নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

তুমি কেমন করে গান করো হে গুনী, আমি অবাক হয়ে শুনি, কেবল শুনি ।।

ঠাকুরমাহমুদ

sometimes blue sometimes white sometimes black even red, even golden ! yes dear - its me - i am sky ! color your life, than your life will be colorful

ঠাকুরমাহমুদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় জাতীয় দিবসে আমাদের করণীয়

২৪ শে জুন, ২০২১ ভোর ৪:১৬


বিশেষ প্রতিবেদন
তারিখ: ২৪শে জুন, ২০২১ ইং। বৃহস্পতিবার।


গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার ঘোষিত বাংলাদেশের জাতীয় দিবস (১) শহীদ দিবস ২১শে ফেব্রুয়ারী (২) স্বাধীনতা দিবস ২৬শে মার্চ (৩) বিজয় দিবস ১৬ই ডিসেম্বর। এছাড়া সরকারিভাবে ঘোষিত ও অঘোষিত অন্যান্য আরোও জাতীয় দিবস আছে যাতে সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান সহ স্কুল কলেজগুলো দিবসগুলো পালনে বন্ধ থাকে। তবে আপাতত বাংলাদেশের এই তিনটি দিবস নিয়ে আজকের আলোচনা।

এই তিন দিবসে সমগ্র বাংলাদেশে সরকারি খরচে, ব্যক্তি খরচে ও প্রাতিষ্ঠানিক খরচে বিজ্ঞাপন প্রচার হয়ে থাকে যথাক্রমে রাষ্ট্রীয় মালিকানা টেলিভিশন ও বেসরকারি টেলিভিশন থেকে শুরু করে পত্রিকা ম্যাগাজিন সহ ছাপাখানায় লক্ষ লক্ষ বিজ্ঞাপন ছাপা হচ্ছে। আবাসিক ভবন থেকে শুরু করে সরকারি বেসরকারি ও বানিজ্যক ভবন সহ সকল প্রকার ভবন এমনকি ফ্লাইওভারের খাম্বা বিদ্যুতের খাম্বায়ও রিতিমতো ব্যানার পোস্টারের বন্যা বয়ে যায়!

দেশের একমাত্র ক্যান্টনমেন্ট এলাকা ব্যতিত অন্যত্র সবগুলো ফ্লাইওভার হতে না হতেই ফ্লাইওভারের পিলারগুলো ছেয়ে গেছে পোস্টার বিলবোর্ড আর দেয়াল লেখনীতে। বিশেষ করে কোচিং সেন্টার, হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের বিজ্ঞাপনে নাগরিক জীবন অতিষ্ট। অতিষ্ট স্কুল মাদ্রাসার পোস্টারে। অতিষ্ট সুপারশপগুলোর বিশেষ অফারের পোস্টারে। আমরা অতিষ্ট শাড়ি লুঙ্গি গামছা লুছনি সহ নারীদের বাহারি ড্রেসের বিজ্ঞাপনে। আমরা অতিষ্ট রড সিমেন্টের বিজ্ঞাপনে। আস্ত আস্ত পাঁচতলা দশতলা ভবনের দেয়াল রড সিমেন্টের বিজ্ঞাপনে সয়লাব। তাবিজ তন্ত্র মন্ত্র যাদুটোনার পোস্টার লিফলেটে সয়লাব দেশের সকল বৈদ্যতিক পিলার সহ বাসাবাড়ি অফিস কারখানার সীমানা প্রাচীর! এতো এতো তাবিজ তন্ত্র মন্ত্র যাদুটোনার দেশ বাংলাদেশ! কামরূপ কামাখ্যার সকল যাদুকর কি আমাদের দেশে পাচার হয়ে গেছে?

এমনিতে আমাদের দেশ বিজ্ঞাপনের দেশ! সংসদ নির্বাচন, সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন সহ উপজেলা ও ইউনিয়ন নির্বাচনে সমগ্র দেশের অলিগলি সড়ক থেকে মহাসড়ক, বাস ট্রেন লঞ্চ স্টিমার সহ বাড়ি ঘরের দেয়ালের চুনকাম বরবাদ হয়ে যায় নির্বাচনের তপ্ত বিজ্ঞাপনে! কোথায় নেই বিজ্ঞাপন? নানান নির্বাচনে ছাপার অক্ষরে “দোয়া চাই - প্রচারে এলাকাবাসী” পোস্টার, ব্যানার, ফেস্টুন, প্লেকার্ড সহ আতিকায় বিশালাকার বিলবোর্ডও দেখতে পাই। এছাড়া চিকিৎসক থেকে শুরু করে প্রতিটি সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে কর্মচারীদের ই্উনিয়ন আছে - তাদের জ্বালাময়ী ই্উনিয়ন নির্বাচনও আছে! এই ইউনিয়ন দেশের সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানগুলো খেয়ে ছিবড়া করে ফেলে দিয়েছে। এসব বিজ্ঞাপনে সত্যিকার অর্থে দেশের ও দেশের জনগণের কতোটুকু উপকার হয় আমাদের জানা নেই।

