নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

তুমি কেমন করে গান করো হে গুনী, আমি অবাক হয়ে শুনি, কেবল শুনি ।।

ঠাকুরমাহমুদ

sometimes blue sometimes white sometimes black even red, even golden ! yes dear - its me - i am sky ! color your life, than your life will be colorful

ঠাকুরমাহমুদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

ছবি ব্লগ - "আলো ছায়া"

৩১ শে মার্চ, ২০২৩ রাত ১:০৪



আমাদের ছোটো নদী চলে বাঁকে বাঁকে
বৈশাখ মাসে তার হাঁটু জল থাকে।
পার হয়ে যায় গরু, পার হয় গাড়ি,
দুই ধার উঁচু তার, ঢালু তার পাড়ি।

আর-পারে আমবন তালবন চলে,
গাঁয়ের বামুন পাড়া তারি ছায়াতলে।
তীরে তীরে ছেলে মেয়ে নাইবার কালে
গামছায় জল ভরি গায়ে তারা ঢালে।

- কবি গুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর







শেষ রাতে সেহরি করে গ্রামের বাড়ির পথে রওয়ানা দিবো। খুব সম্ভব রমজান মাসে হয়তো আর বাড়িতে যেতে পারবো না। ঈদের আগের দিন রাতে সকলে মিলে বাড়ির পথ ধরবো, বাদবাকি আল্লাহ ভরসা। আমি নিতান্ত গ্রামের গ্রাম্য একজন মানুষ। আমাকে কখনো শহর রাজধানী প্রবাস ডাকেনি। আমার গ্রাম আমাকে বারংবার ডাক দিয়েছেন, আমি ডাকে সারা দিয়েছি - আমার গ্রাম আমাকে কখনো হতাশ করেনি।

গ্রামের নাম? - গ্রামের নাম “আলো ছায়া”। আমার গ্রাম "আলো ছায়া" তাঁর মাটি পানি বাতাসের সমস্ত স্নেহ মায়া মমতা ভালোবাসা দিয়ে আমাকে আগলে রেখেছেন অনন্তকাল - কাল মহাকাল। আমার গ্রামের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ, আমি ঋণী। আমার গ্রাম আলো ছায়া’র প্রতি আমার অনন্ত অনন্ত কালের ভালোবাসা। যদি পুনর্জন্ম থেকে থাকে তাহলে আমি বারংবার শত সহস্রবার আমার এই দেশে - আমার এই "আলো ছায়া" গ্রামেই ফিরে আসবো।




মন্তব্য ২৬ টি রেটিং +৬/-০

মন্তব্য (২৬) মন্তব্য লিখুন

১| ৩১ শে মার্চ, ২০২৩ রাত ১:১৮

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:



নিরন্তর শুভকামনা, প্রিয় ঠাকুরমাহমুদ ভাই।

অনেক অনেক শুভেচ্ছা।

৩১ শে মার্চ, ২০২৩ রাত ১:৪২

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:



মানুষের দুঃসময়ে মানুষের উপকারে যারা হাত বাড়িয়ে দেন তাঁরা প্রকৃত মানুষ। আপনি নিঃসন্দেহে একজন প্রকৃত মানুষ। আপনার জন্যও নিরন্তর শুভকামনা।

২| ৩১ শে মার্চ, ২০২৩ রাত ১:২৭

স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন: দারুণ!

৩১ শে মার্চ, ২০২৩ রাত ১:৪৪

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:



আবার আসিব ফিরে ধানসিঁড়িটির তীরে – এই বাংলায়
হয়তো মানুষ নয় – হয়তো বা শঙখচিল শালিকের বেশে,
- কবি জীবনানন্দ দাশ

আপনাকে অশেষ অশেষ ধন্যবাদ।

৩| ৩১ শে মার্চ, ২০২৩ রাত ২:৪৬

সোনাগাজী বলেছেন:



আপনার গ্রামে আনুমানিক কত পরিবার বাস করে; পড়ালেখার অবস্হা কেমন?

