকে প্রচুর। আমরা এক/ দু' কেজির মতো লেবু কিনে তা থেকে তা থেকে বড় গ্লাসের দু্ই গ্লাসের মতো রস পেতুম। চিনি পানিতে জ্বাল দিয়ে খুব ঘন করে তার সাথে সেই লেবুর রস মিশিয়ে লেমনেড বানিয়ে ফ্রীজে রেখে দিতুম। লেবুর "সিরাপ" আর কি! সেখান থেকে গ্লাসে খানিকটা ঢেলে ঠান্ডা পানি মেশালেই অপূর্ব লেবুর শরবত পাওয়া যেত ।
কিন্তু দেশে কোনও লেবুতেই তেমন রস পাই নি যে লেবুর সিরাপ বানিয়ে রাখবো । এখন এক কেজি লেবু চিপেও দু/তিন চা চামচের বেশী রস পাওয়া যায়না। আর দামও তেমন সস্তা নয় যেটার কারন আপনি বলেছেন।

জ্ঞান বাড়ানো পোস্ট । লাইকড...................

০২ রা এপ্রিল, ২০২১ রাত ৯:৪৬

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




আহমেদ জী এস ভাই,
প্রথমেই দুঃখ প্রকাশ করছি ভাই, আমি মন্তব্য উত্তর করতে বেশ দেড়ি করেছি ইদানিং কাজ শেষে বেশ ক্লান্ত থাকি, বয়স হয়েছে এটি তারই প্রভাব। জীবনে শরীরের উপর মনের উপর প্রাণের উপর অনেক ঝুঁকি গিয়েছে।

আপনি মজা পাবেন শোনে আমি খেজুরের রস আখের রস লেবুর রস মিশিয়ে খেতে পছন্দ করি। রাতে গোসল করে এক গ্লাস শরবত খাওয়া এক মজার তৃপ্তি। আমি অনেক সময় খানিকটা খেজুরের গুড় অথবা আখের গুড় আধা সের পানিতে রেখে ফ্রিজে রেখে দিতাম দেখা যেতো ঘন্টা খানেক পর গুড় পানিতে মিশে ঠান্ডা শরবত হয়ে থাকতো। - করোনা প্রকোপের কারণে ঠান্ডা খাওয়া বিসর্জন দিয়ে আমরা গত এক বছর কি পরিমান গরম পানি পান করেছি তা হয়তো লিখে শেষ করা যাবে না।

অত্যাধিক গরমে লেবুতে রস থাকবে কি মানুষের শরীরের রক্ত শুকিয়ে যাচ্ছে। কি পরিমাণ গরম পরেছে তা বলে শেষ করা যাবে না। এই মুহুর্তে দেশে বৃস্টি খুবই প্রয়োজন। গতকাল আমাদের এলাকা সহ বাংলাদেশের বেশ কিছু জেলাতে বৃষ্টি সহ শিলা বৃষ্টি হয়েছে।

আহমেদ জী এস ভাই, একই ফলের জাতের মধ্য এতো এতো ভিন্নতা আছে যা লিখে শেষ করা যাবে না। লেবু আমি এতো এতো ধরনের দেখেছি এখন মনে হয় দেশে এই সকল লেবুর বীজ থেকে চারার ব্যবস্থা করতে পারলে ভালো হতো। দেখি করনো প্রকোপ যদি কোনো দিন শেষ হয় আমি আশা রাখি ভাই দেশের বাইরে থেকে বেশ কিছু ফলের বীজের ব্যবস্থা করবো। আপনি জানেন দেশের বাইরে থেকে চারা বা কলম আনা ইমিগ্রেশন আইন বহির্ভূত কাজ। কিন্তু ফল আনা যায়। তাই ফল আনার চেষ্টা করবো।

আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ। শুভ কামনা রইলো।

২৬| ০১ লা এপ্রিল, ২০২১ ভোর ৫:৩৫

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:


সুন্দর প্রতি মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ।
এই পোষ্ট সহ অনেকের মন্তব্যেই দেশে বর্তমানে
চাহিদার তুলনায় লেবুর ঘাটতি ও দাম বাড়তির
কথা শুনে খারাপ লাগছে । সকলেই একটু
সচেতন হলে নীজের বাড়ির বারান্দায়, ছাদে
কিংবা বাড়ীর আঙ্গিনায় টবে উচ্চ ফলনশীল
জাতের লেবু গাছ লাগিয়ে অল্প আয়াশেই
সারা বছর লেবু পেতে পাবেন ।
আজকাল অনেক নার্সারিতেই লেবুসহ টব কিনতে পাওয়া যায়।
একবার কষ্ট করে লাগিয়ে ঠিকমত প্রয়োজনীয় সেবা যত্ন করলে
নিন্মের মত লেবুর ফলন পাওয়া যেতে পারে সারা বছর ।

০২ রা এপ্রিল, ২০২১ রাত ৯:৫৮

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




ডঃ এম এ আলী ভাই,
চাইলেই বাড়ির ছাদে বারান্দায় লেবু গাছ রোপণ করা যায়। সময়ে লেবু গাছের পাতাও এতো উপকার আসে যা বলা বাহুল্য। যে কোনো তরকারিতে দুটি লেবু পাতা দিয়ে দিলে তরকারির স্বাদ পরিবর্তন হয়ে যায়। তাছাড় সৌন্দর্যের জন্য হলেও লেবু গাছ বাসা বাড়ির সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে বলেই আমার বিশ্বাস।

গতকাল আমাদের এলাকা সহ বাংলাদেশের বেশ কিছু জেলাতে বৃষ্টি সহ শিলা বৃষ্টি হয়েছে। শীতের সিজনের পর এই প্রথম বৃষ্টি। ভাই সাহেব খুবই প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করেছেন। আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ ও শুভ কামনা।