মূল প্রসঙ্গে ফিরে আসি। নির্বাচন, ব্রাজিল আার্জেন্টিনা ফুটবল, লেংড়া আম হাড়ি ভাঙ্গা আম, কাইল্যা জিরার তৈল, আসল ঘি, গাওয়া ঘি, খাঁটি সরিষার তৈল, শাড়ি লুঙ্গি গামছা লুছনির বিজ্ঞাপন হয়তো রোধ করা কঠিন। কিন্তু সরকারি খরচে প্রাতিষ্ঠানিক খরচে দেশের জাতীয় দিবসের পোস্টার ব্যানার প্লেকার্ড ফেস্টুন, বিলবোর্ডে নতুন স্লোগান নতুন বিজ্ঞাপন আনা সম্ভব।

উদাহরণ স্বরূপ:
ক। ২১শে ফেব্রুয়ারি শহীদ দিবসে ৫২এর সকল শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা। অনুগ্রহ করে যেখানে সেখানে ময়লা না ফেলে, ময়লা নির্দিষ্ট স্থানে ফেলুন। ময়লা ধেকে বিষাক্ত মশার সৃষ্টি। নিজে বাঁচুন-নিজের পরিবারকে বাঁচান এবং দেশের জনগণকে বাঁচতে দিন।

খ। ২৬শে মার্চে স্বাধীনতা দিবসে ৭১এর সকল শহীদের প্রতি সালাম। অপ্রয়োজনে বৈদ্যতিক সরঞ্জামাদি ব্যবহার বন্ধ রাখুন। আসুন আমরা শপথ করি বিদ্যুৎ ব্যবহারে অপচয় রোধ করবো। বিদ্যুৎ ব্যবহারে বিলাসিতা আমাদের ও আমাদের ভবিষ্যত প্রজন্মের বিপদের কারণ হতে পারে। গ্যাস আমাদের জাতীয় সম্পদ অপ্রয়োজনে গ্যাসের চুলা জ্বালিয়ে রাখবেন না, রান্না শেষে চুলা বন্ধ রাখুন।

গ। ১৬ই ডিসেম্বর ৭১এর সকল মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদের প্রতি ভালোবাসা ও সম্মান। পানির অপর নাম জীবন। আসুন পানি ও পানীয় পানি অপচয় বন্ধ করি। দেশে যে হারে স্যালাইন ওয়াটার বাড়ছে আমাদের সচেতনতাই পারে একমাত্র পানি অপচয়কে রোধ করতে। আসুন পানি ব্যবহারে সচেতন হই মিতব্যয়ী হই।

এছাড়া ছাত্র ছাত্রীর শিক্ষা জীবন ও কৈশোর থেকেই সচেতন নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষাক্ষেত্রে পাঠ্য পুস্তকে “গ্যাস বিদ্যুৎ ও পানি” অপচয় রোধে গল্প প্রবন্ধ সংযোজন করা ব্যক্তিগতভাবে আমি অত্যন্ত জরুরী মনে করছি। তা না হলে আমাদের শুরুই হবে একটি অসচেতন জাতি দিয়ে। আর এই অসচেতন জাতি দিয়ে দেশের ভালো আশা করা কোনোভাবেই সম্ভব হবে না।

আত্মকথা: আমরা সব সময় সচেতনতার কথা বলি। সত্য ও সততার কথা বলি। একবার নিজে ভেবে দেখেছি কি আমি আপনি নিজে কতোটুকু সচেতন? আজকের মতো সকলরে কাছে দোয়া চেয়ে বিদায় নিচ্ছি। আগামীতে আবার নতুন কোনো বিষয়/গল্প নিয়ে আসবো। লেখাটি পড়ার জন্য সবাইকে আন্তরিক ধন্যবাদ।

বিশেষ দ্রষ্টব্য: আমার লেখা পোস্ট ইন্টারনেটের যে কোনো মাধ্যমে যে কেউ নিজ নামে শেয়ার বা কপি পেস্ট করতে পারেন। এ ব্যাপারে আমার কোনো আপত্তি নেই। আমার লেখাটি যদি দেশের মানুষের সামান্যতম উপকারেও আসে আমি কৃতজ্ঞ ও উপকৃত হবো। তাই আমার লেখায় আমি কপিরাইট সংরক্ষণ করি না। (এ ব্যাপারে আলাদা একটি পোস্ট লিখবো কোনো এক সময়)


উৎসর্গ:
লেখক ডঃ এম এ আলী সাহেব
লেখক খায়রুল আহসান সাহেব
লেখক আহমেদ জী এস সাহেব ও
লেখক চাঁদগাজী সাহেব।


কৃতজ্ঞতা স্বীকার: সামহোয়্যারইন ব্লগ। নির্বাচিত পোষ্টে “উক্ত লেখাটি” স্থান দেওয়াতে সামহোয়্যারইন ব্লগ কর্তৃপক্ষকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।

ছবি: নাগরিক সচেতনতার লক্ষ্যে গ্যাস দুর্ঘটনা প্রতিরোধকল্পে সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি - কর্ণফূলি গ্যাস।





মন্তব্য ২০ টি রেটিং +৯/-০

মন্তব্য (২০) মন্তব্য লিখুন

১| ২৪ শে জুন, ২০২১ ভোর ৬:২০

হাবিব বলেছেন:




সচেতনা আসুক আমাদের মনে
ভাল থাকুক সবে নাগরিক জীবনে।

উৎসর্গের মানুষগুলোর প্রতিও শ্রদ্ধা, আপনার মত যারা নাগরিক সমস্যা ও সমাধানের বিষয় নিয়ে লিখেন।

২৪ শে জুন, ২০২১ ভোর ৬:২৪

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:



আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ সাত সকালে লেখাটি পড়ার জন্য এবং মন্তব্য করে প্রয়োজনীয়তার গুরুত্ব দেওয়ার জন্য।

২| ২৪ শে জুন, ২০২১ সকাল ৭:৪৬

কামাল১৮ বলেছেন: গুরুত্বপূর্ণ অনেক বিষয় তুলে এনেছেন এক পোষ্টে।সবথেকে ভালো লেগেছে, আমরা সচেতনতার কথা বলি কিন্তু ভেবে দেখিনা নিজে কতোটুকু সচেতন।ভালো থাকবেন

২৪ শে জুন, ২০২১ দুপুর ১:৪৮

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:



লেখাটির গুরুত্ব আপনি মূল্যায়ন করেছেন জেনে আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ। সত্যি বলতে আমরা নিজেরা কখনো সচেতন হই না, সচেতন হতে পারি না। তাই সমগ্র জাতি অসচেতন। ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র বালি কনা বিন্দু বিন্দু জ্বল, গড়ে তোলে মহাদেশ সাগর অতল - আমরা একজন একজন করে সচেতন হলেও আজ দেশের লক্ষ লক্ষ কোটি কোটি মানুষ সচেতন হতেন।

আপনিও ভালো থাকবেন।

৩| ২৪ শে জুন, ২০২১ সকাল ৮:১৯

শেরজা তপন বলেছেন: ধন্যবাদ এমন গুরুত্বপুর্ন একটা পোস্ট দেবার জন্য!

কপিরাইট নিয়ে আপনার শেষ কথার সাথে আমি ১০০ ভাগ এক মত পোষন করছি

২৪ শে জুন, ২০২১ দুপুর ২:৫৭

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




আপনাকেও ধন্যবাদ লেখাটির গুরুত্ব মূল্যায়নের জন্য। আমরা ব্লগে কেনো লিখছি - যেনো আমার লেখাটি কারো না কারো মাধ্যমে প্রচার হয়। তাহলে কেনো কপিরাইট নিয়ে চিন্তা? যে কেউ যে কোনো মাধ্যমে লেখাটির প্রচার করুক। তাতে হয়তো দেশের একজনের হলেও উপকার হতে পারে। - এ বিষয়ে আমি আলাদা পোস্টে বিস্তারিত লিখবো।

আপনাকে আবারও ধন্যবাদ।

৪| ২৪ শে জুন, ২০২১ দুপুর ২:২৬

নিয়াজ সুমন বলেছেন: চমৎকার বিষয় তুলে ধরেছেন। আশা করি সবাই এই পোস্ট পড়ার পরে একটু হলেও নতুন করে ভাবতে চাইবে.. করণীয কি, কেন?

২৪ শে জুন, ২০২১ বিকাল ৩:২১

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




একটি লেখার বিষয় তখনি মূল্যবান হবে যখন এর পাঠক মূল্যায়ন করবেন। আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ লেখাটির মূল্যায়নের জন্য। আশু করণীয় কি এবং কেনো - এটিই আমাদের এই লেখার মূল ভাবনা হওয়া উচিত বলে মনে করছি।

৫| ২৪ শে জুন, ২০২১ বিকাল ৫:৩৮

জুন বলেছেন: বাংলাদেশের বেশিরভাগ গ্যাস দুর্ঘটনা বিশেষ করে গৃহস্থালির দুর্ঘটনাগুলো বাসার মানুষের অসেচতনার জন্য হয়ে থাকে । আমি অনেক শিক্ষিত ভদ্রলোকদের দেখেছি একটা ম্যাচের কাঠি বাচাতে সারাদিন চুলা জ্বালিয়ে রাখতে , কাপড় শুকাতে । ছোট ছোট অবুঝ কাজের মেয়েদের হাতে ঘরবাড়ি বিশেষ করে রান্নাঘরের দায়িত্ব দিয়ে দরজায় তালা লাগিয়ে চলে যেতে যা গ্যাস দুর্ঘটনার একটি বড় কারন । আর অল্প দামে গ্যাস পাওয়ায়ও একটি বড় কারন । বিদেশের মত পয়সা ফেলতে হতো যদি তাহলে আমরা বুঝতাম কত ধানে কত =====

২৪ শে জুন, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:০৮

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




আপনি সঠিক বলেছেন। আপনি দেশের বাইরে আছেন নিজের ঘরের কাজ নিজে করছেন এবং স্বাচ্ছন্দ্যে কাজগুলো করছেন। বাংলাদেশে বুয়া কালচার হচ্ছে গৃহিণীদের সম্পত্তি। এবং বাসাবাড়িতে বুয়া নির্যাতন ও বুয়াদের বাসাবাড়িতে তালাবদ্ধ করে বাইরে চলে যাওয়া খুবই সাভাবিক ঘটনা।