০১ লা এপ্রিল, ২০২৩ রাত ১০:০৭

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:



গ্রামে আনুমানিক ছোট বড় ১৫০টি পরবিার বাস করে। পড়ালেখার অবস্থা ভালো, বলতে হয় সমগ্র বাংলাদেশে এখন শিক্ষার হার ভালো কিন্তু পড়ালেখার পর সঠিক গাইড লাইন নেই। চাকরি করবেন নাকি ব্যবসা করবেন? কৃষিকাজ যে একটি ব্যবসা এটি বাংলাদেশে এখনও অনেকেই জানেন না।

মানুষ বাঁচে তার কর্মে পড়ালেখা যে যতোটুকই করুক বেঁচে থাকার জন্য কর্ম প্রয়োজন। আমাদের দেশে কর্ম করে চলার সঠিক গাইড লাইন নেই। যা আছে বেশীর ভাগ মিসগাইড বলা যেতে পারে।

৪| ৩১ শে মার্চ, ২০২৩ ভোর ৪:১৩

প্রত্যুষ আহসান বলেছেন: আপনার মনোবাসনা পূর্ণ হোক

০১ লা এপ্রিল, ২০২৩ রাত ১০:০৮

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:



আপনার মন্তব্যটি অনেক অনেক ভালো লেগেছে। আপনাকে অশেষ অশেষ ধন্যবাদ।

৫| ৩১ শে মার্চ, ২০২৩ ভোর ৫:০১

বাকপ্রবাস বলেছেন: সুন্দর ছবি। কামরাঙ্গ খেলে নাকি ক্ষতি হয়!!!

০১ লা এপ্রিল, ২০২৩ রাত ১০:৪০

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:



যতোদূর জানি কিডনি রোগীদের জন্য কামরাঙ্গা আনার আনারস ক্ষতিকর (আমি সঠিক জানিনা)। চিকিৎসা বিজ্ঞানে যারা পড়ালেখা করেছেন তারা ভালো জানবেন।

আপনাকে অশেষ অশেষ ধন্যবাদ।

৬| ৩১ শে মার্চ, ২০২৩ ভোর ৫:৪১

সন্ধ্যা রাতের ঝিঁঝিঁ বলেছেন: এই ফল গাছে যেভাবে ধরে, সেভাবেই অপচয় হয়, আমাদের গুলো এত বড় আর পাকলে হলুদ হলুদ হয়, দেখতে অনেক সুন্দর লাগে কিন্তু খাওয়া যায় না, সব নষ্ট হয়।

০১ লা এপ্রিল, ২০২৩ রাত ১০:৪৪

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:



আমাদের গাছের কামরাঙাও পাকলে হলুদ কমলা রঙা হয়ে যায় এবং খুবই সুস্বাদু। ফলবতী গাছ, প্রচুর পাখী আসে - দেখতে ভালো লাগে। সমগ্র গ্রামের মানুষ প্রয়োজনে ফল পেড়ে নিয়ে যান।

আপনাকে অশেষ অশেষ ধন্যবাদ।

৭| ৩১ শে মার্চ, ২০২৩ ভোর ৬:১২

কামাল১৮ বলেছেন: আপনার গ্রামের বাড়ীর গাছ? শহর থেকে কত দুরে গ্রাম।ছবি সুন্দর

০১ লা এপ্রিল, ২০২৩ রাত ১০:৫৯

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:



তুমি যাবে ভাই - যাবে মোর সাথে, আমাদের ছোট গাঁয়,
গাছের ছায়ায় লতায় পাতায় উদাসী বনের বায়।

কবিতা - নিমন্ত্রণ
পল্লী কবি জসিম উদ্দিন

৮| ৩১ শে মার্চ, ২০২৩ দুপুর ১২:৫৯

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: কামরাঙ্গা সম্পর্কে অনেকে ভয় ধরিয়ে দিয়েছে।

০১ লা এপ্রিল, ২০২৩ রাত ১১:০৪

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:



কামরাঙা নিয়ে বেশ কিছু ভয়ের বিষয় আছে কিডনি রোগী বা যাদের কিডনি দুর্বল তাঁদের জন্য কামরাঙ্গা ক্ষতিকর বলে পত্রিকায় পড়েছি - সত্য মিথ্যা জানিনা।

আপনাকে অশেষ অশেষ ধনব্যাদ।

৯| ৩১ শে মার্চ, ২০২৩ বিকাল ৪:১১

রাজীব নুর বলেছেন: আপনার গ্রামের বাড়ি যাবো।

০১ লা এপ্রিল, ২০২৩ রাত ১১:০২

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:



অবশ্যই যাবেন। গাজী সাহেব, বিরহ কবি সেলিম আনোয়ার সাহেব, সত্যপথিক, ডার্কম্যান, গোফরান সবাই যাবেন। এটি আমার সৌভাগ্য আপনারা আমার বাড়ি যাবেন।

১০| ৩১ শে মার্চ, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৫৭

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:




গাছ ভর্তী কামরাঙ্গা সহ এর আলো ছায়ার ছবি সুন্দর হয়েছে ।বেশ অনেকদিন পর গ্রামের ভাল লাগার ,
ভালবাসার , প্রকৃতি পরিবেশ নিয়ে এসেছেন দেখে ভাল লাগল ।

কামরাঙ্গা এমনই একটি ফলজ উদ্ভিদ যা বাড়ীর আঙ্গিনায় লাগালে বাড়ীর সৌন্দর্য বহুগুনে বাড়িয়ে দেয় ।
আমার দেশের বাড়িতে বাহির বাড়ীর বৈঠক খানার পাশ ঘেসে বেশ বড় একটি কামরাঙ্গা গাছ আছে। এতে
বলতে গেলে সারা বছরই ফুল ফল ধরে । এতই ফল ধরে যে সারা গায়ের মানুষ যে যার ইচ্ছে সত খেতে
পারে । ছোট থেকেই একটি বিষয় খেয়াল করেছি, যে কোন গাছের ফল সকলের জন্য অবারিত করে দিলে
সে গাছে সারা বছরই প্রচুর ফল ধরে । কামরাঙ্গা গাছে অনেক ধরনের পাখী আসে ফল খেতে । বিশেষ করে
দুর দুরান্ত হতে বুলবুলি, টিয়া ও চন্দনা পাখী এর ফল খেতে আসে । টিয়া পাখী ফল যা খায় তার থেকে বেশী
মাটিতে ফেলায় । গাছে টিয়া পাখীর ঝাক এলে কিছুক্ষনের মধ্যেই গাছের নীচে অনেক ফল পড়ে থাকতে
দেখা যেতো । যাহোক তার পরেও গাছে টিয়া পাখী দেখলে ভাল লাগত ।

কামরাঙ্গা ফল পুরো ফলটাই খাওয়া যায়, পাতলা ত্বকসহ। কামরাঙ্গা পাকার পর পরই খেতে সবচেয়ে ভাল;
বেশি পেকে গেলে এর স্বাদ নষ্ট হয়ে যায় ।
কামরাঙ্গার বেশ কিছু ভেষজ গুন রয়েছে যথা এর এলজিক এসিড খাদ্য নালি তথা অন্ত্রের ক্যান্সার হতে
বাধা দেয়, এর মূল বিষনাশক হিসেবে ব্যবহার হয়, শুষ্ক ফল জ্বরে ব্যবহার হয়[ এর রস শীতল ও টক
তাই ঘাম, কফ ও বাতনাশক হিসেবে কাজ করে,,কামরাঙ্গার ভর্তা রুচি ও হজমশক্তি বাড়ায়।
তবে কামরাঙা বেশি খেলে কিডনির ক্ষতি হয়। অনেকদিন ধরে বেশি কামরাঙ্গা খেলে কিডনি বিকল হতে পারে
(সুত্র : নয়া দিগন্ত , ৩১ অক্টোবর ২০১৮
Click This Link
কামরাঙ্গা গাছে ফুটে থাকা ফুলও দেখতে খুব সুন্দর ,গাছের পাতার ফাকে ফাকে রঙ্গীন আলোছায়ার মত দেখায়,
ফুলগুলি দেখলে মনটা ফুরফুরে হয়ে যায় ।

সুন্দর পোষ্টটির জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ ।

শুভেচ্ছা রইল

০১ লা এপ্রিল, ২০২৩ রাত ১১:১৮

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:



আমাদের পুরান বাড়িতে প্রচুর পুরাতন গাছ আছে। সারাদিনই পাখি থাকে সেখানে টিয়া বুলবুলি ময়না টুনটুনি চড়ুই ঘুঘু শালিক। বেশ কিছু গাছ আছে যাতে বারো মাসই ফল ধরে। আপনার কথা সঠিক বাড়ি ঘরের মানুষ বাদেও গ্রামের মানুষ পাড়া প্রতিবেশী যখন গাছের ফল খাবে গাছে ফল ধরে বেশী - হয়তো গাছ বুঝতে পারে (গাছেরও প্রাণ আছে) তাই সকলের জন্য ফল ধরে প্রচুর।