২৭| ০১ লা এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ১:৪০

করুণাধারা বলেছেন: এত লেবু!! ছবি দেখে লোভ হচ্ছে।

আমি কদিন আগে বাজারে গিয়ে লেবু কিনতে গিয়ে দেখি শুকনা লেবুর হালি ষাট টাকা। কিনলাম না। কিন্তু ভাবছিলাম লেবু এমন রসহীন কেন!! আপনার পোস্ট পড়ে উত্তর পেলাম। ধন্যবাদ।

০২ রা এপ্রিল, ২০২১ রাত ১০:০৪

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




আমার খুব ভালো লাগছে জেনে আমার পোস্টের কারণে অনেকের কাছে ব্যখ্যাটি পরিস্কার হয়েছে লেবু রসহীন কেনো আর কেনোই বা এতো এতো দাম। গতকাল আমাদের এলাকা সহ বাংলাদেশের বেশ কিছু জেলাতে বৃষ্টি সহ শিলা বৃষ্টি হয়েছে। শীতের সিজনের পর এই প্রথম বৃষ্টি। লেবুর দাম আয়ত্বে চলে আসবে সাথে ভালো লেবুও পাবেন।

আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।



২৮| ০১ লা এপ্রিল, ২০২১ বিকাল ৪:২৩

জুল ভার্ন বলেছেন: লেবুর এখন আকাশচুম্বী দাম, সেজন্য ভয়ের কিছু নাই। "একটা ভীম বাড়ে আছে ১০০ টা লেবুর শক্তি"! আমরা ভীম খাবো। :)

০২ রা এপ্রিল, ২০২১ রাত ১০:০৮

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




ভীম বার! বিজ্ঞাপনের উদ্দেশ্য প্রতিষ্ঠানগুলো এমন এমন কথা বলেন যার ব্যাখ্যা নেই। গতকাল আমাদের এলাকা সহ বাংলাদেশের বেশ কিছু জেলাতে বৃষ্টি সহ শিলা বৃষ্টি হয়েছে। শীতের সিজনের পর এই প্রথম বৃষ্টি। আশা করছি লেবুর দাম আয়ত্বে চলে আসবে সাথে ভালো লেবুও পাবেন। তবে আসছে রমজান মাসে পর্যাপ্ত পরিমান বৃষ্টি না হলে ঝামেলা হয়ে যাবে, যদিও আশা করছি বাজার কিছুটা হলেও স্বস্তিকর হয়তো থাকবে - দেখা যাক কি হয়।

আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।

২৯| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ২:৩২

রোকসানা লেইস বলেছেন: পছন্দের লেবু সম্পর্কে জেনে প্রীত হলাম । ধন্যবাদ
জারা লেবু আগে কখনো এই নাম শুনিনি। তবে আমার তাকে সুগন্ধী নামে ডাকতেই ভালোলাগবে।
এখানে লাইম আর লেমন হলুদ আর সবুজ রঙের লেবু পাওয়া যায়।
বুদ্ধের হাত লেবুও দেখি মাঝে সাঝে তবে কিনে খাওয়া হয়নি কখনো।
প্রকৃতিগত ভাবে সিডলেস হয়ে জারা লেবু বাংলা দোকানের ব্যবসা বাড়িয়ে দিল :D

০৩ রা মে, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:০২

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




বাংলাদেশে এবার লেবু ও তরমুজ চাষীরা ভালো আয় করেছেন। আশা করছি দেশের অবহেলিত পেশা কৃষিতে শিক্ষিতজনেরা ফিরে আসবেন।

৩০| ১০ ই মে, ২০২১ দুপুর ১:৩৩

খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনি যখন এই পোস্টটি লিখেছিলেন, তখন একদিন বাজারে গিয়ে লেবুর আকাশচুম্বী দাম শুনে মেজাজটাই বিগড়ে গিয়েছিল। রাগে সেদিনি লেবু কিনিনি। এখন অবশ্য রোজা সত্ত্বেও দাম কমে এসেছে। এখন নিয়মিত কিনছি।

মূল পোস্টে এবং মন্তব্যে/প্রতিমন্তব্যে লেবুর অনেক প্রকারভেদ এবং তাদের গুণাগুণ সম্পর্কে জানতে পারলাম। লেবু আমারও খুব প্রিয়। আমাদের গ্রামের বাড়ীতে রান্নাঘরের পাশে কলতলায় একটি বড় বাতাবি লেবুর গাছ ছিল। রান্নাঘরের পেছনে এলাচি এবং কাগজী লেবুরও গাছ ছিল। এখনও ওসব গাছ আছে, কিন্তু বাড়ীতে কেউ নেই। পড়শিরা এবং নিশিকুটুম্বরা সেগুলো নিয়ে যায়।

১২ ই মে, ২০২১ রাত ১০:৪৪

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




বাতাবি লেবু আমার খুবই প্রিয় লেবু। যে কোনো মাছের ভূনা রান্নাতে লেবু পাতা দিলে মাছের ভূনার স্বাদ মনে রাখার মতো হয় - এটি পার্বত্য এলাকার আদিবাসীদের থেকে আমার শেখা। বৃষ্টির কারণে লেবুর রস কম ও লেবুর অত্যাধিক মূল্যের কারণ। এখন অবশ্য লেবুর দাম কিছুটা হাতের নাগালে চলে এসেছে। রমজান মাসে লেবুর চাহিদা বেশী ছিলো, এছাড়া করোনা প্রকোপের কারণে লেবু চা, লেবু দিয়ে গরম পানির চাহিদা তো রয়েই গেছে।

আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।



আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.