আমাদের দেশে গ্যাস বিদ্যুৎ ও পানি অপচয়ের নাম বিলাসিতা না আসলে এগুলো হচ্ছে অজ্ঞতা ও মূর্খতা। - আমরা তা কখনো মানতে রাজি নই এই যা। এই দুর্বিষহ অপচয় থেকে বার হবার রাস্তা কি সত্যি সত্যি জানিনা। শুধু সচেতনতা আর শিক্ষা কি এই অপচয় থেকে আমাদের বার করে আনতে পারবে তাই এখন বিরাট প্রশ্ন হয়ে দাড়িয়েছে।

মন্তব্য করে লেখাটির গুরুত্ব ‍মূল্যায়ন করেছেন জেনে আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ।

৬| ২৪ শে জুন, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:২৯

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: আমরা সব সময়ই উলটা কাজ করতে ওস্তাদ।
বাংলাদেশের জনসংখ্যার দিকে কারো নজর নেই। এরশাদ চাচাই মনে হয় শেষ ঐদিকে নজর দিয়েছিলো।
শহরের খেলার মাঠ, খাল গুলি সব দখল হয়ে গেলো।
ফুটপাত গুলিতে বসে দোকান।
খাবারে দেয় বিষাক্ত ক্যামিকেল।
ঔষধ তৈরি করে নকল।

আমরা এমনই থাকবো!!!

২৪ শে জুন, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৪০

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




আমরা এমনই থাকবো। আমারও তাই মনে হয়। চেইন সিড়ি এভাবেই চলতে থাকবে। খেলার মাঠগুলো সুপার মার্কেট আর বিল্ডারদের দখলে চলে গেলো। ফুটপাতে তৈল ভাঁজার বড় বড় কড়াই দেখে মনে হয় ফুটপাতে চলার পথে কেউ যদি একবার উল্টে কড়াইয়ে পরে যায় তাহলে পুরি সিঙ্গারা মোগলাই ভাঁজার মতো মানুষও ভাজা হয়ে যাবে।

খাবারে ভেজাল করতেই হবে। নইলে টমেটো ১০-১৫ দিনেও যেই কে সেই থাকে! আমাদের দেশে কি পরিমাণ ঔষধ কারখানা হয়েছে তা সম্ভবত ক্যালকুরেটরেও সংখ্যা ধরবে না। মানুষ ভাত রুটি খাক আর না খাক ঔষধ যেনো খেতে পারে তা নিশ্চিত করেছে দেশ।

আমরা এমনই থাকবো!
আমরা এমনই থাকবো!
আমরা এমনই থাকবো!

৭| ২৪ শে জুন, ২০২১ রাত ৯:২২

আহমেদ জী এস বলেছেন: ঠাকুরমাহমুদ,




বিজ্ঞাপন আর দেয়াল লিখন দিয়ে শহরের সৌন্দর্যকে যে নেকাব পড়ানো হয় তা নিয়ে যথার্থই বলেছেন । অনেক অকারন ও অপ্রয়োজনীয় বিশেষ করে ব্যক্তি প্রচারের বিজ্ঞাপনের কাগজ আর দেয়াল লিখনে ভরা এক একটা নগর-জনপদ দেখলে মনে হয় জনপদে খোসপাঁচড়া হয়েছে।
সবই জঘন্য , কুৎসিত আর রূচিহীন। নগর-শহর কর্তৃপক্ষের নাকের ডগায় , চোখের সামনে এসব পড়ে থাকলেও তাদের টনক না নড়ায় মনে হয় তারাও রূচিহীন এবং সৌন্দর্য্য কি জিনিষ তা তারা জানেন না। আসলে এদেশ নগরবিদ বলে কেউ আছেন কিনা সন্দেহ।

বিজ্ঞাপনের জন্যে পত্রিকা, রেডিও, টেলিভিষন আছে। সেখানেই তা প্রচার করা যায়। মানুষের ( যাদের সৌন্দর্য্য বোধ আছে ) বিরক্তি জাগানো এসব নোংরামী কি বন্ধ করা যায়না ?

গ্যাস ও বৈদ্যুতিক দূর্ঘটনা তো ঘটে অবৈধ সংযোগ আর অসচেতন- বেখেয়ালী মানুষদের জন্যে। ব্লগার জুন তার মন্তব্যে এমন বাস্তবটাই তুলে ধরেছেন।

বিশেষ দিনে সরকারী প্রচার বিজ্ঞাপনের জন্যে মানুষের ট্যাক্সের টাকা খরচ করে শহর নগরকে নোংরা ডাষ্টবিনে পরিনত করা কেন ? পত্রিকা, রেডিও, টেলিভিষন এর আশ্রয় নিতে হবে। তবেই নোংরামি কিছুটা কমবে।
ব্যক্তিগত বিজ্ঞাপন গুলো এখানে সেখানে সাঁটানোর জন্যে বিজ্ঞাপন দাতাকে ধরে এনে সরাসরি জেল জরিমানা করা ছাড়া কোনও সুরাহা হবেনা এ নোংরামীর। নতুবা সরকার কর্তৃক নির্মিত এবং নির্দ্ধারিত জায়গাতে পোষ্টার সাঁটানোর ব্যবস্থা করা যেতে পারে কিন্তু কিছুতেই মাটি-আকাশ-পাতালের সবখানেই নয়।