আমাদের পুরান বাড়ির কাছে ঘন জঙ্গলা ও টিলা এলাকা আছে এখানে প্রচুর বেত গাছ (পাহাড়ি বেত) আর বেত ফল “বেতুইন” হয়। এছাড়া অনেক পুরাতন কাঠ গাছ ও কাঁঠাল গাছ আছে, শুধুমাত্র গাছের জন্য আমি কখনো জঙ্গলা এলাকা পরিস্কার করে ফসলি জমি করার চিন্তা করিনি। এতো এতো পুরাতন গাছ কেটে যতোই ফসল করি না কেনো কখনো এই পুরাতন গাছের ফিডব্যাক ফসল দিতে পারবে না। তাছাড়া গাছ কেটে মরুভূমি করার কোনো অর্থ হয় না।

আপনাকেও অশেষ অশেষ ধন্যবাদ।

১১| ৩১ শে মার্চ, ২০২৩ রাত ১১:৩৫

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
- আমি একটি কামরাঙ্গা বাগান দেখেছি। দেখে খুবই অবাক হয়েছিলাম। কেউ কামরাঙ্গার বাগান করতে পারে এটা চিন্তাতেও আসে না।

০২ রা এপ্রিল, ২০২৩ রাত ১২:০৪

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:



আপনি টক ডাল পছন্দ করেন কিনা জানিনা। আপনাকে একটি মজাদার রেসিপি দিচ্ছি। এটি বার্মা ও আমাদের আদীবাসিদের রেসিপি। টক ডাল রান্না করতে আপনি কামরাঙা দিবেন এভং রান্না শেষে পাঁচফোরন। খেয়ে আমাকে জানাবেন কেমন হয়েছে। আমার ধারণা আপনি মনে রাখার মতোই হবে।


১২| ০১ লা এপ্রিল, ২০২৩ রাত ১১:০৯

মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: গ্রাম আমার খুব প্রিয়। আমি আপনার বাড়ি যেতে চাই ঘুরতে। রাজীব নুরের বাড়িতেও যাব।

০১ লা এপ্রিল, ২০২৩ রাত ১১:২৪

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:



আমার সৌভাগ্য। সময় হোক, আমি আপনাদের সবাইকে দাওয়াত করবো। সাথে গাজী সাহেবের সাথেও আপনাদের দেখা হয়ে যাবে।


১৩| ০৯ ই এপ্রিল, ২০২৩ রাত ৮:০২

খায়রুল আহসান বলেছেন: চমৎকার হয়েছে আপনার ছবি ব্লগ - "আলো ছায়া"!
আমার প্রতিবেশীর বাসার সামনে একটি কামরাঙা গাছ আছে। সারাদিন প্রচুর টিয়া পাখি আনাগোনা করে। আমি ব্যালকনিতে দাঁড়িয়ে তা দেখি। পথিকেরাও যাওয়া আসার পথে গাছ থেকে পেড়ে অথবা তলা থেকে কুড়িয়ে কামরাঙা চিবোতে চিবোতে চলে যায়। প্রতিবেশী বন্ধু আমাকেও ব্যাগ ভর্তি করে পাঠায়। কিন্তু আমার বাসায় এত কামরাঙা খাওয়ার লোক নেই। ফলে আমিও অনেকাংশ বিলিয়ে দেই।

১৯ শে জুন, ২০২৩ রাত ১০:১৪

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:


খায়রুল আহসান ভাই আমি আন্তরিকভাবে দুঃখিত ব্লগের নোটিফিকেশানে আমার বুঝতে অসুবিধা হয়েছে আপনার মন্তব্য আমি দেখতে পাইনি। তাই উত্তর দিতে বিলম্ব।

কামরাঙা গাছে সবচেয়ে বেশী যেই পাখিটি বসে সেটি টিয়া। বিচিত্র কারণে টিয়া পাখির পছন্দের একটি ফল কামরাঙা। এই ফল বেশী খাওয়ার মতো নয় কারণ অত্যধিক টক। এছাড়া অতিরিক্ত এসিডের কারণে কিডনির জন্যও ক্ষতিকর। তবে কামরাঙা ঔষধি হিসেবে খুবই ফলপ্রসু একটি ফল।

আপনাক অশেষ অশেষ ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.