নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

দ্য েস্লভ

দ্য েস্লভ › বিস্তারিত পোস্টঃ

ঈমানের স্বাদ

২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১:৪৩



....রসূল(সাঃ)বলেন যার মধ্যে ৩ টি গুন রয়েছে,সে ঈমানের স্বাদ আস্বাদন করবে। ১. আল্লাহ ও তার তার রসূল(সাঃ) সকল কিছু থেকে অধিক প্রিয় হওয়া। ২. আল্লাহর উদ্দেশ্যেই ভালবাসা। ৩. কুফরীতে প্রত্যাবর্তনকে আগুনে নিক্ষিপ্ত হওয়ার মত অপছন্দ করা।(বুখারী-মুসলিম)

... তোমাদের কেউই প্রকৃত ঈমানদার হতে পারবে না,যতক্ষন না সে তার নিজের জন্যে যা পছন্দ করে,তার ভাইয়ের জন্যেও অনুরূপ পছন্দ করে।-(বুখারী-মুসলিম)

.... যে ব্যক্তি আল্লাহ ও আখিরাতকে বিশ্বাস করে সে যেন প্রতিবেশীকে কষ্ট না দেয়।যে ব্যক্তি আল্লাহ ও আখিরাতকে বিশ্বাস করে সে যেন মেহমানদের সম্মান করে। যে ব্যক্তি আল্লাহ ও আখিরাতকে বিশ্বাস করে সে যেন উত্তম কথা বলে অথবা চুপ থাকে।-(বুখারী-মুসলিম)

.... জরীর ইবনে আব্দুল্লাহ(রাঃ) বলেন-আমি রসূল(সাঃ) এর কাছে এসে এই মর্মে বায়য়াত প্রদান করলাম যে-আমি আল্লাহর রসূলের(সাঃ) কথা শুনব,সকল নির্দেশ মেনে চলব এবং সকল মুসলিমের মঙ্গল কামনা করব। এরপর রসূল(সাঃ) অতিরিক্ত যোগ করলেন-"তোমার সাধ্যানুযায়ী বিষয়ে"। -বুখারী-মুসলিম

(আমরা যেন একে অপরের প্রতি অন্তরে বিদ্বেষ না রাখি। একে অপরের জন্যে দোয়া করব)

... রসূল(সাঃ) বলেন- ঈমান মজবুত থাকা অবস্থায় কেউ যিনা করতে পারেনা,মদ্যপান করতে পারে না,চুরী করতে পারে না। আরেক বর্ণনায় এসেছে ছিনতাইয়ের সময় সে মুমিন থাকেনা।-(বুখারী,মুসলিম)

...কোনো লোক তার মুসলিম ভাইকে "হে কাফির" সম্বোধন করলে তাদের যে কোনো একজন কুফরীর শিকার হল।(-বুখারী-মুসলিম)

..আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ(রাঃ) রসূল(সাঃ)কে জিজ্ঞেস করেন-কোন আমলটি আল্লাহর কাছে সর্বোত্তম ? তিনি(সাঃ)বলেন-যথা সময়ে সালাত আদায় করা। আবার জিজ্ঞেস করেন-এরপর কোনটি ? তিনি(সাঃ)বললেন-পিতা-মাতার আনুগত্য করা। আবারও জিেজ্ঞেস করলেন-এরপর কোনটি? তিনি(সাঃ)বললেন-আল্লাহর রাস্তায় জিহাদ করা। আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ(রাঃ) বলেন-আমার মনে হয়েছে আমি আরও জিজ্ঞেস করলে তিনি আরও বলতেন।-(বুখারী,মুসলিম)

সর্বশেষ ভিন্ন বিষয়ের একটি হাদীস উল্লেখ করছি। এটা অনুধাবন করার অনুরোধ রইলো। কারন এ বিষয়টি অহরহ ঘটে থাকে। বুখারী এবং মুসলিমের একাধিক হাদীসে এসেছে সবথেকে বড় কবিরা গুনাহ হল শিরক। বুখারী ও মুসলিমের আরেকটি বর্ণনায় এসেছে সবথেকে বড় কবিরা গুনাহ হল পিতা-মাতাকে অভিশাপ দেওয়া। হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আমর রসূল(সাঃ)কে জিজ্ঞেস করলেন-ইয়া রাসূলুল্লাহ(সাঃ) কোনো লোক তার নিজ পিতা-মাতাকে কিভাবে অভিশাপ দিতে পারে !

রসূল(সাঃ)বললেন- সে যখন অন্যের পিতাকে গালি দেয়,তখন সে তার নিজের পিতাকেই গালি দেয়,যখন সে অন্যের -মাতাকে গালি দেয়,তখন সে নিজের মাতাকেই গালি দেয়। -(বুখারী-মুসলিম)

(অবএব মানুষকে অমুকের বাচ্চা...তমুকের বাচ্চা বলে গালি দিলে সর্বনাশ। )

(ঈমানের স্বাদ যে পেয়েছে,সে এর ভেতরেই বাঁচতে চাইবে। এখানেই রয়েছে প্রাণ)

মন্তব্য ০ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.