কে আওয়াজ তুলবে এ ব্যাপারে ? আপনি সচেতনতার কথা লিখলেন । আমরা সবাই সচেতনতার কথা পথেঘাটে বলে বলে মুখে থুথু তুলে নিজেরাই অচেতন হয়ে গেছি। সচেতনতার দাওয়াত আর কতো ? এ দেশের মানুষের সচেতনতা কোনও দিনই হবেনা। কেউ আশাবাদী হলেও আমি আশাবাদী নই মোটেও। কারন, করোনার মতো জীবনঘাতী ব্যাধি যা একটা মহামারী তা নিয়েই আমরা সচেতন নই আর এ তো সামান্য গ্যাস বা বৈদ্যুতিক দূর্ঘটনা!!!!!!!

পোস্টে নজর কাড়া বিষয় নিয়ে লেখার জন্যে সবিশেষ ধন্যবাদ।
এবং উৎসর্গের একজন হওয়াতে আপনার প্রতি কৃতজ্ঞ।

২৮ শে জুন, ২০২১ বিকাল ৪:৩৭

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




আহমেদ জী এস ভাই, সরকারি ও প্রাতিষ্টানিক খরচে বিজ্ঞাপনগুলো দেশবান্ধব হওয়া জরুরী ছিলো। কিন্তু তা আমরা কখনো দেখতে পাই না। যা পাই তা হচ্ছে বাড়িঘরের সীমনা দেয়াল থেকে শুরু করে অফিস কারখানার দেয়াল সহ সড়ক ও জনপথের উপর বিজ্ঞাপনের নামে অত্যাচার।

আমার মানুষ হিসেবে চিরোকাল সম্ভবত এমনই রবো। দেশে এক একটি রাষ্ট্রীয় জাতীয় দিবস আসে আর সকল দেয়াল বরবাদ হয়ে যায়। আমরা নিজেরা সব সময় সচেতনতার কথা বলি তাহলে এতো এতো পোস্টার বিলবোর্ড কারা করছেন। হাইওয়েতে মাইলস্টোন দেখতে পাই না। সারা বছর নির্বাচনি প্রচারণা আর দোয়া চাই পোস্টারের আড়ালে চলে গেছে মহা সড়কের মাইলস্টোনগুলো। এরা দেশের উন্নয়ন করবে না নিজের প্রচার করবে।

অত্যন্ত পরিতাপের সাথে জানাচ্ছি - সড়ক ও মহাসড়তে দূর্ঘটনার অন্যতম একটি কারণ সড়ক ও মহাসড়কে পোস্টান ব্যানার বিলবোর্ড।

আহমেদ জী এস ভাই, আপনার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্যর জন্য আপনার প্রতিও অশেষ কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছি। কিছু জরুরী কাজের প্রয়োজনে আমি ঢাকার বাইরে ছিলাম, বেশ লম্বা জার্নি করতে হয়েছে, তাই খুবই ক্লান্ত ছিলাম বিধায় বিলম্ব উত্তরের জন্য আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করছি।


৮| ২৪ শে জুন, ২০২১ রাত ১১:৫৯

কাছের-মানুষ বলেছেন: আমাদের দেশের মানুষগুলো সচেতন নয়। এতে যেমন পরিবেশ দূষণ হয় তেমনি অনেক দুর্ঘটনাও ঘটে অনেক। মানুষকে সচেতন হতে হবে। মিডয়া, ব্যক্তিগত প্রচার এই ক্ষেত্রে মানুষের সচেতনতা বাড়াতে ভাল সাহায্য করতে পারে।
গুরুত্বপূর্ণ পোষ্টে আমার ভাল লাগা রইল।

২৮ শে জুন, ২০২১ বিকাল ৫:০১

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:



এক সময় বাংলা সিনেমার পোস্টারে দেখতে পেতাম বড় করে নায়ক নায়িকার ছবি সহ উভয়ের মাতাপিতার ছবি আশে পাশে তারপর পোস্টারের চারোদিকে সিনেমার সকল কলাকুশলীর মাথামুন্ডু কাটপিস। এখন সিনেমার জয়জয়কার নেই কিন্তু এখনও লক্ষ্য করলে দেখতে পাবেন - দোয়া চাই সহ নির্বাচনি প্রচারণা পোস্টারগুলোতে মাথামুন্ডুতে সয়লাব। কার মাথা কার দেহ বোঝা মুশকিল।

কিছু জরুরী কাজের প্রয়োজনে আমি ঢাকার বাইরে ছিলাম, বেশ লম্বা জার্নি করতে হয়েছে, তাই খুবই ক্লান্ত ছিলাম বিধায় বিলম্ব উত্তরের জন্য আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করছি।

আপনাকে অসংখ্য ধনবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানবেন।

৯| ২৫ শে জুন, ২০২১ রাত ৩:৪৪

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:



খুবই জনগুরুত্বপূর্ণ একটি পোষ্ট। শুধু রাজধানী শহড়ে্ই নয়, বরং দুটি বিষয় যথা গ্যাসের অপচয়
ও বিজ্ঞাপনের যথেচ্ছ ব্যবহারের ক্ষতিকর দিক নিয়ে সারা দেশের চিত্রই উঠে এসেছে।এর প্রতিকার
আশু প্রয়োজন , কিন্তু কিভাবে, সেটাই ভাবনার বিষয়। যদিউ গ্যাস ব্যবহারে মিতব্যয়িতাো সচেতনতা,
বিজ্ঞাপন প্রচারেও রয়েছে কর্তৃপক্ষিয় নীতিমালা।কিন্তু তার কোন প্রয়োগ নেই, নেই কোন নিয়ন্ত্রন বরং
আছে বিবিধপ্রকারের পরিতোষন । বিজ্ঞাপন বন্দের বিশয়ে ভুক্তভোগী কিরকম পদক্ষেপ নিতে পারে
সে সম্পর্কে বছর পাঁচেক আগে দৈনিক প্রথম অলোতে প্রকাশিত একটি সংবাদ ভাষ্য পাঠ করেছিলাম।

ঘটনার পুরাটা মনে নেই। তবে মুল ঘটনা ছিল সহানুভূতিহীন মনোভাবকে কারণ দেখিয়ে নীজ স্ত্রীকে
বিক্রির জন্য অনলাইন বিকিকিনির সাইট ইবেতে ( E-Bay) বিজ্ঞাপন দিয়েছিলেন একজন টেলিকম
ইঞ্জিনিয়ার। স্ত্রীর দাম উঠেছিল প্রায় ৬৬ হাজার পাউন্ড! ঘটনাটি ঘটেছিল যুক্তরাজ্যে।৩৩ বছর বয়সী
স্বামীধন বাহিরের কাজকর্ম সেরে মাত্রই ঘরে ফিরেছেন। আর বাড়ি ফিরেই স্ত্রীকে বললেন, শরীর ভালো
লাগছে না তাঁর।এ কথা শোনার পর যেন মোমবাতির দুই প্রান্তেই আগুন ধরে গিয়েছিল। ২৭ বছর বয়সী
স্ত্রীধন স্বামীর অসুস্থতাকে খুব বেশি পাত্তা না দিয়ে খুলে বসলেন তার দিনমানের অভিযোগের বাক্স ।
পতিধনের আর সহ্য হয়নি। দুম করে ঠিক করলেন, স্ত্রীকে তিনি বিক্রি করে দেবেন।

ঐদিনই তিনি ইন্টারনেটে কেনাবেচার ওয়েবসাইট ইবেতে দিলেন বিজ্ঞাপন।সেখানে গাড়ি বিক্রির বিজ্ঞাপনের
আদলে লিখলেন স্ত্রীকে বিক্রির বিজ্ঞাপন।বিজ্ঞাপনের শিরোনাম ছিল ‘ব্যবহৃত স্ত্রী'। বিজ্ঞাপনে স্ত্রীর ভালো
দিক ও মন্দ দিক তুলে ধরার পাশাপাশি তাঁকে কেনার ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় শর্তও জুড়ে দেন।বিজ্ঞাপনে লেখা
ছিল একজন স্ত্রীকে বিক্রি করা হবে। নতুন নয়, কিন্তু এখনো তাঁর অনেক মাইল যাওয়ার সামর্থ্য আছে। বিক্রির
বিক্রির কারণ হিসেবে লেখল,'আমার সাধ মিটে গেছে এবং মনে করেন,এখন সেখানে অন্য কারও আসা উচিত।
স্ত্রীর ভালো দিক তুলে ধরে লিখেছিলেন ঘরের কাজ ভালো করতে পারে এবং রান্নাঘরের কাজও মোটামুটি
পারে। খারাপ দিক সম্পর্কে লেখা হয়েছিল, মাঝে মাঝে এমন হইচই বাধিয়ে দেয় যে নতুন গয়না কিনে না
দেওয়া পর্যন্ত তাঁকে চুপ করানো যায় না।

বিজ্ঞাপনে আরও লেখা হয়েছিল সে একদম খারাপ মডেল নয়। জোড় দিয়ে বলেছিল সে কারও না কারও
কাজে আসবে । তবে বিক্রির চেয়ে যদি তরুণ মডেল অদল-বদলের প্রস্তাব কেউ দেয় তাহলে তাতেও সে
রাজী । বিজ্ঞাপন দেওয়ার দুই দিনের মাথায় স্ত্রীধনের দাম ওঠে ৬৫ হাজার ৮৮০ পাউন্ড।

পতিধনের স্ত্রী এই বিজ্ঞাপনের কথা জানার পর তো রেগে আগুন। আগুন শুধু তাকে বিক্রির বিজ্ঞাপনের
জন্য নয়, বিজ্ঞাপনে তার একটা খুব বাজে ছবি দিয়েছিল বলেও।স্ত্রীধন ঘোষনা দিলেন ইবে কর্তৃপক্ষ যদি
এই বিজ্ঞাপন না নামায়, তবে তিনি কৃপক্ষের বিপক্ষে কোর্টে যাবেন । এই হুমকির ফলে ইবে কতৃপক্ষ
বিজ্ঞাপনটি নামিয়ে ফেলে ।

কথা হলো বিজ্ঞাপন দেয়ার সুযোগ পেলে মানুষ বিজ্ঞাপন দিবেই। বিজ্ঞাপন দিলেই তার লাভ। অন্যদিকে
বিজ্ঞাপন নিয়ন্ত্রনকারীদেরো বিবিধ পদের লাভ। তাই বিজ্ঞাপন বন্ধের বিষয়ে শুধু সচেতনা সৃজন করলেই
চলবেনা।একটি প্রতিবাদী সংগঠনও গড়ে তুলতে হবে, যারা বিজ্ঞাপনের বিভিন্ন ক্ষতিকর দিকগুলি তুলে ধরে
আইনের আশ্রয় নিবে নগর কতৃপক্ষের বিপক্ষে। কারণ নগরপালরাই তাদের উপর অর্পিত দায়িত্ব সঠিকভাবে
পালন করেনি বর্ং তাদের নাকের ডগায় বসে বৈধ ও অবৈধ, সে দৃষ্টি নন্দন কিংবা দৃষ্টি কুদর্শন যা কিছুই হোক
না কেন। তবে কারো কোন রকম বিরক্তি কিংবা ক্ষতির (শারিরিক, মানসিক )কারণ না ঘটিয়ে বিশেষ বিশেষ
নির্ধরিত স্থানে সঠিক নিয়মকানু মেনে ও বিজ্ঞাপনি দায় শোধকরে একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত শুধু মাত্র অনুমোদিত
স্থানে দৃষ্টিনন্দন বিজ্ঞাপন দিতে পারে। নিয়ম ভঙ্গের দায় নগর কতৃপক্ষের। সাধারণ জনগন তো নিরুপায়, তাঁরা
নগর কতৃপক্ষের ভাল কাজের জন্য সাধুবাদ দিতে পারেন। আর নিয়মভঙ্গের জন্য কর্তৃপক্ষের নাকে মুখে ঘৃনার
থুতু ছিটাতে পারেন আর প্রতিবাদী সংগঠনটি নিতে পারে নগর কতৃপক্ষের বিরোদ্ধে আইনি পদক্ষেপ, সুসিল
সমাজের কাজ হবে বিবিধ প্রচার মাধ্যমে এধরনের বিজ্ঞাপনের বিরোদ্ধে জনসচেতনতা সৃজনে ভুমিকা রাখা।
এই ত্রিমুখী আক্রমনের মুখে পোষ্টের বিবরণ অনুযায়ী ক্ষতিকর বিজ্ঞাপনী কার্যকলাপ ধীরে ধীরে স্তিমীত হয়ে
যেতে পারে বলে মনে করি। বিজ্ঞাপন একটি শিল্প , একে দৃষ্টি নন্দন ও গনমূখী শিল্প হিসাবে গড়ে তুললে
বিজ্ঞাপনের সাথে জড়িত অনেক প্রতিষ্টান যেমন রেডিউ , টিভি, সংবাদ মাধ্যম , বিভিন্ন ধরনের অডিউ
ভিডিউ সংগঠন , শিল্পী , সাহিত্যিক, কারু শিল্পী ,কন্ঠ শিল্পি , মডেল ও আন্যান্য কলাকুশলীগন
সন্মান জনক কর্মকান্ড পরিচালনার মাধ্যমে নীজের, দশের ও দেশের অগ্রযাত্রায় ভুমিকা রাখতে
পারবেন । যত্র তত্র কুরুচীপুর্য বিজ্ঞাপন যত শিঘ্র বন্ধ হবে তত শীঘ্রই দেশের মঙ্গল ।
গ্যসের বিষয়ে করনীয় ব্যবস্থা সম্পর্কে পোষ্টের কথামালার সাথে সহমত ।

জনগুরুত্বপুর্ণ পোষ্টটির জন্য ধন্যবাদ । পোষ্টটি প্রিয়তে গেল ।

উৎসর্গের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করার জন্য কৃতজ্ঞতা জানবেন ।

শুভেচ্ছা রইল

২৮ শে জুন, ২০২১ রাত ১০:৫৯

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




ডঃ এম এ আলী ভাই, সালাম নিবেন। কিছু জরুরী কাজের প্রয়োজনে আমি ঢাকার বাইরে ছিলাম, বেশ লম্বা জার্নি করতে হয়েছে, তাই খুবই ক্লান্ত ছিলাম বিধায় বিলম্ব উত্তরের জন্য আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করছি।

পানি বিদ্যুৎ গ্যাস নিয়ে সচেতনতা খুব সম্ভব আমাদের আর হবে না। এই দেশে খাবার পানিও গ্যাস মেষ হবার পর মানুষ জানতেও পারবে না কোনোদিন এই দেশের মানুষ বুঝতেও পারবে না কোনোদিন তারা কি পরিমাণ অপব্যয় আর অপচয় করেছে পানি বিদ্যুৎ আর গ্যাস।

পোস্টার দূষণের শহর ঢাকা। ঢাকা শহরের দেয়াল আর ভবনগুলো পোস্টারে ছেয়ে গেছে। এতে দূষিত হচ্ছে নগরের পরিবেশ, বিরক্ত হচ্ছেন নগরবাসীরা। পোস্টারের কারণে রাস্তাঘাটে আবর্জনার স্তূপ গড়ে উঠছে। নির্বাচনী আর দোয়া চাই পোস্টারে ছেয়ে গেছে গোটা শহর। পাড়া-মহল্লার অলিগলি ও রাজপথ থেকে শুরু করে স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, ছোট-বড় শপিংমল সর্বত্র পোস্টারের ছড়াছড়ি। বিভিন্ন দলের মেয়র প্রার্থী ও কাউন্সিলরদের সাঁটানো পোস্টারে ঢাকা শহর যেন ‘পোস্টারের শহরে’ পরিণত হয়েছে।

রাজধানীর পদচারী-সেতুগুলো কিছুদিন আগেই রং করেছিলো ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। সৌন্দর্য বাড়াতে লাগানো হয়েছিল ফুলের গাছ। সেই পদচারী-সেতুগুলো ছেয়ে গেছে বিভিন্ন দলের রাজনৈতিক নেতাদের লাগানো পোস্টারে। শুধু পদচারী-সেতু নয়, পোস্টারে ছেয়ে গেছে ভবনের দেয়াল, বৈদ্যুতিক খুঁটি, গাছ। দলের মূল নেতাদের ছবিসংবলিত এসব পোস্টার, ব্যানারের মাধ্যমে সম্মেলন সফল করার আহ্বান জানানো হয়। দেখা যায়, ঢাকা নারায়নগঞ্জ গাজীপুর সহ সমগ্র বাংলাদেশে বাড়িঘরের দেয়াল থেকে শুরু করে এলাকার দেয়াল, বৈদ্যুতিক খুঁটি ও গাছে লাগানো হয়েছে পোস্টার। ব্যক্তিমালিকানাধীন ভবনের দেয়াল, দোকানের শাটার কোনো কিছুই বাদ যায়নি।

দেশের এতো এতো পোস্টারে দেশের কল্যানের জন্য দেশের জনগণের কল্যানের জন্য কিছুই লেখা নেই। যা লেখা আছে দলিয় কর্মসূচি, দোয়া চাই সহ স্কুল মাদ্রাসা ডায়গনস্টিক সেন্টার শাড়ি লুঙ্গি লুছনির বিজ্ঞাপন। আমাদের দেশ কিভাবে ময়লা আর্বজনামুক্ত হবে তা যেমন জানেন না দেশের জনগণ! জানেন না দেশের নেতানেত্রী, জানেন না দেশের সরকার ও প্রশাসন।

অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্যর জন্য আমি আপনার কাছে কৃতজ্ঞতা স্বীকার করছি ও আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
আপনিও শুভেচ্ছা নিবেন।

১০| ২৬ শে জুন, ২০২১ রাত ১১:০০

খায়রুল আহসান বলেছেন: জনসচেতনতামূলক পোষ্টটির জন্য ধন্যবাদ। পোস্টে এবং বিভিন্ন মন্তব্যে কিছু গুরুত্বপুর্ণ কথা উঠে এসেছে।

উৎসর্গের তালিকায় নিজের নামটাও দেখে প্রীত হ'লাম। এজন্য অশেষ কৃতজ্ঞতা জানবেন ।

২৮ শে জুন, ২০২১ রাত ১১:০৪

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:



আমার মানুষ হিসেবে চিরোকাল সম্ভবত এমনই রবো। দেশে এক একটি রাষ্ট্রীয় জাতীয় দিবস আসে আর সকল দেয়াল বরবাদ হয়ে যায়। আমরা নিজেরা সব সময় সচেতনতার কথা বলি তাহলে এতো এতো পোস্টার বিলবোর্ড কারা করছেন। চলার পথে হাইওয়েতে মাইলস্টোন দেখতে পাই না। সারা বছর নির্বাচনি প্রচারণা আর দোয়া চাই পোস্টারের আড়ালে চলে গেছে মহা সড়কের মাইলস্টোনগুলো। এরা দেশের উন্নয়ন করবে না নিজের প্রচার করবে। অত্যন্ত পরিতাপের সাথে জানাচ্ছি - সড়ক ও মহাসড়তে দূর্ঘটনার অন্যতম একটি কারণ সড়ক ও মহাসড়কে পোস্টান ব্যানার বিলবোর্ড।

দেশের এতো এতো পোস্টারে দেশের কল্যানের জন্য দেশের জনগণের কল্যানের জন্য কিছুই লেখা নেই। যা লেখা আছে দলিয় কর্মসূচি, দোয়া চাই সহ স্কুল মাদ্রাসা ডায়গনস্টিক সেন্টার শাড়ি লুঙ্গি লুছনির বিজ্ঞাপন। আমাদের দেশ কিভাবে ময়লা আর্বজনামুক্ত হবে তা যেমন জানেন না দেশের জনগণ! জানেন না দেশের নেতানেত্রী, জানেন না দেশের সরকার ও প্রশাসন।

কিছু জরুরী কাজের প্রয়োজনে আমি ঢাকার বাইরে ছিলাম, বেশ লম্বা জার্নি করতে হয়েছে, তাই খুবই ক্লান্ত ছিলাম বিধায় বিলম্ব উত্তরের জন্য আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করছি।

আপনার প্রতিও অশেষ কৃতজ্ঞতা রইলো। ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.